“এক নারীবাদীর গল্প” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
রাড় বাংলা দুঃখিনী মা আমার
By অমিত রায়
Publisher: একুশ শতক
₹200
রাড় বাংলার প্রকৃতি ও লোকজীবনের সঙ্গে মিশে থাকে শহরের প্রাত্যহিক জীবন। এই প্রত্যক্ষতা ও সংকটের কথা তিনি ছন্দে নিয়ে আসেন সচেতন ভাবেই। ঐতিহ্যের এই পরম্পরা তার কবিতার স্বভূমি। কবিতার আদিগন্ত আকাশ।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES - dukhhini ma amar 001
রাড় বাংলার প্রকৃতি ও লোকজীবনের সঙ্গে মিশে থাকে শহরের প্রাত্যহিক জীবন। এই প্রত্যক্ষতা ও সংকটের কথা তিনি ছন্দে নিয়ে আসেন সচেতন ভাবেই। ঐতিহ্যের এই পরম্পরা তার কবিতার স্বভূমি। কবিতার আদিগন্ত আকাশ।
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
মধ্যযুগের বাংলা কাব্য – মন্দ মধুর হাওয়া
₹250
বঙ্গপ্রদেশে তুর্কি-আক্রমণ বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতির ঐতিহ্যময় শিকড়ে যে গভীর ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল—তাকে অস্বীকার করে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি নির্ণীত হতে পারেনি। তুর্কি-শাসন পরবর্তী প্রায় সাড়ে পাঁচশাে বছরের বাঙালি তার প্রাচীন-ঐতিহ্যের সঙ্গে সংঘাত ও আপােসের মধ্য দিয়ে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে নিরন্তর সচেষ্ট থেকেছে। বঙ্গপ্রদেশের অধিবাসী বাঙালি হলেও সেই বাঙালি কখনাে অভিন্ন জাতিসত্তায় বিকশিত হতে পারেনি-তার নানাবিধ উচ্চারণ ওই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে শােনা যায়। মধ্যযুগীয় সেই বঙ্গপ্রদেশ আজ পুবে-পশ্চিমে ধর্মীয় বাতাবরণে বিভাজিত।
হিন্দু-বাঙালির মন মধ্যযুগীয় মন্দ-মধুর হাওয়ায় সৃজন করতে চেয়েছে আপন সত্তা—আর সে-সত্তার গঠন ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য তৈরির মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চারিত হয়েছে। যদিও ইসলামি-সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে সেদিনের সাহিত্য স্ফুর্তিলাভ করতে পারেনি। এই উত্তরাধুনিক সময়েও সেই অতীতের পুনরাবৃত্তি কিংবা তাকে স্মরণ করলে মধ্যযুগের সাহিত্যের পাঠ অসম্পূর্ণ থেকে যায় - সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না । অ-বিরুনির কথায়—“শিক্ষা হল পুনরাবৃত্তির সুফল। এ-গ্রন্থ প্রকল্পে বাঙালির সমাজ-ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সে-কথাই উচ্চারিত হতে দেখা যাবে।
মধ্যযুগের বাংলা কাব্য – মন্দ মধুর হাওয়া
₹250
বঙ্গপ্রদেশে তুর্কি-আক্রমণ বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতির ঐতিহ্যময় শিকড়ে যে গভীর ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল—তাকে অস্বীকার করে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি নির্ণীত হতে পারেনি। তুর্কি-শাসন পরবর্তী প্রায় সাড়ে পাঁচশাে বছরের বাঙালি তার প্রাচীন-ঐতিহ্যের সঙ্গে সংঘাত ও আপােসের মধ্য দিয়ে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে নিরন্তর সচেষ্ট থেকেছে। বঙ্গপ্রদেশের অধিবাসী বাঙালি হলেও সেই বাঙালি কখনাে অভিন্ন জাতিসত্তায় বিকশিত হতে পারেনি-তার নানাবিধ উচ্চারণ ওই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে শােনা যায়। মধ্যযুগীয় সেই বঙ্গপ্রদেশ আজ পুবে-পশ্চিমে ধর্মীয় বাতাবরণে বিভাজিত।
হিন্দু-বাঙালির মন মধ্যযুগীয় মন্দ-মধুর হাওয়ায় সৃজন করতে চেয়েছে আপন সত্তা—আর সে-সত্তার গঠন ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য তৈরির মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চারিত হয়েছে। যদিও ইসলামি-সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে সেদিনের সাহিত্য স্ফুর্তিলাভ করতে পারেনি। এই উত্তরাধুনিক সময়েও সেই অতীতের পুনরাবৃত্তি কিংবা তাকে স্মরণ করলে মধ্যযুগের সাহিত্যের পাঠ অসম্পূর্ণ থেকে যায় - সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না । অ-বিরুনির কথায়—“শিক্ষা হল পুনরাবৃত্তির সুফল। এ-গ্রন্থ প্রকল্পে বাঙালির সমাজ-ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সে-কথাই উচ্চারিত হতে দেখা যাবে।
