“ওসোর প্রেম” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
সুন্দরবনের সংস্কৃতি ও প্রত্নভাবনা
Publisher: একুশ শতক
₹250
কৃষ্ণকালী মন্ডল লিখিত “সুন্দরবনের সংস্কৃতি ও প্রত্নভাবনা” গ্রন্থটির প্রতিটি অধ্যায়ের বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তথ্য ও গবেষণা সমৃদ্ধ। বইটির তাত্ত্বিক আলোচনা, বিন্যাস ও লেখশৈলী পাঠককুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। বহু তথ্যসূত্র সংযোজনের ফলে বইটির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে এবং নতুন গবেষকদের সাহায্য করবে।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
কৃষ্ণকালী মন্ডল লিখিত “সুন্দরবনের সংস্কৃতি ও প্রত্নভাবনা” গ্রন্থটির প্রতিটি অধ্যায়ের বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তথ্য ও গবেষণা সমৃদ্ধ। বইটির তাত্ত্বিক আলোচনা, বিন্যাস ও লেখশৈলী পাঠককুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। বহু তথ্যসূত্র সংযোজনের ফলে বইটির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে এবং নতুন গবেষকদের সাহায্য করবে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
বাঙালি হিন্দুর জাত – জগৎ
₹600
বাঙলায় সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে না হলেও বাঙলার শিক্ষিত লােকের ক্ষেত্রে জাত এবং জাতির মধ্যে যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য বিদ্যমান, সে ব্যাপারে সর্বক্ষেত্রে সঠিক ধারণা থাকলেই হতো স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যে হয়নি তার প্রমাণ পাওয়া যায় শুধুমাত্র বাংলার বহু শিক্ষিত লােকের কথাবার্তা আলাপ-আলােচনা বা সভাসমিতির বক্তৃতাতেই নয়, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠিপত্রে এবং দু-একটি পুস্তকেও। তার ফলে যাদের মুশকিল হয়েছে সবচেয়ে বেশি, তারা হলেন আমাদের সাধারণ জনসমষ্টি। এই অবস্থার মধ্যেও অধিকাংশ লােকের যাতে পড়তে না হয়, তার জন্য আমরা সতর্কতা অবলম্বন করতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি।
তাই যখন আমরা জাত লিখেছি, তখন কেউই যাতে জাতি না খোঁজেন তাতে, কিংবা যখন আমরা জাতি লিখেছি তখনও কেউই যেন জাত না বােঝেন তাতে, তারজন্যও আমরা কম সতর্ক ছিলাম না বললে অত্যুক্তি হবে না। কিন্তু অতীতের কোনাে প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির কোনাে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বা সিদ্ধান্ত যখন আমাদের উদ্ধৃত করতে হয়েছে, তখন তিনি তাঁর সময়ের রীতি অনুসারে জাত এবং জাতির মধ্যে কোনাে পার্থক্য না দেখিয়ে যেভাবে জাত এবং জাতি লিখেছিলেন, আমরাও সেভাবেই শব্দ দুটি উদ্ধৃত করেছি। তা সত্ত্বেও কোন্ জাতটি হবে জাত আর কোন্ জাতটি হবে জাতি, এটা বুঝতে যেন কোনাে জটিলতার মােকাবিলা করতে না হয় কাউকেই তার জন্যও সতর্ক ছিলাম আমরা, কারণ উল্লিখিত বক্তব্যটিকে আমরা রেখে দিয়েছি উদ্ধৃতিসূচক চিহ্নের মধ্যে। জাত এবং জগৎ এর উৎপত্তি, এই বাঙালি হিন্দুর, জাত এবং জগৎ নিয়ে ভাবনা লেখক ' বাঙালি হিন্দুর জাত - জগৎ ' গ্রন্থে তুলে ধরেছেন।
বাঙালি হিন্দুর জাত – জগৎ
₹600
