“প্রতিবেশী রাজ্যের গল্প ওড়িশা ও আসাম” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
যুক্তির বিনাশ বিকল্পর চর্চা ও সংগ্রাম
₹300
দেশজুড়ে গভীর অন্ধকার গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে। যুক্তিবিনাশী অন্ধশক্তি যুক্তিবোধ ও আধুনিকতার গলা টিপে ধরছে। কেন এই গভীর অন্ধকার ? রাজনীতি-অর্থনীতি-শিল্প-সংস্কৃতি থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি আঙিনায় এখন যুক্তিবিনাশী শক্তির প্রলম্বিত ছায়া। যুক্তির বিনাশ কেন, কোন্ স্বার্থে এবং কীভাবে অন্ধকার কেটে আলোকময় পথে এগিয়ে যেতে স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, তা এই গ্রন্থে উপস্থাপন করা হয়েছে। যুক্তি বিনাশের তত্ত্বচর্চার পাশাপাশি আছে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তত্ত্বের আতস কাচের তলায় ফেলে বিশ্লেষণ প্রচেষ্টা এবং স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োগ কৌশল চিহ্নিত করা। জটিল রাজনৈতিক দর্শনের এক সহজভাষ্য - যুক্তির বিনাশ বিকল্পর চর্চা ও সংগ্রাম। শুধু পণ্ডিতের জন্য নয়, সকল পাঠকের জন্যই।
যুক্তির বিনাশ বিকল্পর চর্চা ও সংগ্রাম
₹300
দেশজুড়ে গভীর অন্ধকার গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে। যুক্তিবিনাশী অন্ধশক্তি যুক্তিবোধ ও আধুনিকতার গলা টিপে ধরছে। কেন এই গভীর অন্ধকার ? রাজনীতি-অর্থনীতি-শিল্প-সংস্কৃতি থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি আঙিনায় এখন যুক্তিবিনাশী শক্তির প্রলম্বিত ছায়া। যুক্তির বিনাশ কেন, কোন্ স্বার্থে এবং কীভাবে অন্ধকার কেটে আলোকময় পথে এগিয়ে যেতে স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, তা এই গ্রন্থে উপস্থাপন করা হয়েছে। যুক্তি বিনাশের তত্ত্বচর্চার পাশাপাশি আছে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তত্ত্বের আতস কাচের তলায় ফেলে বিশ্লেষণ প্রচেষ্টা এবং স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োগ কৌশল চিহ্নিত করা। জটিল রাজনৈতিক দর্শনের এক সহজভাষ্য - যুক্তির বিনাশ বিকল্পর চর্চা ও সংগ্রাম। শুধু পণ্ডিতের জন্য নয়, সকল পাঠকের জন্যই।
আমলাকথা
₹250
সাম্প্রতিক সাহিত্য-মহলে নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যয় এক পরিচিত নাম । তিনি কবি, কথক ও প্রাবন্ধিক। ১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস (একজিকিউটিভ)- এ পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে প্রমােশন পান আই.এ.এস-এ। পশ্চিমবাংলার বহু জেলায় চাকরির অভিজ্ঞতা তার। দেখেছেন অনেক জনপদ। অনেক মানুষ। প্রায় সাইত্রিশ বছরের চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন-আমলাকথা (প্রথম খণ্ড)। পাঠকের মনে হবে তিনি মজার এক উপন্যাসই পড়ছেন। আমলাকথা’র (দ্বিতীয় খণ্ড)-ও প্রকাশ পাবে যথাসময়ে।
আমলাকথা
₹250
