“নেতাজির গল্প” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
মৈমনসিংহ – গীতিকা
₹400
রোমা রােলাঁ একদা দীনেশচন্দ্র সেনের 'Eastern Bengal Ballads Mymensingh'-এর (১৯২৩) ফরাসি অনুবাদ পাঠ করে বাংলার এই গীতিকা সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা যায়, দীনেশচন্দ্র প্রথম ব্যক্তিত্ব যিনি নাগরিক সমাজের কাছে মৈমনসিংহ - গীতিকা কিংবা পূর্ববঙ্গ- গীতিকার পরিচয় সুসম্পন্ন করিয়েছিলেন। অবিভক্ত বাংলার লােকজ শিল্পকৃতির উজ্জ্বল ধারক হিসাবে এই গীতিকা বাঙালির অনন্য জীবনাচরণকে নির্দেশ করে—সে-কথা আজ আর কারাে অবিদিত নয়। দীনেশচন্দ্র মৈমনসিংহ - গীতিকার ভূমিকায় গীতিকাগুলি সংগ্রহের একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস উল্লেখ করেছেন।
বাঙালির ধর্ম নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক চেতনার পরিচয় বাংলা সাহিত্যে বিশেষ নেই। ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির প্রসারিত ছায়া মৈমনসিংহ - গীতিকায় কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেলেও তার গভীরতর কোনাে প্রকাশ গীতিকায় বিশেষ ধরা পড়েনি। বরঞ্চ বাঙালির পরিবার, প্রেম-প্রতিহিংসা-প্রতিবাদ- প্রতিরােধ প্রভৃতি বিষয় প্রাগাধুনিক সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় মূল্যবােধের আরাে এক প্রথাবিরােধী চিত্র তুলে ধরে।
মৈমনসিংহ – গীতিকা
₹400
রোমা রােলাঁ একদা দীনেশচন্দ্র সেনের 'Eastern Bengal Ballads Mymensingh'-এর (১৯২৩) ফরাসি অনুবাদ পাঠ করে বাংলার এই গীতিকা সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা যায়, দীনেশচন্দ্র প্রথম ব্যক্তিত্ব যিনি নাগরিক সমাজের কাছে মৈমনসিংহ - গীতিকা কিংবা পূর্ববঙ্গ- গীতিকার পরিচয় সুসম্পন্ন করিয়েছিলেন। অবিভক্ত বাংলার লােকজ শিল্পকৃতির উজ্জ্বল ধারক হিসাবে এই গীতিকা বাঙালির অনন্য জীবনাচরণকে নির্দেশ করে—সে-কথা আজ আর কারাে অবিদিত নয়। দীনেশচন্দ্র মৈমনসিংহ - গীতিকার ভূমিকায় গীতিকাগুলি সংগ্রহের একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস উল্লেখ করেছেন।
বাঙালির ধর্ম নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক চেতনার পরিচয় বাংলা সাহিত্যে বিশেষ নেই। ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির প্রসারিত ছায়া মৈমনসিংহ - গীতিকায় কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেলেও তার গভীরতর কোনাে প্রকাশ গীতিকায় বিশেষ ধরা পড়েনি। বরঞ্চ বাঙালির পরিবার, প্রেম-প্রতিহিংসা-প্রতিবাদ- প্রতিরােধ প্রভৃতি বিষয় প্রাগাধুনিক সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় মূল্যবােধের আরাে এক প্রথাবিরােধী চিত্র তুলে ধরে।
জগদীশ গুপ্তের ছোটগল্প
₹400
পথ যাঁদের তৈরি করে চলতে হয় তাদেরকে সবাই যে খুব সুনজরে দেখেন এমন নয়। ফলত প্রতি পদেই তাঁদের সতর্ক থাকতে হয় বেশি করে। সাহিত্যজগতের ক্ষেত্রে একথা আরও বেশিমাত্রায় প্রযোজ্য ৷ নতুন চিন্তা, নতুন শৈলী, নতুন আঙ্গিক সমালোচকদের তোপের মুখে পড়বেই। সেইসব বাধা অতিক্রম করে যাঁরা কালের ডালায় রেখে যেতে পারেন সৃষ্টি-রত্ন কখনও না কখনও তা আবিষ্কৃত হবেই। জগদীশ গুপ্তের ক্ষেত্রেও এমনটাই দেখা যায়। সমকাল তাঁকে দেগে দিয়েছিল নেতিবাচকতার, অন্ধকারের মানুষ বলে। সাহিত্যের আলোচনায় তাঁকে রেখে দিয়েছিল অপাংক্তেয়, অচ্ছুৎ হিসেবে। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন অমূল্য সম্পদ, পরবর্তীকালের সাহিত্যিকরা খুঁজে পেয়েছেন সাহিত্যসৃজনের রসদ। সেজন্যই আমরা গল্পকার জগদীশ গুপ্তকে একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে দাঁড়িয়ে নিবিড়ভাবে পাঠ করতে চেয়েছি। সেই পাঠের তাগিদ ও অভিজ্ঞতা থেকেই ' জগদীশ গুপ্তের ছোটগল্প ' গ্রন্থের পরিকল্পনা।
