“সংস্কৃতির উত্তরাধিকার ও বাংলার লোকসংস্কৃতি” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
স্তব্ধতার গান শোনো
By শঙ্কর বসু
₹200
পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক শঙ্কর বসুর অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “স্তব্ধতার গান শোনো”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
স্তব্ধতার গান শোনো
By শঙ্কর বসু
₹200
পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক শঙ্কর বসুর অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “স্তব্ধতার গান শোনো”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ
By প্রণব চৌধুরী
₹200
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রূয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল কিছু তরুণ, উত্তাল হয়েছিল ছাত্র - বুদ্ধিজীবী - জনসমাজ। পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলা স্বীকৃতি পেলেও, প্রতিপদক্ষেপে তাদের মুখােমুখি হতে হয়েছে ইসলামিক সংস্কৃতির নামে বাঙালি-সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট সরকার উৎখাত। ১৯৫৮-এ পাকসেনাপ্রধান আইয়ুব খানের সাময়িক শাসন ও ক্ষমতাগ্রহণ, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হয়ে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে দশটি বছর সমস্ত মৌলিক স্বাধীনতাহরণ। বাংলা বর্ণমালার আরবি-রােমান হরফে রূপান্তরের উদ্যোগ, বেতার-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, ' জাতীয় কবি ' নজরুলের কবিতা-গানে ‘হিন্দুয়ানি’ ভাষা বদল করে আরবি-ফরাসি শব্দ প্রয়োগ, ক্রমাগত আর্থিক পীড়নে সােনার বাংলাকে শশানে পরিণত করা, পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন অবদমনের জন্যে ' আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ', উনসত্তরে পুলিশের গুলিতে কিশাের মতিউর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আসাদ, রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুজ্জোহা; একাত্তরের যুদ্ধে তিরিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই দুঃসাহসী মর্মান্তিক ঘটনাবলি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মীলনে সেখানে রচিত হয়েছে একাত্তর-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বাংলাভাষার নতুনতর কাব্য ও সংগীত। ' কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ ' গ্রন্থের বিভিন্ন প্রবন্ধে এর যথাযথ রূপায়ণ। এপার বাংলায় অনুরূপ প্রয়াস দুর্লভ।
কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ
By প্রণব চৌধুরী
₹200
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রূয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল কিছু তরুণ, উত্তাল হয়েছিল ছাত্র - বুদ্ধিজীবী - জনসমাজ। পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলা স্বীকৃতি পেলেও, প্রতিপদক্ষেপে তাদের মুখােমুখি হতে হয়েছে ইসলামিক সংস্কৃতির নামে বাঙালি-সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট সরকার উৎখাত। ১৯৫৮-এ পাকসেনাপ্রধান আইয়ুব খানের সাময়িক শাসন ও ক্ষমতাগ্রহণ, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হয়ে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে দশটি বছর সমস্ত মৌলিক স্বাধীনতাহরণ। বাংলা বর্ণমালার আরবি-রােমান হরফে রূপান্তরের