“গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার এবং ধর্ম” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
সুন্দরবনের সংস্কৃতি ও প্রত্নভাবনা
Publisher: একুশ শতক
₹250
কৃষ্ণকালী মন্ডল লিখিত “সুন্দরবনের সংস্কৃতি ও প্রত্নভাবনা” গ্রন্থটির প্রতিটি অধ্যায়ের বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তথ্য ও গবেষণা সমৃদ্ধ। বইটির তাত্ত্বিক আলোচনা, বিন্যাস ও লেখশৈলী পাঠককুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। বহু তথ্যসূত্র সংযোজনের ফলে বইটির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে এবং নতুন গবেষকদের সাহায্য করবে।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
কৃষ্ণকালী মন্ডল লিখিত “সুন্দরবনের সংস্কৃতি ও প্রত্নভাবনা” গ্রন্থটির প্রতিটি অধ্যায়ের বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তথ্য ও গবেষণা সমৃদ্ধ। বইটির তাত্ত্বিক আলোচনা, বিন্যাস ও লেখশৈলী পাঠককুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। বহু তথ্যসূত্র সংযোজনের ফলে বইটির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে এবং নতুন গবেষকদের সাহায্য করবে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
প্রতীচ্যের সৃষ্টি ভুবন
₹200
সমস্ত সার্থক জিজ্ঞাসাই তত্ত্বজিজ্ঞাসা। তত্ত্বের পরিশীলিত দর্পনে উদ্ভাসিত মনন ও সৃষ্টির প্রকৃত তাৎপর্যই চিন্তাবিদ প্রাবান্ধিক তপোধীর ভট্টাচার্য এই বইয়ের বিভিন্ন প্রতিবেদনে স্পষ্ট করতে চেয়েছেন। তাঁর কেন্দ্রীয় প্রত্যয় হল,মানববিশ্বে সমস্ত বয়ানই কোন না কোনভাবে ভাষাদর্শ খচিত। কালে-কালান্তরে,দেশে-দেশান্তরে যত সাহিত্যকৃতি উদ্ভুত হয়েছে, সময়ের স্বর ও অন্তঃস্বর পরিশীলিত হয়েছে নান্দনিক ও সামাজিক চেতনার নিগৃঢ় দ্বিবাচনিকতায়।অর্ন্তরবস্তু ও প্রকরন,শিল্পভাষা ও সংবিদ, বিশ্বাস ও মূল্যবোধের অবিরত খননে কিভাবে দ্বিরালাপে সার্বিক প্রতিষ্ঠা ঘটে, প্রতিটি বয়ানে প্রাবন্ধিক তা বিরল নৈপুণ্য বিশ্লেষণ করেছেন।আধুনিকতাবাদী ও আধুনিকোত্তরবাদী চিন্তাপ্রস্থানের বিভিন্ন বিভঙ্গ যেমন পর্যালোচিত হয়েছে তেমনই অন্তর্ভেদী আলোকসম্পাতে উদ্ভাসিত হয়েছেন ফ্রেডরিক জেমসন ও রবো, ও এলিয়ট সহ মার্কেজ কার্পেস্তিয়ের ফুয়েন্তেজ।
প্রতীচ্যের সৃষ্টি ভুবন
₹200
সমস্ত সার্থক জিজ্ঞাসাই তত্ত্বজিজ্ঞাসা। তত্ত্বের পরিশীলিত দর্পনে উদ্ভাসিত মনন ও সৃষ্টির প্রকৃত তাৎপর্যই চিন্তাবিদ প্রাবান্ধিক তপোধীর ভট্টাচার্য এই বইয়ের বিভিন্ন প্রতিবেদনে স্পষ্ট করতে চেয়েছেন। তাঁর কেন্দ্রীয় প্রত্যয় হল,মানববিশ্বে সমস্ত বয়ানই কোন না কোনভাবে ভাষাদর্শ খচিত। কালে-কালান্তরে,দেশে-দেশান্তরে যত সাহিত্যকৃতি উদ্ভুত হয়েছে, সময়ের স্বর ও অন্তঃস্বর পরিশীলিত হয়েছে নান্দনিক ও সামাজিক চেতনার নিগৃঢ় দ্বিবাচনিকতায়।অর্ন্তরবস্তু ও প্রকরন,শিল্পভাষা ও সংবিদ, বিশ্বাস ও মূল্যবোধের অবিরত খননে কিভাবে দ্বিরালাপে সার্বিক প্রতিষ্ঠা ঘটে, প্রতিটি বয়ানে প্রাবন্ধিক তা বিরল নৈপুণ্য বিশ্লেষণ করেছেন।আধুনিকতাবাদী ও আধুনিকোত্তরবাদী চিন্তাপ্রস্থানের বিভিন্ন বিভঙ্গ যেমন পর্যালোচিত হয়েছে তেমনই অন্তর্ভেদী আলোকসম্পাতে উদ্ভাসিত হয়েছেন ফ্রেডরিক জেমসন ও রবো, ও এলিয়ট সহ মার্কেজ কার্পেস্তিয়ের ফুয়েন্তেজ।
