“পথের দর্শন ও বাংলা উপন্যাস” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
রাড় বাংলা দুঃখিনী মা আমার
By অমিত রায়
Publisher: একুশ শতক
₹200
রাড় বাংলার প্রকৃতি ও লোকজীবনের সঙ্গে মিশে থাকে শহরের প্রাত্যহিক জীবন। এই প্রত্যক্ষতা ও সংকটের কথা তিনি ছন্দে নিয়ে আসেন সচেতন ভাবেই। ঐতিহ্যের এই পরম্পরা তার কবিতার স্বভূমি। কবিতার আদিগন্ত আকাশ।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES - dukhhini ma amar 001
রাড় বাংলার প্রকৃতি ও লোকজীবনের সঙ্গে মিশে থাকে শহরের প্রাত্যহিক জীবন। এই প্রত্যক্ষতা ও সংকটের কথা তিনি ছন্দে নিয়ে আসেন সচেতন ভাবেই। ঐতিহ্যের এই পরম্পরা তার কবিতার স্বভূমি। কবিতার আদিগন্ত আকাশ।
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
আধুনিক শিল্পভাবনা : ইমপ্রেশনিজম
By অসীম রেজ
₹150
আধুনিক শিল্প ভাবনা : ইমপ্রেশনিজম' গ্রন্থটিতে শিল্পান্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের কাজ ও তার বৈশিষ্টাগুলি বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিকভাবে আলােচনা সূত্রে এসেছে শিল্পীদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন, তৎকালীন ফ্রান্সের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল এবং এর নিরিখে তাদের শিল্পসৃষ্টির নিরন্তর সংগ্রামের চিত্রটি। প্রধান পাঁচজন শিল্পীর কর্মময় জীবনের ইতিহাসটির ভিতর আলােচনা সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। এই পাঁচজন প্রসিদ্ধ শিল্পীরা হলেন-ক্লোদ মানে (১৮৪০-১৯২৬), এলুয়ার মানে (১৮৩২-১৮৮৩), কামীল পিসারো (১৮৩০-১৯০৩), পিয়ের-অগন্ত রেনোয়া (১৮৪১-১৯১৯) এবং এদগার দেগা (১৮৩৪-১৯১৭)।
আধুনিক শিল্পের উন্মেষপর্বে যে শিল্পান্দোলনটি ইউরােপ বিশেষত ফ্রান্সের শিল্প জগতকে আলোড়িত করেছিল সেটি হল 'ইমপ্রেশনিজম (Impressionism) বা প্রতিবাদ। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ফ্রান্সে এই আন্দোলনটি জন্ম এবং বৃদ্ধি লাভ করে। ক্লোদ মানে( Claude Monet) র ইমপ্রেশন : সানরাইজ (১৮৭২) শিরােনামে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে যে বিতর্কের সুত্রপাত হয় তারই ফলম্বরূপ ইমপ্রেশনিজম শিল্পরীতির জন্ম। উনবিংশ শতাব্দী মাঝামাঝি ফ্রান্সে বাস্তবধর্মী (Realism) শিল্পকলার সূত্র গরে এবং সকল রকম আতিশয্য ও কৃত্রিমতা ত্যাগ করে প্রকৃতির প্রত্যক্ষ অনুসরণে এই যুগান্তকারী শিল্পভাবনাটি জন্ম নিয়েছিল। প্রকৃতির বিস্তারিত বর্ণনার পরিবর্তে তার ধারণামূলক অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা ছিল এ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।
গোটা বিংশ শতাব্দীর আধুনিক শিল্প ভাবনাটি যেন এই শিল্পান্দোলনটির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। প্রায় দেড়শত বছর ধরে সারা বিশ্বব্যাপী এই শিল্পরীতির প্রভাব আজও অনুভূত হয়।
আধুনিক শিল্পভাবনা : ইমপ্রেশনিজম
By অসীম রেজ
₹150
আধুনিক শিল্প ভাবনা : ইমপ্রেশনিজম' গ্রন্থটিতে শিল্পান্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের কাজ ও তার বৈশিষ্টাগুলি বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিকভাবে আলােচনা সূত্রে এসেছে শিল্পীদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন, তৎকালীন ফ্রান্সের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল এবং এর নিরিখে তাদের শিল্পসৃষ্টির নিরন্তর সংগ্রামের চিত্রটি। প্রধান পাঁচজন শিল্পীর কর্মময় জীবনের ইতিহাসটির ভিতর আলােচনা সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। এই পাঁচজন প্রসিদ্ধ শিল্পীরা হলেন-ক্লোদ মানে (১৮৪০-১৯২৬), এলুয়ার মানে (১৮৩২-১৮৮৩), কামীল পিসারো (১৮৩০-১৯০৩), পিয়ের-অগন্ত রেনোয়া (১৮৪১-১৯১৯) এবং এদগার দেগা (১৮৩৪-১৯১৭)।
আধুনিক শিল্পের উন্মেষপর্বে যে শিল্পান্দোলনটি ইউরােপ বিশেষত ফ্রান্সের শিল্প জগতকে আলোড়িত করেছিল সেটি হল 'ইমপ্রেশনিজম (Impressionism) বা প্রতিবাদ। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ফ্রান্সে এই আন্দোলনটি জন্ম এবং বৃদ্ধি লাভ করে। ক্লোদ মানে( Claude Monet) র ইমপ্রেশন : সানরাইজ (১৮৭২) শিরােনামে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে যে বিতর্কের সুত্রপাত হয় তারই ফলম্বরূপ ইমপ্রেশনিজম শিল্পরীতির জন্ম। উনবিংশ শতাব্দী মাঝামাঝি ফ্রান্সে বাস্তবধর্মী (Realism) শিল্পকলার সূত্র গরে এবং সকল রকম আতিশয্য ও কৃত্রিমতা ত্যাগ করে প্রকৃতির প্রত্যক্ষ অনুসরণে এই যুগান্তকারী শিল্পভাবনাটি জন্ম নিয়েছিল। প্রকৃতির বিস্তারিত বর্ণনার পরিবর্তে তার ধারণামূলক অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা ছিল এ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।
গোটা বিংশ শতাব্দীর আধুনিক শিল্প ভাবনাটি যেন এই শিল্পান্দোলনটির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। প্রায় দেড়শত বছর ধরে সারা বিশ্বব্যাপী এই শিল্পরীতির প্রভাব আজও অনুভূত হয়।
রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চা
₹200
ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে গৌতম বুদ্ধই একমাত্র মহামানব যাঁর চারিত্রমহিমায় আকৃষ্ট রবীন্দ্রনাথ তার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতিকে জীবনে গভীরভাবে উপলব্ধি করে তাকে জাতীয় জীবনে স্থান দিয়েছেন। রবীন্দ্রসাহিত্যে বুদ্ধ যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে বাংলাসাহিত্যে তার তুলনা নেই। রবীন্দ্রনাথের কথায় : এই পৃথিবীতে আমরা রাজা নই, সৈনিক নই, বণিক নই, আমরা ভিক্ষু। আমাদের বুদ্ধ ছিলেন ভিক্ষু, আমাদের দেশের যারা পূজ্যতম ঋষি ছিলেন তাঁরা ছিলেন ভিক্ষু -তাঁরা ধনের শৃঙ্খল গলায় পরেননি বলেই রক্ষা পেয়েছেন এবং রক্ষা করেছেন। বিশ্বমানবের সংজ্ঞায় রবীন্দ্রনাথের কাছে বুদ্ধ ছিলেন একান্তভাবে অপরিহার্য নাম।
গৌতম বুদ্ধ ও রবীন্দ্রনাথ উভয়েই স্বদেশ, স্বকাল সমুত্তীর্ণ হয়ে সর্বকালীন ব্যক্তিত্বে ইতিহাসে চির উদ্ভাসিত। সময়ের ভাবনার বৃত্তে যেমন তেমনি সময়ােত্তীর্ণ ভাবনার বৃত্তে উভয়েরই ভূমিকা অনিঃশেষ।
' রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চা ' গ্রন্থে নানা রচনায় রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চাকে খুজে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে; ১৬ জন প্রাবন্ধিকের লেখায় যা ধরা পড়েছে বিভিন্ন ভাবে ও ভাবনায়।
রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চা
₹200
ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে গৌতম বুদ্ধই একমাত্র মহামানব যাঁর চারিত্রমহিমায় আকৃষ্ট রবীন্দ্রনাথ তার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতিকে জীবনে গভীরভাবে উপলব্ধি করে তাকে জাতীয় জীবনে স্থান দিয়েছেন। রবীন্দ্রসাহিত্যে বুদ্ধ যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে বাংলাসাহিত্যে তার তুলনা নেই। রবীন্দ্রনাথের কথায় : এই পৃথিবীতে আমরা রাজা নই, সৈনিক নই, বণিক নই, আমরা ভিক্ষু। আমাদের বুদ্ধ ছিলেন ভিক্ষু, আমাদের দেশের যারা পূজ্যতম ঋষি ছিলেন তাঁরা ছিলেন ভিক্ষু -তাঁরা ধনের শৃঙ্খল গলায় পরেননি বলেই রক্ষা পেয়েছেন এবং রক্ষা করেছেন। বিশ্বমানবের সংজ্ঞায় রবীন্দ্রনাথের কাছে বুদ্ধ ছিলেন একান্তভাবে অপরিহার্য নাম।
গৌতম বুদ্ধ ও রবীন্দ্রনাথ উভয়েই স্বদেশ, স্বকাল সমুত্তীর্ণ হয়ে সর্বকালীন ব্যক্তিত্বে ইতিহাসে চির উদ্ভাসিত। সময়ের ভাবনার বৃত্তে যেমন তেমনি সময়ােত্তীর্ণ ভাবনার বৃত্তে উভয়েরই ভূমিকা অনিঃশেষ।
' রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চা ' গ্রন্থে নানা রচনায় রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চাকে খুজে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে; ১৬ জন প্রাবন্ধিকের লেখায় যা ধরা পড়েছে বিভিন্ন ভাবে ও ভাবনায়।
পরিবেশ ও সাহিত্যের দেশ মহাদেশ
By শুভঙ্কর গুহ
₹300
সাহিত্য, পরিবেশ, সংস্কৃতি ও প্রান্তিক জীবন নিয়ে আলোচনা ও রচনার সংকলন এই গ্রন্থ। বাঙলা, ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য এই জীবন্ত গ্রহের মহাসাগরীয় সম্পদ। গোটা বিশ্বে উপনিবেশিক শাসন ও লুণ্ঠন উত্তর ঔপনিবেশিক পরবর্তী সময়ে মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে আজও ধস্ত করে যাচ্ছে। সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রবাহ কিন্তু নিজের গতিতেই এগিয়ে চলে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিজের মতো করে মানিয়ে নেয় সময়ের ঘাত প্রতিঘাতে। এই সংকলনে তেমনই ভাবনার প্রকাশ ঘটেছে। মহাবিশ্বের পরিবেশ ও নিসর্গ সাহিত্য রচনার প্রধান সহায়ক। সাহিত্য, মাঠ ঘাটের নিসর্গ, নদ নদী, বিজ্ঞাপন সংস্কৃতি ও প্রান্তিক জীবনের কথাবার্তা নিয়েই কিছু রচনা এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য।
পরিবেশ ও সাহিত্যের দেশ মহাদেশ
By শুভঙ্কর গুহ
₹300
সাহিত্য, পরিবেশ, সংস্কৃতি ও প্রান্তিক জীবন নিয়ে আলোচনা ও রচনার সংকলন এই গ্রন্থ। বাঙলা, ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য এই জীবন্ত গ্রহের মহাসাগরীয় সম্পদ। গোটা বিশ্বে উপনিবেশিক শাসন ও লুণ্ঠন উত্তর ঔপনিবেশিক পরবর্তী সময়ে মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে আজও ধস্ত করে যাচ্ছে। সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রবাহ কিন্তু নিজের গতিতেই এগিয়ে চলে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিজের মতো করে মানিয়ে নেয় সময়ের ঘাত প্রতিঘাতে। এই সংকলনে তেমনই ভাবনার প্রকাশ ঘটেছে। মহাবিশ্বের পরিবেশ ও নিসর্গ সাহিত্য রচনার প্রধান সহায়ক। সাহিত্য, মাঠ ঘাটের নিসর্গ, নদ নদী, বিজ্ঞাপন সংস্কৃতি ও প্রান্তিক জীবনের কথাবার্তা নিয়েই কিছু রচনা এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।