উদ্যোগ, বেতার-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, ' জাতীয় কবি ' নজরুলের কবিতা-গানে ‘হিন্দুয়ানি’ ভাষা বদল করে আরবি-ফরাসি শব্দ প্রয়োগ, ক্রমাগত আর্থিক পীড়নে সােনার বাংলাকে শশানে পরিণত করা, পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন অবদমনের জন্যে ' আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ', উনসত্তরে পুলিশের গুলিতে কিশাের মতিউর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আসাদ, রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুজ্জোহা; একাত্তরের যুদ্ধে তিরিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই দুঃসাহসী মর্মান্তিক ঘটনাবলি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মীলনে সেখানে রচিত হয়েছে একাত্তর-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বাংলাভাষার নতুনতর কাব্য ও সংগীত। ' কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ ' গ্রন্থের বিভিন্ন প্রবন্ধে এর যথাযথ রূপায়ণ। এপার বাংলায় অনুরূপ প্রয়াস দুর্লভ।
নবজাগরণ বিশ্বের পশ্চিমে ও পূর্বে
₹250
এতকাল আমরা জেনে এসেছি - এই আধুনিক বিশ্ব গড়ে তোলার মূল কারিগর-পাশ্চাত্য সভ্যতা। আর সেটা এমনভাবে মনে করা হয় যেন এর আগের সময়টা সার্বিকভাবে ছিল প্রাগৈতিহাসিক কাল।
কিন্তু যারা চোখের ঠুলি সরিয়ে আপাত মুগ্ধতা অতিক্রম করতে পেরেছেন, দেখতে পাবেন বর্তমান বিশ্বে কীভাবে সক্রিয় রয়েছে তাদের নির্লজ্জ শোষন প্রকৃতি - তাদের দ্বিচারিতা কীভাবে ভোগপ্রবণ সাধারণ মানুষজনকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। এইভাবেই জীবনযাপনের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই মোহগ্রস্ত করে রাখেন অধিকাংশ প্রবক্তা-বুদ্ধিজীবীদের-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেও, যারা এই আধুনিকতাকে রেঁনেসা নামে এক অলৌকিক মোড়কে সেটা প্রচার করে যাচ্ছেন।
ইতিহাস বলে—প্রকৃত রেঁনেসার মূল শিরদাঁড়া স্তম্ভ ছিল প্রখর ও নিষ্কলুষ যুক্তিবোধ—তার প্রধান লক্ষ্য ছিল, আত্ম আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষসত্তার সৃজনশীলতার উন্মেষ।
কিন্তু এটাই আশ্চর্যের মূল সুত্র দুটি আজ নিতান্তই অর্থহীনতায় পর্যবসিত, উপযোগিতার নিরিখে দ্রুত বাতিলের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। যারা সেই দৌড়ে সামিল হতে পারছেনা বিপর্যস্ত, ভুলণ্ঠিত হচ্ছে। সেই সাধারণ মানুষরা মুনাফা শিকারীদের কাছে নেহাতই অবজ্ঞার পাত্র। তাচ্ছিল্য
করার উপযুক্ত।
নবজাগরণ বিশ্বের পশ্চিমে ও পূর্বে গ্রন্থটি বস্তুত সেই অনুসন্ধান, যা এর উৎসভূমি খুঁজে পাবার চেষ্টা করেছে।
নবজাগরণ বিশ্বের পশ্চিমে ও পূর্বে
₹250
এতকাল আমরা জেনে এসেছি - এই আধুনিক বিশ্ব গড়ে তোলার মূল কারিগর-পাশ্চাত্য সভ্যতা। আর সেটা এমনভাবে মনে করা হয় যেন এর আগের সময়টা সার্বিকভাবে ছিল প্রাগৈতিহাসিক কাল।
কিন্তু যারা চোখের ঠুলি সরিয়ে আপাত মুগ্ধতা অতিক্রম করতে পেরেছেন, দেখতে পাবেন বর্তমান বিশ্বে কীভাবে সক্রিয় রয়েছে তাদের নির্লজ্জ শোষন প্রকৃতি - তাদের দ্বিচারিতা কীভাবে ভোগপ্রবণ সাধারণ মানুষজনকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। এইভাবেই জীবনযাপনের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই মোহগ্রস্ত করে রাখেন অধিকাংশ প্রবক্তা-বুদ্ধিজীবীদের-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেও, যারা এই আধুনিকতাকে রেঁনেসা নামে এক অলৌকিক মোড়কে সেটা প্রচার করে যাচ্ছেন।
