“শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস ভাষা ও শৈলী” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
রবীন্দ্রনাথ ও মণিপুরী নৃত্য
Publisher: একুশ শতক
₹50
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-rom01
Categories:
প্রবন্ধ, রবীন্দ্র বিষয়ক, সমস্ত বই
একই ধরণের গ্রন্থ
হৃদয়ভূমি
By সমীর রক্ষিত
₹300
লোকগায়ক শিবসুন্দরের গানে উপন্যাসের শুরু এবং শেষ। সে গান ভাবাবেগের প্রেম-গীতি নয়, ঈশ্বরমুখী ভক্তিগীতিও নয়। সেই গানের উৎসে আর বিস্তারে স্পন্দিত হয় ভারতভূমির হৃদয়। উপন্যাসের নাম 'হৃদয়ভূমি'।
এই স্বাদেশিকতাবোধের জাগরণ ঘটতে শুরু করেছিল উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। সেই ধারাই দুটি স্রোতে ক্রমশ গিয়ে মিলেছিল স্বাধীনতায়। একদিকে ব্রিটিশ শাসনের শেকল-ছেঁড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অন্যদিকে দীর্ঘকালব্যাপী রক্ষণশীল সামাজিক অনুশাসনের চাপ ছিন্ন করে ব্যক্তির আত্মমর্যাদা অর্জন করবার স্বাধীনতা। একদিকে বিদেশি শাসকের অধীনতা থেকে মুক্তি; অন্যদিকে সামস্ততন্ত্রের ও জমিদারের বিপরীতে প্রজা, পুরুষতন্ত্রের অনুশাসন অগ্রাহ্য করে নারীর পদক্ষেপ, ‘ধর্মীয়’ নিষেধের বিরুদ্ধে মানব সাম্যবোধের যুক্তির যাত্রা শুরু। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাস এই প্রশ্নতি-যাত্রার চলচ্চিত্র। স্থান অবিভক্ত বঙ্গের পূর্বাঞ্চল। কাল ঊনিশ ও বিশ শতকের সন্ধিক্ষণ।
উপন্যাস ইতিহাস নয়। ইতিহাসের চেনা চরিত্রেরা অবশ্য মাঝে মাঝেই দেখা দিয়েছেন। যেমন—ইশা খাঁ, বেমগ রোকেয়া ও তাঁর স্বামী। কিন্তু কেন্দ্রীয় আখ্যানে আছে এক জমিদার বংশের দুই প্রজন্মের দ্বন্দ্ব। কৌলিক উপাধি রায় রায়ান। পিতা শ্রীনাথ ত্যাজ্য পুত্র করেছেন মেজ ছেলে রামনাথকে। যুগের আধুনিকতার চালচলন মানতে পারেন না তিনি।
নব জাগরণের আলোেক স্পর্শে পুত্র রামনাথের মনের কোনো কোনো জানালা খুলেছে। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে দরজা খুলে দিতে যে তিনি পারেননি, তা নিজেও সবটা জানেন না। স্ত্রী কনকলতা জাগ্রত-মনন এবং মানবদরদি হৃদয়ের অধিকারী। বিপন্ন মেয়েদের জন্য রায়ভিলার একতলায় চিকিৎসালয় খুললেন কনকলতা। চিকিৎসা হবে নির্যাতনের শিকার, যৌন রোগাক্রান্ত, গণিকা অপবাদে ক্লিষ্ট মেয়েদের। রামনাথের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ব্রহ্মসংগীতের সুরে দ্বারোদ্ঘাটন হল সেবা নিকেতনের—‘অন্তর মম বিকশিত কর'। রামনাথের কণ্ঠেও তখন নতুন জীবনে যোগ দেওয়ার আকুলতা। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাসে এই আশ্বাসের বাণী।
হৃদয়ভূমি
By সমীর রক্ষিত
₹300
লোকগায়ক শিবসুন্দরের গানে উপন্যাসের শুরু এবং শেষ। সে গান ভাবাবেগের প্রেম-গীতি নয়, ঈশ্বরমুখী ভক্তিগীতিও নয়। সেই গানের উৎসে আর বিস্তারে স্পন্দিত হয় ভারতভূমির হৃদয়। উপন্যাসের নাম 'হৃদয়ভূমি'।
