“মুসলমানমঙ্গল” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
যে জায়গাটা কোথাও নেই
Publisher: একুশ শতক
₹80
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
একই ধরণের গ্রন্থ
কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি
By রাম বসু
₹300
গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে বাংলা কবিতার আঙিনায় কবি রাম বসুর আবির্ভাব। উত্তাল চল্লিশের রাজনৈতিক আবর্তনে সে-সময় তার কলম ঝলসে উঠেছিল। জন্ম নিয়েছিল ‘পরান মাঝি হাঁক দিয়েছে’-র মতাে আশ্চর্য উদ্দীপক কবিতা। তারপর ক্রমাগত লিখে চলেছেন কবি, টানা প্রায় ছয় দশক। | চল্লিশের দশকে সমাজতান্ত্রিক সােভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সাত দুনিয়া দেখেছিল হিংস্র হিটলারের ফ্যাসিবাদী শক্তির পরাজয়। উপনিবেশিক শাসনের বেড়াজাল ভেঙে একটার পর একটা দেশ স্বাধীন হয়েছে আর সমাজতন্ত্রের বিজয় পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন নিপীড়িত মানুষ। নব্বই দশকের গোড়ায় ভেঙে পড়ল সমাজতন্ত্রের শিবির। সারা দুনিয়া চমকে গিয়েছিল। কবির বিশ্বাসের জগৎও বিরাট ধাক্কা খেয়েছিল।
দীর্ঘ পথ চলতে চলতে নানা প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও উত্তরহীনতার মুখােমুখি হয়েছেন কবি। মানুষের জয়যাত্রার স্বপ্ন বারবার যেমন চিত্রিত করেছেন তিনি, তেমনি তার প্রশ্ন-দীর্ণ মন দার্শনিক ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়েছে। কবিতায় এই খণ্ড-বিখণ্ড মনের ছবি অনন্য দক্ষতায় লিপিবদ্ধ করেছেন কবি। সমাজমুখীনতা, বাস্তববাদীতা এবং নিপীড়িত মানুষের জন্য গভীর আবেগ ও প্রেম যে কবিতার জন্ম দিয়েছে তাই নিয়ে এই অসামান্য সংকলন ‘ কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি ‘
কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি
By রাম বসু
₹300
গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে বাংলা কবিতার আঙিনায় কবি রাম বসুর আবির্ভাব। উত্তাল চল্লিশের রাজনৈতিক আবর্তনে সে-সময় তার কলম ঝলসে উঠেছিল। জন্ম নিয়েছিল ‘পরান মাঝি হাঁক দিয়েছে’-র মতাে আশ্চর্য উদ্দীপক কবিতা। তারপর ক্রমাগত লিখে চলেছেন কবি, টানা প্রায় ছয় দশক। | চল্লিশের দশকে সমাজতান্ত্রিক সােভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সাত দুনিয়া দেখেছিল হিংস্র হিটলারের ফ্যাসিবাদী শক্তির পরাজয়। উপনিবেশিক শাসনের বেড়াজাল ভেঙে একটার পর একটা দেশ স্বাধীন হয়েছে আর সমাজতন্ত্রের বিজয় পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন নিপীড়িত মানুষ। নব্বই দশকের গোড়ায় ভেঙে পড়ল সমাজতন্ত্রের শিবির। সারা দুনিয়া চমকে গিয়েছিল। কবির বিশ্বাসের জগৎও বিরাট ধাক্কা খেয়েছিল।
দীর্ঘ পথ চলতে চলতে নানা প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও উত্তরহীনতার মুখােমুখি হয়েছেন কবি। মানুষের জয়যাত্রার স্বপ্ন বারবার যেমন চিত্রিত করেছেন তিনি, তেমনি তার প্রশ্ন-দীর্ণ মন দার্শনিক ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়েছে। কবিতায় এই খণ্ড-বিখণ্ড মনের ছবি অনন্য দক্ষতায় লিপিবদ্ধ করেছেন কবি। সমাজমুখীনতা, বাস্তববাদীতা এবং নিপীড়িত মানুষের জন্য গভীর আবেগ ও প্রেম যে কবিতার জন্ম দিয়েছে তাই নিয়ে এই অসামান্য সংকলন ‘ কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি ‘
সৃজন চিন্তনে রবীন্দ্রনাথ
₹150
