“ক্ষত যত ক্ষতি যত” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
প্রেমের কবিতা
Publisher: একুশ শতক
₹200
এই গ্রন্থের কবিতাগুলির সূচনা প্রায় সাত বছর আগে। পরিণত জীবন প্রেমের অনুভব কোন পথে নিয়ে যায়, তারই ইশারা এই কবিতাগুলিতে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-pktm
এই গ্রন্থের কবিতাগুলির সূচনা প্রায় সাত বছর আগে। পরিণত জীবন প্রেমের অনুভব কোন পথে নিয়ে যায়, তারই ইশারা এই কবিতাগুলিতে।
Additional information
Weight | .3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
পঁচিশটি গল্প
₹400
মোটামুটি ২০১০ সাল থেকে করোনাকালের আগে পর্যন্ত একরকম ঢেউহীন অথচ গতিময় সমাজের চিত্রই গল্পগুলির বিষয়বস্তু। পটভূমি কলকাতা। শহুরে মধ্যবিত্ত্ব পরিবারের মহিলাদের যাপনের উপর আলো পড়েছে চেনা-অচেনা নানা আঙ্গিক থেকে। তাদের ভাবনা, তাদের সমস্যা, সমাজ-সংসারে তাদের লড়াইকে কেন্দ্র করে হারজিতের নানা গল্পে সেজে উঠেছে এই বই।
পঁচিশটি গল্প
₹400
মোটামুটি ২০১০ সাল থেকে করোনাকালের আগে পর্যন্ত একরকম ঢেউহীন অথচ গতিময় সমাজের চিত্রই গল্পগুলির বিষয়বস্তু। পটভূমি কলকাতা। শহুরে মধ্যবিত্ত্ব পরিবারের মহিলাদের যাপনের উপর আলো পড়েছে চেনা-অচেনা নানা আঙ্গিক থেকে। তাদের ভাবনা, তাদের সমস্যা, সমাজ-সংসারে তাদের লড়াইকে কেন্দ্র করে হারজিতের নানা গল্পে সেজে উঠেছে এই বই।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
পরিবেশ ও সাহিত্যের দেশ মহাদেশ
By শুভঙ্কর গুহ
₹300
সাহিত্য, পরিবেশ, সংস্কৃতি ও প্রান্তিক জীবন নিয়ে আলোচনা ও রচনার সংকলন এই গ্রন্থ। বাঙলা, ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য এই জীবন্ত গ্রহের মহাসাগরীয় সম্পদ। গোটা বিশ্বে উপনিবেশিক শাসন ও লুণ্ঠন উত্তর ঔপনিবেশিক পরবর্তী সময়ে মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে আজও ধস্ত করে যাচ্ছে। সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রবাহ কিন্তু নিজের গতিতেই এগিয়ে চলে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিজের মতো করে মানিয়ে নেয় সময়ের ঘাত প্রতিঘাতে। এই সংকলনে তেমনই ভাবনার প্রকাশ ঘটেছে। মহাবিশ্বের পরিবেশ ও নিসর্গ সাহিত্য রচনার প্রধান সহায়ক। সাহিত্য, মাঠ ঘাটের নিসর্গ, নদ নদী, বিজ্ঞাপন সংস্কৃতি ও প্রান্তিক জীবনের কথাবার্তা নিয়েই কিছু রচনা এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য।
পরিবেশ ও সাহিত্যের দেশ মহাদেশ
By শুভঙ্কর গুহ
₹300
সাহিত্য, পরিবেশ, সংস্কৃতি ও প্রান্তিক জীবন নিয়ে আলোচনা ও রচনার সংকলন এই গ্রন্থ। বাঙলা, ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য এই জীবন্ত গ্রহের মহাসাগরীয় সম্পদ। গোটা বিশ্বে উপনিবেশিক শাসন ও লুণ্ঠন উত্তর ঔপনিবেশিক পরবর্তী সময়ে মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে আজও ধস্ত করে যাচ্ছে। সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রবাহ কিন্তু নিজের গতিতেই এগিয়ে চলে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিজের মতো করে মানিয়ে নেয় সময়ের ঘাত প্রতিঘাতে। এই সংকলনে তেমনই ভাবনার প্রকাশ ঘটেছে। মহাবিশ্বের পরিবেশ ও নিসর্গ সাহিত্য রচনার প্রধান সহায়ক। সাহিত্য, মাঠ ঘাটের নিসর্গ, নদ নদী, বিজ্ঞাপন সংস্কৃতি ও প্রান্তিক জীবনের কথাবার্তা নিয়েই কিছু রচনা এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য।
দীপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র
₹250
