“হারানো বইয়ের খোঁজে” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
অভিধান – মার্কসীয় প্রেক্ষিত
₹500
অভিধান নিয়ে আলাদাভাবে বলার কিছু থাকে না। অভিধানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলেই অবহিত। মার্কসবাদ এক চলমান সমাজবিজ্ঞান, বিশ্ববীক্ষা। সোভিয়েতের বিদায়ের অব্যবহিত পর থেকে মার্কসবাদকে অচল বলার চেষ্টা হয়েছে প্রচুর। কিন্তু অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে-- আজকের পৃথিবীতেও মার্কসবাদের প্রাসঙ্গিকতা ক্রমবর্ধমান। তরুণ প্রজন্ম নতুন করে মার্কসবাদী বিশ্লেষণের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন পুঁজিবাদের সংকট ও আপামর মানুষের জীবনজীবিকার মৌলিক সমস্যাগুলি গভীর থেকে গভীরতর হওয়ার বাস্তবতায়। ' অভিধান - মার্কসীয় প্রেক্ষিত ' বইতে মার্কসবাদের মৌলিক বিষয়গুলি তথা মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম, সংস্কৃতি, নয়া-উদারবাদ ইত্যাদি বহুতর বিষয়ের ওপর আভিধানিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে যে বিস্তৃত আলোচনার প্রয়াস করা হয়েছে তা বাংলা ভাষায় আর নেই। এখানে আছে পৃথিবীর বিখ্যাত বিপ্লবী ও মার্কসবাদী চিন্তানায়কদের জীবনের পরিলেখ। বেশ কিছু সাম্প্রতিক বিষয়কেও মার্কসীয় সংবীক্ষণে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিশেষত আমাদের দেশে মার্কসীয় আলোকে অর্থনীতি-সমাজতত্ত্বের অন্যতম বিশ্লেষক, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অধ্যাপক ড. অসীম দাশগুপ্তর মুখবন্ধ বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
অভিধান – মার্কসীয় প্রেক্ষিত
₹500
অভিধান নিয়ে আলাদাভাবে বলার কিছু থাকে না। অভিধানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলেই অবহিত। মার্কসবাদ এক চলমান সমাজবিজ্ঞান, বিশ্ববীক্ষা। সোভিয়েতের বিদায়ের অব্যবহিত পর থেকে মার্কসবাদকে অচল বলার চেষ্টা হয়েছে প্রচুর। কিন্তু অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে-- আজকের পৃথিবীতেও মার্কসবাদের প্রাসঙ্গিকতা ক্রমবর্ধমান। তরুণ প্রজন্ম নতুন করে মার্কসবাদী বিশ্লেষণের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন পুঁজিবাদের সংকট ও আপামর মানুষের জীবনজীবিকার মৌলিক সমস্যাগুলি গভীর থেকে গভীরতর হওয়ার বাস্তবতায়। ' অভিধান - মার্কসীয় প্রেক্ষিত ' বইতে মার্কসবাদের মৌলিক বিষয়গুলি তথা মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম, সংস্কৃতি, নয়া-উদারবাদ ইত্যাদি বহুতর বিষয়ের ওপর আভিধানিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে যে বিস্তৃত আলোচনার প্রয়াস করা হয়েছে তা বাংলা ভাষায় আর নেই। এখানে আছে পৃথিবীর বিখ্যাত বিপ্লবী ও মার্কসবাদী চিন্তানায়কদের জীবনের পরিলেখ। বেশ কিছু সাম্প্রতিক বিষয়কেও মার্কসীয় সংবীক্ষণে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিশেষত আমাদের দেশে মার্কসীয় আলোকে অর্থনীতি-সমাজতত্ত্বের অন্যতম বিশ্লেষক, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অধ্যাপক ড. অসীম দাশগুপ্তর মুখবন্ধ বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
বিষ অমৃত কুম্ভে
₹125
কুম্ভকে সামনে রেখে ত্যাগের মােড়কে কিছু মানুষের চূড়ান্ত বেগ আর অধিকাংশ মানুষের চরম কৃচ্ছসাধন, সাথে এক নিচ্ছিদ্র অন্ধ বিশ্বাস -তারই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় জারিত ' বিষ অমৃত কুম্ভে ' ভ্রমণােপন্যাস। অন্য স্বাদের ছােটগল্পগুলােও গতানুগতিক চেনা জগতের বাইরে অজানা পৃথিবীর পটভূমিকায় লেখা। পড়তে পড়তে চরিত্রগুলাের মাঝে একাত্ম হয়ে হারিয়ে যাওয়া যাবে কখনাে হিমালয়ের গহনে, কখনাে নিঃসঙ্গ অরণ্যে, আবার কখনাে মাটি -ছোয়া-মানুষের একাত্ত পৃথিবীতে।
বিষ অমৃত কুম্ভে
₹125
কুম্ভকে সামনে রেখে ত্যাগের মােড়কে কিছু মানুষের চূড়ান্ত বেগ আর অধিকাংশ মানুষের চরম কৃচ্ছসাধন, সাথে এক নিচ্ছিদ্র অন্ধ বিশ্বাস -তারই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় জারিত ' বিষ অমৃত কুম্ভে ' ভ্রমণােপন্যাস। অন্য স্বাদের ছােটগল্পগুলােও গতানুগতিক চেনা জগতের বাইরে অজানা পৃথিবীর পটভূমিকায় লেখা। পড়তে পড়তে চরিত্রগুলাের মাঝে একাত্ম হয়ে হারিয়ে যাওয়া যাবে কখনাে হিমালয়ের গহনে, কখনাে নিঃসঙ্গ অরণ্যে, আবার কখনাে মাটি -ছোয়া-মানুষের একাত্ত পৃথিবীতে।
