Discount applied: Discount 20%
“পণ্ডিত রবিশঙ্করের সান্নিধ্যে” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
প্রাণের প্রাণ গীতবিতানে
Publisher: একুশ শতক
₹200
গীতা-উপনিষদের পাতা খুললে বেজে ওঠে গীতবিতানের গান। আবার গান গাইতে বসলেও গীতা-উপনিষদ এসে সহযাত্রী হয় গানের মর্মলোকের পথযাত্রায়। এমনই কিছু অনুভবের কথা রয়েছে এ গ্রন্থে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-ppg01
গীতা-উপনিষদের পাতা খুললে বেজে ওঠে গীতবিতানের গান। আবার গান গাইতে বসলেও গীতা-উপনিষদ এসে সহযাত্রী হয় গানের মর্মলোকের পথযাত্রায়। এমনই কিছু অনুভবের কথা রয়েছে এ গ্রন্থে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
প্রসঙ্গ রবীন্দ্রগান
₹200
নদীকে রবীন্দ্রনাথ জপমালা বলেছেন একটি কবিতায়। জপমালা সাধ্যসাধনের মাধ্যম। নিরবচ্ছিন্ন জাপপ্রবাহ নদীর মতােই মানুষকে, ব্যক্তিকে পৌছে দেয় নৈর্ব্যক্তিক অসীমের চিরবিস্ময়ের কাছে, অনন্তের দুয়ারে। সমুদ্র সেই অনন্ত অসীমের প্রতীক। সেখানে মরজগৎ প্লাবিত হয় অমৃত প্রলেপে। এভাবেই সংস্কৃতির প্রবাহ নিরন্তর মুছে চলেছে অন্ধকারের আবর্জনা। তমসা থেকে নিয়ে যাচ্ছে জ্যোতিতে। সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় মনীষা বয়ে নিয়ে চলেছে অমৃত-মঞ্জষা - রবীন্দ্রভাবনা যার পরিণতি। গীতবিতান সেই অমৃত-পেটিকা, সােনার তরীতে কালের প্রবাহে যা প্রবাহিত। উপনিষদ থেকে শ্রীচৈতন্য, শাস্ত্রীয় থেকে লৌকিক–সংস্কৃতির সব ভাবনা-চিন্তা-দর্শনের পরিণতি এই গীতবিতান।
গীতবিতান-এর গানগুলি নিয়ে আমার চিন্তা-ভাবনা ব্যক্ত হয়েছে একাধিক গ্রন্থে। বর্তমান গ্রন্থ ' প্রসঙ্গ রবীন্দ্রগান ' তারই অনুসৃতি। এ গ্রন্থের প্রথম প্রবন্ধ-চৈতন্যপ্রবাহে দশদিশি পত্রিকায় প্রকাশিত আমার কীর্তনাঙ্গ রবীন্দ্রসংগীত-এর বর্ধিত রূপ। পরবর্তী নদী-নৌকো-নেয়ে -এর অংশবিশেষ একুশ শতক-এর উৎসব সংখ্যা ১৪২৩-এ প্রকাশিত হয়েছিল। 'গুরবে নমঃ প্রবন্ধটি 'একুশ শতক পত্রিকায় প্রকাশিত আমার পঞ্চক, মহাপঞ্চক ও রবীন্দ্রসংগীতের শুরু প্রবন্ধটির বর্ধিত রূপ।
শব্দ তরঙ্গ প্রবন্ধটিতে 'গীতবিতানে ব্যবহৃত কিছু শব্দ ও বাক্যাংশের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হয়েছে- যা শিক্ষার্থীকে গীতবিতান অনুধাবনে সহায়তা করবে। এর কিছু অংশ আমার নচিকেতার শেষ প্রশ্ন উত্তরে গীতবিতান থেকে গৃহীত। প্রস্থপাঠে পাঠক উপকৃত হবেন আশা করি।
প্রসঙ্গ রবীন্দ্রগান
₹200
নদীকে রবীন্দ্রনাথ জপমালা বলেছেন একটি কবিতায়। জপমালা সাধ্যসাধনের মাধ্যম। নিরবচ্ছিন্ন জাপপ্রবাহ নদীর মতােই মানুষকে, ব্যক্তিকে পৌছে দেয় নৈর্ব্যক্তিক অসীমের চিরবিস্ময়ের কাছে, অনন্তের দুয়ারে। সমুদ্র সেই অনন্ত অসীমের প্রতীক। সেখানে মরজগৎ প্লাবিত হয় অমৃত প্রলেপে। এভাবেই সংস্কৃতির প্রবাহ নিরন্তর মুছে চলেছে অন্ধকারের আবর্জনা। তমসা থেকে নিয়ে যাচ্ছে জ্যোতিতে। সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় মনীষা বয়ে নিয়ে চলেছে অমৃত-মঞ্জষা - রবীন্দ্রভাবনা যার পরিণতি। গীতবিতান সেই অমৃত-পেটিকা, সােনার তরীতে কালের প্রবাহে যা প্রবাহিত। উপনিষদ থেকে শ্রীচৈতন্য, শাস্ত্রীয় থেকে লৌকিক–সংস্কৃতির সব ভাবনা-চিন্তা-দর্শনের পরিণতি এই গীতবিতান।
গীতবিতান-এর গানগুলি নিয়ে আমার চিন্তা-ভাবনা ব্যক্ত হয়েছে একাধিক গ্রন্থে। বর্তমান গ্রন্থ ' প্রসঙ্গ রবীন্দ্রগান ' তারই অনুসৃতি। এ গ্রন্থের প্রথম প্রবন্ধ-চৈতন্যপ্রবাহে দশদিশি পত্রিকায় প্রকাশিত আমার কীর্তনাঙ্গ রবীন্দ্রসংগীত-এর বর্ধিত রূপ। পরবর্তী নদী-নৌকো-নেয়ে -এর অংশবিশেষ একুশ শতক-এর উৎসব সংখ্যা ১৪২৩-এ প্রকাশিত হয়েছিল। 'গুরবে নমঃ প্রবন্ধটি 'একুশ শতক পত্রিকায় প্রকাশিত আমার পঞ্চক, মহাপঞ্চক ও রবীন্দ্রসংগীতের শুরু প্রবন্ধটির বর্ধিত রূপ।
