“ভিজে যাই বৃষ্টিহীনতায়” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
তিরিশ কাহন
₹250
একগুচ্ছ বিভিন্ন স্বাদের প্রবন্ধ নিয়ে এই গ্রন্থ 'তিরিশ কাহন'। লেখক অতীত জীবনের কথা বলতে গিয়ে যে সরল ও অকৃত্তিম গ্রাম্য সমাজ ও জীবনের চিত্র তুলে ধরেছেন তা পাঠক মনে এক অনন্য অনুভূতির সৃষ্টি করবে।
তিরিশ কাহন
₹250
একগুচ্ছ বিভিন্ন স্বাদের প্রবন্ধ নিয়ে এই গ্রন্থ 'তিরিশ কাহন'। লেখক অতীত জীবনের কথা বলতে গিয়ে যে সরল ও অকৃত্তিম গ্রাম্য সমাজ ও জীবনের চিত্র তুলে ধরেছেন তা পাঠক মনে এক অনন্য অনুভূতির সৃষ্টি করবে।
উনিশে মে : ভাষার সংকট
₹250
দেশভাগের পর নবগঠিত আসাম প্রদেশে সংখ্যায় কমে যাওয়া বাঙালির মুখের ভাষা ভুলিয়ে দিতে ১৯৬০ এর ভাষা আইনে একমাত্র অসমিয়াকে করা হয় রাজ্যভাষা, প্রতিবাদে বরাক উপত্যকায় শুরু হয় ভাষা সংগ্রাম, ১৯৬১র ১৯শে মে হয় মহাবিস্ফোরণ, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় ভাষা আইনে বরাক উপত্যকার জন্য বরাদ্দ হয় বাংলা ভাষা। তারপরেও শিক্ষাক্ষেত্রে চাকুরিক্ষেত্রে শুরু হয় চোরাগোপ্তা আক্রমণ। আবার দুই দফায় করিমগঞ্জে শহিদ হন আরও তিনজন। বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষার জন্য আর এক কিশোরীর মৃত্যু হয় পাথারকান্দিতে। মরিয়া না মরে এ কেমন বৈরী, তাও বাঙালি বেঁচে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন প্রকার অসমিয়া সমাজে, শেষ প্রকাশ হয়। এনারসির আক্রমণে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে বাঙালিকে বিপন্ন করে তোলে, নিধনে প্ররোচিত করে। উসকানির ফাঁদে পা না দিয়েও বাঙালি তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে যার যেমন অস্ত্র। শিল্পী সাহিত্যিকরাও তাদের নিজস্ব প্রহরণে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই এখনও চলছে সংকটাপন্ন বাঙালির আন্দোলন, ১৯৬১র পর থেকে অবিরত। সেই সময় থেকে এই সময়ে গমনের কথা কিছু লিপিবদ্ধ থাকল দুই মলাটের ভিতর।
উনিশে মে : ভাষার সংকট
₹250
দেশভাগের পর নবগঠিত আসাম প্রদেশে সংখ্যায় কমে যাওয়া বাঙালির মুখের ভাষা ভুলিয়ে দিতে ১৯৬০ এর ভাষা আইনে একমাত্র অসমিয়াকে করা হয় রাজ্যভাষা, প্রতিবাদে বরাক উপত্যকায় শুরু হয় ভাষা সংগ্রাম, ১৯৬১র ১৯শে মে হয় মহাবিস্ফোরণ, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় ভাষা আইনে বরাক উপত্যকার জন্য বরাদ্দ হয় বাংলা ভাষা। তারপরেও শিক্ষাক্ষেত্রে চাকুরিক্ষেত্রে শুরু হয় চোরাগোপ্তা আক্রমণ। আবার দুই দফায় করিমগঞ্জে শহিদ হন আরও তিনজন। বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষার জন্য আর এক কিশোরীর মৃত্যু হয় পাথারকান্দিতে। মরিয়া না মরে এ কেমন বৈরী, তাও বাঙালি বেঁচে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন প্রকার অসমিয়া সমাজে, শেষ প্রকাশ হয়। এনারসির আক্রমণে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে বাঙালিকে বিপন্ন করে তোলে, নিধনে প্ররোচিত করে। উসকানির ফাঁদে পা না দিয়েও বাঙালি তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে যার যেমন অস্ত্র। শিল্পী সাহিত্যিকরাও তাদের নিজস্ব প্রহরণে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই এখনও চলছে সংকটাপন্ন বাঙালির আন্দোলন, ১৯৬১র পর থেকে অবিরত। সেই সময় থেকে এই সময়ে গমনের কথা কিছু লিপিবদ্ধ থাকল দুই মলাটের ভিতর।
বিমল করের গল্পবিশ্ব