সাম্প্রতিক সাহিত্য-মহলে নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যয় এক পরিচিত নাম । তিনি কবি, কথক ও প্রাবন্ধিক। ১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস (একজিকিউটিভ)- এ পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে প্রমােশন পান আই.এ.এস-এ। পশ্চিমবাংলার বহু জেলায় চাকরির অভিজ্ঞতা তার। দেখেছেন অনেক জনপদ। অনেক মানুষ। প্রায় সাইত্রিশ বছরের চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন-আমলাকথা (প্রথম খণ্ড)। পাঠকের মনে হবে তিনি মজার এক উপন্যাসই পড়ছেন। আমলাকথা’র (দ্বিতীয় খণ্ড)-ও প্রকাশ পাবে যথাসময়ে।
নির্বাচিত কবিতা
By সুমন গুন
₹200
সুমন গুন - সমসাময়িক বাংলা ভাষার অগ্রণী কবি ও প্রাবন্ধিক। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত। ২০১৯ অবধি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলি থেকে নির্বাচিত কবিতাগুলি " নির্বাচিত কবিতা " গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।
নির্বাচিত কবিতা
By সুমন গুন
₹200
সুমন গুন - সমসাময়িক বাংলা ভাষার অগ্রণী কবি ও প্রাবন্ধিক। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত। ২০১৯ অবধি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলি থেকে নির্বাচিত কবিতাগুলি " নির্বাচিত কবিতা " গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।
হৃদয়ভূমি
By সমীর রক্ষিত
₹300
লোকগায়ক শিবসুন্দরের গানে উপন্যাসের শুরু এবং শেষ। সে গান ভাবাবেগের প্রেম-গীতি নয়, ঈশ্বরমুখী ভক্তিগীতিও নয়। সেই গানের উৎসে আর বিস্তারে স্পন্দিত হয় ভারতভূমির হৃদয়। উপন্যাসের নাম 'হৃদয়ভূমি'।
এই স্বাদেশিকতাবোধের জাগরণ ঘটতে শুরু করেছিল উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। সেই ধারাই দুটি স্রোতে ক্রমশ গিয়ে মিলেছিল স্বাধীনতায়। একদিকে ব্রিটিশ শাসনের শেকল-ছেঁড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অন্যদিকে দীর্ঘকালব্যাপী রক্ষণশীল সামাজিক অনুশাসনের চাপ ছিন্ন করে ব্যক্তির আত্মমর্যাদা অর্জন করবার স্বাধীনতা। একদিকে বিদেশি শাসকের অধীনতা থেকে মুক্তি; অন্যদিকে সামস্ততন্ত্রের ও জমিদারের বিপরীতে প্রজা, পুরুষতন্ত্রের অনুশাসন অগ্রাহ্য করে নারীর পদক্ষেপ, ‘ধর্মীয়’ নিষেধের বিরুদ্ধে মানব সাম্যবোধের যুক্তির যাত্রা শুরু। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাস এই প্রশ্নতি-যাত্রার চলচ্চিত্র। স্থান অবিভক্ত বঙ্গের পূর্বাঞ্চল। কাল ঊনিশ ও বিশ শতকের সন্ধিক্ষণ।
উপন্যাস ইতিহাস নয়। ইতিহাসের চেনা চরিত্রেরা অবশ্য মাঝে মাঝেই দেখা দিয়েছেন। যেমন—ইশা খাঁ, বেমগ রোকেয়া ও তাঁর স্বামী। কিন্তু কেন্দ্রীয় আখ্যানে আছে এক জমিদার বংশের দুই প্রজন্মের দ্বন্দ্ব। কৌলিক উপাধি রায় রায়ান। পিতা শ্রীনাথ ত্যাজ্য পুত্র করেছেন মেজ ছেলে রামনাথকে। যুগের আধুনিকতার চালচলন মানতে পারেন না তিনি।
