“ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
শিশুমন
Publisher: একুশ শতক
₹200
লেখক উত্তম কুমার খাঁ এর অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “শিশুমন”। শিশুমনের সহজ সরল সুক্ষ অনুভূতি গুলিকে সম্মান জানিয়ে তাঁর এই গ্রন্থ। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
Tags:
shishumon, uttam kumar kha, উত্তম কুমার খাঁ, শিশুমন
লেখক উত্তম কুমার খাঁ এর অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “শিশুমন”। শিশুমনের সহজ সরল সুক্ষ অনুভূতি গুলিকে সম্মান জানিয়ে তাঁর এই গ্রন্থ। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
বিধানচন্দ্র ও সমকাল
₹300
স্বাধীনতা পরবর্তী প্রায় দেড়দশক পচিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ডঃ বিধানচন্দ্র রায়। একজন কিংবদন্তি মানুষ। তাঁর ধ্বন্বন্তরী ডাক্তারী এবং মুখ্যমন্ত্রীত্ব প্রসঙ্গে অজস্র গল্প ছড়িয়ে আছে। কিন্তু প্রকৃত নির্মোহ বিশ্লেষণ নেই বললেই চলে। গবেষণাও বিশেষ হয় নি। সেই অভাব ঘুচিয়ে দিয়েছেন ডঃ নীলেন্দু সেনগুপ্ত তাঁর বিধানচন্দ্র ও সমকাল গ্রন্থে। গবেষণায় সমকালের রাজনীতি অর্থনীতি এবং দেশকাল ভাবনার মননশীল উপস্থাপনে স্বাধীনতা উত্তর পশ্চিমবঙ্গ চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিধানচন্দ্র এবং পশ্চিমবঙ্গ চর্চায় এক অপরিহার্য গ্রন্থ। কৌতুহলী পাঠকের বাড়তি পাওনা জ্যোতি বসুর দৃষ্টিতে বিধানচন্দ্র।
বিধানচন্দ্র ও সমকাল
₹300
স্বাধীনতা পরবর্তী প্রায় দেড়দশক পচিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ডঃ বিধানচন্দ্র রায়। একজন কিংবদন্তি মানুষ। তাঁর ধ্বন্বন্তরী ডাক্তারী এবং মুখ্যমন্ত্রীত্ব প্রসঙ্গে অজস্র গল্প ছড়িয়ে আছে। কিন্তু প্রকৃত নির্মোহ বিশ্লেষণ নেই বললেই চলে। গবেষণাও বিশেষ হয় নি। সেই অভাব ঘুচিয়ে দিয়েছেন ডঃ নীলেন্দু সেনগুপ্ত তাঁর বিধানচন্দ্র ও সমকাল গ্রন্থে। গবেষণায় সমকালের রাজনীতি অর্থনীতি এবং দেশকাল ভাবনার মননশীল উপস্থাপনে স্বাধীনতা উত্তর পশ্চিমবঙ্গ চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিধানচন্দ্র এবং পশ্চিমবঙ্গ চর্চায় এক অপরিহার্য গ্রন্থ। কৌতুহলী পাঠকের বাড়তি পাওনা জ্যোতি বসুর দৃষ্টিতে বিধানচন্দ্র।
রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য
By উৎপল ঝা
₹200
তার অবলম্বন, তার ঈশ্বর-রবীন্দ্রনাথ। পূর্ণতার কাছাকাছি কতদূর পৌঁছতে পারেন একজন মানুষ তার অমােঘ-উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রবীন্দ্রনাথ। একদিকে রবীন্দ্রনাথ অন্যদিকে বাকি ভুবন বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির জগত। পেশার সূত্রেই মিলেছিল সৃজনশীল শিল্পী-সাহিত্যিকদের ঘনিষ্ঠভাবে জানবার। গড়ে উঠেছিল বই ও পত্র-পত্রিকার জগতের সঙ্গে এক নিবিড় সম্পর্ক। ' রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য ' বইয়ের দু-মলাটের মাঝে সেই সব প্রসঙ্গ, যা চার দশক ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বয়ান নয়, নেহাত সংবেদনশীল অনুভব। ভেসে যাওয়ারই কথা, তবু ধরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা হয়তাে।
রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য
By উৎপল ঝা
₹200
তার অবলম্বন, তার ঈশ্বর-রবীন্দ্রনাথ। পূর্ণতার কাছাকাছি কতদূর পৌঁছতে পারেন একজন মানুষ তার অমােঘ-উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রবীন্দ্রনাথ। একদিকে রবীন্দ্রনাথ অন্যদিকে বাকি ভুবন বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির জগত। পেশার সূত্রেই মিলেছিল সৃজনশীল শিল্পী-সাহিত্যিকদের ঘনিষ্ঠভাবে জানবার। গড়ে উঠেছিল বই ও পত্র-পত্রিকার জগতের সঙ্গে এক নিবিড় সম্পর্ক। ' রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য ' বইয়ের দু-মলাটের মাঝে সেই সব প্রসঙ্গ, যা চার দশক ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বয়ান নয়, নেহাত সংবেদনশীল অনুভব। ভেসে যাওয়ারই কথা, তবু ধরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা হয়তাে।
তিরিশ কাহন
₹250
একগুচ্ছ বিভিন্ন স্বাদের প্রবন্ধ নিয়ে এই গ্রন্থ 'তিরিশ কাহন'। লেখক অতীত জীবনের কথা বলতে গিয়ে যে সরল ও অকৃত্তিম গ্রাম্য সমাজ ও জীবনের চিত্র তুলে ধরেছেন তা পাঠক মনে এক অনন্য অনুভূতির সৃষ্টি করবে।
তিরিশ কাহন
₹250
