Discount applied: Discount 20%
“উধাও পথের ডাকে” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
প্রাণের প্রাণ গীতবিতানে
Publisher: একুশ শতক
₹200
গীতা-উপনিষদের পাতা খুললে বেজে ওঠে গীতবিতানের গান। আবার গান গাইতে বসলেও গীতা-উপনিষদ এসে সহযাত্রী হয় গানের মর্মলোকের পথযাত্রায়। এমনই কিছু অনুভবের কথা রয়েছে এ গ্রন্থে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-ppg01
গীতা-উপনিষদের পাতা খুললে বেজে ওঠে গীতবিতানের গান। আবার গান গাইতে বসলেও গীতা-উপনিষদ এসে সহযাত্রী হয় গানের মর্মলোকের পথযাত্রায়। এমনই কিছু অনুভবের কথা রয়েছে এ গ্রন্থে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
চলচ্চিত্র চিন্তন
By পার্থ রাহা
₹100
ছবির তালিকা দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি জানাতে চাই সাম্রাজ্যবাদের হুমকির সামনেও তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা আজ দেশে দেশে আন্দোলন সংগ্রামের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তথাকথিত মহাশক্তির জি-৮ দেশের ভিতরেও জাপান, ইটালিতে, খােদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল আন্দোলনের সাক্ষী তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা গ্লোবাল রসা আর ফার্নান্ডাে সােলানাসরা যাকে বলেছেন থার্ড সিনেমা। আসুন আমরা স্মরণ করি, চ্যাপলিনের সেই কালজয়ী বক্তৃতার কথাগুলি। আসুন অসম্ভবের জন্য সংগ্রাম করি। ইতিহাসের মহান ঘটনা হল যা অসম্ভব মনে হয়েছিল তাকে সম্ভব করা।
' চলচ্চিত্র চিন্তন ' সংকলনের সবচেয়ে পুরােনাে লেখা ইঙ্গম্যার বের্গম্যানকে নিয়ে। প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। আর সাম্প্রতিকতম রচনা সেন্সর শিপ প্রকাশিত হয়েছে ২০০৬-এ। এই তেত্রিশ বছর ধরে নানান পত্রপত্রিকা বা বইতে ছড়ানাে ছিটানাে রচনার সংখ্যাতাে কম নয়। সেই অগুনতি রচনা থেকে কিছু রচনা বেছে নিয়ে মলাটের ভিতরে বেঁধে রাখা হয়েছে।
আমার রচনাগুলির শেষ বিচারক আপনারা, যারা সারাদিনের ঘাম ঝরানাে হাঁটাহাঁটির পরেও বােকাবাক্সের হাতছানি এড়িয়ে এখনও বই পড়েন তারা। আমার এই রচনাগুলি আপনাদের কোনাে উপকারে লাগলেই আমার পরম প্রাপ্তি।
চলচ্চিত্র চিন্তন
By পার্থ রাহা
₹100
ছবির তালিকা দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি জানাতে চাই সাম্রাজ্যবাদের হুমকির সামনেও তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা আজ দেশে দেশে আন্দোলন সংগ্রামের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তথাকথিত মহাশক্তির জি-৮ দেশের ভিতরেও জাপান, ইটালিতে, খােদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল আন্দোলনের সাক্ষী তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা গ্লোবাল রসা আর ফার্নান্ডাে সােলানাসরা যাকে বলেছেন থার্ড সিনেমা। আসুন আমরা স্মরণ করি, চ্যাপলিনের সেই কালজয়ী বক্তৃতার কথাগুলি। আসুন অসম্ভবের জন্য সংগ্রাম করি। ইতিহাসের মহান ঘটনা হল যা অসম্ভব মনে হয়েছিল তাকে সম্ভব করা।
' চলচ্চিত্র চিন্তন ' সংকলনের সবচেয়ে পুরােনাে লেখা ইঙ্গম্যার বের্গম্যানকে নিয়ে। প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। আর সাম্প্রতিকতম রচনা সেন্সর শিপ প্রকাশিত হয়েছে ২০০৬-এ। এই তেত্রিশ বছর ধরে নানান পত্রপত্রিকা বা বইতে ছড়ানাে ছিটানাে রচনার সংখ্যাতাে কম নয়। সেই অগুনতি রচনা থেকে কিছু রচনা বেছে নিয়ে মলাটের ভিতরে বেঁধে রাখা হয়েছে।
আমার রচনাগুলির শেষ বিচারক আপনারা, যারা সারাদিনের ঘাম ঝরানাে হাঁটাহাঁটির পরেও বােকাবাক্সের হাতছানি এড়িয়ে এখনও বই পড়েন তারা। আমার এই রচনাগুলি আপনাদের কোনাে উপকারে লাগলেই আমার পরম প্রাপ্তি।
চায়ের সবুজ পাতায় নোনতা ছিটে
₹300