' সৃজন চিন্তনে রবীন্দ্রনাথ ' গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের সৃজনশীলতার অনেকগুলি প্রবন্ধ এবং তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ব্রাহ্ম ধর্মের মানুষ হলেও নিজের ধর্ম সম্পর্কে বলেছেন : আমার ধর্ম মানবধর্ম। মানুষই তাঁর কাছে শেষ সত্য। মুসলমান প্রজার জমিদার হিসেবে রবীন্দ্রনাথ কিভাবে মুসলমান সমাজকে দেখেছেন, শান্তিনিকেতনের সেবাত্রতে নিয়ােজিত রবীন্দ্রনাথ মুসলমানসমাজকে কিভাবে দেখেছেন, মুসলিম লিশা প্রতিষ্ঠা, মুসলমান ছাত্রদের মন্তব, মাদ্রাসায় বাংলা শিক্ষা, কামাল আতাতুর্কের আধুনিক চিন্তা, আকবর শাহের উদারতা প্রমুখ মুসলমান সমাজের এই বিষয়গুলিকে কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছেন, তার বিশ্লেষণী-সমীক্ষা করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও মুসলমান সমাজ প্রবন্ধে।
আমাদের দেহ সাড়ে তিন হাতের মধ্যে বদ্ধ, কিন্তু তাই বলিয়া ঠিক সাডে তিন হাত পরিমাণ গৃহ নির্মাণ করিলে চলে না। স্বাধীন চলাফেরার জন্য অনেকখানি স্থান রাখার প্রয়ােজন হয়, না হলে আমাদের স্বাস্থ্য ও আনন্দের ব্যাঘাত হয়। আমাদের শিক্ষা সম্পর্কে এই কথাটি সত্য। শিক্ষার দ্দেশ্য হওয়া উচিত সুপ্ত চেতনার বিকাশ। শিক্ষার মধ্যে থাকবে মনােজগতের খােরাক, স্বাধীন কল্পনার বিকাশ। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তাঁর শৈশবে এই প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যান্ত্রিক শিক্ষার আঘাতে তার শৈশব কিভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে, সেই অনুভূতি পরবর্তীকালে কিভাবে ফুটে উঠেছে, তার অনুসন্ধান করা হয়েছে রবীন্দ্রদৃষ্টিতে শিক্ষার যান্ত্রিকতা' নামক প্রবন্ধে।
পরিভাষা ও নতুন শব্দসৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথ' প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষাতাত্ত্বিক গুরুত্বের দিকটি অন্বেষণ করা হয়েছে। তিনি পারিভাষিক শব্দ, নতুন শব্দসৃষ্টির মাধ্যমে কিভাবে বাংলা ভাষাকে উৎকৃষ্টতা দান করেন, তা নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। তাঁর প্রবন্ধ, কবিতা, নাটক, উপন্যাস, ছােটগল্প সমস্ত সাহিত্যধারা অনুসন্ধান করে দেখানাে হয়েছে কোথায় কোথায় নতুন শব্দ ব্যবহার করেছেন, বা একটি শব্দকে ভিন্নতর অর্থে গ্রহণ করেছেন।
সৃজন চিন্তনে রবীন্দ্রনাথ
₹150
' সৃজন চিন্তনে রবীন্দ্রনাথ ' গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের সৃজনশীলতার অনেকগুলি প্রবন্ধ এবং তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ব্রাহ্ম ধর্মের মানুষ হলেও নিজের ধর্ম সম্পর্কে বলেছেন : আমার ধর্ম মানবধর্ম। মানুষই তাঁর কাছে শেষ সত্য। মুসলমান প্রজার জমিদার হিসেবে রবীন্দ্রনাথ কিভাবে মুসলমান সমাজকে দেখেছেন, শান্তিনিকেতনের সেবাত্রতে নিয়ােজিত রবীন্দ্রনাথ মুসলমানসমাজকে কিভাবে দেখেছেন, মুসলিম লিশা প্রতিষ্ঠা, মুসলমান ছাত্রদের মন্তব, মাদ্রাসায় বাংলা শিক্ষা, কামাল আতাতুর্কের আধুনিক চিন্তা, আকবর শাহের উদারতা প্রমুখ মুসলমান সমাজের এই বিষয়গুলিকে কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছেন, তার বিশ্লেষণী-সমীক্ষা করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও মুসলমান সমাজ প্রবন্ধে।
