“নির্বাচিত পঁচিশটি গল্প” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র
₹500
কথাসাহিত্যিক সুশীল জানার নাম বাংলা সাহিত্যের পাঠকের কাছে অপরিচিত নয়। কিন্তু তাঁর রচনা বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। জীবনের অভিজ্ঞান অজস্র বৈচিত্র্য নিয়ে কিভাবে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে সুশীল জানার লেখায়, তাঁর সাক্ষ্য দেয় তাঁর সমস্ত উপন্যাসগুলি। যাদের সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ছয়টি। মহানগরী, সূর্যগ্রাস, বেলাভূমির গান, সাগর সঙ্গমে, শতদ্রুর সংখ্যা, প্রস্থান পর্ব ইত্যাদি সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দেশ-কাল-সমাজ এবং ব্যক্তিমানুষের মধ্যে যে-দন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধ তার লেখায় বিচিত্রভাবে উপস্থিত হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটের বৈচিত্র্য যে কতটাই, তা পরোক্ষ করা যায় " মহানগর " উপন্যাসে। কলকাতার কানাগলি এবং তার বাসিন্দা নিম্ন মধ্যবিত্ত একদল মানুষের জীবনের কিছু টানাপোড়েন এবং ব্রিটিশ রাজত্বের একেবারে অন্তিম পর্যায়ের ভঙ্গুর চালচিত্রকে রূপায়িত করে তার " মহানগর " উপন্যাসটি লেখা। ধর্মঘট, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ছন্ছত্তর হয়ে যাওয়া সারা দেশের পটভূমি - আর তারই সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে রূপায়িত নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবনযুদ্ধ - এই দুটোকে মিলিয়ে নিয়ে নিপুণ নকশায় বুনেছেন সুশীল জানা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের এবং দেশ স্বাধীন হবার ঠিক আগের এবং পরের সময়কালের পটভূমিতে নাগরিক নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের চিত্রায়ণ হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস " সূর্যগ্রাস " এর মধ্যে।
" বেলাভূমির গান " এবং " সাগরসঙ্গমে "- এই দুটি উপন্যাসের পটভূমিকা এবং কুশীলবেরা আবার সম্পূর্ণ আলাদা আগের দুটির থেকে। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ নয় এরা দূর প্রত্যন্তবাসী গ্রামীণ নারী পুরুষেরা এখানে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে তাদের অন্তরের অন্তর্লীন অসংখ্য আদিম আকুতি নিয়ে। আবার সঙ্গে - সঙ্গেই দেশ - কাল - সমাজ - রাজনীতি - অর্থনীতির পরিপূর্ণ অভিঘাতের নানা ইঙ্গিত সূচিত করে দিতেও লেখকের কলম সমানভাবেই সক্রিয় থেকেছে।
" শতদ্রুর সংখ্যা " বেরোনোর তিন বছর পরে বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। এটিকে একই সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করলেই যথাযোগ্য মূল্যায়ন করা যায় বোধহয়। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হল এটিই যে, এখানে রাষ্ট্রনৈতিক ওঠা-পড়া, ঝড়-ঝঞ্ঝা এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ এমনই ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে, কোনওটাই অন্যটাকে বাদ দিয়ে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। দেশপ্রেমিক এবং দেশদ্রোহী, উৎপীড়ক ও উৎপীড়িত, ভালোরা ও মন্দরা এখানে এমনই কিছু দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধে জড়িয়ে আছে, যা এর বহিরঙ্গের রাজনীতির উত্তালতা এবং অন্তর্মুখের মানসিক অধীষণ - দুটোকেই সমান গুরুত্বে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শেষ উপন্যাস 'প্রস্থান পর্ব'। পলাশির যুদ্ধের পরে করমন্ডল উপকূল থেকে আসা একদল পেশাদার সিপাহির বিপন্ন অসহায়তার কাহিনি এটি।
সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র
₹500