এই স্বাদেশিকতাবোধের জাগরণ ঘটতে শুরু করেছিল উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। সেই ধারাই দুটি স্রোতে ক্রমশ গিয়ে মিলেছিল স্বাধীনতায়। একদিকে ব্রিটিশ শাসনের শেকল-ছেঁড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অন্যদিকে দীর্ঘকালব্যাপী রক্ষণশীল সামাজিক অনুশাসনের চাপ ছিন্ন করে ব্যক্তির আত্মমর্যাদা অর্জন করবার স্বাধীনতা। একদিকে বিদেশি শাসকের অধীনতা থেকে মুক্তি; অন্যদিকে সামস্ততন্ত্রের ও জমিদারের বিপরীতে প্রজা, পুরুষতন্ত্রের অনুশাসন অগ্রাহ্য করে নারীর পদক্ষেপ, ‘ধর্মীয়’ নিষেধের বিরুদ্ধে মানব সাম্যবোধের যুক্তির যাত্রা শুরু। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাস এই প্রশ্নতি-যাত্রার চলচ্চিত্র। স্থান অবিভক্ত বঙ্গের পূর্বাঞ্চল। কাল ঊনিশ ও বিশ শতকের সন্ধিক্ষণ।
উপন্যাস ইতিহাস নয়। ইতিহাসের চেনা চরিত্রেরা অবশ্য মাঝে মাঝেই দেখা দিয়েছেন। যেমন—ইশা খাঁ, বেমগ রোকেয়া ও তাঁর স্বামী। কিন্তু কেন্দ্রীয় আখ্যানে আছে এক জমিদার বংশের দুই প্রজন্মের দ্বন্দ্ব। কৌলিক উপাধি রায় রায়ান। পিতা শ্রীনাথ ত্যাজ্য পুত্র করেছেন মেজ ছেলে রামনাথকে। যুগের আধুনিকতার চালচলন মানতে পারেন না তিনি।
নব জাগরণের আলোেক স্পর্শে পুত্র রামনাথের মনের কোনো কোনো জানালা খুলেছে। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে দরজা খুলে দিতে যে তিনি পারেননি, তা নিজেও সবটা জানেন না। স্ত্রী কনকলতা জাগ্রত-মনন এবং মানবদরদি হৃদয়ের অধিকারী। বিপন্ন মেয়েদের জন্য রায়ভিলার একতলায় চিকিৎসালয় খুললেন কনকলতা। চিকিৎসা হবে নির্যাতনের শিকার, যৌন রোগাক্রান্ত, গণিকা অপবাদে ক্লিষ্ট মেয়েদের। রামনাথের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ব্রহ্মসংগীতের সুরে দ্বারোদ্ঘাটন হল সেবা নিকেতনের—‘অন্তর মম বিকশিত কর'। রামনাথের কণ্ঠেও তখন নতুন জীবনে যোগ দেওয়ার আকুলতা। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাসে এই আশ্বাসের বাণী।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
ভাষাবিদ্যা ও বাংলা ভাষা
By জীবেশ নায়ক
₹300
সাহিত্য ও বিদ্যাচর্চার জন্য বা তথ্য সংরক্ষণ ও আদান-প্রদানের জন্য ভাষার ব্যবহার প্রথাগত শিক্ষায় সুনিয়মিত থাকে, যা লক্ষিত হলে পাঠ্য পুস্তকে ধ্রুপদী সাহিত্যের নমুনার বিকৃতি ঘটানাে যায়, সুবােধ্য করে তোলার অজুহাতে। ভাষার বহুমাত্রিক প্রয়ােগে সুরক্ষা ও সমুল্লতির সুফল পাওয়া সম্ভব হয় ভাষার বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিত সূত্রাবলী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ অধ্যয়ন থেকে। এই সম্পর্কে অবহিত ভাষা প্রয়ােগকারী বহুমাত্রিক প্রয়ােগে সিদ্ধহস্ত। সমাজ অনুমােদিত প্রচলিত ভাষার বূপ-গুণ অক্ষুন্ন রেখে চলতে এরাই পারঙ্গম। বাণিজ্যিক ব্যবহারে স্বেচ্ছাচার জনিত ভাষা বিকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে এঁদের সচেতন সক্রিয়তা ছাড়া গত্যন্তর নেই। সেক্ষেত্রে ভাষাবিদ্যার অনুশীলনই পথ-নির্দেশক। ভাষাবিদ্যার অনুশীলন এর ক্ষেত্রে ' ভাষাবিদ্যা ও বাংলা ভাষা ' গ্রন্থটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভাষাবিদ্যা ও বাংলা ভাষা
By জীবেশ নায়ক
₹300
সাহিত্য ও বিদ্যাচর্চার জন্য বা তথ্য সংরক্ষণ ও আদান-প্রদানের জন্য ভাষার ব্যবহার প্রথাগত শিক্ষায় সুনিয়মিত থাকে, যা লক্ষিত হলে পাঠ্য পুস্তকে ধ্রুপদী সাহিত্যের নমুনার বিকৃতি ঘটানাে যায়, সুবােধ্য করে তোলার অজুহাতে। ভাষার বহুমাত্রিক প্রয়ােগে সুরক্ষা ও সমুল্লতির সুফল পাওয়া সম্ভব হয় ভাষার বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিত সূত্রাবলী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ অধ্যয়ন থেকে। এই সম্পর্কে অবহিত ভাষা প্রয়ােগকারী বহুমাত্রিক প্রয়ােগে সিদ্ধহস্ত। সমাজ অনুমােদিত প্রচলিত ভাষার বূপ-গুণ অক্ষুন্ন রেখে চলতে এরাই পারঙ্গম। বাণিজ্যিক ব্যবহারে স্বেচ্ছাচার জনিত ভাষা বিকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে এঁদের সচেতন সক্রিয়তা ছাড়া গত্যন্তর নেই। সেক্ষেত্রে ভাষাবিদ্যার অনুশীলনই পথ-নির্দেশক। ভাষাবিদ্যার অনুশীলন এর ক্ষেত্রে ' ভাষাবিদ্যা ও বাংলা ভাষা ' গ্রন্থটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সত্যজিৎ রায়ের গোয়েন্দা সাহিত্য ও চলচ্চিত্র
₹200
বাংলা চলচ্চিত্রের প্রারম্ভকাল থেকেই এই মাধ্যমটি বাংলা কথা সাহিত্যনির্ভর। বিশ্বের চলচ্চিত্রের ইতিহাসেও নিজের নিজের দেশের চিরায়ত উপন্যাসকে চলচ্চিত্রায়িত করার অসংখ্য নজির রয়েছে। বিশ্বখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ও রবীন্দ্রনাথ বিভূতিভূষণ প্রভাতকুমার শরদিন্দু প্রেমচন্দ পরশুরাম প্রেমেন্দ্র মিত্র তারাশঙ্কর নরেন্দ্রনাথ মিত্র উপেন্দ্রকিশাের শংকর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ প্রখ্যাত কথাসাহিত্যের রচনা চলচ্চিত্রে রূপ দিয়েছেন।
আবার ‘সােনার কেল্লা’ ও জয়বাবা ফেলুনাথ' দুটি কিশাের গােয়েন্দা উপন্যাসও চলচ্চিত্রে পরিচালনা করেছেন যা তারই রচনা। এই উপন্যাস ও চলচ্চিত্রে কাহিনিগুলি কী কী পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশিত হল, সাহিত্যিক ও পরিচালকের দুটি সত্তা কীভাবে ক্রিয়াশীল ছিল, কেন পরিবর্তন আনতে হল এ বিষয়ে প্রথম বিস্তৃত বিশ্লেষণধর্মী আলােচনা করেছেন শ্ৰীমতী ত্রিপাঠী মিত্র। বাংলা ভাষায় চলচ্চিত্র-বিষয়ক আলােচনায় ' সত্যজিৎ রায়ের গোয়েন্দা সাহিত্য ও চলচ্চিত্র ' গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টা এবং সার্থক প্রচেষ্টা।