শব্দ তরঙ্গ প্রবন্ধটিতে 'গীতবিতানে ব্যবহৃত কিছু শব্দ ও বাক্যাংশের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হয়েছে- যা শিক্ষার্থীকে গীতবিতান অনুধাবনে সহায়তা করবে। এর কিছু অংশ আমার নচিকেতার শেষ প্রশ্ন উত্তরে গীতবিতান থেকে গৃহীত। প্রস্থপাঠে পাঠক উপকৃত হবেন আশা করি।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
নির্বাচিত প্রেমের গল্প
₹300
পৃথিবীব্যাপী নানা সংঘাত, হানাহানি, বিশৃঙ্খলার মধ্যেও নরনারীর মনে প্রেমের আবেদনে বিন্দুমাত্র ভাটা নেই। নারীর চোখের ভাষা যেমন পুরুষ খোঁজে, পুরুষের চোখের ভাষাও খোঁজে নারী। নরনারীর এই অনিবার্য অনুসন্ধানের অনুভূতিই কবির কলমে রচিত হয় কবিতা, লেখকের কলমে রচিত হয় গল্প-উপন্যাস। ঈশ্বরের দুই সৃষ্টির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েই রচিত হয় মানবজীবনের ইতিহাস। পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষদের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষদের যােগাযােগের অন্যতম সূত্রও প্রেম। মানবমনে প্রেম আছে বলেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা আজও সুন্দর। সেই সুন্দরকে সুন্দরতর করে তােলে প্রেমের গল্প, প্রেমের কবিতা। প্রেমের গল্পের পাঠকের জন্য ' নির্বাচিত প্রেমের গল্প ' গ্রন্থটি একটি গ্রহণযোগ্য সংকলন।
নির্বাচিত প্রেমের গল্প
₹300
পৃথিবীব্যাপী নানা সংঘাত, হানাহানি, বিশৃঙ্খলার মধ্যেও নরনারীর মনে প্রেমের আবেদনে বিন্দুমাত্র ভাটা নেই। নারীর চোখের ভাষা যেমন পুরুষ খোঁজে, পুরুষের চোখের ভাষাও খোঁজে নারী। নরনারীর এই অনিবার্য অনুসন্ধানের অনুভূতিই কবির কলমে রচিত হয় কবিতা, লেখকের কলমে রচিত হয় গল্প-উপন্যাস। ঈশ্বরের দুই সৃষ্টির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েই রচিত হয় মানবজীবনের ইতিহাস। পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষদের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষদের যােগাযােগের অন্যতম সূত্রও প্রেম। মানবমনে প্রেম আছে বলেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা আজও সুন্দর। সেই সুন্দরকে সুন্দরতর করে তােলে প্রেমের গল্প, প্রেমের কবিতা। প্রেমের গল্পের পাঠকের জন্য ' নির্বাচিত প্রেমের গল্প ' গ্রন্থটি একটি গ্রহণযোগ্য সংকলন।
পঁচিশটি গল্প
By তন্বী হালদার
₹350
এই পঁচিশটি গল্প মূলত গল্পহীন গল্প। এই ধরনের গল্প ইংরেজিতে লেখা হলেও বাংলায় খুব বেশি লেখা হয় নি। এই গল্পগুলো পড়তে বসলে নেশা না করেও অদ্ভুত এক নেশায় বুঁদ হয়ে যাওয়া যায়।
পঁচিশটি গল্প
By তন্বী হালদার
₹350
এই পঁচিশটি গল্প মূলত গল্পহীন গল্প। এই ধরনের গল্প ইংরেজিতে লেখা হলেও বাংলায় খুব বেশি লেখা হয় নি। এই গল্পগুলো পড়তে বসলে নেশা না করেও অদ্ভুত এক নেশায় বুঁদ হয়ে যাওয়া যায়।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
রাড় বাংলা দুঃখিনী মা আমার
By অমিত রায়
₹200
রাড় বাংলার প্রকৃতি ও লোকজীবনের সঙ্গে মিশে থাকে শহরের প্রাত্যহিক জীবন। এই প্রত্যক্ষতা ও সংকটের কথা তিনি ছন্দে নিয়ে আসেন সচেতন ভাবেই। ঐতিহ্যের এই পরম্পরা তার কবিতার স্বভূমি। কবিতার আদিগন্ত আকাশ।
রাড় বাংলা দুঃখিনী মা আমার
By অমিত রায়
₹200
রাড় বাংলার প্রকৃতি ও লোকজীবনের সঙ্গে মিশে থাকে শহরের প্রাত্যহিক জীবন। এই প্রত্যক্ষতা ও সংকটের কথা তিনি ছন্দে নিয়ে আসেন সচেতন ভাবেই। ঐতিহ্যের এই পরম্পরা তার কবিতার স্বভূমি। কবিতার আদিগন্ত আকাশ।