আমাদের দেহ সাড়ে তিন হাতের মধ্যে বদ্ধ, কিন্তু তাই বলিয়া ঠিক সাডে তিন হাত পরিমাণ গৃহ নির্মাণ করিলে চলে না। স্বাধীন চলাফেরার জন্য অনেকখানি স্থান রাখার প্রয়ােজন হয়, না হলে আমাদের স্বাস্থ্য ও আনন্দের ব্যাঘাত হয়। আমাদের শিক্ষা সম্পর্কে এই কথাটি সত্য। শিক্ষার দ্দেশ্য হওয়া উচিত সুপ্ত চেতনার বিকাশ। শিক্ষার মধ্যে থাকবে মনােজগতের খােরাক, স্বাধীন কল্পনার বিকাশ। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তাঁর শৈশবে এই প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যান্ত্রিক শিক্ষার আঘাতে তার শৈশব কিভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে, সেই অনুভূতি পরবর্তীকালে কিভাবে ফুটে উঠেছে, তার অনুসন্ধান করা হয়েছে রবীন্দ্রদৃষ্টিতে শিক্ষার যান্ত্রিকতা' নামক প্রবন্ধে।
পরিভাষা ও নতুন শব্দসৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথ' প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষাতাত্ত্বিক গুরুত্বের দিকটি অন্বেষণ করা হয়েছে। তিনি পারিভাষিক শব্দ, নতুন শব্দসৃষ্টির মাধ্যমে কিভাবে বাংলা ভাষাকে উৎকৃষ্টতা দান করেন, তা নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। তাঁর প্রবন্ধ, কবিতা, নাটক, উপন্যাস, ছােটগল্প সমস্ত সাহিত্যধারা অনুসন্ধান করে দেখানাে হয়েছে কোথায় কোথায় নতুন শব্দ ব্যবহার করেছেন, বা একটি শব্দকে ভিন্নতর অর্থে গ্রহণ করেছেন।
রহস্য e রহস্য
By শ্রীধরণ
₹150
এক প্রবীণ নাগরিকের মৃত্যুরহস্যের কিনারা করতে দুই প্রবীণ পুলিশ অফিসার internet এর গোপন রহস্যময় জগতে প্রবেশ করে। জানতে পারে phishing, hacking, e-fraud-এর মতো আধুনিক অপরাধের সম্মন্ধে। যতই তাঁরা রহস্য ভেদ করতে থাকে, রহস্যও তেমনি রহস্যজনক ভাবে নতুন নতুন রূপে দেখা দেয় - নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে। কিভাবে এই দুই দুঁদে পুলিশ অফিসার internet এর গোপন রহস্যের মায়াজাল ভেঙে মৃত্যুরহস্যের কিনারা করবে, এই নিয়েই এই গ্রন্থ " রহস্য e রহস্য "।
রহস্যের মধ্যে দিয়ে efraud - phishing - cripto currency - র মতো পিচ্ছিল পথের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন লেখক। তাই এই গ্রন্থ রহস্যপ্রেমীদের দের সাথে সাথে internet এর অপরাধ জগৎ সম্মন্ধে জানতে উৎসুক পাঠককুলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে।
রহস্য e রহস্য
By শ্রীধরণ
₹150
এক প্রবীণ নাগরিকের মৃত্যুরহস্যের কিনারা করতে দুই প্রবীণ পুলিশ অফিসার internet এর গোপন রহস্যময় জগতে প্রবেশ করে। জানতে পারে phishing, hacking, e-fraud-এর মতো আধুনিক অপরাধের সম্মন্ধে। যতই তাঁরা রহস্য ভেদ করতে থাকে, রহস্যও তেমনি রহস্যজনক ভাবে নতুন নতুন রূপে দেখা দেয় - নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে। কিভাবে এই দুই দুঁদে পুলিশ অফিসার internet এর গোপন রহস্যের মায়াজাল ভেঙে মৃত্যুরহস্যের কিনারা করবে, এই নিয়েই এই গ্রন্থ " রহস্য e রহস্য "।
রহস্যের মধ্যে দিয়ে efraud - phishing - cripto currency - র মতো পিচ্ছিল পথের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন লেখক। তাই এই গ্রন্থ রহস্যপ্রেমীদের দের সাথে সাথে internet এর অপরাধ জগৎ সম্মন্ধে জানতে উৎসুক পাঠককুলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
নব্য তোতাকাহিনী ও অন্যান্য
₹300