দীপেন্দ্রনাথের রচনা মননশীল পাঠকদের কাছে অত্যন্ত সমাদরপ্রাপ্ত ও অগ্রগণ্য। তার ছোটগল্প ও সাংবাদিকতা ছাড়াও উপন্যাসগুলি উন্নতমানের সাহিত্য হিসেবে বিবেচিত হয় বাঙালি পাঠকমহলে। তার প্রথম উপন্যাস 'আগামী (মাঝি)' প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রীষ্টাব্দে (১৩৫৮ বঙ্গাব্দের ১৫ কার্তিক)। অন্যান্য উপন্যাসগুলির মধ্যে 'তৃতীয় ভুবন (অক্টোবর ১৯৫৭)', 'গগন ঠাকুরের সিঁড়ি (চৈত্র ১৩৬৮)' এবং 'বিবাহবার্ষিকী (অক্টোবর ১৯৭৭)' পাঠকমহলে সাড়া ফেলে। সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' দীপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দীপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র
₹250
দীপেন্দ্রনাথের রচনা মননশীল পাঠকদের কাছে অত্যন্ত সমাদরপ্রাপ্ত ও অগ্রগণ্য। তার ছোটগল্প ও সাংবাদিকতা ছাড়াও উপন্যাসগুলি উন্নতমানের সাহিত্য হিসেবে বিবেচিত হয় বাঙালি পাঠকমহলে। তার প্রথম উপন্যাস 'আগামী (মাঝি)' প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রীষ্টাব্দে (১৩৫৮ বঙ্গাব্দের ১৫ কার্তিক)। অন্যান্য উপন্যাসগুলির মধ্যে 'তৃতীয় ভুবন (অক্টোবর ১৯৫৭)', 'গগন ঠাকুরের সিঁড়ি (চৈত্র ১৩৬৮)' এবং 'বিবাহবার্ষিকী (অক্টোবর ১৯৭৭)' পাঠকমহলে সাড়া ফেলে। সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' দীপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
মাইকেল ক্যারিট – এক কমিউনিস্ট আইসিএস এর আত্মকথন
₹300
বিগত শতাব্দীর তিরিশের দশক। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের নিষ্পেষণে ভারতবাসীর অবস্থা চরম দুর্দশাগ্রস্ত। এই অবস্থায় একদিকে ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচার চরমে উঠেছে, অন্যদিকে প্রতিবাদী মানুষ মাথা তুলছে। চারিদিকে বিদ্রোহের পতাকা দেখা যাচ্ছে। চিরবিদ্রোহী কমিউনিস্ট পার্টির সেই অঙ্কুরোদ্গমের কালে ভারতে আই.সি.এস হয়ে এলেন মাইকেল ক্যারিট। প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ এই পার্টির সঙ্গে যােগাযােগ গড়ে উঠল। নিজের জীবন, যৌবন, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিসর্জন দিয়ে ক্যারিট দাঁড়ালেন নিপীড়িত মানুষের পাশে। তাঁরই আত্মত্যাগ ও আদর্শের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার অনন্য নজির রয়েছে এই আত্মকথনে।
সাম্রাজ্যবাদী শাসনে ক্ষমতার কেন্দ্রীয় বলয়ে থাকা একজন মানুষ সমাজতন্ত্র ও উপনিবেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। শুধু নিষ্ক্রিয় বিশ্বাস নয়, সক্রিয় অংশগ্রহণ করার দুঃসাহসও তার আছে। ফলতঃ স্পষ্ট বৈপরীত্যের সংঘাতে এবং লুকোচুরির বিপজ্জনক খেলায় জীবন হয়ে ওঠে এক রহস্য-রােমাঞ্চের নায়কের মতাে। মাইকেল ক্যারিটের A Mole in the Crown সেই আত্মজৈবনিক বর্ণনাতেই টানটান।
মূলানুগ ও প্রাঞ্জল ভাষান্তরে এ গ্রন্থ বাংলার ইতিহাস-চর্চারও এক অন্যতম উপাদান হয়ে থাকবে।
মাইকেল ক্যারিট – এক কমিউনিস্ট আইসিএস এর আত্মকথন
₹300
বিগত শতাব্দীর তিরিশের দশক। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের নিষ্পেষণে ভারতবাসীর অবস্থা চরম দুর্দশাগ্রস্ত। এই অবস্থায় একদিকে ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচার চরমে উঠেছে, অন্যদিকে প্রতিবাদী মানুষ মাথা তুলছে। চারিদিকে বিদ্রোহের পতাকা দেখা যাচ্ছে। চিরবিদ্রোহী কমিউনিস্ট পার্টির সেই অঙ্কুরোদ্গমের কালে ভারতে আই.সি.এস হয়ে এলেন মাইকেল ক্যারিট। প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ এই পার্টির সঙ্গে যােগাযােগ গড়ে উঠল। নিজের জীবন, যৌবন, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিসর্জন দিয়ে ক্যারিট দাঁড়ালেন নিপীড়িত মানুষের পাশে। তাঁরই আত্মত্যাগ ও আদর্শের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার অনন্য নজির রয়েছে এই আত্মকথনে।
সাম্রাজ্যবাদী শাসনে ক্ষমতার কেন্দ্রীয় বলয়ে থাকা একজন মানুষ সমাজতন্ত্র ও উপনিবেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। শুধু নিষ্ক্রিয় বিশ্বাস নয়, সক্রিয় অংশগ্রহণ করার দুঃসাহসও তার আছে। ফলতঃ স্পষ্ট বৈপরীত্যের সংঘাতে এবং লুকোচুরির বিপজ্জনক খেলায় জীবন হয়ে ওঠে এক রহস্য-রােমাঞ্চের নায়কের মতাে। মাইকেল ক্যারিটের A Mole in the Crown সেই আত্মজৈবনিক বর্ণনাতেই টানটান।
