Discount applied: Discount 20%
“কারুবাসনার কবি জীবনানন্দ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
কর্পোরেট যুদ্ধ রহস্য + জিন রহস্য + দুবাইয়ের দুষ্টুচক্র
Publisher: একুশ শতক
₹700
গোয়েন্দাদের বাস্তব চরিত্রায়ন এবং তাদের যুক্তিপূর্ণ কাজকর্ম লেখকের একটি বৈশিষ্ট্য। সাসপেন্স, অ্যাকশন এবং অপ্রত্যাশিত টুইস্ট এবং টার্নের তিনটি আসক্তিমূলক গ্রন্থ যা, আপনাকে শেষ পৃষ্ঠা অবধি আগ্রহী করে রাখবে। ষড়যন্ত্র, রহস্য, লড়াই, পাল্টা-লড়াইয়ে পূর্ণ তিনটি জমজমাট বই এক কথায়, ‘আনপুটডাউনে।’
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-ddcrjr
Categories:
কিশোর সাহিত্য, গল্প, সমস্ত বই
গোয়েন্দাদের বাস্তব চরিত্রায়ন এবং তাদের যুক্তিপূর্ণ কাজকর্ম লেখকের একটি বৈশিষ্ট্য। সাসপেন্স, অ্যাকশন এবং অপ্রত্যাশিত টুইস্ট এবং টার্নের তিনটি আসক্তিমূলক গ্রন্থ যা, আপনাকে শেষ পৃষ্ঠা অবধি আগ্রহী করে রাখবে। ষড়যন্ত্র, রহস্য, লড়াই, পাল্টা-লড়াইয়ে পূর্ণ তিনটি জমজমাট বই এক কথায়, ‘আনপুটডাউনে।’
Additional information
Weight | 1.2 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
পছন্দের ৬ নাটক
By চন্দন সেন
₹150
এই সময়ের প্রবল জনপ্রিয় নাটককারদের অন্যতম প্রবীণের লেখা মঞ্চে আলােড়ন-তােলা ছটি বিচিত্র স্বাদের আধুনিক নাটক, - তিনটি বড়, তিনটি ছােট, -বিষয়ে নয়, আয়তনে। একদিকে চৈতন্যদেবের কৈশাের ও যৌবনের আশ্রয়ে গড়ে ওঠা এক ভিন্ন ব্যাখ্যার দৃশ্যকাব্য, - অন্যদিকে ক্যানিং থেকে নাম বদলে কোলকাতার এক ধর্মপ্রাণ' অভিজাত বাড়ীতে পরিচারিকার কাজ করতে আসা জাহানারাদের জীবন। সঙ্গে ইচ্ছেমৃত্যু বা মার্সি কিলিং-এর পরােক্ষে পাশে দাঁড়ানাে এক যন্ত্রণাদগ্ধ জীবনকথা। কবি পুশকিন, বিজ্ঞানী গ্যালিলিও কিংবা রাজনৈতিক উচ্চাশায় মানবিকতা বিসর্জনের আধারে লেখা তিনটি ছােট নাটক যা ইতিমধ্যেই বিষয়বৈচিত্র্যে ও প্রযােজনাগুণে দারুণ রসিকাদৃত।
পছন্দের ৬ নাটক
By চন্দন সেন
₹150
এই সময়ের প্রবল জনপ্রিয় নাটককারদের অন্যতম প্রবীণের লেখা মঞ্চে আলােড়ন-তােলা ছটি বিচিত্র স্বাদের আধুনিক নাটক, - তিনটি বড়, তিনটি ছােট, -বিষয়ে নয়, আয়তনে। একদিকে চৈতন্যদেবের কৈশাের ও যৌবনের আশ্রয়ে গড়ে ওঠা এক ভিন্ন ব্যাখ্যার দৃশ্যকাব্য, - অন্যদিকে ক্যানিং থেকে নাম বদলে কোলকাতার এক ধর্মপ্রাণ' অভিজাত বাড়ীতে পরিচারিকার কাজ করতে আসা জাহানারাদের জীবন। সঙ্গে ইচ্ছেমৃত্যু বা মার্সি কিলিং-এর পরােক্ষে পাশে দাঁড়ানাে এক যন্ত্রণাদগ্ধ জীবনকথা। কবি পুশকিন, বিজ্ঞানী গ্যালিলিও কিংবা রাজনৈতিক উচ্চাশায় মানবিকতা বিসর্জনের আধারে লেখা তিনটি ছােট নাটক যা ইতিমধ্যেই বিষয়বৈচিত্র্যে ও প্রযােজনাগুণে দারুণ রসিকাদৃত।
