Add to Wishlist
পঁচিশটি গল্প
By তৃষ্ণা বসাক
Publisher: একুশ শতক
₹300
সঞ্চরণশীল কোন বিন্দুর গতি এবং অবস্থান যেমন একই সঙ্গে নিশ্চিত করে বলা যায় না, তেমনই এই গল্পগ্রন্থের পঁচিশটি গল্পের প্রতিটিরই গম্ভব্য অনিশ্চিত, অনির্ণেয় এবং অকল্পনীয়। এই গল্পগুলি লেখকের অন্য কোনও সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। লেখকের মেধাবী, মায়াবী কলমে লেখা গল্পগুলো বারবার পড়েও ফুরিয়ে ফেলা যায় না, খুঁজে চলতে হয় দুটি শব্দের অন্তবর্তী নৈঃশব্দ্যকে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-pgtb01
সঞ্চরণশীল কোন বিন্দুর গতি এবং অবস্থান যেমন একই সঙ্গে নিশ্চিত করে বলা যায় না, তেমনই এই গল্পগ্রন্থের পঁচিশটি গল্পের প্রতিটিরই গম্ভব্য অনিশ্চিত, অনির্ণেয় এবং অকল্পনীয়। এই গল্পগুলি লেখকের অন্য কোনও সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। লেখকের মেধাবী, মায়াবী কলমে লেখা গল্পগুলো বারবার পড়েও ফুরিয়ে ফেলা যায় না, খুঁজে চলতে হয় দুটি শব্দের অন্তবর্তী নৈঃশব্দ্যকে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
অন্ধ জন্মান্ধদের কথা অথবা একটি প্রেমের উপাখ্যান
By সমীর রক্ষিত
₹100
প্রথমত এই ' অন্ধ জন্মান্ধদের কথা অথবা একটি প্রেমের উপাখ্যান ' উপন্যাসটি শারদ সংখ্যা নন্দন ২০১৫-তে প্রকাশিত হয়। স্বল্পায়তনের এই উপন্যাসটি মােটামুটি এভাবেই আমার ভাবনায় ছিল। তবে একটি দুটি ক্ষেত্রে সামান্য কিছুটা যুক্ত করার ভাবনাও ছিল। তেমনটা করেই এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হল। এই প্রসঙ্গে আমি সেই সব পাঠক-পাঠিকা ও শুভানুধ্যায়ী ও সাহিত্যিক বন্ধুদের স্বত:স্ফূর্ত মতামত জানাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অন্ধ জন্মান্ধদের কথা অথবা একটি প্রেমের উপাখ্যান
By সমীর রক্ষিত
₹100
প্রথমত এই ' অন্ধ জন্মান্ধদের কথা অথবা একটি প্রেমের উপাখ্যান ' উপন্যাসটি শারদ সংখ্যা নন্দন ২০১৫-তে প্রকাশিত হয়। স্বল্পায়তনের এই উপন্যাসটি মােটামুটি এভাবেই আমার ভাবনায় ছিল। তবে একটি দুটি ক্ষেত্রে সামান্য কিছুটা যুক্ত করার ভাবনাও ছিল। তেমনটা করেই এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হল। এই প্রসঙ্গে আমি সেই সব পাঠক-পাঠিকা ও শুভানুধ্যায়ী ও সাহিত্যিক বন্ধুদের স্বত:স্ফূর্ত মতামত জানাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
লিটল ইন্ডিয়া
₹200
দেবদাস ভট্টাচার্যের জন্ম কলকাতায় ১৯৪৭-এ। লেখার জগতে প্রবেশ সেই কৈশাের থেকে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের টানাপােড়েন সঙ্গে করে বড়াে হওয়া। স্কটিশ চার্চ কলেজ পেরিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। জীবনকে দেখার দৃষ্টি খুলছে ক্রমশ। রক্তাক্ত করছে সমাজের ক্ষতগুলাে। কর্মসূত্রে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুবাদে গ্রামে-গঞ্জে প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করার সুযােগ পাওয়া। লেখার ভেতর এসবের প্রতিফলন পাওয়া যায় ' লিটল ইন্ডিয়া ' গ্রন্থে।
লিটল ইন্ডিয়া
₹200
দেবদাস ভট্টাচার্যের জন্ম কলকাতায় ১৯৪৭-এ। লেখার জগতে প্রবেশ সেই কৈশাের থেকে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের টানাপােড়েন সঙ্গে করে বড়াে হওয়া। স্কটিশ চার্চ কলেজ পেরিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। জীবনকে দেখার দৃষ্টি খুলছে ক্রমশ। রক্তাক্ত করছে সমাজের ক্ষতগুলাে। কর্মসূত্রে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুবাদে গ্রামে-গঞ্জে প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করার সুযােগ পাওয়া। লেখার ভেতর এসবের প্রতিফলন পাওয়া যায় ' লিটল ইন্ডিয়া ' গ্রন্থে।
সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ
₹125
' সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ ' বইটির প্রথম প্রবন্ধটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আক্ৰম হােসেন সম্পাদিত উলুখাগড়া পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। অন্যান্য প্রবন্ধগুলি বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত। একেবারে শেষে যে প্রবন্ধটি রাখা হয়েছে সেটি মহাদিগন্ত পত্রিকার একটি বিশেষ সংখ্যার জন্য লেখার সব প্রবন্ধগুলি একত্রিত করার পর দেখা গেল প্রবন্ধগুলিকে ঠিকঠাক সাজালে এক যােগসূত্র পাওয়া যেতে পারে। সেজন্যই গ্রন্থরূপে প্রকাশ করা হলো।
সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ
₹125
' সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ ' বইটির প্রথম প্রবন্ধটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আক্ৰম হােসেন সম্পাদিত উলুখাগড়া পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। অন্যান্য প্রবন্ধগুলি বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত। একেবারে শেষে যে প্রবন্ধটি রাখা হয়েছে সেটি মহাদিগন্ত পত্রিকার একটি বিশেষ সংখ্যার জন্য লেখার সব প্রবন্ধগুলি একত্রিত করার পর দেখা গেল প্রবন্ধগুলিকে ঠিকঠাক সাজালে এক যােগসূত্র পাওয়া যেতে পারে। সেজন্যই গ্রন্থরূপে প্রকাশ করা হলো।
পুরুলিয়ার মন্দির
₹300
পুরুলিয়া জেলার মন্দির স্থাপত্যের হাজার বছরের ব্যাখ্যা ও মননশীল বিশ্লেষণ এই গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে। জেলার প্রস্তর নির্মিত শিখর মন্দির, পীড়া মন্দির, চারচালা, আটচালা, পঞ্চরত্ন মন্দির, জোড়বাংলা মন্দিরগুলির চিত্রসহ ও বিস্তারিত বিবরণ এখানে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রায় ৭০ টি মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা গ্রন্থের মর্যাদা বাড়িয়েছে।
পুরুলিয়ার মন্দির
₹300
পুরুলিয়া জেলার মন্দির স্থাপত্যের হাজার বছরের ব্যাখ্যা ও মননশীল বিশ্লেষণ এই গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে। জেলার প্রস্তর নির্মিত শিখর মন্দির, পীড়া মন্দির, চারচালা, আটচালা, পঞ্চরত্ন মন্দির, জোড়বাংলা মন্দিরগুলির চিত্রসহ ও বিস্তারিত বিবরণ এখানে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রায় ৭০ টি মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা গ্রন্থের মর্যাদা বাড়িয়েছে।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।