ইতিহাস বলে—প্রকৃত রেঁনেসার মূল শিরদাঁড়া স্তম্ভ ছিল প্রখর ও নিষ্কলুষ যুক্তিবোধ—তার প্রধান লক্ষ্য ছিল, আত্ম আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষসত্তার সৃজনশীলতার উন্মেষ।
কিন্তু এটাই আশ্চর্যের মূল সুত্র দুটি আজ নিতান্তই অর্থহীনতায় পর্যবসিত, উপযোগিতার নিরিখে দ্রুত বাতিলের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। যারা সেই দৌড়ে সামিল হতে পারছেনা বিপর্যস্ত, ভুলণ্ঠিত হচ্ছে। সেই সাধারণ মানুষরা মুনাফা শিকারীদের কাছে নেহাতই অবজ্ঞার পাত্র। তাচ্ছিল্য
করার উপযুক্ত।
নবজাগরণ বিশ্বের পশ্চিমে ও পূর্বে গ্রন্থটি বস্তুত সেই অনুসন্ধান, যা এর উৎসভূমি খুঁজে পাবার চেষ্টা করেছে।
আহমদ শরীফ রচনা সমগ্র ১ম খন্ড
₹1,000
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবী, প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির রূপ-স্বরূপ উন্মোচনে প্রবাদপ্রতিম পণ্ডিত, অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদী-দার্শনিক, মুক্তবুদ্ধি ও নির্মোহ চিত্তার ধারক-বাহক, নাস্তিক-দ্রোহী এবং অভিন্ন বাঙালিজাতিসয়ায় আস্থাশীল-দুই বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী আহমদ শরীফ। পণ্ডিত ও দার্শনিক এই মানুষটি সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনেই শুধু নয়– দেশ-কাল-সমাজ-রাষ্ট্রের, উপমহাদেশের এবং বহির্বিশ্বের অধিকাংশ ঘটনায় আমৃত্যু আলোড়িত হয়েছেন আর এসবের প্রতিক্রিয়া প্রকাশে তিনি অজস্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা করে গেছেন। সমকালীন চিন্তাচেতনা এবং সে সম্পর্কে তাঁর মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যযুগীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিশ্লেষণ করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন সমকালের ইতিহাস, সংস্কৃতি, নিরন্ন মানুষ এবং সামাজিক বৈরিতার অন্তর্ভুক্ত। এভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মধ্য দিয়ে নতুন করে নির্মিত হয়েছে দেশীয় নিরন্ন 'গতরখাটা মানুষের ইতিহাস'।
আহমদ শরীফের মোট মৌলিক বা চিন্তারক এবং মধ্যযুগের রচনার পাঠোদ্ধার ও সম্পাদনা-গ্রন্থের সংখ্যা ১০৩। তবু তাবৎ রচনাবলীতে স্থান পেয়েছে কেবল মাত্র মৌলিক গ্রন্থগুলি, যেখানে মধ্যযুগের সাহিত্যের পুনরাবিষ্কার যাঁর হাতে সেই 'জনগণের ইতিহাস নির্মাতা'র মধ্যযুগের পাঠোদ্ধারকৃত রচনাসম্ভার প্রকাশিত রচনাবলীতে স্থান পায়নি। কিন্তু একজন মানুষের মানসপ্রবাহ ও তাঁর গড়ন ধরা থাকে তাঁর ক্রমবিকশিত কৃতির মধ্যে সেকারণে মানসিক বিকাশ ও দেশীয় ঐতিহাসিক বিবর্তনের ধারায় তার সবটাই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত সমাজ ও কালিক বিচারের ক্ষেত্রে।
এই রচনাবলীতে স্থান পেয়েছে তিনটি মৌলিক গ্রন্থ বিচিত চিন্তা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চিন্তা, স্বদেশ অন্বেষা এবং মধ্যযুগের পাঠোদ্ধারকৃত ও সম্পাদিত দুটি পুথি সাহিত্য লায়লী মজনু এবং বিদ্যাসুন্দর। দৈনিক সাপ্তাহিকে কলাম লিখেছেন প্রচুর এবং আমৃত্যুই লিখেছেন। বহু রচনা অগ্রন্থিত অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, সেসব একত্রে স্থান পেয়েছে এই গ্রন্থে।
আহমদ শরীফ রচনা সমগ্র ১ম খন্ড
₹1,000