কথাসাহিত্যিক সুশীল জানার নাম বাংলা সাহিত্যের পাঠকের কাছে অপরিচিত নয়। কিন্তু তাঁর রচনা বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। জীবনের অভিজ্ঞান অজস্র বৈচিত্র্য নিয়ে কিভাবে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে সুশীল জানার লেখায়, তাঁর সাক্ষ্য দেয় তাঁর সমস্ত উপন্যাসগুলি। যাদের সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ছয়টি। মহানগরী, সূর্যগ্রাস, বেলাভূমির গান, সাগর সঙ্গমে, শতদ্রুর সংখ্যা, প্রস্থান পর্ব ইত্যাদি সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দেশ-কাল-সমাজ এবং ব্যক্তিমানুষের মধ্যে যে-দন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধ তার লেখায় বিচিত্রভাবে উপস্থিত হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটের বৈচিত্র্য যে কতটাই, তা পরোক্ষ করা যায় " মহানগর " উপন্যাসে। কলকাতার কানাগলি এবং তার বাসিন্দা নিম্ন মধ্যবিত্ত একদল মানুষের জীবনের কিছু টানাপোড়েন এবং ব্রিটিশ রাজত্বের একেবারে অন্তিম পর্যায়ের ভঙ্গুর চালচিত্রকে রূপায়িত করে তার " মহানগর " উপন্যাসটি লেখা। ধর্মঘট, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ছন্ছত্তর হয়ে যাওয়া সারা দেশের পটভূমি - আর তারই সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে রূপায়িত নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবনযুদ্ধ - এই দুটোকে মিলিয়ে নিয়ে নিপুণ নকশায় বুনেছেন সুশীল জানা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের এবং দেশ স্বাধীন হবার ঠিক আগের এবং পরের সময়কালের পটভূমিতে নাগরিক নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের চিত্রায়ণ হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস " সূর্যগ্রাস " এর মধ্যে।
" বেলাভূমির গান " এবং " সাগরসঙ্গমে "- এই দুটি উপন্যাসের পটভূমিকা এবং কুশীলবেরা আবার সম্পূর্ণ আলাদা আগের দুটির থেকে। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ নয় এরা দূর প্রত্যন্তবাসী গ্রামীণ নারী পুরুষেরা এখানে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে তাদের অন্তরের অন্তর্লীন অসংখ্য আদিম আকুতি নিয়ে। আবার সঙ্গে - সঙ্গেই দেশ - কাল - সমাজ - রাজনীতি - অর্থনীতির পরিপূর্ণ অভিঘাতের নানা ইঙ্গিত সূচিত করে দিতেও লেখকের কলম সমানভাবেই সক্রিয় থেকেছে।
" শতদ্রুর সংখ্যা " বেরোনোর তিন বছর পরে বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। এটিকে একই সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করলেই যথাযোগ্য মূল্যায়ন করা যায় বোধহয়। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হল এটিই যে, এখানে রাষ্ট্রনৈতিক ওঠা-পড়া, ঝড়-ঝঞ্ঝা এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ এমনই ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে, কোনওটাই অন্যটাকে বাদ দিয়ে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। দেশপ্রেমিক এবং দেশদ্রোহী, উৎপীড়ক ও উৎপীড়িত, ভালোরা ও মন্দরা এখানে এমনই কিছু দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধে জড়িয়ে আছে, যা এর বহিরঙ্গের রাজনীতির উত্তালতা এবং অন্তর্মুখের মানসিক অধীষণ - দুটোকেই সমান গুরুত্বে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শেষ উপন্যাস 'প্রস্থান পর্ব'। পলাশির যুদ্ধের পরে করমন্ডল উপকূল থেকে আসা একদল পেশাদার সিপাহির বিপন্ন অসহায়তার কাহিনি এটি।
চন্দাবতী
By তৃষ্ণা বসাক
₹350
ষোড়শ শতকের কবি চন্দ্রাবতী। তাঁর জীবন যেকোন লেখকের কাছেই লোভনীয়। কিন্তু শৈশব সাথী জয়ানন্দর সঙ্গে প্রেম, জয়ানন্দর বিশ্বাসভঙ্গ, বিবাহ বিপর্যয়, এবং তার পরে মন্দির প্রতিষ্ঠা এবং একমনে সাহিত্য সাধনা, শেষে জয়ানন্দর আত্মবিসর্জন। এর মধ্যে নতুন সংযোজনের সুযোগ কোথায়? জীবনী আর জীবন নির্ভর উপন্যাস তো এক নয়। সেই ভিন্নতা সীমার মধ্যেই উদ্ভাবনী স্বাধীনতা নিতে প্ররোচিত করে, দেখতে শেখায় ইতিহাসের অনুচ্চারিত সত্য এবং রহস্যময় নৈশব্দ্যকে। তৃষ্ণা বসাকের সংবেদনশীল কলমে তাই চন্দাবতী শুধু একটি দেশে বা কালে আটকে থাকেনি, তা হয়ে উঠেছে সব দেশের সব কালের নারী কবির একাকী পথ চলার রক্তাক্ত আখ্যান।
চন্দাবতী