জগদীশ গুপ্তের ছোটগল্প
₹400
পথ যাঁদের তৈরি করে চলতে হয় তাদেরকে সবাই যে খুব সুনজরে দেখেন এমন নয়। ফলত প্রতি পদেই তাঁদের সতর্ক থাকতে হয় বেশি করে। সাহিত্যজগতের ক্ষেত্রে একথা আরও বেশিমাত্রায় প্রযোজ্য ৷ নতুন চিন্তা, নতুন শৈলী, নতুন আঙ্গিক সমালোচকদের তোপের মুখে পড়বেই। সেইসব বাধা অতিক্রম করে যাঁরা কালের ডালায় রেখে যেতে পারেন সৃষ্টি-রত্ন কখনও না কখনও তা আবিষ্কৃত হবেই। জগদীশ গুপ্তের ক্ষেত্রেও এমনটাই দেখা যায়। সমকাল তাঁকে দেগে দিয়েছিল নেতিবাচকতার, অন্ধকারের মানুষ বলে। সাহিত্যের আলোচনায় তাঁকে রেখে দিয়েছিল অপাংক্তেয়, অচ্ছুৎ হিসেবে। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন অমূল্য সম্পদ, পরবর্তীকালের সাহিত্যিকরা খুঁজে পেয়েছেন সাহিত্যসৃজনের রসদ। সেজন্যই আমরা গল্পকার জগদীশ গুপ্তকে একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে দাঁড়িয়ে নিবিড়ভাবে পাঠ করতে চেয়েছি। সেই পাঠের তাগিদ ও অভিজ্ঞতা থেকেই ' জগদীশ গুপ্তের ছোটগল্প ' গ্রন্থের পরিকল্পনা।
রাত্রি ও সুন্দর
₹200
বাস্তব বড় রুক্ষ। পরীক্ষার অনন্ত সোপান। পৃথিবীর বুকের উপর সাজানো পাথরের আস্তরণ। সঞ্জল রঞ্জন আচার্য বিশ্বাস করেন পাথরেও জাগে সংগীত। "রাত্রি ও সুন্দর" বইটি তাঁর সৃজনশীলতার এক উদাহরণ।
রাত্রি ও সুন্দর
₹200
বাস্তব বড় রুক্ষ। পরীক্ষার অনন্ত সোপান। পৃথিবীর বুকের উপর সাজানো পাথরের আস্তরণ। সঞ্জল রঞ্জন আচার্য বিশ্বাস করেন পাথরেও জাগে সংগীত। "রাত্রি ও সুন্দর" বইটি তাঁর সৃজনশীলতার এক উদাহরণ।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
বাঁকুড়ার কবি সমাজ
₹500
রাঢ়বঙ্গের বাঁকুড়া জেলা যেন ঐতিহ্যের অক্ষয়তূণীর। তার আলো - হাওয়া - রোদে যেন বাঙময় হয়ে ওঠে পরম্পরা। ছটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত এই বইতে বাঁকুড়ার সৃজনী কৃতির সানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ উপস্থাপিত হয়েছে। বাংলার প্রাচীনতম সাহিত্যকর্ম চর্যাপদের কয়েকজন কবি বাঁকুড়ার বাসিন্দা ছিলেন গ্রন্থকার প্রমান করেছেন। তার মানে সহজিয়া বৌদ্ধধর্ম বাঁকুড়া ও সংলগ্ন অঞ্চলে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত ছিল।
প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ইতিহাস পুনর্গঠনে এই বইটি তাই অমূল্য উপাত্ত যোগান দিতে সামর্থ।
বাঁকুড়ার কবি সমাজ
₹500
রাঢ়বঙ্গের বাঁকুড়া জেলা যেন ঐতিহ্যের অক্ষয়তূণীর। তার আলো - হাওয়া - রোদে যেন বাঙময় হয়ে ওঠে পরম্পরা। ছটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত এই বইতে বাঁকুড়ার সৃজনী কৃতির সানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ উপস্থাপিত হয়েছে। বাংলার প্রাচীনতম সাহিত্যকর্ম চর্যাপদের কয়েকজন কবি বাঁকুড়ার বাসিন্দা ছিলেন গ্রন্থকার প্রমান করেছেন। তার মানে সহজিয়া বৌদ্ধধর্ম বাঁকুড়া ও সংলগ্ন অঞ্চলে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত ছিল।
