“ঠাকুরবাড়ির হেমেন্দ্রনাথ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
পঁচিশটি গল্প
Publisher: একুশ শতক
₹500
” পঁচিশটি গল্প – তিলোত্তমা মজুমদার ” এই গ্রন্থের গল্পগুলি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেলেও এই প্রথম গ্রন্থবদ্ধ হলো। বিভিন্ন আকার ও প্রকারের গল্পগুলি লেখকের অন্য কোনও সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পঁচিশটি গল্পের স্বাদ পরস্পরের থেকে পৃথক। লেখক নানা সময়ে, বিচিত্র প্রেক্ষিতে এগুলি রচনা করেছেন।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-pgtm01
” পঁচিশটি গল্প – তিলোত্তমা মজুমদার ” এই গ্রন্থের গল্পগুলি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেলেও এই প্রথম গ্রন্থবদ্ধ হলো। বিভিন্ন আকার ও প্রকারের গল্পগুলি লেখকের অন্য কোনও সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পঁচিশটি গল্পের স্বাদ পরস্পরের থেকে পৃথক। লেখক নানা সময়ে, বিচিত্র প্রেক্ষিতে এগুলি রচনা করেছেন।
Additional information
Weight | 0.6 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
স্বপ্ন শিখর থেলু
₹80
অনেক দিন আগের কথা—১৯৮৮ সালে একদল স্কুলছাত্রের সঙ্গে আমার পশ্চিম গাড়ােয়াল হিমালয়ের কোটেশ্বর ও থেলু পর্বত অভিযানে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। অভিযানটির উদ্যোক্তা ছিলেন দমদম কিশাের ভারতী উচ্চ বিদ্যালয়। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে ক্ষুদে অভিযাত্রীরা সেবারে থেলু শৃঙ্গ আরােহণ করতে সমর্থ হয়। ছােটদের সেই অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী ফিরে এসে সে-বছরই ' স্বপ্নশিখর থেলু ’—এই শিরােনামায় লিখেওছিলাম প্রতিক্ষণ-এর শারদ সংখ্যাতে। সুদীর্ঘ উনিশ বছর বাদে 'স্বপ্নশিখর থেলু ' র অবশেষে গ্রন্থাকারে আত্মপ্রকাশ।
স্বপ্ন শিখর থেলু
₹80
অনেক দিন আগের কথা—১৯৮৮ সালে একদল স্কুলছাত্রের সঙ্গে আমার পশ্চিম গাড়ােয়াল হিমালয়ের কোটেশ্বর ও থেলু পর্বত অভিযানে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। অভিযানটির উদ্যোক্তা ছিলেন দমদম কিশাের ভারতী উচ্চ বিদ্যালয়। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে ক্ষুদে অভিযাত্রীরা সেবারে থেলু শৃঙ্গ আরােহণ করতে সমর্থ হয়। ছােটদের সেই অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী ফিরে এসে সে-বছরই ' স্বপ্নশিখর থেলু ’—এই শিরােনামায় লিখেওছিলাম প্রতিক্ষণ-এর শারদ সংখ্যাতে। সুদীর্ঘ উনিশ বছর বাদে 'স্বপ্নশিখর থেলু ' র অবশেষে গ্রন্থাকারে আত্মপ্রকাশ।
কিংবদন্তি বনফুল
₹150
বাংলা সাহিত্যে বনফুলের আবির্ভাব এক উজ্জ্বল পথচিহ্ন বা মাইলস্টোন হিসেবে স্বীকৃত। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, যদিও সাহিত্যে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ রবীন্দ্রপ্রভাবমুক্ত, এক স্বতন্ত্র শক্তিমান বলিষ্ঠ ধারার ধারক, স্রষ্টা তথা প্রবর্তক। বৈচিত্র্যহীনতার প্রতি ছিল তার স্বাভাবিক বিতৃষ্ণা। তাঁর এই বিশিষ্ট শিল্পভাবনা তথা মানসিকতা বাংলা সাহিত্যকে বহুতর বৈচিত্র্যমণ্ডিত বিপুল অবদানে সমৃদ্ধ করেছে। ' কিংবদন্তি বনফুল ' গ্রন্থটিতে শিল্পভাবনা তথা মানসিকতা বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান ফুটে উঠেছে।
কিংবদন্তি বনফুল
₹150
বাংলা সাহিত্যে বনফুলের আবির্ভাব এক উজ্জ্বল পথচিহ্ন বা মাইলস্টোন হিসেবে স্বীকৃত। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, যদিও সাহিত্যে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ রবীন্দ্রপ্রভাবমুক্ত, এক স্বতন্ত্র শক্তিমান বলিষ্ঠ ধারার ধারক, স্রষ্টা তথা প্রবর্তক। বৈচিত্র্যহীনতার প্রতি ছিল তার স্বাভাবিক বিতৃষ্ণা। তাঁর এই বিশিষ্ট শিল্পভাবনা তথা মানসিকতা বাংলা সাহিত্যকে বহুতর বৈচিত্র্যমণ্ডিত বিপুল অবদানে সমৃদ্ধ করেছে। ' কিংবদন্তি বনফুল ' গ্রন্থটিতে শিল্পভাবনা তথা মানসিকতা বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান ফুটে উঠেছে।