স-আদত হাসান মান্টোর নির্বাচিত গল্প
₹200
স-আদত হাসান মান্টো (১৯১২-৫৫) আধুনিক উর্দুসাহিত্যের অন্যতম এবং বিতর্কিত লেখক। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন, তাঁর রচনা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। মৃত্যুর পরেও তার অবসান হয়নি। সাহিত্যের প্রথম এবং শেষ কথা যদি হয় সত্য, তবে সেই সত্যের স্বতঃফূর্ত প্রকাশ এবং প্রসারের জন্যই তিনি তার সাহিত্যিক জীবনে এবং সমাজে কখনও প্রশংসা পাননি। অথচ তিনিই এখন উর্দু সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখক।
তবুও অকুষ্টিত চিত্তে মানুষের ধর্মীয় আচরণের মধ্যে, তার জীবনচারণের পদ্ধতিতে যখনই দেখেছেন অন্ধ ধর্মান্ধতার প্রাবল্য বা অসংগতি, তখনই পরিপূর্ণ নিলেষ মন নিয়ে করেছেন তার বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। সমাজও তার ধার ধারেনি। তিনি যশ প্রার্থনার অভিলাষী হয়ে কখনও নতি স্বীকার করেননি। বরং খেলা মনের অসাধারণ সাহস নিয়ে, আজীবন একক যুদ্ধ করে গেছেন। সেই যুদ্ধ যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অপরাজেয় মনােবল বাড়িয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
স-আদত হাসান মান্টোর নির্বাচিত গল্প
₹200
স-আদত হাসান মান্টো (১৯১২-৫৫) আধুনিক উর্দুসাহিত্যের অন্যতম এবং বিতর্কিত লেখক। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন, তাঁর রচনা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। মৃত্যুর পরেও তার অবসান হয়নি। সাহিত্যের প্রথম এবং শেষ কথা যদি হয় সত্য, তবে সেই সত্যের স্বতঃফূর্ত প্রকাশ এবং প্রসারের জন্যই তিনি তার সাহিত্যিক জীবনে এবং সমাজে কখনও প্রশংসা পাননি। অথচ তিনিই এখন উর্দু সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখক।
তবুও অকুষ্টিত চিত্তে মানুষের ধর্মীয় আচরণের মধ্যে, তার জীবনচারণের পদ্ধতিতে যখনই দেখেছেন অন্ধ ধর্মান্ধতার প্রাবল্য বা অসংগতি, তখনই পরিপূর্ণ নিলেষ মন নিয়ে করেছেন তার বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। সমাজও তার ধার ধারেনি। তিনি যশ প্রার্থনার অভিলাষী হয়ে কখনও নতি স্বীকার করেননি। বরং খেলা মনের অসাধারণ সাহস নিয়ে, আজীবন একক যুদ্ধ করে গেছেন। সেই যুদ্ধ যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অপরাজেয় মনােবল বাড়িয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
সৃজন গোয়েন্দার ছয় রহস্য
₹300
যে ছয়টি রহস্য - উপন্যাস এই গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেগুলি লেখকের বিগত শতকের শেষদিকের রচনা। 'দুর্গপাহাড়ে বন্দী' ও 'চিক্কুস গোয়েন্দা' উপন্যাস দুটি শুকতারা পত্রিকায়, 'নীল সাগরের আতঙ্ক' উপন্যাসটি কিশোর জ্ঞান-বিজ্ঞান পত্রিকায়, 'শিলং পাহাড়ে টিলঙ' উপন্যাসটি কিশোর মন পত্রিকায়, 'গুপ্তধন নিরুদ্দেশ' কিশোর ভারতী পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
ফেলুদা, কিরীটি রায় বা ব্যোমকেশ বক্সীর পর এক নতুন নায়ক সৃজন গোয়েন্দার কীর্তিকাহিনির সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাবে। প্রত্যেকটি উপন্যাসে লেখকের বুদ্ধিদীপ্ত কল্পনাশক্তির পরিচয় পাওয়া যায়।
গ্রন্থটি সকল পাঠককে, বিশেষত কিশোর-মনকে আকৃষ্ট শুধু নয়, আবিষ্ট করতে সক্ষম হবে।
সৃজন গোয়েন্দার ছয় রহস্য
₹300
যে ছয়টি রহস্য - উপন্যাস এই গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেগুলি লেখকের বিগত শতকের শেষদিকের রচনা। 'দুর্গপাহাড়ে বন্দী' ও 'চিক্কুস গোয়েন্দা' উপন্যাস দুটি শুকতারা পত্রিকায়, 'নীল সাগরের আতঙ্ক' উপন্যাসটি কিশোর জ্ঞান-বিজ্ঞান পত্রিকায়, 'শিলং পাহাড়ে টিলঙ' উপন্যাসটি কিশোর মন পত্রিকায়, 'গুপ্তধন নিরুদ্দেশ' কিশোর ভারতী পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
ফেলুদা, কিরীটি রায় বা ব্যোমকেশ বক্সীর পর এক নতুন নায়ক সৃজন গোয়েন্দার কীর্তিকাহিনির সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাবে। প্রত্যেকটি উপন্যাসে লেখকের বুদ্ধিদীপ্ত কল্পনাশক্তির পরিচয় পাওয়া যায়।
গ্রন্থটি সকল পাঠককে, বিশেষত কিশোর-মনকে আকৃষ্ট শুধু নয়, আবিষ্ট করতে সক্ষম হবে।
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।