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
অভিধান – মার্কসীয় প্রেক্ষিত
₹500
অভিধান নিয়ে আলাদাভাবে বলার কিছু থাকে না। অভিধানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলেই অবহিত। মার্কসবাদ এক চলমান সমাজবিজ্ঞান, বিশ্ববীক্ষা। সোভিয়েতের বিদায়ের অব্যবহিত পর থেকে মার্কসবাদকে অচল বলার চেষ্টা হয়েছে প্রচুর। কিন্তু অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে-- আজকের পৃথিবীতেও মার্কসবাদের প্রাসঙ্গিকতা ক্রমবর্ধমান। তরুণ প্রজন্ম নতুন করে মার্কসবাদী বিশ্লেষণের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন পুঁজিবাদের সংকট ও আপামর মানুষের জীবনজীবিকার মৌলিক সমস্যাগুলি গভীর থেকে গভীরতর হওয়ার বাস্তবতায়। ' অভিধান - মার্কসীয় প্রেক্ষিত ' বইতে মার্কসবাদের মৌলিক বিষয়গুলি তথা মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম, সংস্কৃতি, নয়া-উদারবাদ ইত্যাদি বহুতর বিষয়ের ওপর আভিধানিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে যে বিস্তৃত আলোচনার প্রয়াস করা হয়েছে তা বাংলা ভাষায় আর নেই। এখানে আছে পৃথিবীর বিখ্যাত বিপ্লবী ও মার্কসবাদী চিন্তানায়কদের জীবনের পরিলেখ। বেশ কিছু সাম্প্রতিক বিষয়কেও মার্কসীয় সংবীক্ষণে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিশেষত আমাদের দেশে মার্কসীয় আলোকে অর্থনীতি-সমাজতত্ত্বের অন্যতম বিশ্লেষক, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অধ্যাপক ড. অসীম দাশগুপ্তর মুখবন্ধ বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
অভিধান – মার্কসীয় প্রেক্ষিত
₹500
অভিধান নিয়ে আলাদাভাবে বলার কিছু থাকে না। অভিধানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলেই অবহিত। মার্কসবাদ এক চলমান সমাজবিজ্ঞান, বিশ্ববীক্ষা। সোভিয়েতের বিদায়ের অব্যবহিত পর থেকে মার্কসবাদকে অচল বলার চেষ্টা হয়েছে প্রচুর। কিন্তু অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে-- আজকের পৃথিবীতেও মার্কসবাদের প্রাসঙ্গিকতা ক্রমবর্ধমান। তরুণ প্রজন্ম নতুন করে মার্কসবাদী বিশ্লেষণের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন পুঁজিবাদের সংকট ও আপামর মানুষের জীবনজীবিকার মৌলিক সমস্যাগুলি গভীর থেকে গভীরতর হওয়ার বাস্তবতায়। ' অভিধান - মার্কসীয় প্রেক্ষিত ' বইতে মার্কসবাদের মৌলিক বিষয়গুলি তথা মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম, সংস্কৃতি, নয়া-উদারবাদ ইত্যাদি বহুতর বিষয়ের ওপর আভিধানিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে যে বিস্তৃত আলোচনার প্রয়াস করা হয়েছে তা বাংলা ভাষায় আর