আমাদের সময় ও সমাজ ইদানীং বহুধা আক্রান্ত। অভ্যন্তরীন উপনিবেশবাদ ক্রমশ আততায়ীর চরিত্র অর্জন করে ইতিহাস ভাবাদর্শ-প্রগতি মূল্যবোধকে নস্যাত করতে উদ্যত। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান নীতির ফ্যাসিবাদী পতাকাবাহীরা গত সাত বছরে উত্তরোত্তর বিষক্রিয়া ছড়িয়ে দিয়ে সমাজমন ও রাষ্ট্রসংস্থাকে পঙ্গু করে ফেলেছে। তথাকথিত জাতীয় শিক্ষানীতি একতরফাভাবে চাপিয়ে দিয়ে শাসকেরা আগামী প্রজন্মগুলির মগজধোলাই করে নিজেদের পাইকবরকন্দাজে পরিণত করতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথের তোতা কাহিনির বিকটতম সংস্করণ তৈরি করেছে ধর্মান্ধ অত্যাচারী শক্তি। সামূহিক সর্বনাশের এই কালবেলায় নব্যতোতাকাহিনির ভয়ংকর স্বরূপ উদঘাটন করেছেন মননশীল প্রাবন্ধিক তপোধীর ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে রুগ্ন ও নিরালোক সমাজের বিপন্নতার বিভিন্ন দিকের ওপর বিশ্লেষণী আলোকপাত করেছেন আরো কিছু সময়ের স্বর খচিত প্রবন্ধে।
নব্য তোতাকাহিনী ও অন্যান্য
₹300
আমাদের সময় ও সমাজ ইদানীং বহুধা আক্রান্ত। অভ্যন্তরীন উপনিবেশবাদ ক্রমশ আততায়ীর চরিত্র অর্জন করে ইতিহাস ভাবাদর্শ-প্রগতি মূল্যবোধকে নস্যাত করতে উদ্যত। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান নীতির ফ্যাসিবাদী পতাকাবাহীরা গত সাত বছরে উত্তরোত্তর বিষক্রিয়া ছড়িয়ে দিয়ে সমাজমন ও রাষ্ট্রসংস্থাকে পঙ্গু করে ফেলেছে। তথাকথিত জাতীয় শিক্ষানীতি একতরফাভাবে চাপিয়ে দিয়ে শাসকেরা আগামী প্রজন্মগুলির মগজধোলাই করে নিজেদের পাইকবরকন্দাজে পরিণত করতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথের তোতা কাহিনির বিকটতম সংস্করণ তৈরি করেছে ধর্মান্ধ অত্যাচারী শক্তি। সামূহিক সর্বনাশের এই কালবেলায় নব্যতোতাকাহিনির ভয়ংকর স্বরূপ উদঘাটন করেছেন মননশীল প্রাবন্ধিক তপোধীর ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে রুগ্ন ও নিরালোক সমাজের বিপন্নতার বিভিন্ন দিকের ওপর বিশ্লেষণী আলোকপাত করেছেন আরো কিছু সময়ের স্বর খচিত প্রবন্ধে।
সাহস দেখানোর পালা
By তপোময় ঘোষ
₹250
গল্প’ শব্দটির যে কত দ্যোতনা, কত গভীরতা তা আমার পক্ষে কোনভাবেই বলা তো দূরের কথা, জানাও সম্ভব হবে না জেনেও একটা অক্ষম প্রচেষ্টা চলছিল। একান্ত আপন সে মিয়ানো প্রচেষ্টায় কেউ প্রণোদশার ঘি বা আগুন যোগায় নি। কারও দায় পড়েনি এগুলো লিখতে বলার। ফলত পাঁচিরের গায়ে নামগোত্রহীন দুলতে থাকা। এভাবেই এক, দুই, তিন দশকের পর বেহায়ারা যেমন হয় তেমনি একটি মোচড় দেওয়া উদ্যম। আর যায় কোথা, বেরিয়ে পড়ছে আমারও একটা গল্প সংকলন ' সাহস দেখানোর পালা '।
সওয়া একশ বছরের বাংলা সাহিত্যের শত শত মণিমাণিক্যের পাশে কিছু কালোকুলো ছাইপাশ গাদা করার এ অহেতু না জন্মালেই ভাল হত। কিন্তু ওই যে কথা আছে না, কুঁজোরও সাধ হয় চিৎ হয়ে শুতে। ওতেই হয়েছে মুশকিল।
সাহস দেখানোর পালা
By তপোময় ঘোষ
₹250
গল্প’ শব্দটির যে কত দ্যোতনা, কত গভীরতা তা আমার পক্ষে কোনভাবেই বলা তো দূরের কথা, জানাও সম্ভব হবে না জেনেও একটা অক্ষম প্রচেষ্টা চলছিল। একান্ত আপন সে মিয়ানো প্রচেষ্টায় কেউ প্রণোদশার ঘি বা আগুন যোগায় নি। কারও দায় পড়েনি এগুলো লিখতে বলার। ফলত পাঁচিরের গায়ে নামগোত্রহীন দুলতে থাকা। এভাবেই এক, দুই, তিন দশকের পর বেহায়ারা যেমন হয় তেমনি একটি মোচড় দেওয়া উদ্যম। আর যায় কোথা, বেরিয়ে পড়ছে আমারও একটা গল্প সংকলন ' সাহস দেখানোর পালা '।
সওয়া একশ বছরের বাংলা সাহিত্যের শত শত মণিমাণিক্যের পাশে কিছু কালোকুলো ছাইপাশ গাদা করার এ অহেতু না জন্মালেই ভাল হত। কিন্তু ওই যে কথা আছে না, কুঁজোরও সাধ হয় চিৎ হয়ে শুতে। ওতেই হয়েছে মুশকিল।