সকালে দিন শুরুতে প্রত্যাশা থাকে এক কাপ ধুমায়িত চায়ের। উঁচু নিচু সমাজের সর্বত্র চায়ের কদর। গরম চায়ের আমেজের তুলনা নেই। ঘরোয়া থেকে আন্তর্জাতিক স্তরের সব বৈঠক এবং আলোচনায় চা অপরিহার্য। বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্বচায়ের বাজারে ভারতের স্থান অনেক উঁচুতে। চা থেকে দেশে আসে দুর্লভ বিদেশি মুদ্রা। দেশে চা শিল্পপতিদের ঘরে গড়ে ওঠে মুনাফার পাহাড়। অত্যন্ত শ্রম নিবিড় চা শিল্পের মূল চালিকা শক্তি চা শ্রমিকেরা। শিল্পের সূচনা পর্বে দেশের নানা প্রান্ত থেকে অনেকটা ক্রীতদাসের মতো বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের আনা হয়েছিল। চা শ্রমিকের কাজে। তাঁরাই বংশানুক্রমে এখন চা শ্রমিক। চা শিল্পের আর্থিক বৈভবে এদের ছিটেফোঁটাও অংশীদারিত্ব নেই। তাঁদের দিনযাপন চরম দুর্দশা বঞ্চনা এবং অবহেলায়। ঘন অরণ্য দুর্গম পাহাড় ঘেরা অংশগুলিতে চা বাগানগুলির অবস্থান। চা শ্রমিকদের কান্নার আওয়াজ বাইরের সমাজ জীবনের কাছে পৌঁছায় না।
সমাজের নিচুতলার মানুষদের প্রতি, বিশেষত নারীসমাজের প্রতি অবিচার এখনও অব্যাহত। এছাড়া আদিবাসী সমাজে কুসংস্কার এবং অন্ধ রীতিনীতির অবিচারের শিকার এখনও দাপটে চলমান। আর্থিক প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতার অন্যায় দত্তের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ সীমিত ক্ষমতায় প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধে এখনও সামিল হয়। আবার ক্ষমতার আস্ফালনের সামনে মানুষ নতমস্তকে থাকলেও গৃহপালিত পশু কিন্তু অনেক সময় প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। এমনকি জীবনও দেয়।
কান্না হাসির দোলায় দোল খেয়ে কত ঘটনায় নিচুতলার মানুষও আকাশের মেঘের মতো সুখের ভেলায় ভেসে যায়। অত্যন্ত সহমর্মিতার দৃষ্টিতে সমাজের এসব বিভিন্ন দিককে নিয়ে ফুটিয়ে তোলা গল্পের কোলাজ " চায়ের সবুজ পাতায় নোনতা ছিটে " গ্রন্থ।
চায়ের সবুজ পাতায় নোনতা ছিটে
₹300
সকালে দিন শুরুতে প্রত্যাশা থাকে এক কাপ ধুমায়িত চায়ের। উঁচু নিচু সমাজের সর্বত্র চায়ের কদর। গরম চায়ের আমেজের তুলনা নেই। ঘরোয়া থেকে আন্তর্জাতিক স্তরের সব বৈঠক এবং আলোচনায় চা অপরিহার্য। বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্বচায়ের বাজারে ভারতের স্থান অনেক উঁচুতে। চা থেকে দেশে আসে দুর্লভ বিদেশি মুদ্রা। দেশে চা শিল্পপতিদের ঘরে গড়ে ওঠে মুনাফার পাহাড়। অত্যন্ত শ্রম নিবিড় চা শিল্পের মূল চালিকা শক্তি চা শ্রমিকেরা। শিল্পের সূচনা পর্বে দেশের নানা প্রান্ত থেকে অনেকটা ক্রীতদাসের মতো বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের আনা হয়েছিল। চা শ্রমিকের কাজে। তাঁরাই বংশানুক্রমে এখন চা শ্রমিক। চা শিল্পের আর্থিক বৈভবে এদের ছিটেফোঁটাও অংশীদারিত্ব নেই। তাঁদের দিনযাপন চরম দুর্দশা বঞ্চনা এবং অবহেলায়। ঘন অরণ্য দুর্গম পাহাড় ঘেরা অংশগুলিতে চা বাগানগুলির অবস্থান। চা শ্রমিকদের কান্নার আওয়াজ বাইরের সমাজ জীবনের কাছে পৌঁছায় না।
সমাজের নিচুতলার মানুষদের প্রতি, বিশেষত নারীসমাজের প্রতি অবিচার এখনও অব্যাহত। এছাড়া আদিবাসী সমাজে কুসংস্কার এবং অন্ধ রীতিনীতির অবিচারের শিকার এখনও দাপটে চলমান। আর্থিক প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতার অন্যায় দত্তের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ সীমিত ক্ষমতায় প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধে এখনও সামিল হয়। আবার ক্ষমতার আস্ফালনের সামনে মানুষ নতমস্তকে থাকলেও গৃহপালিত পশু কিন্তু অনেক সময় প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। এমনকি জীবনও দেয়।
কান্না হাসির দোলায় দোল খেয়ে কত ঘটনায় নিচুতলার মানুষও আকাশের মেঘের মতো সুখের ভেলায় ভেসে যায়। অত্যন্ত সহমর্মিতার দৃষ্টিতে সমাজের এসব বিভিন্ন দিককে নিয়ে ফুটিয়ে তোলা গল্পের কোলাজ " চায়ের সবুজ পাতায় নোনতা ছিটে " গ্রন্থ।
পাকিস্তান
₹80