By অমরেশ মন্ডল
₹150
মনোজগতের গহনচারী কথাশিল্পী বিমল কর। তিনি মানবমনের এমন সব খবর প্রকাশ করেছেন তাঁর ছোটগল্পে যা এককথায় অতুলনীয়। তাঁর গল্পে মনস্তত্ত্ববিশ্লেষণের সূত্রে ধরা পড়েছে আধুনিক ব্যক্তি মানুষের মনের বিকার, বাসনা, লোভ ও পাপের পাশাপাশি পাপস্খালনের আকাঙক্ষা; আত্মিক উত্তরণের আর্তি। তাঁর অনেক গল্পে ব্যাধি ও মৃত্যুর নিকট সংস্পর্শে ব্যক্তির মধ্যে দেখা দিয়েছে দার্শনিক জিজ্ঞাসা। আবার কোন কোন গল্পে সূচিত হয়েছে ব্যক্তির আত্ম-অন্বেষণের নিরন্তর প্রয়াস। গল্পকার বিমলকরের গল্পে বিম্বিত মনোবিশ্বের স্বরূপসন্ধানই ' বিমল করের গল্পবিশ্ব ' গ্রন্থের লক্ষ্য। তাঁর গল্প বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়ের সূচকনাম নির্ধারিত হয়েছে এবং এক একটি অধ্যায়ে সেই গোত্রের গল্পকে স্থান করে দেওয়া হয়েছে।
বিমল করের গল্পবিশ্ব
By অমরেশ মন্ডল
₹150
মনোজগতের গহনচারী কথাশিল্পী বিমল কর। তিনি মানবমনের এমন সব খবর প্রকাশ করেছেন তাঁর ছোটগল্পে যা এককথায় অতুলনীয়। তাঁর গল্পে মনস্তত্ত্ববিশ্লেষণের সূত্রে ধরা পড়েছে আধুনিক ব্যক্তি মানুষের মনের বিকার, বাসনা, লোভ ও পাপের পাশাপাশি পাপস্খালনের আকাঙক্ষা; আত্মিক উত্তরণের আর্তি। তাঁর অনেক গল্পে ব্যাধি ও মৃত্যুর নিকট সংস্পর্শে ব্যক্তির মধ্যে দেখা দিয়েছে দার্শনিক জিজ্ঞাসা। আবার কোন কোন গল্পে সূচিত হয়েছে ব্যক্তির আত্ম-অন্বেষণের নিরন্তর প্রয়াস। গল্পকার বিমলকরের গল্পে বিম্বিত মনোবিশ্বের স্বরূপসন্ধানই ' বিমল করের গল্পবিশ্ব ' গ্রন্থের লক্ষ্য। তাঁর গল্প বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়ের সূচকনাম নির্ধারিত হয়েছে এবং এক একটি অধ্যায়ে সেই গোত্রের গল্পকে স্থান করে দেওয়া হয়েছে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
অমৃতের কাছে
₹100
সায়ন্তনী ভট্টাচার্যের জন্ম হাওড়ার বালিতে। ' অমৃতের কাছে ' এটিই প্রথম উপন্যাসের বই। অবশ্য এর আগে বিভিন্ন শারদসংখ্যায় বেশ কয়েকটি উপন্যাস লিখেছেন। তাঁর প্রথম গল্পের বই ম্যাজিক ছাতা ও আরও ৯' প্রকাশ পেয়েছে এই বইমেলাতেই। কবিতার বইয়ের সংখ্যা চার। উল্লেখযােগ্য কবিতার বই সিগনেট থেকে ২০১৮-তে প্রকাশিত ভাঙা নদী গােটা চাদ। উপন্যাসের জন্য শৈবভারতী পুরস্কার পেয়েছেন ২০১৭ সালে। সম্প্রতি সাহিত্য অকাদেমির আমন্ত্রণে ত্রিপুরার আগরতলায় যুবালেখক সম্মেলনে গল্প পাঠ করেছেন।
অমৃতের কাছে
₹100
সায়ন্তনী ভট্টাচার্যের জন্ম হাওড়ার বালিতে। ' অমৃতের কাছে ' এটিই প্রথম উপন্যাসের বই। অবশ্য এর আগে বিভিন্ন শারদসংখ্যায় বেশ কয়েকটি উপন্যাস লিখেছেন। তাঁর প্রথম গল্পের বই ম্যাজিক ছাতা ও আরও ৯' প্রকাশ পেয়েছে এই বইমেলাতেই। কবিতার বইয়ের সংখ্যা চার। উল্লেখযােগ্য কবিতার বই সিগনেট থেকে ২০১৮-তে প্রকাশিত ভাঙা নদী গােটা চাদ। উপন্যাসের জন্য শৈবভারতী পুরস্কার পেয়েছেন ২০১৭ সালে। সম্প্রতি সাহিত্য অকাদেমির আমন্ত্রণে ত্রিপুরার আগরতলায় যুবালেখক সম্মেলনে গল্প পাঠ করেছেন।
বাঙালি হিন্দুর জাত – জগৎ
₹600
