“পঁচিশটি গল্প” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
রবীন্দ্রনাথ ও পাশ্চাত্য
Publisher: একুশ শতক
₹120
রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থের উপলক্ষ্য নন, তিনি লক্ষ্য। উপলক্ষ্য হল শ্রীযুক্ত তারকনাথ সেন মহাশয়ের একটি সুদীর্ঘ প্রবন্ধ। ‘ রবীন্দ্রনাথ ও পাশ্চাত্য ‘ গ্রন্থে রবীন্দ্র-সাহিত্যের বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ আছে কিন্তু কোন স্তুতি-নিন্দা নেই, কোন বিশিষ্ট ভাববস্তুর মূল্যবিচার বা কাব্যবিচার নেই।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-rop01
Categories:
প্রবন্ধ, রবীন্দ্র বিষয়ক, সমস্ত বই
রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থের উপলক্ষ্য নন, তিনি লক্ষ্য। উপলক্ষ্য হল শ্রীযুক্ত তারকনাথ সেন মহাশয়ের একটি সুদীর্ঘ প্রবন্ধ। ‘ রবীন্দ্রনাথ ও পাশ্চাত্য ‘ গ্রন্থে রবীন্দ্র-সাহিত্যের বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ আছে কিন্তু কোন স্তুতি-নিন্দা নেই, কোন বিশিষ্ট ভাববস্তুর মূল্যবিচার বা কাব্যবিচার নেই।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
সংগীত – সংজ্ঞার সন্ধানে রবীন্দ্রনাথ
₹300
' সংগীত ও সংজ্ঞার সন্ধানে রবীন্দ্রনাথ ' এই গ্রন্থটি অধ্যাপক চক্রবর্তীর রবীন্দ্রসংগীতের রহস্যনিকেতনে প্রবেশের সর্বশেষ অভিজ্ঞান। বহু পুষ্পকানন পরিক্রমা করে শেষ পর্যন্ত যেন ব্ৰত্মকমলের সন্ধান তিনি পেয়েছেন। কারণ এতে গীতবিতানভুক্ত যাবতীয় গানের সুরনির্দেশ আছে, সুর বা স্বরলিপির সন্ধান পাওয়া না গেলে তারও নির্দেশ আছে, আছে রচনাকাল, রাগ, তালনির্দেশ ও স্বরবিতানের উৎস নির্দেশ, গীতিসংখ্যা অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে একই গানের দ্বিবিধ উল্লেখসহ। তাছাড়া গীতবিতান বহির্ভূত বেদমন্ত্র, বৌদ্ধস্তোত্র বা অন্যান্য যে সব রচনায় রবীন্দ্রনাথ সুরারােপ করেছেন।
সংগীত – সংজ্ঞার সন্ধানে রবীন্দ্রনাথ
₹300
' সংগীত ও সংজ্ঞার সন্ধানে রবীন্দ্রনাথ ' এই গ্রন্থটি অধ্যাপক চক্রবর্তীর রবীন্দ্রসংগীতের রহস্যনিকেতনে প্রবেশের সর্বশেষ অভিজ্ঞান। বহু পুষ্পকানন পরিক্রমা করে শেষ পর্যন্ত যেন ব্ৰত্মকমলের সন্ধান তিনি পেয়েছেন। কারণ এতে গীতবিতানভুক্ত যাবতীয় গানের সুরনির্দেশ আছে, সুর বা স্বরলিপির সন্ধান পাওয়া না গেলে তারও নির্দেশ আছে, আছে রচনাকাল, রাগ, তালনির্দেশ ও স্বরবিতানের উৎস নির্দেশ, গীতিসংখ্যা অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে একই গানের দ্বিবিধ উল্লেখসহ। তাছাড়া গীতবিতান বহির্ভূত বেদমন্ত্র, বৌদ্ধস্তোত্র বা অন্যান্য যে সব রচনায় রবীন্দ্রনাথ সুরারােপ করেছেন।
বাংলা উপন্যাস ও মার্কসীয় চেতনা
₹250
