“রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
পঁচিশটি গল্প
₹350
২০১৫ থেকে ২০২১ এর মধ্যে লেখা ২৫ টি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ। ঘর বললেই যে দেখায় ক্যালাইডোস্কোপ ঢুকে পড়ে, ভাতের রং চেনা যায় না, উনুন ঠান্ডায় কুঁকড়ে থাকে, খিদে নেই বললেই সোনার দাম বেড়ে যায়, মানুষ পাথর খেয়ে বেঁচে থাকে, ভালোবাসার টেলিগ্রামে যেখানে সেখানে থুতু জমে, গল্পগুলি এমন দেখার মধ্যেই হেঁটে চলেছে।
পঁচিশটি গল্প
₹350
২০১৫ থেকে ২০২১ এর মধ্যে লেখা ২৫ টি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ। ঘর বললেই যে দেখায় ক্যালাইডোস্কোপ ঢুকে পড়ে, ভাতের রং চেনা যায় না, উনুন ঠান্ডায় কুঁকড়ে থাকে, খিদে নেই বললেই সোনার দাম বেড়ে যায়, মানুষ পাথর খেয়ে বেঁচে থাকে, ভালোবাসার টেলিগ্রামে যেখানে সেখানে থুতু জমে, গল্পগুলি এমন দেখার মধ্যেই হেঁটে চলেছে।
রবীন্দ্রনাথকে যতটুকু জানি
By আব্দুশ শাকুর
₹200
অপরিণত বয়সে শুনেছি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগরের নাম প্রশান্ত মহাসাগর। পরিণত বয়সে জেনেছি জগতের বৃহত্তম মহাসাগরটির নাম রবীন্দ্র মহাসাগর। সেই থেকে সত্য জরিপ করার কাজে লেগে আছি। কুলকিনারা পাচ্ছি না। গ্রন্থিত উদ্যোগসমূহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের পরম কৃতির সলেখ অধ্যয়নবিশেষ। লেখা আমার পাঠপ্রণালীর অন্তিম অধ্যায়। অধীতিপ্রসূত উপলব্ধিগুলিকে লিখে গুছিয়ে নিতে চেষ্টা করি আমি। এতে বিবেচ্য বিষয়ে বােঝার শক্তি নিজের মধ্যে যেটুকু তার পূর্ণ প্রকাশ ঘটে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, প্রকাশের দ্বারাই নিজের কাছ থেকে নিজে আমরা লাভ করি-আমাদের সেই লাভ সকলের চেয়ে সত্য। গাছ আপনার ফল ফুল পল্লব বিকাশের দ্বারাই আপন সম্পদ পায়, বাইরে থেকে তার ডালে বহুমূল্য জিনিষ ঝুলিয়ে দিলে সে তার পক্ষে ভার হয় মাত্র। অতএব বােধগম্য যে অধীত এ-রবীন্দ্রনাথের রচনা-ভাগ তারই, আমার কেবল গ্রন্থনা। এই ব্যক্তিগত অনুশীলনগুলি ' রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে যতটুকু জানি ' নামে পুস্তকরূপে পরিবেশন।
রবীন্দ্রনাথকে যতটুকু জানি
By আব্দুশ শাকুর
₹200
অপরিণত বয়সে শুনেছি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগরের নাম প্রশান্ত মহাসাগর। পরিণত বয়সে জেনেছি জগতের বৃহত্তম মহাসাগরটির নাম রবীন্দ্র মহাসাগর। সেই থেকে সত্য জরিপ করার কাজে লেগে আছি। কুলকিনারা পাচ্ছি না। গ্রন্থিত উদ্যোগসমূহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের পরম কৃতির সলেখ অধ্যয়নবিশেষ। লেখা আমার পাঠপ্রণালীর অন্তিম অধ্যায়। অধীতিপ্রসূত উপলব্ধিগুলিকে লিখে গুছিয়ে নিতে চেষ্টা করি আমি। এতে বিবেচ্য বিষয়ে বােঝার শক্তি নিজের মধ্যে যেটুকু তার পূর্ণ প্রকাশ ঘটে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, প্রকাশের দ্বারাই নিজের কাছ থেকে নিজে আমরা লাভ করি-আমাদের সেই লাভ সকলের চেয়ে সত্য। গাছ আপনার ফল ফুল পল্লব বিকাশের দ্বারাই আপন সম্পদ পায়, বাইরে থেকে তার ডালে বহুমূল্য জিনিষ ঝুলিয়ে দিলে সে তার পক্ষে ভার হয় মাত্র। অতএব বােধগম্য যে অধীত এ-রবীন্দ্রনাথের রচনা-ভাগ তারই, আমার কেবল গ্রন্থনা। এই ব্যক্তিগত অনুশীলনগুলি ' রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে যতটুকু জানি ' নামে পুস্তকরূপে পরিবেশন।