By তৃষ্ণা বসাক
₹350
ষোড়শ শতকের কবি চন্দ্রাবতী। তাঁর জীবন যেকোন লেখকের কাছেই লোভনীয়। কিন্তু শৈশব সাথী জয়ানন্দর সঙ্গে প্রেম, জয়ানন্দর বিশ্বাসভঙ্গ, বিবাহ বিপর্যয়, এবং তার পরে মন্দির প্রতিষ্ঠা এবং একমনে সাহিত্য সাধনা, শেষে জয়ানন্দর আত্মবিসর্জন। এর মধ্যে নতুন সংযোজনের সুযোগ কোথায়? জীবনী আর জীবন নির্ভর উপন্যাস তো এক নয়। সেই ভিন্নতা সীমার মধ্যেই উদ্ভাবনী স্বাধীনতা নিতে প্ররোচিত করে, দেখতে শেখায় ইতিহাসের অনুচ্চারিত সত্য এবং রহস্যময় নৈশব্দ্যকে। তৃষ্ণা বসাকের সংবেদনশীল কলমে তাই চন্দাবতী শুধু একটি দেশে বা কালে আটকে থাকেনি, তা হয়ে উঠেছে সব দেশের সব কালের নারী কবির একাকী পথ চলার রক্তাক্ত আখ্যান।
রবীন্দ্রসংগীতের পাঁচ জ্যোতিষ্ক
₹100
পাঁচজন যশস্বী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, সুবিনয় রায়, দ্বিজেন মুখােপাধ্যায় ও দেবব্রত বিশ্বাস দের নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় (সময় অসময়, বাংলা স্টেটসম্যান, সন্ধিৎসা, একুশ শতক) একাধিক লেখা প্রকাশ পায়, কোনােটি প্রবন্ধাকারে, কোনােটি সাক্ষাৎকার ভিত্তিক। সেই লেখাগুলােকে কিছুটা পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও সংকলিত করে, ' রবীন্দ্রসংগীতএর পাঁচ জ্যোতিস্ক ' গ্রন্থটি প্রকাশ পায়।
রবীন্দ্রসংগীতের পাঁচ জ্যোতিষ্ক
₹100
পাঁচজন যশস্বী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, সুবিনয় রায়, দ্বিজেন মুখােপাধ্যায় ও দেবব্রত বিশ্বাস দের নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় (সময় অসময়, বাংলা স্টেটসম্যান, সন্ধিৎসা, একুশ শতক) একাধিক লেখা প্রকাশ পায়, কোনােটি প্রবন্ধাকারে, কোনােটি সাক্ষাৎকার ভিত্তিক। সেই লেখাগুলােকে কিছুটা পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও সংকলিত করে, ' রবীন্দ্রসংগীতএর পাঁচ জ্যোতিস্ক ' গ্রন্থটি প্রকাশ পায়।
মৃত্যুখাদে কুহক
₹150
গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে তাকালে আরব সাগরে ভেসে ওঠে দু'তিনটা দ্বীপ। তাদের একটি এ্যালিফ্যান্টা। একঘন্টা সমুদ্রের বুক চিতিয়ে জলযানে গেলে দেখা মেলে ঘোড়াপুরী বা এ্যালিফ্যান্টা দ্বীপের। পাখির কুজনে মুখরিত গাছপালা, পাহাড় আর ধ্বংসপ্রায় গুহাভাস্কর্য নিয়ে সমুদ্রের বুকে দাঁড়িয়ে আছে এই রহস্যময় সবুজদ্বীপটি। আরেকদিকে শৈলপর্বত মাথেরানের অপূর্ব সৌন্দর্য আর অতলখাদ। দুই-এর মাঝে এক অদৃশ্যসুতোর টান। এরকম পরিবেশে মাথায় আসে রহস্য সন্ধান, শুধু রহস্য সন্ধান। যার ফলশ্রুতিতে সৃষ্টি হল উপন্যাস ‘মৃত্যুখাদে কুহক'। ইতিহাস আর আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক প্রোষিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও খুলতে চাইল রহস্যকপাট। নির্মেদ মগজ বনাম আততায়ীর সুচারু বুলেটের লড়াই একটি অনাদিকালের খেলা। এই মারণ-বাঁচন খেলায় কে বাজিগর সেটাই দেখার।
মৃত্যুখাদে কুহক
₹150
গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে তাকালে আরব সাগরে ভেসে ওঠে দু'তিনটা দ্বীপ। তাদের একটি এ্যালিফ্যান্টা। একঘন্টা সমুদ্রের বুক চিতিয়ে জলযানে গেলে দেখা মেলে ঘোড়াপুরী বা এ্যালিফ্যান্টা দ্বীপের। পাখির কুজনে মুখরিত গাছপালা, পাহাড় আর ধ্বংসপ্রায় গুহাভাস্কর্য নিয়ে সমুদ্রের বুকে দাঁড়িয়ে আছে এই রহস্যময় সবুজদ্বীপটি। আরেকদিকে শৈলপর্বত মাথেরানের অপূর্ব সৌন্দর্য আর অতলখাদ। দুই-এর মাঝে এক অদৃশ্যসুতোর টান। এরকম পরিবেশে মাথায় আসে রহস্য সন্ধান, শুধু রহস্য সন্ধান। যার ফলশ্রুতিতে সৃষ্টি হল উপন্যাস ‘মৃত্যুখাদে কুহক'। ইতিহাস আর আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক প্রোষিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও খুলতে চাইল রহস্যকপাট। নির্মেদ মগজ বনাম আততায়ীর সুচারু বুলেটের লড়াই একটি অনাদিকালের খেলা। এই মারণ-বাঁচন খেলায় কে বাজিগর সেটাই দেখার।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।