মার্কসবাদ এক সমাজ - ভাবনামূলক দর্শন, এক জীবন বীক্ষা। মার্কসের ধারণা সার্বিকভাবে এখন সর্বত্র গৃহীত হয় না, মার্ক্সবাদী তত্ত্বেরও যুগে যুগে ঘটেছে বহু পরিবর্তন কিন্তু একদা সাম্রাজ্যবাদ, সামন্ত্রতন্ত্র, উপনিবেশিকতা এবং শোষণ সর্বস্ব ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে মার্কসবাদ যে সামাজিক আদর্শ জনিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল তার মূল্য অস্বীকার করা সম্ভব নয়। মার্কসীয় তত্ত্বের মধ্যে নিহিত যে আদর্শ মানুষকে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রেরণা দেয়, শ্রেণি সংঘাতের মুখোমুখি হবার উদ্দীপনা যোগায় তারই নির্যাস যুগে যুগে ধারণ করে সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের তেমনি কিছু দৃষ্টান্ত আলোচিত হয়েছে ' বাংলা উপন্যাস ও মার্কসীয় চেতনা ' গ্রন্থে।
বাংলা উপন্যাস ও মার্কসীয় চেতনা
₹250
মার্কসবাদ এক সমাজ - ভাবনামূলক দর্শন, এক জীবন বীক্ষা। মার্কসের ধারণা সার্বিকভাবে এখন সর্বত্র গৃহীত হয় না, মার্ক্সবাদী তত্ত্বেরও যুগে যুগে ঘটেছে বহু পরিবর্তন কিন্তু একদা সাম্রাজ্যবাদ, সামন্ত্রতন্ত্র, উপনিবেশিকতা এবং শোষণ সর্বস্ব ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে মার্কসবাদ যে সামাজিক আদর্শ জনিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল তার মূল্য অস্বীকার করা সম্ভব নয়। মার্কসীয় তত্ত্বের মধ্যে নিহিত যে আদর্শ মানুষকে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রেরণা দেয়, শ্রেণি সংঘাতের মুখোমুখি হবার উদ্দীপনা যোগায় তারই নির্যাস যুগে যুগে ধারণ করে সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের তেমনি কিছু দৃষ্টান্ত আলোচিত হয়েছে ' বাংলা উপন্যাস ও মার্কসীয় চেতনা ' গ্রন্থে।
নন্দকুমার
₹100
নাট্যকার হিসাবে ক্ষীরােদপ্রসাদ বিদ্যাবিনােদের যথার্থ স্থান এখনও পর্যন্ত নিরূপিত হয়েছে কিনা বলা শক্ত। তাঁকে প্রধানত আমরা চিনি, অন্তত জনপ্রিয়তার নিরিখে বিচার করলে, তাঁর নৃত্যগীতালেখ্য 'আলিবাবা' এবং পৌরাণিক নাটক 'নর-নারায়ণ- এর সৌজন্যে। পৌরাণিক নাটকে তার সামর্থ্যের কথা নাট্যসমালােচকগণ স্বীকার করেন। আলিবাবা-র জনপ্রিয়তা এখনও বিলীন নয়।
তার নাটকগুলোর মধ্যে জাতীয় প্রেমের উন্মাদনা ছিল অতি তীব্র। সম্ভবত এই কারণেই শেষােত্ত নাটকটির অভিনয় ও প্রচার বন্ধ করে দেন ইংরেজ সরকার। ক্ষীরােদপ্রসাদের নাট্যরচনার এই পর্যায়টি অনুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণের অবকাশ আমার ঘটে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ' নন্দকুমার ' নাটকটি আলােচনা করতে গিয়ে। ক্ষীরােদপ্রসাদের স্বাদেশিক বােধ তার ইতিহাস-চেতনাকে আচ্ছন্ন করেছিল কিনা এবং তাতে নাটকের ক্ষতিবৃদ্ধি কিছু ঘটেছে কিনা ইত্যাকার বিষয়ে কিছু ধারণা তৈরি করতে পেরেছিলাম। এই ক্ষুদ্র গ্রন্থটি তারই অতিসামান্য পরিচয় বহন করবে।
নন্দকুমার
₹100