বাঙলায় সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে না হলেও বাঙলার শিক্ষিত লােকের ক্ষেত্রে জাত এবং জাতির মধ্যে যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য বিদ্যমান, সে ব্যাপারে সর্বক্ষেত্রে সঠিক ধারণা থাকলেই হতো স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যে হয়নি তার প্রমাণ পাওয়া যায় শুধুমাত্র বাংলার বহু শিক্ষিত লােকের কথাবার্তা আলাপ-আলােচনা বা সভাসমিতির বক্তৃতাতেই নয়, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠিপত্রে এবং দু-একটি পুস্তকেও। তার ফলে যাদের মুশকিল হয়েছে সবচেয়ে বেশি, তারা হলেন আমাদের সাধারণ জনসমষ্টি। এই অবস্থার মধ্যেও অধিকাংশ লােকের যাতে পড়তে না হয়, তার জন্য আমরা সতর্কতা অবলম্বন করতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি।
তাই যখন আমরা জাত লিখেছি, তখন কেউই যাতে জাতি না খোঁজেন তাতে, কিংবা যখন আমরা জাতি লিখেছি তখনও কেউই যেন জাত না বােঝেন তাতে, তারজন্যও আমরা কম সতর্ক ছিলাম না বললে অত্যুক্তি হবে না। কিন্তু অতীতের কোনাে প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির কোনাে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বা সিদ্ধান্ত যখন আমাদের উদ্ধৃত করতে হয়েছে, তখন তিনি তাঁর সময়ের রীতি অনুসারে জাত এবং জাতির মধ্যে কোনাে পার্থক্য না দেখিয়ে যেভাবে জাত এবং জাতি লিখেছিলেন, আমরাও সেভাবেই শব্দ দুটি উদ্ধৃত করেছি। তা সত্ত্বেও কোন্ জাতটি হবে জাত আর কোন্ জাতটি হবে জাতি, এটা বুঝতে যেন কোনাে জটিলতার মােকাবিলা করতে না হয় কাউকেই তার জন্যও সতর্ক ছিলাম আমরা, কারণ উল্লিখিত বক্তব্যটিকে আমরা রেখে দিয়েছি উদ্ধৃতিসূচক চিহ্নের মধ্যে। জাত এবং জগৎ এর উৎপত্তি, এই বাঙালি হিন্দুর, জাত এবং জগৎ নিয়ে ভাবনা লেখক ' বাঙালি হিন্দুর জাত - জগৎ ' গ্রন্থে তুলে ধরেছেন।
ফ্যাসিবাদ ভাবনা
₹100
সব দেশে ফ্যাসিবাদের বিকাশধার এক নয়। ইতিহাসও ৷ স্বভাবতই ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই-প্রতিরোধ অভিযানও বৈচিত্র্যপূর্ণ। ‘ফ্যাসিবাদ ভাবনা'য় এই বৈচিত্র ও বৈশিষ্ট উন্মোচনের চেষ্টা করা হয়েছে। বিশ্লেষণ করা হয়েছে নিজস্ব দেশীয় সংস্কৃতি, ইতিহাস অর্থনীতি সমাজ মনস্তত্ত্বর প্রেক্ষিতে সাংগঠনিক কর্মকৌশল ভিন্নভিন্ন হওয়া কেন জুরুরি, তাও৷ ভারতে ফ্যাসিবাদী শক্তির নিজস্ব বৈশিষ্টও আলোচনায় এসেছে যার থেকে বোঝা যায় গুজরাট গণহত্যার মতো ঘটনাবলী অন্যর না ঘটে কেন গুজরাটেই ঘটেছিল। জার্মানির অভিজ্ঞতায় বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে ডিমিটত গ্রামসি লুকাচের যুক্তফ্রন্ট গঠন তত্ত্বের বিচার-বিশ্লেষণ। ছকবাঁধা তত্ত্বালোচনা নয়, ছক অনুধাবনের সহায়ক হয়ে ওঠাই এই সংকলনের ছটি প্রবন্ধের মূল আকর্ষণ।
ফ্যাসিবাদ ভাবনা
₹100
সব দেশে ফ্যাসিবাদের বিকাশধার এক নয়। ইতিহাসও ৷ স্বভাবতই ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই-প্রতিরোধ অভিযানও বৈচিত্র্যপূর্ণ। ‘ফ্যাসিবাদ ভাবনা'য় এই বৈচিত্র ও বৈশিষ্ট উন্মোচনের চেষ্টা করা হয়েছে। বিশ্লেষণ করা হয়েছে নিজস্ব দেশীয় সংস্কৃতি, ইতিহাস অর্থনীতি সমাজ মনস্তত্ত্বর প্রেক্ষিতে সাংগঠনিক কর্মকৌশল ভিন্নভিন্ন হওয়া কেন জুরুরি, তাও৷ ভারতে ফ্যাসিবাদী শক্তির নিজস্ব বৈশিষ্টও আলোচনায় এসেছে যার থেকে বোঝা যায় গুজরাট গণহত্যার মতো ঘটনাবলী অন্যর না ঘটে কেন গুজরাটেই ঘটেছিল। জার্মানির অভিজ্ঞতায় বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে ডিমিটত গ্রামসি লুকাচের যুক্তফ্রন্ট গঠন তত্ত্বের বিচার-বিশ্লেষণ। ছকবাঁধা তত্ত্বালোচনা নয়, ছক অনুধাবনের সহায়ক হয়ে ওঠাই এই সংকলনের ছটি প্রবন্ধের মূল আকর্ষণ।
বুড়ো লোকটা ও সমুদ্র
By অমর দে
₹150
দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস। এটি লেখকের জীবন কালে প্রকাশিত সর্বশেষ ফিকশানধর্মী রচনা। এটা তার সেরা লেখাগুলোর একটি। উপন্যাসের প্রধান কাহিনী বর্ণিত হয়েছে উপসাগরীয় স্রোতে বিশাল এক মারলিন মাছের সাথে সান্তিয়াগোর এক বৃদ্ধ জেলের সংগ্রামের কাহিনী। ১৯৫৩ সালে " দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি " সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করে। " বুড়ো লোকটা ও সমুদ্র " তারই বাংলা অনুবাদ। অনুবাদক অমর দে।
এই উপন্যাসের সিংহভাগ জুড়ে সমুদ্র। উপন্যাসে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বুড়ো সান্তিয়াগোর সংগ্রাম কাহিনীর সাথে সাথে সমুদ্রের সূক্ষ্ম বর্ণনা পাঠককে আকৃষ্ট করে দারুণভাবে। সমুদ্রের জল কেটে বেরিয়ে যাওয়া উডুক্কু মাছ। তলা থেকে বেরিয়ে আসা নানা জাতের হাঙর। হাঙরের বিভিন্ন শারীরিক কসরত। পড়তে গেলে বিভিন্ন ঘটনা এতই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে যে, লেখক হেমিংওয়ে নিজেই বইটি সম্পর্কে বলেছেন, " আনকোরা পাঠকের জন্য এটি অন্যরকম ব্যাপার "।
উপন্যাসে দেখা যায়, সান্তিয়াগো সমুদ্রের এক বিরাট মাছকে হত্যা করে। দিনের পর দিন তাকে বড়শি বিধিয়ে রাখে। এক ভয়াবহ যন্ত্রণা পেয়েছে মাছটি। প্রথমে মাছটি যখন সহজে ধরা দেয়নি, তখন বুড়ো হুংকার ছেড়ে বলেছে ' যত বড়ই হোক, ওটাকে আমি মারবই। ওর বিরাটত্ব আর বড়াই আমি শেষ করবই।... ওকে আমি দেখাবো মানুষ কি করতে পারে আর মানুষের লেগে থাকার শক্তি কত ভয়ংকর। '
উপন্যাসে লেখক দেখিয়েছেন, যে মানুষ সম্প্রদায় মনে করে তারা বাদে দুনিয়ার বাকীসব জীবজন্তু উদ্ভিদ সবই মানুষের ভোগ্য। এবং মানুষই হচ্ছে প্রাণিজগতের রাজা, এই বুড়ো তাদেরই প্রতিনিধি। কিন্তু সমুদ্রের হাতে শেষ পর্যন্ত মানুষের প্রতিনিধি বুড়ো সান্তিয়াগোর পরাজয় হয়েছিল। এ এক অসাধারণ উপন্যাস।
বুড়ো লোকটা ও সমুদ্র
By অমর দে
₹150
দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস। এটি লেখকের জীবন কালে প্রকাশিত সর্বশেষ ফিকশানধর্মী রচনা। এটা তার সেরা লেখাগুলোর একটি। উপন্যাসের প্রধান কাহিনী বর্ণিত হয়েছে উপসাগরীয় স্রোতে বিশাল এক মারলিন মাছের সাথে সান্তিয়াগোর এক বৃদ্ধ জেলের সংগ্রামের কাহিনী। ১৯৫৩ সালে " দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি " সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করে। " বুড়ো লোকটা ও সমুদ্র " তারই বাংলা অনুবাদ। অনুবাদক অমর দে।
এই উপন্যাসের সিংহভাগ জুড়ে সমুদ্র। উপন্যাসে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বুড়ো সান্তিয়াগোর সংগ্রাম কাহিনীর সাথে সাথে সমুদ্রের সূক্ষ্ম বর্ণনা পাঠককে আকৃষ্ট করে দারুণভাবে। সমুদ্রের জল কেটে বেরিয়ে যাওয়া উডুক্কু মাছ। তলা থেকে বেরিয়ে আসা নানা জাতের হাঙর। হাঙরের বিভিন্ন শারীরিক কসরত। পড়তে গেলে বিভিন্ন ঘটনা এতই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে যে, লেখক হেমিংওয়ে নিজেই বইটি সম্পর্কে বলেছেন, " আনকোরা পাঠকের জন্য এটি অন্যরকম ব্যাপার "।
উপন্যাসে দেখা যায়, সান্তিয়াগো সমুদ্রের এক বিরাট মাছকে হত্যা করে। দিনের পর দিন তাকে বড়শি বিধিয়ে রাখে। এক ভয়াবহ যন্ত্রণা পেয়েছে মাছটি। প্রথমে মাছটি যখন সহজে ধরা দেয়নি, তখন বুড়ো হুংকার ছেড়ে বলেছে ' যত বড়ই হোক, ওটাকে আমি মারবই। ওর বিরাটত্ব আর বড়াই আমি শেষ করবই।... ওকে আমি দেখাবো মানুষ কি করতে পারে আর মানুষের লেগে থাকার শক্তি কত ভয়ংকর। '