প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ইতিহাস পুনর্গঠনে এই বইটি তাই অমূল্য উপাত্ত যোগান দিতে সামর্থ।
উইনি ম্যান্ডেলার “পার্ট অব মাই সোল”
By অশোক রাহা
₹200
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর অনবদ্য গ্রন্থের নাম দিয়েছিলেন 'সংগ্রামই আমার জীবন। তার দীর্ঘ জীবন সংগ্রাম আর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অবিচল থাকার এক অনন্য দলিল। আর এই অনন্য সংগ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলার ছিল অসামান্য অবদান। নেলসন যখন রোবেন দ্বীপপুঞ্জে বন্দি, হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত, তখন শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবিতে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই-এ নেতৃত্ব করেছেন উইনি। বস্তুত উইনির অবিরাম প্রচেষ্টাতেই নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আবেগ সৃষ্টি করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বর্ণবৈষম্যবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের বিরুদ্ধে মুখরিত করেছিল। উইনির সেই মহান প্রচেষ্টার অনেক ছবি, বিধৃত আছে " পার্ট অব মাই সোল " গ্রন্থে।
উইনি ম্যান্ডেলা, অ্যানি বেনজামিনকে তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারের টেপ-রেকর্ডিং করতে সুযোগ দিয়েছিলেন, এবং তা বেশ দীর্ঘকাল যাবৎ। উপরন্তু, তাঁকে আস্থাভাজন বিবেচনায় তিনি কারান্তরাল থেকে লেখা তাঁর স্বামীর চিঠিপত্র এবং অপরাপর দলিলগুলি দিয়েছিলেন বাছাই করে সম্পাদনা ও প্রকাশনার জন্যে। বর্তমান গ্রন্থখানি তারই ফসল।
'পার্ট অব মাই সোল' তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, কিন্তু নিজের জীবনের কথা থাকা সত্ত্বেও মামুলি আত্মকথা নয়। উইনির জীবনবোধ ভিন্নতর—' এই বিশাল মুক্তির যন্ত্রে আমি অতি নগণ্য। এই আদর্শের সংগ্রামে আমাদের কালো মানুষেরা মরছে প্রতিদিন। ...আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী ঘটছে বা না ঘটছে তা সম্পূর্ণ অবান্তর '—এই কথা কটির মধ্যেই রয়েছে তাঁর আত্মকথার মূল সুরের দ্যোতনা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই উইনিও নেই, নেই সেই নেলসন - উইনির অবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম, তবু কেন এ গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ। ইতিহাসের উপাদান কখনো গুরুত্ব হারায় না। নেলসন - উইনির বিচ্ছেদ যেমন সত্য, তেমন সত্য তাঁদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম। উইনির জীবনকথা কোনো স্বামীসঙ্গহীন নারীর জীবনকথা নয়, এটা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্নবিদ্দেষবাদবিরোধী সংগ্রামের এক অনন্য দলিলও।
জাত - পাত - ধর্ম - বর্ণের ভেদাভেদে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত ভারতবর্ষের মানুষও লড়াই-সংগ্রামের মধ্যবর্তীতায় উন্নততর মানবজীবন অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রগতি ও প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্ব আমাদের কখনো এক কদম এগিয়ে দিচ্ছে, আবার কখনো দু-কদম পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ ইতিহাসের নিয়মে মানবসমাজকে সামনের দিকে এগোতেই হবে। এই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই যাঁরা করছেন, তাঁদের কাছে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কখনোও কমবে না।