নাট্যকার হিসাবে ক্ষীরােদপ্রসাদ বিদ্যাবিনােদের যথার্থ স্থান এখনও পর্যন্ত নিরূপিত হয়েছে কিনা বলা শক্ত। তাঁকে প্রধানত আমরা চিনি, অন্তত জনপ্রিয়তার নিরিখে বিচার করলে, তাঁর নৃত্যগীতালেখ্য 'আলিবাবা' এবং পৌরাণিক নাটক 'নর-নারায়ণ- এর সৌজন্যে। পৌরাণিক নাটকে তার সামর্থ্যের কথা নাট্যসমালােচকগণ স্বীকার করেন। আলিবাবা-র জনপ্রিয়তা এখনও বিলীন নয়।
তার নাটকগুলোর মধ্যে জাতীয় প্রেমের উন্মাদনা ছিল অতি তীব্র। সম্ভবত এই কারণেই শেষােত্ত নাটকটির অভিনয় ও প্রচার বন্ধ করে দেন ইংরেজ সরকার। ক্ষীরােদপ্রসাদের নাট্যরচনার এই পর্যায়টি অনুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণের অবকাশ আমার ঘটে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ' নন্দকুমার ' নাটকটি আলােচনা করতে গিয়ে। ক্ষীরােদপ্রসাদের স্বাদেশিক বােধ তার ইতিহাস-চেতনাকে আচ্ছন্ন করেছিল কিনা এবং তাতে নাটকের ক্ষতিবৃদ্ধি কিছু ঘটেছে কিনা ইত্যাকার বিষয়ে কিছু ধারণা তৈরি করতে পেরেছিলাম। এই ক্ষুদ্র গ্রন্থটি তারই অতিসামান্য পরিচয় বহন করবে।
মনসমুদ্র
₹300
সমুদ্রের মতোই মানুষের মন কখনও শান্ত কখনও উত্তাল।
এথেনা ও সায়ন দুই তরুণ তরুণী পরস্পরকে ভালবেসেছিল। মধ্যবয়স্ক মনোজের আবির্ভাবে এথেনা বদলে যায়। মনোজ যেন তাকে ভর করে। একসময় সায়নকে ছেড়ে সে মনোজের সঙ্গে ঘর বাঁধে। অন্যদিকে জয়তী স্বামীর অত্যাচারে ছিন্নবিচ্ছিন্ন। সে আশা ভরসায় নতুন করে সংসার পাততে চায় বৈরাগীর সঙ্গে। গানে ডুব দেওয়া রমানাথও এক আশ্চর্য মানুষ। সুরের জাদুতে সে অনাবিল আনন্দে মেতে থাকে।
মানুষের ক্ষতবিক্ষত মনের সন্ধানেই এই উপন্যাস যাত্রা শুরু করেছে। অলিগলি বেয়ে তা এগিয়ে গেছে অমোঘ এক সত্যের দিকে। তার নাম ভালবাসা। সায়ন, এথেনা , জয়তী, বৈরাগীরা কি পথ খুঁজে পাবে? ভালবাসা কি সত্যি শক্তিমান? তার হাতে কি উপশমের জাদুদন্ড আছে? মনসমুদ্রে অবিরাম বয়ে যাওয়া ঝড় কি কখনও শান্ত হয়ে উঠবে?
এই উপন্যাস তাই খুঁজতে চেয়েছে।
মনসমুদ্র
₹300
সমুদ্রের মতোই মানুষের মন কখনও শান্ত কখনও উত্তাল।
এথেনা ও সায়ন দুই তরুণ তরুণী পরস্পরকে ভালবেসেছিল। মধ্যবয়স্ক মনোজের আবির্ভাবে এথেনা বদলে যায়। মনোজ যেন তাকে ভর করে। একসময় সায়নকে ছেড়ে সে মনোজের সঙ্গে ঘর বাঁধে। অন্যদিকে জয়তী স্বামীর অত্যাচারে ছিন্নবিচ্ছিন্ন। সে আশা ভরসায় নতুন করে সংসার পাততে চায় বৈরাগীর সঙ্গে। গানে ডুব দেওয়া রমানাথও এক আশ্চর্য মানুষ। সুরের জাদুতে সে অনাবিল আনন্দে মেতে থাকে।
মানুষের ক্ষতবিক্ষত মনের সন্ধানেই এই উপন্যাস যাত্রা শুরু করেছে। অলিগলি বেয়ে তা এগিয়ে গেছে অমোঘ এক সত্যের দিকে। তার নাম ভালবাসা। সায়ন, এথেনা , জয়তী, বৈরাগীরা কি পথ খুঁজে পাবে? ভালবাসা কি সত্যি শক্তিমান? তার হাতে কি উপশমের জাদুদন্ড আছে? মনসমুদ্রে অবিরাম বয়ে যাওয়া ঝড় কি কখনও শান্ত হয়ে উঠবে?