সত্যজিৎ রায়ের গোয়েন্দা সাহিত্য ও চলচ্চিত্র
₹200
বাংলা চলচ্চিত্রের প্রারম্ভকাল থেকেই এই মাধ্যমটি বাংলা কথা সাহিত্যনির্ভর। বিশ্বের চলচ্চিত্রের ইতিহাসেও নিজের নিজের দেশের চিরায়ত উপন্যাসকে চলচ্চিত্রায়িত করার অসংখ্য নজির রয়েছে। বিশ্বখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ও রবীন্দ্রনাথ বিভূতিভূষণ প্রভাতকুমার শরদিন্দু প্রেমচন্দ পরশুরাম প্রেমেন্দ্র মিত্র তারাশঙ্কর নরেন্দ্রনাথ মিত্র উপেন্দ্রকিশাের শংকর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ প্রখ্যাত কথাসাহিত্যের রচনা চলচ্চিত্রে রূপ দিয়েছেন।
আবার ‘সােনার কেল্লা’ ও জয়বাবা ফেলুনাথ' দুটি কিশাের গােয়েন্দা উপন্যাসও চলচ্চিত্রে পরিচালনা করেছেন যা তারই রচনা। এই উপন্যাস ও চলচ্চিত্রে কাহিনিগুলি কী কী পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশিত হল, সাহিত্যিক ও পরিচালকের দুটি সত্তা কীভাবে ক্রিয়াশীল ছিল, কেন পরিবর্তন আনতে হল এ বিষয়ে প্রথম বিস্তৃত বিশ্লেষণধর্মী আলােচনা করেছেন শ্ৰীমতী ত্রিপাঠী মিত্র। বাংলা ভাষায় চলচ্চিত্র-বিষয়ক আলােচনায় ' সত্যজিৎ রায়ের গোয়েন্দা সাহিত্য ও চলচ্চিত্র ' গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টা এবং সার্থক প্রচেষ্টা।
শ্রীনারদবিরচিত সংগীত মকরন্দ
₹200
খ্রিষ্টোত্তর কালে, প্রাচীন গন্ধর্ব-জ্ঞানীদের নামানুসরণে বেশ কিছু গ্রন্থ রচিত হয়। যেমন জনৈক মতঙ্গ-মুনি রচিত “বৃহদ্দেশী”, নিঃশঙ্ক শাঙ্গদেব রচিত “সংগীত-রত্নাকর” পার্শ্বদেব রচিত “সংগীত সময়সার”... ইত্যাদি ইত্যাদি। ওই সময় নারদ নামধেয় একাধিক ব্যক্তি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন যার মধ্যে “সংগীত মকরন্দ” অন্যতম। এটি একটি সংকলন গ্রন্থ বলা যায়। বেশ কিছু প্রাচীন গ্রন্থের মূল্যবান বিষয় 'শ্রীনারদবিরচিত সংগীত মকরন্দ' গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, এই গ্রন্থ পাঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক ও সংগীতপ্রেমীরা উপকৃত হবেন।
শ্রীনারদবিরচিত সংগীত মকরন্দ
₹200
খ্রিষ্টোত্তর কালে, প্রাচীন গন্ধর্ব-জ্ঞানীদের নামানুসরণে বেশ কিছু গ্রন্থ রচিত হয়। যেমন জনৈক মতঙ্গ-মুনি রচিত “বৃহদ্দেশী”, নিঃশঙ্ক শাঙ্গদেব রচিত “সংগীত-রত্নাকর” পার্শ্বদেব রচিত “সংগীত সময়সার”... ইত্যাদি ইত্যাদি। ওই সময় নারদ নামধেয় একাধিক ব্যক্তি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন যার মধ্যে “সংগীত মকরন্দ” অন্যতম। এটি একটি সংকলন গ্রন্থ বলা যায়। বেশ কিছু প্রাচীন গ্রন্থের মূল্যবান বিষয় 'শ্রীনারদবিরচিত সংগীত মকরন্দ' গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, এই গ্রন্থ পাঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক ও সংগীতপ্রেমীরা উপকৃত হবেন।