উপন্যাসে লেখক দেখিয়েছেন, যে মানুষ সম্প্রদায় মনে করে তারা বাদে দুনিয়ার বাকীসব জীবজন্তু উদ্ভিদ সবই মানুষের ভোগ্য। এবং মানুষই হচ্ছে প্রাণিজগতের রাজা, এই বুড়ো তাদেরই প্রতিনিধি। কিন্তু সমুদ্রের হাতে শেষ পর্যন্ত মানুষের প্রতিনিধি বুড়ো সান্তিয়াগোর পরাজয় হয়েছিল। এ এক অসাধারণ উপন্যাস।
স্বাধীনতার দাবী
₹300
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক স্বাধীনতা সংগ্রামী সতেন্দ্রনাথ মজুমদারের 'স্বাধীনতার দাবী' এক অসামান্য দুর্লভ গ্রন্থ। গত শতাব্দীর তিরিশের দশকে জাতীয় কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ চাই প্রস্তাব গ্রহণ করার পর এই পূর্ণ স্বরাজ দাবির সপক্ষে যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে ক্ষুরধার কলমে ‘স্বাধীনতার দাবী' গ্রন্থ লিখেছিলেন দুঃসাহসী সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার। গ্রন্থটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সমস্ত কপি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তাই গ্রন্থটি ছিল সকলের দৃষ্টির আড়ালে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে গ্রন্থটির গুরুত্ব অসামান্য অথচ কেউই কখনো চোখে দেখার সুযোগ পাননি। ইতিহাসবিদ এবং গবেষকরা জাতীয় গ্রন্থাগার সহ সমস্ত গ্রন্থাগার তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সংগ্রহ করতে পারেন নি। শোনা যায় একটি কপি নাকি লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়মে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছিল কিন্তু কোনো ইতিহাসবিদ নিজের চোখে দেখে সে প্রসঙ্গে কিছু লেখেন নি। আশ্চর্য দুর্লভ সেই গ্রন্থ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ৯২ বছর পর প্রকাশ করা হল। ইতিহাস গবেষক ছাড়াও সাধারণ পাঠক মুগ্ধ হবেন এই গ্রন্থের ভষা, যুক্তি বিন্যাস, ইতিহাস বিশ্লেষণ ও দুঃসাহসী উপস্থাপনের গুনে।
স্বাধীনতার দাবী
₹300
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক স্বাধীনতা সংগ্রামী সতেন্দ্রনাথ মজুমদারের 'স্বাধীনতার দাবী' এক অসামান্য দুর্লভ গ্রন্থ। গত শতাব্দীর তিরিশের দশকে জাতীয় কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ চাই প্রস্তাব গ্রহণ করার পর এই পূর্ণ স্বরাজ দাবির সপক্ষে যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে ক্ষুরধার কলমে ‘স্বাধীনতার দাবী' গ্রন্থ লিখেছিলেন দুঃসাহসী সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার। গ্রন্থটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সমস্ত কপি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তাই গ্রন্থটি ছিল সকলের দৃষ্টির আড়ালে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে গ্রন্থটির গুরুত্ব অসামান্য অথচ কেউই কখনো চোখে দেখার সুযোগ পাননি। ইতিহাসবিদ এবং গবেষকরা জাতীয় গ্রন্থাগার সহ সমস্ত গ্রন্থাগার তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সংগ্রহ করতে পারেন নি। শোনা যায় একটি কপি নাকি লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়মে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছিল কিন্তু কোনো ইতিহাসবিদ নিজের চোখে দেখে সে প্রসঙ্গে কিছু লেখেন নি। আশ্চর্য দুর্লভ সেই গ্রন্থ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ৯২ বছর পর প্রকাশ করা হল। ইতিহাস গবেষক ছাড়াও সাধারণ পাঠক মুগ্ধ হবেন এই গ্রন্থের ভষা, যুক্তি বিন্যাস, ইতিহাস বিশ্লেষণ ও দুঃসাহসী উপস্থাপনের গুনে।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।