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, একটি পরাধীন পরবশ দেশ দ্বিখন্ডিত হয়ে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সমস্ত শুভবুদ্ধি সেদিন পরাভূত হয়েছিল। আর এই পরাভবের উৎসে ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা। ধর্ম মানুষকে মানসিক সাহস জোগায়, সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, হৃদয়বান করে তোলে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে শেখায়, শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে, – আর আচারসর্বস্ব ধর্ম মানুষের মনে বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলে, অসহিষ্ণু করে, ভ্রষ্টাচারী করে, ঘৃণা ছড়ায়, হীনতা-নীচতা-কূপমণ্ডূকতার প্রশ্রয় দেয়।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শুধুই বেড়ে চলেছে বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস। আর তারই পরিণতিতে দেশের মধ্যেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে যদি সম্প্রীতি ও ভাবের আদান-প্রদান না থাকে, তবে সকলেরই অমঙ্গল। কবে যে আমরা এই সত্য উপলব্ধি করব? পাকিস্তান ও ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দুবেলা ভরপেট খেতে পায়না। আর দুদেশের শাসকেরাই তৈরি করছে আণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র আর অস্ত্র কিনছে বিদেশ থেকে। তলদেশে শিক্ষা পৌঁছয় না, ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, শীতের পোশাক নেই, মাথার ওপরে আচ্ছদন নেই, তবুও অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ যে কী মূঢ়তা! দুই দেশের মানুষই এই যুদ্ধ ও বিদ্বেষের বিরোধী, কিন্তু আমরা সবাই নিরুপায়। এইসব ‘নিষ্ফলা’ চিন্তা থেকেই '' পাকিস্তান ''গ্রন্থ
পাকিস্তান
₹80
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, একটি পরাধীন পরবশ দেশ দ্বিখন্ডিত হয়ে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সমস্ত শুভবুদ্ধি সেদিন পরাভূত হয়েছিল। আর এই পরাভবের উৎসে ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা। ধর্ম মানুষকে মানসিক সাহস জোগায়, সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, হৃদয়বান করে তোলে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে শেখায়, শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে, – আর আচারসর্বস্ব ধর্ম মানুষের মনে বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলে, অসহিষ্ণু করে, ভ্রষ্টাচারী করে, ঘৃণা ছড়ায়, হীনতা-নীচতা-কূপমণ্ডূকতার প্রশ্রয় দেয়।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শুধুই বেড়ে চলেছে বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস। আর তারই পরিণতিতে দেশের মধ্যেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে যদি সম্প্রীতি ও ভাবের আদান-প্রদান না থাকে, তবে সকলেরই অমঙ্গল। কবে যে আমরা এই সত্য উপলব্ধি করব? পাকিস্তান ও ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দুবেলা ভরপেট খেতে পায়না। আর দুদেশের শাসকেরাই তৈরি করছে আণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র আর অস্ত্র কিনছে বিদেশ থেকে। তলদেশে শিক্ষা পৌঁছয় না, ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, শীতের পোশাক নেই, মাথার ওপরে আচ্ছদন নেই, তবুও অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ যে কী মূঢ়তা! দুই দেশের মানুষই এই যুদ্ধ ও বিদ্বেষের বিরোধী, কিন্তু আমরা সবাই নিরুপায়। এইসব ‘নিষ্ফলা’ চিন্তা থেকেই '' পাকিস্তান ''গ্রন্থ
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
সত্তরের রাজনৈতিক উপন্যাস
₹200
মুক্তিসংগ্রামে, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গে, আশা ও হতাশায়। আনন্দ ও বিষাদে সত্তর এক বিশেক দশক। সত্তরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্দ, নানান বৈপরীত্যময় ঘটনারাজি থেকে ঔপন্যাসিকেরা তাঁদের উপন্যাসের উপাদান কুড়িয়েছেন। 'সত্তরের রাজনৈতিক উপন্যাস' সত্তরের রাজনৈতিক পটভূমিতে লেখা ২০ জন ঔপন্যাসিকের ৪০ টি উপন্যাসের আলোচনা।
সত্তরের রাজনৈতিক উপন্যাস
₹200
মুক্তিসংগ্রামে, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গে, আশা ও হতাশায়। আনন্দ ও বিষাদে সত্তর এক বিশেক দশক। সত্তরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্দ, নানান বৈপরীত্যময় ঘটনারাজি থেকে ঔপন্যাসিকেরা তাঁদের উপন্যাসের উপাদান কুড়িয়েছেন। 'সত্তরের রাজনৈতিক উপন্যাস' সত্তরের রাজনৈতিক পটভূমিতে লেখা ২০ জন ঔপন্যাসিকের ৪০ টি উপন্যাসের আলোচনা।