বাঙলায় সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে না হলেও বাঙলার শিক্ষিত লােকের ক্ষেত্রে জাত এবং জাতির মধ্যে যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য বিদ্যমান, সে ব্যাপারে সর্বক্ষেত্রে সঠিক ধারণা থাকলেই হতো স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যে হয়নি তার প্রমাণ পাওয়া যায় শুধুমাত্র বাংলার বহু শিক্ষিত লােকের কথাবার্তা আলাপ-আলােচনা বা সভাসমিতির বক্তৃতাতেই নয়, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠিপত্রে এবং দু-একটি পুস্তকেও। তার ফলে যাদের মুশকিল হয়েছে সবচেয়ে বেশি, তারা হলেন আমাদের সাধারণ জনসমষ্টি। এই অবস্থার মধ্যেও অধিকাংশ লােকের যাতে পড়তে না হয়, তার জন্য আমরা সতর্কতা অবলম্বন করতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি।
তাই যখন আমরা জাত লিখেছি, তখন কেউই যাতে জাতি না খোঁজেন তাতে, কিংবা যখন আমরা জাতি লিখেছি তখনও কেউই যেন জাত না বােঝেন তাতে, তারজন্যও আমরা কম সতর্ক ছিলাম না বললে অত্যুক্তি হবে না। কিন্তু অতীতের কোনাে প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির কোনাে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বা সিদ্ধান্ত যখন আমাদের উদ্ধৃত করতে হয়েছে, তখন তিনি তাঁর সময়ের রীতি অনুসারে জাত এবং জাতির মধ্যে কোনাে পার্থক্য না দেখিয়ে যেভাবে জাত এবং জাতি লিখেছিলেন, আমরাও সেভাবেই শব্দ দুটি উদ্ধৃত করেছি। তা সত্ত্বেও কোন্ জাতটি হবে জাত আর কোন্ জাতটি হবে জাতি, এটা বুঝতে যেন কোনাে জটিলতার মােকাবিলা করতে না হয় কাউকেই তার জন্যও সতর্ক ছিলাম আমরা, কারণ উল্লিখিত বক্তব্যটিকে আমরা রেখে দিয়েছি উদ্ধৃতিসূচক চিহ্নের মধ্যে। জাত এবং জগৎ এর উৎপত্তি, এই বাঙালি হিন্দুর, জাত এবং জগৎ নিয়ে ভাবনা লেখক ' বাঙালি হিন্দুর জাত - জগৎ ' গ্রন্থে তুলে ধরেছেন।
বাঙালি হিন্দুর জাত – জগৎ
₹600
বাঙলায় সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে না হলেও বাঙলার শিক্ষিত লােকের ক্ষেত্রে জাত এবং জাতির মধ্যে যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য বিদ্যমান, সে ব্যাপারে সর্বক্ষেত্রে সঠিক ধারণা থাকলেই হতো স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যে হয়নি তার প্রমাণ পাওয়া যায় শুধুমাত্র বাংলার বহু শিক্ষিত লােকের কথাবার্তা আলাপ-আলােচনা বা সভাসমিতির বক্তৃতাতেই নয়, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠিপত্রে এবং দু-একটি পুস্তকেও। তার ফলে যাদের মুশকিল হয়েছে সবচেয়ে বেশি, তারা হলেন আমাদের সাধারণ জনসমষ্টি। এই অবস্থার মধ্যেও অধিকাংশ লােকের যাতে পড়তে না হয়, তার জন্য আমরা সতর্কতা অবলম্বন করতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি।
তাই যখন আমরা জাত লিখেছি, তখন কেউই যাতে জাতি না খোঁজেন তাতে, কিংবা যখন আমরা জাতি লিখেছি তখনও কেউই যেন জাত না বােঝেন তাতে, তারজন্যও আমরা কম সতর্ক ছিলাম না বললে অত্যুক্তি হবে না। কিন্তু অতীতের কোনাে প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির কোনাে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বা সিদ্ধান্ত যখন আমাদের উদ্ধৃত করতে হয়েছে, তখন তিনি তাঁর সময়ের রীতি অনুসারে জাত এবং জাতির মধ্যে কোনাে পার্থক্য না দেখিয়ে যেভাবে জাত এবং জাতি লিখেছিলেন, আমরাও সেভাবেই শব্দ দুটি উদ্ধৃত করেছি। তা সত্ত্বেও কোন্ জাতটি হবে জাত আর কোন্ জাতটি হবে জাতি, এটা বুঝতে যেন কোনাে জটিলতার মােকাবিলা করতে না হয় কাউকেই তার জন্যও সতর্ক ছিলাম আমরা, কারণ উল্লিখিত বক্তব্যটিকে আমরা রেখে দিয়েছি উদ্ধৃতিসূচক চিহ্নের মধ্যে। জাত এবং জগৎ এর উৎপত্তি, এই বাঙালি হিন্দুর, জাত এবং জগৎ নিয়ে ভাবনা লেখক ' বাঙালি হিন্দুর জাত - জগৎ ' গ্রন্থে তুলে ধরেছেন।