এই উপন্যাস তাই খুঁজতে চেয়েছে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
সুন্দরবনের মহাল কইন্যা
₹200
সুন্দরবন সুন্দরী গরান গেঁও কেওড়ার মতো ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের এক রহস্যময় বন যে প্রহরে প্রহরে রূপ পালটায়। তাকে ঘিরে পৃথিবীর অন্যতম বিপজ্জনক মধু আহরণ করা পেশায় নিযুক্ত মউলেরা বুঝে যায় বনের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে জংলি মৌমাছি বনাম পোষা মৌমাছির অশুভ লড়াই। বদলে যাচ্ছে সুন্দরবনের পরিবেশ এবং সামাজিক পরিস্থিতি। জল-জঙ্গল কেন্দ্রিক জীবন জীবিকায় নেমে আসছে এক গভীর সংঘাত। যে লড়াইয়ে শুধু সুন্দরবন নয় বনের আদি পতঙ্গ জংলি মৌমাছির ভবিষ্যৎও বিপন্ন। মৌমাছির লড়াই রূপান্তরিত হচ্ছে দ্বীপবাসীর আর্থ-সামাজিক লড়াইয়ে। মউলেরা বোঝে মৌমাছির বাঁচা মরায় শুধু তাদের জীবন জীবিকাই নয়, বিপন্ন গোটা মানবজাতির ভবিষ্যৎ। স্বার্থান্বেষীদের বিরুদ্ধে অসম লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় প্রান্তজনেরা এবং নেতৃত্বে উঠে আসে একটি সাধারণ মেয়ে। সৃষ্টি হয় বাংলা সাহিত্যে এক অকথিত আখ্যানের ' সুন্দরবনের মহাল কইন্যা '
মৌমাছির গুরুত্ব বিষয়ে বহুপূর্বেই অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, মৌমাছি ছাড়া মানব সভ্যতার আয়ু মাত্র চার বছর। বিভিন্ন কারণে মোট মৌমাছির কুড়ি শতাংশ ইতিমধ্যে হ্রাস পেয়েছে। এই বিপন্ন অনুভূতি চেপে বসেছে এক সাধারণ যুবতী চূর্ণীর মাথায়। সে মহাল-এ গিয়ে অর্থাৎ মধু ভাঙতে গিয়ে শিখে যায় বাদাবন ও মৌমাছিদের আচার আচরণ ও ব্যথা বেদনার কথা। চূর্ণী মৌমাছিদের এই অশুভ লড়াই থামাতে চায়। দক্ষিণরায়-এর চেয়েও হিংস্র স্বার্থান্বেষী মানুষের চোখে চোখ রেখে শক্তি জুগিয়ে আস্তে আস্তে সে অস্তজ মানুষের চোখে হয়ে ওঠে বনবিবির ছায়া। কিন্তু বাদাবনে তো শুধু পালা মৌমাছিরই অনুপ্রবেশ ঘটছে না, অর্থ এবং রাজনৈতিক শক্তিতে বলীয়ান অনেক কুশীলবরাও হাজির। ফলে ডাঙার লড়াই কি চেনা গণ্ডির ছক মানবে?
সুন্দরবনের মহাল কইন্যা
₹200
সুন্দরবন সুন্দরী গরান গেঁও কেওড়ার মতো ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের এক রহস্যময় বন যে প্রহরে প্রহরে রূপ পালটায়। তাকে ঘিরে পৃথিবীর অন্যতম বিপজ্জনক মধু আহরণ করা পেশায় নিযুক্ত মউলেরা বুঝে যায় বনের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে জংলি মৌমাছি বনাম পোষা মৌমাছির অশুভ লড়াই। বদলে যাচ্ছে সুন্দরবনের পরিবেশ এবং সামাজিক পরিস্থিতি। জল-জঙ্গল কেন্দ্রিক জীবন জীবিকায় নেমে আসছে এক গভীর সংঘাত। যে লড়াইয়ে শুধু সুন্দরবন নয় বনের আদি পতঙ্গ জংলি মৌমাছির ভবিষ্যৎও বিপন্ন। মৌমাছির লড়াই রূপান্তরিত হচ্ছে দ্বীপবাসীর আর্থ-সামাজিক লড়াইয়ে। মউলেরা বোঝে মৌমাছির বাঁচা মরায় শুধু তাদের জীবন জীবিকাই নয়, বিপন্ন গোটা মানবজাতির ভবিষ্যৎ। স্বার্থান্বেষীদের বিরুদ্ধে অসম লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় প্রান্তজনেরা এবং নেতৃত্বে উঠে আসে একটি সাধারণ মেয়ে। সৃষ্টি হয় বাংলা সাহিত্যে এক অকথিত আখ্যানের ' সুন্দরবনের মহাল কইন্যা '
মৌমাছির গুরুত্ব বিষয়ে বহুপূর্বেই অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, মৌমাছি ছাড়া মানব সভ্যতার আয়ু মাত্র চার বছর। বিভিন্ন কারণে মোট মৌমাছির কুড়ি শতাংশ ইতিমধ্যে হ্রাস পেয়েছে। এই বিপন্ন অনুভূতি চেপে বসেছে এক সাধারণ যুবতী চূর্ণীর মাথায়। সে মহাল-এ গিয়ে অর্থাৎ মধু ভাঙতে গিয়ে শিখে যায় বাদাবন ও মৌমাছিদের আচার আচরণ ও ব্যথা বেদনার কথা। চূর্ণী মৌমাছিদের এই অশুভ লড়াই থামাতে চায়। দক্ষিণরায়-এর চেয়েও হিংস্র স্বার্থান্বেষী মানুষের চোখে চোখ রেখে শক্তি জুগিয়ে আস্তে আস্তে সে অস্তজ মানুষের চোখে হয়ে ওঠে বনবিবির ছায়া। কিন্তু বাদাবনে তো শুধু পালা মৌমাছিরই অনুপ্রবেশ ঘটছে না, অর্থ এবং রাজনৈতিক শক্তিতে বলীয়ান অনেক কুশীলবরাও হাজির। ফলে ডাঙার লড়াই কি চেনা গণ্ডির ছক মানবে?