মূলানুগ ও প্রাঞ্জল ভাষান্তরে এ গ্রন্থ বাংলার ইতিহাস-চর্চারও এক অন্যতম উপাদান হয়ে থাকবে।
পাকিস্তান
₹80
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, একটি পরাধীন পরবশ দেশ দ্বিখন্ডিত হয়ে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সমস্ত শুভবুদ্ধি সেদিন পরাভূত হয়েছিল। আর এই পরাভবের উৎসে ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা। ধর্ম মানুষকে মানসিক সাহস জোগায়, সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, হৃদয়বান করে তোলে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে শেখায়, শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে, – আর আচারসর্বস্ব ধর্ম মানুষের মনে বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলে, অসহিষ্ণু করে, ভ্রষ্টাচারী করে, ঘৃণা ছড়ায়, হীনতা-নীচতা-কূপমণ্ডূকতার প্রশ্রয় দেয়।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শুধুই বেড়ে চলেছে বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস। আর তারই পরিণতিতে দেশের মধ্যেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে যদি সম্প্রীতি ও ভাবের আদান-প্রদান না থাকে, তবে সকলেরই অমঙ্গল। কবে যে আমরা এই সত্য উপলব্ধি করব? পাকিস্তান ও ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দুবেলা ভরপেট খেতে পায়না। আর দুদেশের শাসকেরাই তৈরি করছে আণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র আর অস্ত্র কিনছে বিদেশ থেকে। তলদেশে শিক্ষা পৌঁছয় না, ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, শীতের পোশাক নেই, মাথার ওপরে আচ্ছদন নেই, তবুও অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ যে কী মূঢ়তা! দুই দেশের মানুষই এই যুদ্ধ ও বিদ্বেষের বিরোধী, কিন্তু আমরা সবাই নিরুপায়। এইসব ‘নিষ্ফলা’ চিন্তা থেকেই '' পাকিস্তান ''গ্রন্থ
পাকিস্তান
₹80
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, একটি পরাধীন পরবশ দেশ দ্বিখন্ডিত হয়ে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সমস্ত শুভবুদ্ধি সেদিন পরাভূত হয়েছিল। আর এই পরাভবের উৎসে ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা। ধর্ম মানুষকে মানসিক সাহস জোগায়, সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, হৃদয়বান করে তোলে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে শেখায়, শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে, – আর আচারসর্বস্ব ধর্ম মানুষের মনে বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলে, অসহিষ্ণু করে, ভ্রষ্টাচারী করে, ঘৃণা ছড়ায়, হীনতা-নীচতা-কূপমণ্ডূকতার প্রশ্রয় দেয়।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শুধুই বেড়ে চলেছে বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস। আর তারই পরিণতিতে দেশের মধ্যেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে যদি সম্প্রীতি ও ভাবের আদান-প্রদান না থাকে, তবে সকলেরই অমঙ্গল। কবে যে আমরা এই সত্য উপলব্ধি করব? পাকিস্তান ও ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দুবেলা ভরপেট খেতে পায়না। আর দুদেশের শাসকেরাই তৈরি করছে আণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র আর অস্ত্র কিনছে বিদেশ থেকে। তলদেশে শিক্ষা পৌঁছয় না, ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, শীতের পোশাক নেই, মাথার ওপরে আচ্ছদন নেই, তবুও অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ যে কী মূঢ়তা! দুই দেশের মানুষই এই যুদ্ধ ও বিদ্বেষের বিরোধী, কিন্তু আমরা সবাই নিরুপায়। এইসব ‘নিষ্ফলা’ চিন্তা থেকেই '' পাকিস্তান ''গ্রন্থ