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবী, প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির রূপ-স্বরূপ উন্মোচনে প্রবাদপ্রতিম পণ্ডিত, অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদী-দার্শনিক, মুক্তবুদ্ধি ও নির্মোহ চিত্তার ধারক-বাহক, নাস্তিক-দ্রোহী এবং অভিন্ন বাঙালিজাতিসয়ায় আস্থাশীল-দুই বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী আহমদ শরীফ। পণ্ডিত ও দার্শনিক এই মানুষটি সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনেই শুধু নয়– দেশ-কাল-সমাজ-রাষ্ট্রের, উপমহাদেশের এবং বহির্বিশ্বের অধিকাংশ ঘটনায় আমৃত্যু আলোড়িত হয়েছেন আর এসবের প্রতিক্রিয়া প্রকাশে তিনি অজস্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা করে গেছেন। সমকালীন চিন্তাচেতনা এবং সে সম্পর্কে তাঁর মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যযুগীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিশ্লেষণ করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন সমকালের ইতিহাস, সংস্কৃতি, নিরন্ন মানুষ এবং সামাজিক বৈরিতার অন্তর্ভুক্ত। এভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মধ্য দিয়ে নতুন করে নির্মিত হয়েছে দেশীয় নিরন্ন 'গতরখাটা মানুষের ইতিহাস'।
আহমদ শরীফের মোট মৌলিক বা চিন্তারক এবং মধ্যযুগের রচনার পাঠোদ্ধার ও সম্পাদনা-গ্রন্থের সংখ্যা ১০৩। তবু তাবৎ রচনাবলীতে স্থান পেয়েছে কেবল মাত্র মৌলিক গ্রন্থগুলি, যেখানে মধ্যযুগের সাহিত্যের পুনরাবিষ্কার যাঁর হাতে সেই 'জনগণের ইতিহাস নির্মাতা'র মধ্যযুগের পাঠোদ্ধারকৃত রচনাসম্ভার প্রকাশিত রচনাবলীতে স্থান পায়নি। কিন্তু একজন মানুষের মানসপ্রবাহ ও তাঁর গড়ন ধরা থাকে তাঁর ক্রমবিকশিত কৃতির মধ্যে সেকারণে মানসিক বিকাশ ও দেশীয় ঐতিহাসিক বিবর্তনের ধারায় তার সবটাই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত সমাজ ও কালিক বিচারের ক্ষেত্রে।
এই রচনাবলীতে স্থান পেয়েছে তিনটি মৌলিক গ্রন্থ বিচিত চিন্তা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চিন্তা, স্বদেশ অন্বেষা এবং মধ্যযুগের পাঠোদ্ধারকৃত ও সম্পাদিত দুটি পুথি সাহিত্য লায়লী মজনু এবং বিদ্যাসুন্দর। দৈনিক সাপ্তাহিকে কলাম লিখেছেন প্রচুর এবং আমৃত্যুই লিখেছেন। বহু রচনা অগ্রন্থিত অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, সেসব একত্রে স্থান পেয়েছে এই গ্রন্থে।
লোকসাহিত্য শিষ্টসাহিত্য : পারস্পরিক প্রভাব
₹300
আদিম শিকার-ভিত্তিক জীবন থেকে কৃষি সভ্যতা—শিল্প বিপ্লব ও নগর সভ্যতার ক্রমবিকাশ ও ক্রম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে সবকিছু। সাহিত্য, সংস্কৃতির নানাবিধ শাখা এবং মানুষের চিন্তন-ক্ষেত্রে এই ক্রমপরিবর্তন-পরিবর্ধন পরিমার্জনও এর ব্যাত্যয় হয় না। সবকিছুর মূলে বা আদিতে কিছু না কিছু থাকে। বিশিষ্টজনেরা সেসবকে আধুনিক, উত্তর আধুনিক—যেভাবেই চিহ্নিত করুন না কেন, সেই আদিকে বাদ দিয়ে কিছু হবার নয়। গ্রন্থকার ড. কার্ত্তিকচন্দ্র প্রামাণিক তাঁর এই ‘লোকসাহিত্য শিষ্টসাহিত্য : পারস্পরিক প্রভাব' শিরোনামের গ্রন্থে সেই আদি ও আপাত অন্তে বিচরণ করেছেন নিগুঢ়ভাবে। সমসাময়িক শিষ্ট সাহিত্য কীভাবে লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আত্তীকরণ করে পুষ্ট ও ঋদ্ধ হয়েছে তার অনুসন্ধানই এই পুস্তকের মূল প্রতিপাদ্য।
লোকসাহিত্য শিষ্টসাহিত্য : পারস্পরিক প্রভাব
₹300