একগুচ্ছ বিভিন্ন স্বাদের প্রবন্ধ নিয়ে এই গ্রন্থ 'তিরিশ কাহন'। লেখক অতীত জীবনের কথা বলতে গিয়ে যে সরল ও অকৃত্তিম গ্রাম্য সমাজ ও জীবনের চিত্র তুলে ধরেছেন তা পাঠক মনে এক অনন্য অনুভূতির সৃষ্টি করবে।
কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ
₹250
What is self? How can the self be grasped? কীভাবে আমার সত্তা পারিপার্শ্বিক পরিসরে এবং সময়ােচিত কারণে ভাবনার নানা নির্যাসকে গড়ে তােলে—এই দুটো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পাঠ-বিন্যাসের প্রচেষ্টা। উপন্যাস ও গল্পের সুবিন্যস্ত প্রেক্ষাপটে নিজের চিন্তাগুলােকে একটু গুছিয়ে নেওয়া। বিশ থেকে একুশ শতকের নানা সময়ে প্রকাশিত গল্প-উপন্যাসগুলিতে সেই প্রয়াসকেই একজন নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে গুছিয়ে তুলতে চেয়েছি সময়ের অন্তত এবং বহিত পরিসরে, যেহেতু ' কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ ' গ্রন্থটি স্ব-নির্বাচিত গল্প-উপনাসের পাঠ প্রতিক্রিয়ার।
উপন্যাস সম্বন্ধে নিজের ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে মিলান কুন্দেরা সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেছিলেন তার "The Art of Novel" গ্রন্থে। এই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন, বােঝাতে গিয়ে বলেছিলেন তা যেন ঠিক খােলসে আবৃত শামুকের মতাে। শামুক তার নিজেকে ঢাকবার (সে নিরাপত্তার আধারও হতে পারে) খােলসটিকে সঙ্গে নিয়েই চলে। প্রয়োজনে সে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে। তখন মুখ আর মুখােশের আড়ালটা বােঝা যায় না। অন্যদিকে আবার বলা যায় এতটাই সংশ্লিষ্ট এই নির্ভরতা। শামুক যেমন খােলসে আধারিত হয়েই আছে ঠিক তেমনি মানুষও পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে লীন হয়েই আছে। তাই আধারের পরিবর্তনের সাথে সাথে আয়ের পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর সেই আধার-বন্দি মানুষের যাপনের নানা মাত্রিকতাকে উপন্যাস ধারণ করে তার ভাষায়। উপন্যাসে যদি তা ঘটে থাকে বিস্তারিত ধারায় তবে ছােটোগল্পে এর সংহত রূপকেই পাঠ করেন পাঠক।
তাই বলা যায়, কথাসাহিত্যের দুটি ধারাতেই পাঠক বিস্মিত আবিষ্কারক এবং অভিযাত্রীর ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ-অভিজ্ঞতার মাত্রাও পরিবর্তিত হয়।
কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ
₹250
What is self? How can the self be grasped? কীভাবে আমার সত্তা পারিপার্শ্বিক পরিসরে এবং সময়ােচিত কারণে ভাবনার নানা নির্যাসকে গড়ে তােলে—এই দুটো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পাঠ-বিন্যাসের প্রচেষ্টা। উপন্যাস ও গল্পের সুবিন্যস্ত প্রেক্ষাপটে নিজের চিন্তাগুলােকে একটু গুছিয়ে নেওয়া। বিশ থেকে একুশ শতকের নানা সময়ে প্রকাশিত গল্প-উপন্যাসগুলিতে সেই প্রয়াসকেই একজন নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে গুছিয়ে তুলতে চেয়েছি সময়ের অন্তত এবং বহিত পরিসরে, যেহেতু ' কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ ' গ্রন্থটি স্ব-নির্বাচিত গল্প-উপনাসের পাঠ প্রতিক্রিয়ার।
উপন্যাস সম্বন্ধে নিজের ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে মিলান কুন্দেরা সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেছিলেন তার "The Art of Novel" গ্রন্থে। এই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন, বােঝাতে গিয়ে বলেছিলেন তা যেন ঠিক খােলসে আবৃত শামুকের মতাে। শামুক তার নিজেকে ঢাকবার (সে নিরাপত্তার আধারও হতে পারে) খােলসটিকে সঙ্গে নিয়েই চলে। প্রয়োজনে সে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে। তখন মুখ আর মুখােশের আড়ালটা বােঝা যায় না। অন্যদিকে আবার বলা যায় এতটাই সংশ্লিষ্ট এই নির্ভরতা। শামুক যেমন খােলসে আধারিত হয়েই আছে ঠিক তেমনি মানুষও পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে লীন হয়েই আছে। তাই আধারের পরিবর্তনের সাথে সাথে আয়ের পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর সেই আধার-বন্দি মানুষের যাপনের নানা মাত্রিকতাকে উপন্যাস ধারণ করে তার ভাষায়। উপন্যাসে যদি তা ঘটে থাকে বিস্তারিত ধারায় তবে ছােটোগল্পে এর সংহত রূপকেই পাঠ করেন পাঠক।
তাই বলা যায়, কথাসাহিত্যের দুটি ধারাতেই পাঠক বিস্মিত আবিষ্কারক এবং অভিযাত্রীর ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ-অভিজ্ঞতার মাত্রাও পরিবর্তিত হয়।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।