ভারতে বহুত্ববাদ
By প্রবীর সরকার
₹200
ভারতে ধর্মান্ধতা, বিভিন্ন ধর্মের নামে এক সম্প্রদায় আর এক সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ, সংঘর্ষ যা অবশ্যই হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠছে তা খুবই চিন্তার কারণ। বর্তমানে রাষ্ট্রের দ্বারা ধর্মকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। ফলে শ্রেণিসংগ্রামে যথাযথ বিকাশ ঘটছে না। অস্পৃশ্যতা, ধর্মান্ধতা, জাত-পাত ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িকতা অবসানের জন্য স্বাধীনতার পরে দেশের আধা সামস্ততান্ত্রিক ভূমি ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফল যা হবার তাই হয়েছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে রুদ্ধ করে দিয়ে অবৈজ্ঞানিক এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তাভাবনা ভারতের সমাজ ও রাজনৈতিক জীবনে ক্রমবর্ধমান প্রভাব ফেলছে। সময় থাকতেই একে রুখে দেওয়া দরকার। এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখেই " ভারতে বহুত্ববাদ " গ্রন্থটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে ভারতে রামমোহন বিদ্যাসাগর বঙ্কিমচন্দ্র বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ-মহাত্মা গান্ধী, আম্বেদকর প্রভৃতি মনীষিরা সারাজীবন আন্দোলন করে গিয়েছেন, অনেকাংশে সফলও হয়েছেন। বর্তমানে সেই অন্ধকার দিনগুলিকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করার জন্যই এই গ্রন্থ। গণ আন্দোলনের পুরোধা নেতৃত্ব ডঃ সুজন চক্রবর্তী মুখবন্ধ বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
ভারতে বহুত্ববাদ
By প্রবীর সরকার
₹200
ভারতে ধর্মান্ধতা, বিভিন্ন ধর্মের নামে এক সম্প্রদায় আর এক সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ, সংঘর্ষ যা অবশ্যই হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠছে তা খুবই চিন্তার কারণ। বর্তমানে রাষ্ট্রের দ্বারা ধর্মকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। ফলে শ্রেণিসংগ্রামে যথাযথ বিকাশ ঘটছে না। অস্পৃশ্যতা, ধর্মান্ধতা, জাত-পাত ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িকতা অবসানের জন্য স্বাধীনতার পরে দেশের আধা সামস্ততান্ত্রিক ভূমি ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফল যা হবার তাই হয়েছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে রুদ্ধ করে দিয়ে অবৈজ্ঞানিক এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তাভাবনা ভারতের সমাজ ও রাজনৈতিক জীবনে ক্রমবর্ধমান প্রভাব ফেলছে। সময় থাকতেই একে রুখে দেওয়া দরকার। এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখেই " ভারতে বহুত্ববাদ " গ্রন্থটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে ভারতে রামমোহন বিদ্যাসাগর বঙ্কিমচন্দ্র বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ-মহাত্মা গান্ধী, আম্বেদকর প্রভৃতি মনীষিরা সারাজীবন আন্দোলন করে গিয়েছেন, অনেকাংশে সফলও হয়েছেন। বর্তমানে সেই অন্ধকার দিনগুলিকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করার জন্যই এই গ্রন্থ। গণ আন্দোলনের পুরোধা নেতৃত্ব ডঃ সুজন চক্রবর্তী মুখবন্ধ বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
ধর্ম ও অনুতাপ
₹200
ধর্ম ও অনুতাপ আজকের ভারতের সবচেয়ে আলোচনার বিষয়। দুই যুবক, যুবতীর ভালোবাসার মধ্যে ঢুকে পড়ে এই সমাজের মানুষেরা। ভিন্ন ধর্মী এই তরুণ-তরুণী সেই চক্রান্ত এর শিকার। দুটি প্রান নষ্ট হয়। কিন্তু সমাজ ধর্ম খোঁজ এ। এই উপন্যাসটি তাই ব্যক্ত করে।
ধর্ম ও অনুতাপ
₹200
ধর্ম ও অনুতাপ আজকের ভারতের সবচেয়ে আলোচনার বিষয়। দুই যুবক, যুবতীর ভালোবাসার মধ্যে ঢুকে পড়ে এই সমাজের মানুষেরা। ভিন্ন ধর্মী এই তরুণ-তরুণী সেই চক্রান্ত এর শিকার। দুটি প্রান নষ্ট হয়। কিন্তু সমাজ ধর্ম খোঁজ এ। এই উপন্যাসটি তাই ব্যক্ত করে।
কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ
By প্রণব চৌধুরী
₹200
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রূয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল কিছু তরুণ, উত্তাল হয়েছিল ছাত্র - বুদ্ধিজীবী - জনসমাজ। পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলা স্বীকৃতি পেলেও, প্রতিপদক্ষেপে তাদের মুখােমুখি হতে হয়েছে ইসলামিক সংস্কৃতির নামে বাঙালি-সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট সরকার উৎখাত। ১৯৫৮-এ পাকসেনাপ্রধান আইয়ুব খানের সাময়িক শাসন ও ক্ষমতাগ্রহণ, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হয়ে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে দশটি বছর সমস্ত মৌলিক স্বাধীনতাহরণ। বাংলা বর্ণমালার আরবি-রােমান হরফে রূপান্তরের উদ্যোগ, বেতার-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, ' জাতীয় কবি ' নজরুলের কবিতা-গানে ‘হিন্দুয়ানি’ ভাষা বদল করে আরবি-ফরাসি শব্দ প্রয়োগ, ক্রমাগত আর্থিক পীড়নে সােনার বাংলাকে শশানে পরিণত করা, পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন অবদমনের জন্যে ' আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ', উনসত্তরে পুলিশের গুলিতে কিশাের মতিউর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আসাদ, রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুজ্জোহা; একাত্তরের যুদ্ধে তিরিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই দুঃসাহসী মর্মান্তিক ঘটনাবলি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মীলনে সেখানে রচিত হয়েছে একাত্তর-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বাংলাভাষার নতুনতর কাব্য ও সংগীত। ' কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ ' গ্রন্থের বিভিন্ন প্রবন্ধে এর যথাযথ রূপায়ণ। এপার বাংলায় অনুরূপ প্রয়াস দুর্লভ।
কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ
By প্রণব চৌধুরী
₹200
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রূয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল কিছু তরুণ, উত্তাল হয়েছিল ছাত্র - বুদ্ধিজীবী - জনসমাজ। পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলা স্বীকৃতি পেলেও, প্রতিপদক্ষেপে তাদের মুখােমুখি হতে হয়েছে ইসলামিক সংস্কৃতির নামে বাঙালি-সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট সরকার উৎখাত। ১৯৫৮-এ পাকসেনাপ্রধান আইয়ুব খানের সাময়িক শাসন ও ক্ষমতাগ্রহণ, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হয়ে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে দশটি বছর সমস্ত মৌলিক স্বাধীনতাহরণ। বাংলা বর্ণমালার আরবি-রােমান হরফে রূপান্তরের উদ্যোগ, বেতার-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, ' জাতীয় কবি ' নজরুলের কবিতা-গানে ‘হিন্দুয়ানি’ ভাষা বদল করে আরবি-ফরাসি শব্দ প্রয়োগ, ক্রমাগত আর্থিক পীড়নে সােনার বাংলাকে শশানে পরিণত করা, পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন অবদমনের জন্যে ' আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ', উনসত্তরে পুলিশের গুলিতে কিশাের মতিউর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আসাদ, রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুজ্জোহা; একাত্তরের যুদ্ধে তিরিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই দুঃসাহসী মর্মান্তিক ঘটনাবলি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মীলনে সেখানে রচিত হয়েছে একাত্তর-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বাংলাভাষার নতুনতর কাব্য ও সংগীত। ' কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ ' গ্রন্থের বিভিন্ন প্রবন্ধে এর যথাযথ রূপায়ণ। এপার বাংলায় অনুরূপ প্রয়াস দুর্লভ।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।