আদিম শিকার-ভিত্তিক জীবন থেকে কৃষি সভ্যতা—শিল্প বিপ্লব ও নগর সভ্যতার ক্রমবিকাশ ও ক্রম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে সবকিছু। সাহিত্য, সংস্কৃতির নানাবিধ শাখা এবং মানুষের চিন্তন-ক্ষেত্রে এই ক্রমপরিবর্তন-পরিবর্ধন পরিমার্জনও এর ব্যাত্যয় হয় না। সবকিছুর মূলে বা আদিতে কিছু না কিছু থাকে। বিশিষ্টজনেরা সেসবকে আধুনিক, উত্তর আধুনিক—যেভাবেই চিহ্নিত করুন না কেন, সেই আদিকে বাদ দিয়ে কিছু হবার নয়। গ্রন্থকার ড. কার্ত্তিকচন্দ্র প্রামাণিক তাঁর এই ‘লোকসাহিত্য শিষ্টসাহিত্য : পারস্পরিক প্রভাব' শিরোনামের গ্রন্থে সেই আদি ও আপাত অন্তে বিচরণ করেছেন নিগুঢ়ভাবে। সমসাময়িক শিষ্ট সাহিত্য কীভাবে লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আত্তীকরণ করে পুষ্ট ও ঋদ্ধ হয়েছে তার অনুসন্ধানই এই পুস্তকের মূল প্রতিপাদ্য।
সময় অসময় নিঃসময়
₹180
আমাদের লেখায় বড়াে নির্জনতা এখন। হয়তাে এই নির্জনতায় বিষাদ নেই তত। আছে উদ্ভট মান্যতার বােধ ; মান্যতা বলব, বৈধতা নয়। এখন আমরা প্রাজ্ঞ হতে পারি না সহজে। তাই আমাদের ইদানীংকার পাঠকৃতিতে দেখতে পাই-সমস্ত কেমন যেন আপাত, ত্রিশঙ্কু, চূড়ান্তবিন্দু থেকে স্থিরীকৃত দুরত্বে রুদ্ধ। নিশ্চয় এই বােধও সময়-শাসিত। কিন্তু কীভাবে অস্বীকার করি যে আজকের লেখকেরা এবং আলােচকেরা সিদ্ধান্ত এড়িয়ে যাওয়াতে পারদর্শী? গভীর গভীরতর কোনাে কারণে, সম্ভবত বিশ্বায়নের ছলে সংক্রামিত নির্মানবায়নের প্রভাবে, আমাদের সমস্ত বােধই অসাড় আজ। দাতা যেখানে, গ্রহীতাও সেখানে। ভুল প্রমাণিত হতে বড়া ভয়। প্রতিটি পাঠকৃতি যে-ধরনের প্রত্যাশা জাগিয়ে শুরু হয়, আপাত-সমাপ্তির বিন্দুতে পৌছে দেখি, প্রত্যাশাকে কৌশলে পাশ কাটিয়ে গেছে বৌদ্ধিক চাতুর্য। ব্যতিক্রম আছে, কিন্তু তা তাে নিয়মকেই প্রমাণিত করে। এ সময়ের কবি ও কথাকারেরা, প্রাবন্ধিক ও সাংস্কৃতিক যােদ্ধারা এই বাচনের যথার্থতা খুঁজুন তাদের সৃষ্টি ও জীবনের যুগলবন্দি পাঠকৃতিতে। কিংবা প্রতিপ্রশ্ন করুন। বাঙালির সমস্ত ভুবনে অব্যাহত থাকুক এই খোঁজা বা প্রতিপ্রশ্ন ; হয়তাে পরিসর অনুযায়ী মীমাংসা ভিন্ন হবে, হয়তাে কোনাে মীমাংসাই হবে না, তবু। ' সময় অসময় নিঃসময় ' গ্রন্থটি সাহিত্যচর্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সময় অসময় নিঃসময়
₹180
আমাদের লেখায় বড়াে নির্জনতা এখন। হয়তাে এই নির্জনতায় বিষাদ নেই তত। আছে উদ্ভট মান্যতার বােধ ; মান্যতা বলব, বৈধতা নয়। এখন আমরা প্রাজ্ঞ হতে পারি না সহজে। তাই আমাদের ইদানীংকার পাঠকৃতিতে দেখতে পাই-সমস্ত কেমন যেন আপাত, ত্রিশঙ্কু, চূড়ান্তবিন্দু থেকে স্থিরীকৃত দুরত্বে রুদ্ধ। নিশ্চয় এই বােধও সময়-শাসিত। কিন্তু কীভাবে অস্বীকার করি যে আজকের লেখকেরা এবং আলােচকেরা সিদ্ধান্ত এড়িয়ে যাওয়াতে পারদর্শী? গভীর গভীরতর কোনাে কারণে, সম্ভবত বিশ্বায়নের ছলে সংক্রামিত নির্মানবায়নের প্রভাবে, আমাদের সমস্ত বােধই অসাড় আজ। দাতা যেখানে, গ্রহীতাও সেখানে। ভুল প্রমাণিত হতে বড়া ভয়। প্রতিটি পাঠকৃতি যে-ধরনের প্রত্যাশা জাগিয়ে শুরু হয়, আপাত-সমাপ্তির বিন্দুতে পৌছে দেখি, প্রত্যাশাকে কৌশলে পাশ কাটিয়ে গেছে বৌদ্ধিক চাতুর্য। ব্যতিক্রম আছে, কিন্তু তা তাে নিয়মকেই প্রমাণিত করে। এ সময়ের কবি ও কথাকারেরা, প্রাবন্ধিক ও সাংস্কৃতিক যােদ্ধারা এই বাচনের যথার্থতা খুঁজুন তাদের সৃষ্টি ও জীবনের যুগলবন্দি পাঠকৃতিতে। কিংবা প্রতিপ্রশ্ন করুন। বাঙালির সমস্ত ভুবনে অব্যাহত থাকুক এই খোঁজা বা প্রতিপ্রশ্ন ; হয়তাে পরিসর অনুযায়ী মীমাংসা ভিন্ন হবে, হয়তাে কোনাে মীমাংসাই হবে না, তবু। ' সময় অসময় নিঃসময় ' গ্রন্থটি সাহিত্যচর্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।