Discount applied: Discount 20%
“ঘরের মানুষ প্রেমচন্দ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
প্রেমের কবিতা
Publisher: একুশ শতক
₹200
এই গ্রন্থের কবিতাগুলির সূচনা প্রায় সাত বছর আগে। পরিণত জীবন প্রেমের অনুভব কোন পথে নিয়ে যায়, তারই ইশারা এই কবিতাগুলিতে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-pktm
এই গ্রন্থের কবিতাগুলির সূচনা প্রায় সাত বছর আগে। পরিণত জীবন প্রেমের অনুভব কোন পথে নিয়ে যায়, তারই ইশারা এই কবিতাগুলিতে।
Additional information
Weight | .3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ার আগে
₹100
"শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ার আগে" কবি সুনন্দ অধিকারী ষষ্ঠ কাব্যগ্ৰন্থ। আশা করা যায় এই গ্ৰন্থটিও পূর্বের মতোই পাঠক সমাদৃত হবে। এখানে কবির ব্যক্তিগত যাপন অভিজ্ঞতা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাবে কাব্যাকারে প্রকাশিত হয়েছে যেমন। অন্যদিকে আবার ফুটে উঠেছে বর্তমান সময়ের চালচিত্র। বেশ কিছু কবিতায় স্পষ্ট সুররিয়ালিজমের ছোঁয়া।
শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ার আগে
₹100
"শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ার আগে" কবি সুনন্দ অধিকারী ষষ্ঠ কাব্যগ্ৰন্থ। আশা করা যায় এই গ্ৰন্থটিও পূর্বের মতোই পাঠক সমাদৃত হবে। এখানে কবির ব্যক্তিগত যাপন অভিজ্ঞতা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাবে কাব্যাকারে প্রকাশিত হয়েছে যেমন। অন্যদিকে আবার ফুটে উঠেছে বর্তমান সময়ের চালচিত্র। বেশ কিছু কবিতায় স্পষ্ট সুররিয়ালিজমের ছোঁয়া।
নির্বাচিত পঁচিশটি গল্প
By তৃষ্ণা বসাক
₹200
তৃষ্ণা বসাক এই সময়ের বাংলা সাহিত্যের একজন একনিষ্ঠ কবি ও কথাকার। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, কল্পবিজ্ঞান, মৈথিলী অনুবাদকর্মে তিনি প্রতিমুহুর্তে পাঠকের সামনে খুলে দিচ্ছেন অনাস্বাদিত জগৎ। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত সমস্ত গল্পগুলি থেকে শুধুমাত্র পঁচিশটি নির্বাচিত গল্প নিয়ে প্রকাশিত হল ' নির্বাচিত পঁচিশটি গল্প ' সংকলনটি। স্থান পেয়েছে মৃদু বসন্ত ও কয়েকটি বেড়াল, জলযাচক, অমেরুদণ্ডী এবং বৃষ্টি আসবে এর মতো কিছু উল্লেখযোগ্য এবং সারা জাগানো গল্প।
নির্বাচিত পঁচিশটি গল্প
By তৃষ্ণা বসাক
₹200
তৃষ্ণা বসাক এই সময়ের বাংলা সাহিত্যের একজন একনিষ্ঠ কবি ও কথাকার। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, কল্পবিজ্ঞান, মৈথিলী অনুবাদকর্মে তিনি প্রতিমুহুর্তে পাঠকের সামনে খুলে দিচ্ছেন অনাস্বাদিত জগৎ। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত সমস্ত গল্পগুলি থেকে শুধুমাত্র পঁচিশটি নির্বাচিত গল্প নিয়ে প্রকাশিত হল ' নির্বাচিত পঁচিশটি গল্প ' সংকলনটি। স্থান পেয়েছে মৃদু বসন্ত ও কয়েকটি বেড়াল, জলযাচক, অমেরুদণ্ডী এবং বৃষ্টি আসবে এর মতো কিছু উল্লেখযোগ্য এবং সারা জাগানো গল্প।
গীতবিতানের আরশিনগর
₹130
গীতবিতান এর সমস্তগান স্বতন্ত্র ভাবে আলোচনা - অত্যন্ত দুরহ কাজ। আবুল বহুগান আলোচিত হয়েছে ' গীতবিতানের আরশিনগর ' গ্রন্থে এবং গীতবিতানের মধ্য দিয়ে যে ' সীমার মধ্যেই অসীমের সহিত মিলন সাধনের পালা ' অভিনীত হয়ে চলেছে, সে পালাটির মূল সুরটাকে ধরতে চেষ্টা করেছি। আশা করি রবীন্দ্রসংগীতের ভাবলোকের প্রবেশপার্থীরা কিছু দিশা পাবেন।
গীতবিতানের আরশিনগর
₹130
গীতবিতান এর সমস্তগান স্বতন্ত্র ভাবে আলোচনা - অত্যন্ত দুরহ কাজ। আবুল বহুগান আলোচিত হয়েছে ' গীতবিতানের আরশিনগর ' গ্রন্থে এবং গীতবিতানের মধ্য দিয়ে যে ' সীমার মধ্যেই অসীমের সহিত মিলন সাধনের পালা ' অভিনীত হয়ে চলেছে, সে পালাটির মূল সুরটাকে ধরতে চেষ্টা করেছি। আশা করি রবীন্দ্রসংগীতের ভাবলোকের প্রবেশপার্থীরা কিছু দিশা পাবেন।
Reviewing Bollywood
₹300
"Reviewing Bollywood' is an effort to investigate the various aspects and multi-faceted arena of mainstream Hindi film industry at the crucial juncture while Indian Cinema is celebrating its centenary. Discussions have been made on the history of Bollywood and its golden age, influential factors shaping convention of mainstream Hindi popular films, cast and crew, song, music, lyrics and dance, dialogues, finance, advertising, award, popularity and appeal. How far Bollywood mainstream follow realism or inspired by the reality, how far Bollywood script has become successful to arrest the attention and emotion of film buffs are in the purview of study.
Reviewing Bollywood
₹300
"Reviewing Bollywood' is an effort to investigate the various aspects and multi-faceted arena of mainstream Hindi film industry at the crucial juncture while Indian Cinema is celebrating its centenary. Discussions have been made on the history of Bollywood and its golden age, influential factors shaping convention of mainstream Hindi popular films, cast and crew, song, music, lyrics and dance, dialogues, finance, advertising, award, popularity and appeal. How far Bollywood mainstream follow realism or inspired by the reality, how far Bollywood script has become successful to arrest the attention and emotion of film buffs are in the purview of study.
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।