চলচ্চিত্র চিন্তন
By পার্থ রাহা
₹100
ছবির তালিকা দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি জানাতে চাই সাম্রাজ্যবাদের হুমকির সামনেও তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা আজ দেশে দেশে আন্দোলন সংগ্রামের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তথাকথিত মহাশক্তির জি-৮ দেশের ভিতরেও জাপান, ইটালিতে, খােদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল আন্দোলনের সাক্ষী তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা গ্লোবাল রসা আর ফার্নান্ডাে সােলানাসরা যাকে বলেছেন থার্ড সিনেমা। আসুন আমরা স্মরণ করি, চ্যাপলিনের সেই কালজয়ী বক্তৃতার কথাগুলি। আসুন অসম্ভবের জন্য সংগ্রাম করি। ইতিহাসের মহান ঘটনা হল যা অসম্ভব মনে হয়েছিল তাকে সম্ভব করা।
' চলচ্চিত্র চিন্তন ' সংকলনের সবচেয়ে পুরােনাে লেখা ইঙ্গম্যার বের্গম্যানকে নিয়ে। প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। আর সাম্প্রতিকতম রচনা সেন্সর শিপ প্রকাশিত হয়েছে ২০০৬-এ। এই তেত্রিশ বছর ধরে নানান পত্রপত্রিকা বা বইতে ছড়ানাে ছিটানাে রচনার সংখ্যাতাে কম নয়। সেই অগুনতি রচনা থেকে কিছু রচনা বেছে নিয়ে মলাটের ভিতরে বেঁধে রাখা হয়েছে।
আমার রচনাগুলির শেষ বিচারক আপনারা, যারা সারাদিনের ঘাম ঝরানাে হাঁটাহাঁটির পরেও বােকাবাক্সের হাতছানি এড়িয়ে এখনও বই পড়েন তারা। আমার এই রচনাগুলি আপনাদের কোনাে উপকারে লাগলেই আমার পরম প্রাপ্তি।
চলচ্চিত্র চিন্তন
By পার্থ রাহা
₹100
ছবির তালিকা দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি জানাতে চাই সাম্রাজ্যবাদের হুমকির সামনেও তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা আজ দেশে দেশে আন্দোলন সংগ্রামের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তথাকথিত মহাশক্তির জি-৮ দেশের ভিতরেও জাপান, ইটালিতে, খােদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল আন্দোলনের সাক্ষী তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা গ্লোবাল রসা আর ফার্নান্ডাে সােলানাসরা যাকে বলেছেন থার্ড সিনেমা। আসুন আমরা স্মরণ করি, চ্যাপলিনের সেই কালজয়ী বক্তৃতার কথাগুলি। আসুন অসম্ভবের জন্য সংগ্রাম করি। ইতিহাসের মহান ঘটনা হল যা অসম্ভব মনে হয়েছিল তাকে সম্ভব করা।
' চলচ্চিত্র চিন্তন ' সংকলনের সবচেয়ে পুরােনাে লেখা ইঙ্গম্যার বের্গম্যানকে নিয়ে। প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। আর সাম্প্রতিকতম রচনা সেন্সর শিপ প্রকাশিত হয়েছে ২০০৬-এ। এই তেত্রিশ বছর ধরে নানান পত্রপত্রিকা বা বইতে ছড়ানাে ছিটানাে রচনার সংখ্যাতাে কম নয়। সেই অগুনতি রচনা থেকে কিছু রচনা বেছে নিয়ে মলাটের ভিতরে বেঁধে রাখা হয়েছে।