নেই। এখানে আছে পৃথিবীর বিখ্যাত বিপ্লবী ও মার্কসবাদী চিন্তানায়কদের জীবনের পরিলেখ। বেশ কিছু সাম্প্রতিক বিষয়কেও মার্কসীয় সংবীক্ষণে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিশেষত আমাদের দেশে মার্কসীয় আলোকে অর্থনীতি-সমাজতত্ত্বের অন্যতম বিশ্লেষক, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অধ্যাপক ড. অসীম দাশগুপ্তর মুখবন্ধ বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
নন্দকুমার
₹100
নাট্যকার হিসাবে ক্ষীরােদপ্রসাদ বিদ্যাবিনােদের যথার্থ স্থান এখনও পর্যন্ত নিরূপিত হয়েছে কিনা বলা শক্ত। তাঁকে প্রধানত আমরা চিনি, অন্তত জনপ্রিয়তার নিরিখে বিচার করলে, তাঁর নৃত্যগীতালেখ্য 'আলিবাবা' এবং পৌরাণিক নাটক 'নর-নারায়ণ- এর সৌজন্যে। পৌরাণিক নাটকে তার সামর্থ্যের কথা নাট্যসমালােচকগণ স্বীকার করেন। আলিবাবা-র জনপ্রিয়তা এখনও বিলীন নয়।
তার নাটকগুলোর মধ্যে জাতীয় প্রেমের উন্মাদনা ছিল অতি তীব্র। সম্ভবত এই কারণেই শেষােত্ত নাটকটির অভিনয় ও প্রচার বন্ধ করে দেন ইংরেজ সরকার। ক্ষীরােদপ্রসাদের নাট্যরচনার এই পর্যায়টি অনুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণের অবকাশ আমার ঘটে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ' নন্দকুমার ' নাটকটি আলােচনা করতে গিয়ে। ক্ষীরােদপ্রসাদের স্বাদেশিক বােধ তার ইতিহাস-চেতনাকে আচ্ছন্ন করেছিল কিনা এবং তাতে নাটকের ক্ষতিবৃদ্ধি কিছু ঘটেছে কিনা ইত্যাকার বিষয়ে কিছু ধারণা তৈরি করতে পেরেছিলাম। এই ক্ষুদ্র গ্রন্থটি তারই অতিসামান্য পরিচয় বহন করবে।
নন্দকুমার
₹100
নাট্যকার হিসাবে ক্ষীরােদপ্রসাদ বিদ্যাবিনােদের যথার্থ স্থান এখনও পর্যন্ত নিরূপিত হয়েছে কিনা বলা শক্ত। তাঁকে প্রধানত আমরা চিনি, অন্তত জনপ্রিয়তার নিরিখে বিচার করলে, তাঁর নৃত্যগীতালেখ্য 'আলিবাবা' এবং পৌরাণিক নাটক 'নর-নারায়ণ- এর সৌজন্যে। পৌরাণিক নাটকে তার সামর্থ্যের কথা নাট্যসমালােচকগণ স্বীকার করেন। আলিবাবা-র জনপ্রিয়তা এখনও বিলীন নয়।
তার নাটকগুলোর মধ্যে জাতীয় প্রেমের উন্মাদনা ছিল অতি তীব্র। সম্ভবত এই কারণেই শেষােত্ত নাটকটির অভিনয় ও প্রচার বন্ধ করে দেন ইংরেজ সরকার। ক্ষীরােদপ্রসাদের নাট্যরচনার এই পর্যায়টি অনুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণের অবকাশ আমার ঘটে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ' নন্দকুমার ' নাটকটি আলােচনা করতে গিয়ে। ক্ষীরােদপ্রসাদের স্বাদেশিক বােধ তার ইতিহাস-চেতনাকে আচ্ছন্ন করেছিল কিনা এবং তাতে নাটকের ক্ষতিবৃদ্ধি কিছু ঘটেছে কিনা ইত্যাকার বিষয়ে কিছু ধারণা তৈরি করতে পেরেছিলাম। এই ক্ষুদ্র গ্রন্থটি তারই অতিসামান্য পরিচয় বহন করবে।