জানোয়ার ও অন্যান্য গল্প
₹100
আজকাল পত্রিকার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান সহসম্পাদক রুচিরা মুখােপাধ্যায়। তিনি ' জানোয়ার ও অন্যান্য গল্প ' সংকলনের সম্পাদক। তাঁর আর একটি পরিচয়-তিনি একজন পশুপ্রেমিক। 'জানােয়ার' গল্পটি তাঁর জীবনের এবং অবশ্যই আজকের সমাজের প্রতিচ্ছবি।
জানোয়ার ও অন্যান্য গল্প
₹100
আজকাল পত্রিকার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান সহসম্পাদক রুচিরা মুখােপাধ্যায়। তিনি ' জানোয়ার ও অন্যান্য গল্প ' সংকলনের সম্পাদক। তাঁর আর একটি পরিচয়-তিনি একজন পশুপ্রেমিক। 'জানােয়ার' গল্পটি তাঁর জীবনের এবং অবশ্যই আজকের সমাজের প্রতিচ্ছবি।
নির্বাচিত প্রেমের গল্প
₹300
পৃথিবীব্যাপী নানা সংঘাত, হানাহানি, বিশৃঙ্খলার মধ্যেও নরনারীর মনে প্রেমের আবেদনে বিন্দুমাত্র ভাটা নেই। নারীর চোখের ভাষা যেমন পুরুষ খোঁজে, পুরুষের চোখের ভাষাও খোঁজে নারী। নরনারীর এই অনিবার্য অনুসন্ধানের অনুভূতিই কবির কলমে রচিত হয় কবিতা, লেখকের কলমে রচিত হয় গল্প-উপন্যাস। ঈশ্বরের দুই সৃষ্টির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েই রচিত হয় মানবজীবনের ইতিহাস। পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষদের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষদের যােগাযােগের অন্যতম সূত্রও প্রেম। মানবমনে প্রেম আছে বলেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা আজও সুন্দর। সেই সুন্দরকে সুন্দরতর করে তােলে প্রেমের গল্প, প্রেমের কবিতা। প্রেমের গল্পের পাঠকের জন্য ' নির্বাচিত প্রেমের গল্প ' গ্রন্থটি একটি গ্রহণযোগ্য সংকলন।
নির্বাচিত প্রেমের গল্প
₹300
পৃথিবীব্যাপী নানা সংঘাত, হানাহানি, বিশৃঙ্খলার মধ্যেও নরনারীর মনে প্রেমের আবেদনে বিন্দুমাত্র ভাটা নেই। নারীর চোখের ভাষা যেমন পুরুষ খোঁজে, পুরুষের চোখের ভাষাও খোঁজে নারী। নরনারীর এই অনিবার্য অনুসন্ধানের অনুভূতিই কবির কলমে রচিত হয় কবিতা, লেখকের কলমে রচিত হয় গল্প-উপন্যাস। ঈশ্বরের দুই সৃষ্টির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েই রচিত হয় মানবজীবনের ইতিহাস। পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষদের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষদের যােগাযােগের অন্যতম সূত্রও প্রেম। মানবমনে প্রেম আছে বলেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা আজও সুন্দর। সেই সুন্দরকে সুন্দরতর করে তােলে প্রেমের গল্প, প্রেমের কবিতা। প্রেমের গল্পের পাঠকের জন্য ' নির্বাচিত প্রেমের গল্প ' গ্রন্থটি একটি গ্রহণযোগ্য সংকলন।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।