নব জাগরণের আলোেক স্পর্শে পুত্র রামনাথের মনের কোনো কোনো জানালা খুলেছে। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে দরজা খুলে দিতে যে তিনি পারেননি, তা নিজেও সবটা জানেন না। স্ত্রী কনকলতা জাগ্রত-মনন এবং মানবদরদি হৃদয়ের অধিকারী। বিপন্ন মেয়েদের জন্য রায়ভিলার একতলায় চিকিৎসালয় খুললেন কনকলতা। চিকিৎসা হবে নির্যাতনের শিকার, যৌন রোগাক্রান্ত, গণিকা অপবাদে ক্লিষ্ট মেয়েদের। রামনাথের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ব্রহ্মসংগীতের সুরে দ্বারোদ্ঘাটন হল সেবা নিকেতনের—‘অন্তর মম বিকশিত কর'। রামনাথের কণ্ঠেও তখন নতুন জীবনে যোগ দেওয়ার আকুলতা। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাসে এই আশ্বাসের বাণী।
হৃদয়ভূমি
By সমীর রক্ষিত
₹300
লোকগায়ক শিবসুন্দরের গানে উপন্যাসের শুরু এবং শেষ। সে গান ভাবাবেগের প্রেম-গীতি নয়, ঈশ্বরমুখী ভক্তিগীতিও নয়। সেই গানের উৎসে আর বিস্তারে স্পন্দিত হয় ভারতভূমির হৃদয়। উপন্যাসের নাম 'হৃদয়ভূমি'।
এই স্বাদেশিকতাবোধের জাগরণ ঘটতে শুরু করেছিল উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। সেই ধারাই দুটি স্রোতে ক্রমশ গিয়ে মিলেছিল স্বাধীনতায়। একদিকে ব্রিটিশ শাসনের শেকল-ছেঁড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অন্যদিকে দীর্ঘকালব্যাপী রক্ষণশীল সামাজিক অনুশাসনের চাপ ছিন্ন করে ব্যক্তির আত্মমর্যাদা অর্জন করবার স্বাধীনতা। একদিকে বিদেশি শাসকের অধীনতা থেকে মুক্তি; অন্যদিকে সামস্ততন্ত্রের ও জমিদারের বিপরীতে প্রজা, পুরুষতন্ত্রের অনুশাসন অগ্রাহ্য করে নারীর পদক্ষেপ, ‘ধর্মীয়’ নিষেধের বিরুদ্ধে মানব সাম্যবোধের যুক্তির যাত্রা শুরু। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাস এই প্রশ্নতি-যাত্রার চলচ্চিত্র। স্থান অবিভক্ত বঙ্গের পূর্বাঞ্চল। কাল ঊনিশ ও বিশ শতকের সন্ধিক্ষণ।
উপন্যাস ইতিহাস নয়। ইতিহাসের চেনা চরিত্রেরা অবশ্য মাঝে মাঝেই দেখা দিয়েছেন। যেমন—ইশা খাঁ, বেমগ রোকেয়া ও তাঁর স্বামী। কিন্তু কেন্দ্রীয় আখ্যানে আছে এক জমিদার বংশের দুই প্রজন্মের দ্বন্দ্ব। কৌলিক উপাধি রায় রায়ান। পিতা শ্রীনাথ ত্যাজ্য পুত্র করেছেন মেজ ছেলে রামনাথকে। যুগের আধুনিকতার চালচলন মানতে পারেন না তিনি।
নব জাগরণের আলোেক স্পর্শে পুত্র রামনাথের মনের কোনো কোনো জানালা খুলেছে। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে দরজা খুলে দিতে যে তিনি পারেননি, তা নিজেও সবটা জানেন না। স্ত্রী কনকলতা জাগ্রত-মনন এবং মানবদরদি হৃদয়ের অধিকারী। বিপন্ন মেয়েদের জন্য রায়ভিলার একতলায় চিকিৎসালয় খুললেন কনকলতা। চিকিৎসা হবে নির্যাতনের শিকার, যৌন রোগাক্রান্ত, গণিকা অপবাদে ক্লিষ্ট মেয়েদের। রামনাথের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ব্রহ্মসংগীতের সুরে দ্বারোদ্ঘাটন হল সেবা নিকেতনের—‘অন্তর মম বিকশিত কর'। রামনাথের কণ্ঠেও তখন নতুন জীবনে যোগ দেওয়ার আকুলতা। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাসে এই আশ্বাসের বাণী।