আমার রচনাগুলির শেষ বিচারক আপনারা, যারা সারাদিনের ঘাম ঝরানাে হাঁটাহাঁটির পরেও বােকাবাক্সের হাতছানি এড়িয়ে এখনও বই পড়েন তারা। আমার এই রচনাগুলি আপনাদের কোনাে উপকারে লাগলেই আমার পরম প্রাপ্তি।
নির্বাচিত অনুক্ত
₹250
ত্রৈমাসিক অনুক্তর প্রথম পর্ব ষাট বছর আগে চার বছরের জীবন শেষ করেছিল । এক দশক পরে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল আরো বারো বছর । দুই দফায় মোট ষোলো বছর। " নির্বাচিত অনুক্ত " প্রথম চার বছরের প্রত্যেকটি সংখ্যা থেকে নির্বাচিত লেখার সংকলন। পঞ্চাশের দশকের কিছু কিছু পত্রিকা নিয়ে পাঠক মহলে মাতামাতির শেষ নেই। অথচ কবি সুনীলকুমার নন্দী সম্পাদিত অসামান্য এই পত্রিকার আলোচনা তুলনায় অনেক কম। মেধাবী পাঠক অবশ্য খোঁজ রাখেন। এক অসামান্য রত্নসম্ভার। একই সংখ্যায় বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, সুধীন দত্ত, নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রমূখর উজ্জল উপস্থিতি। ছাপা, বাধাই, লেখা ও লেখক নির্বাচন যেদিকেই চোখ যায় মনন ও মেধার মহামিলন চমকে দিতে পারে। প্রচারবিমুখ সুনীল কুমার পুত্র-স্নেহে নির্মাণ করছেন প্রত্যেকটি সংখ্যা, যা আজও বিস্ময় জাগায়। এই সংকলনের সম্পাদক সৌমিত্র লাহিড়ী কবি সুনীল নন্দীর প্রত্যক্ষ সাহায্য-সহযোগিতা ও সাহচর্য পেয়ে বাছাই করেছেন প্রত্যেকটি লেখা। আবিষ্কারের আনন্দ খননের উদ্দীপনা আর মননের প্রতিবিম্ব হয়ে ওঠা এই সংকলন মেধাসম্পন্ন পাঠকের অনন্য সংগ্রহ রূপে চিহ্নিত হওয়ার যোগ্য।
নির্বাচিত অনুক্ত
₹250
ত্রৈমাসিক অনুক্তর প্রথম পর্ব ষাট বছর আগে চার বছরের জীবন শেষ করেছিল । এক দশক পরে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল আরো বারো বছর । দুই দফায় মোট ষোলো বছর। " নির্বাচিত অনুক্ত " প্রথম চার বছরের প্রত্যেকটি সংখ্যা থেকে নির্বাচিত লেখার সংকলন। পঞ্চাশের দশকের কিছু কিছু পত্রিকা নিয়ে পাঠক মহলে মাতামাতির শেষ নেই। অথচ কবি সুনীলকুমার নন্দী সম্পাদিত অসামান্য এই পত্রিকার আলোচনা তুলনায় অনেক কম। মেধাবী পাঠক অবশ্য খোঁজ রাখেন। এক অসামান্য রত্নসম্ভার। একই সংখ্যায় বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, সুধীন দত্ত, নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রমূখর উজ্জল উপস্থিতি। ছাপা, বাধাই, লেখা ও লেখক নির্বাচন যেদিকেই চোখ যায় মনন ও মেধার মহামিলন চমকে দিতে পারে। প্রচারবিমুখ সুনীল কুমার পুত্র-স্নেহে নির্মাণ করছেন প্রত্যেকটি সংখ্যা, যা আজও বিস্ময় জাগায়। এই সংকলনের সম্পাদক সৌমিত্র লাহিড়ী কবি সুনীল নন্দীর প্রত্যক্ষ সাহায্য-সহযোগিতা ও সাহচর্য পেয়ে বাছাই করেছেন প্রত্যেকটি লেখা। আবিষ্কারের আনন্দ খননের উদ্দীপনা আর মননের প্রতিবিম্ব হয়ে ওঠা এই সংকলন মেধাসম্পন্ন পাঠকের অনন্য সংগ্রহ রূপে চিহ্নিত হওয়ার যোগ্য।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।