উইনি ম্যান্ডেলার “পার্ট অব মাই সোল”
By অশোক রাহা
₹200
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর অনবদ্য গ্রন্থের নাম দিয়েছিলেন 'সংগ্রামই আমার জীবন। তার দীর্ঘ জীবন সংগ্রাম আর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অবিচল থাকার এক অনন্য দলিল। আর এই অনন্য সংগ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলার ছিল অসামান্য অবদান। নেলসন যখন রোবেন দ্বীপপুঞ্জে বন্দি, হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত, তখন শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবিতে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই-এ নেতৃত্ব করেছেন উইনি। বস্তুত উইনির অবিরাম প্রচেষ্টাতেই নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আবেগ সৃষ্টি করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বর্ণবৈষম্যবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের বিরুদ্ধে মুখরিত করেছিল। উইনির সেই মহান প্রচেষ্টার অনেক ছবি, বিধৃত আছে " পার্ট অব মাই সোল " গ্রন্থে।
উইনি ম্যান্ডেলা, অ্যানি বেনজামিনকে তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারের টেপ-রেকর্ডিং করতে সুযোগ দিয়েছিলেন, এবং তা বেশ দীর্ঘকাল যাবৎ। উপরন্তু, তাঁকে আস্থাভাজন বিবেচনায় তিনি কারান্তরাল থেকে লেখা তাঁর স্বামীর চিঠিপত্র এবং অপরাপর দলিলগুলি দিয়েছিলেন বাছাই করে সম্পাদনা ও প্রকাশনার জন্যে। বর্তমান গ্রন্থখানি তারই ফসল।
'পার্ট অব মাই সোল' তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, কিন্তু নিজের জীবনের কথা থাকা সত্ত্বেও মামুলি আত্মকথা নয়। উইনির জীবনবোধ ভিন্নতর—' এই বিশাল মুক্তির যন্ত্রে আমি অতি নগণ্য। এই আদর্শের সংগ্রামে আমাদের কালো মানুষেরা মরছে প্রতিদিন। ...আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী ঘটছে বা না ঘটছে তা সম্পূর্ণ অবান্তর '—এই কথা কটির মধ্যেই রয়েছে তাঁর আত্মকথার মূল সুরের দ্যোতনা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই উইনিও নেই, নেই সেই নেলসন - উইনির অবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম, তবু কেন এ গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ। ইতিহাসের উপাদান কখনো গুরুত্ব হারায় না। নেলসন - উইনির বিচ্ছেদ যেমন সত্য, তেমন সত্য তাঁদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম। উইনির জীবনকথা কোনো স্বামীসঙ্গহীন নারীর জীবনকথা নয়, এটা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্নবিদ্দেষবাদবিরোধী সংগ্রামের এক অনন্য দলিলও।
জাত - পাত - ধর্ম - বর্ণের ভেদাভেদে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত ভারতবর্ষের মানুষও লড়াই-সংগ্রামের মধ্যবর্তীতায় উন্নততর মানবজীবন অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রগতি ও প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্ব আমাদের কখনো এক কদম এগিয়ে দিচ্ছে, আবার কখনো দু-কদম পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ ইতিহাসের নিয়মে মানবসমাজকে সামনের দিকে এগোতেই হবে। এই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই যাঁরা করছেন, তাঁদের কাছে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কখনোও কমবে না।