পঁচিশটি গল্প
By অনিল ঘোষ
₹500
জীবন যেন নিরন্তর যাত্রাপথ। আমরা চলি অজস্র মুখের মিছিলের মধ্যে, তাঁদের অসহায়তা বিপন্নতা নিয়ে, হাসি-কান্না-সুখ-দুঃখ নিয়ে। গ্রাম থেকে শহর কোথাও এর ব্যত্যয় নেই। কখনও নীরব অথচ বাঙময় রণক্ষেত্রে দাঁতে-নখে লড়াই, কখনও সুন্দরবনের ওঝা গুনিনের মোহের অন্ধকার ছিঁড়েখুড়ে আলোর যাত্রায়, কখনও পানীয় জল নিয়ে লুটপাটের তামাসিকতায়, গণধর্ষণের পরিমণ্ডল পেরিয়ে জীবনের উদ্দেশ্যে জলযাত্রায়, প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পরিচিত পথে, ইতিহাসের না-জানা অধ্যায়ে নিরন্তর চলাই যেন সত্য। সেইসব চলার পথের সামান্য দু একটা কণা নিয়ে এই সংকলন। পঁচিশটি গল্প লেখকের তিরিশ বছরের সাধনার ফসল।
পঁচিশটি গল্প
By অনিল ঘোষ
₹500
জীবন যেন নিরন্তর যাত্রাপথ। আমরা চলি অজস্র মুখের মিছিলের মধ্যে, তাঁদের অসহায়তা বিপন্নতা নিয়ে, হাসি-কান্না-সুখ-দুঃখ নিয়ে। গ্রাম থেকে শহর কোথাও এর ব্যত্যয় নেই। কখনও নীরব অথচ বাঙময় রণক্ষেত্রে দাঁতে-নখে লড়াই, কখনও সুন্দরবনের ওঝা গুনিনের মোহের অন্ধকার ছিঁড়েখুড়ে আলোর যাত্রায়, কখনও পানীয় জল নিয়ে লুটপাটের তামাসিকতায়, গণধর্ষণের পরিমণ্ডল পেরিয়ে জীবনের উদ্দেশ্যে জলযাত্রায়, প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পরিচিত পথে, ইতিহাসের না-জানা অধ্যায়ে নিরন্তর চলাই যেন সত্য। সেইসব চলার পথের সামান্য দু একটা কণা নিয়ে এই সংকলন। পঁচিশটি গল্প লেখকের তিরিশ বছরের সাধনার ফসল।
মধ্যবিত্ত
₹150
গল্পে রাজনীতির ছোঁয়া দেখলে কারও কারও মনে সংশয় ও সন্দেহ দেখা দেয়। মনে করেন সাহিত্যের জাত গেল। আমি কিন্তু তা মনে করি না। প্রত্যেক রাজনীতির পেছনেই থাকে দর্শনের ভিত। আর দর্শন ছাড়া সাহিত্য মূল্যহীন হয়ে পড়ে। তাই সাহিত্যে সমাজ ও রাজনীতি এবং সময় হাত ধরাধরি করে চলাই স্বাভাবিক।
আমার প্রতিটি গল্পই এক অর্থে রাজনৈতিক। কখনও কখনও একটু বেশি মাত্রায় রাজনৈতিক ভাবনার প্রকাশও হয়তো ঘটেছে। গল্পগুলি এক সঙ্গে আবার পড়ে মনে হল ব্যক্তিগত অনুভূতির বর্ণমালা অনেক ক্ষেত্রেই স্পষ্টতা পেয়েছে। চেনা চেনা মানুষের মুখ এখানে-ওখানে ছড়িয়েছিটিয়ে আছে। তবে প্রথাগতভাবে হক কথা অঙ্কের মতো রাজনীতি মিশিয়ে গল্প লেখার চেষ্টা করিনি, আবার নিজের বিশ্বাসের ভূমি থেকেও সরে আসিনি। বিচারের এই মানদণ্ডেই গল্পগুলি সংকলিত হল মধ্যবিত্ত গ্রন্থে।
মধ্যবিত্ত
₹150
গল্পে রাজনীতির ছোঁয়া দেখলে কারও কারও মনে সংশয় ও সন্দেহ দেখা দেয়। মনে করেন সাহিত্যের জাত গেল। আমি কিন্তু তা মনে করি না। প্রত্যেক রাজনীতির পেছনেই থাকে দর্শনের ভিত। আর দর্শন ছাড়া সাহিত্য মূল্যহীন হয়ে পড়ে। তাই সাহিত্যে সমাজ ও রাজনীতি এবং সময় হাত ধরাধরি করে চলাই স্বাভাবিক।
আমার প্রতিটি গল্পই এক অর্থে রাজনৈতিক। কখনও কখনও একটু বেশি মাত্রায় রাজনৈতিক ভাবনার প্রকাশও হয়তো ঘটেছে। গল্পগুলি এক সঙ্গে আবার পড়ে মনে হল ব্যক্তিগত অনুভূতির বর্ণমালা অনেক ক্ষেত্রেই স্পষ্টতা পেয়েছে। চেনা চেনা মানুষের মুখ এখানে-ওখানে ছড়িয়েছিটিয়ে আছে। তবে প্রথাগতভাবে হক কথা অঙ্কের মতো রাজনীতি মিশিয়ে গল্প লেখার চেষ্টা করিনি, আবার নিজের বিশ্বাসের ভূমি থেকেও সরে আসিনি। বিচারের এই মানদণ্ডেই গল্পগুলি সংকলিত হল মধ্যবিত্ত গ্রন্থে।
পণ্ডিত রবিশঙ্করের সান্নিধ্যে
₹100
চীন সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৮৩ সালে সেদেশে যান পণ্ডিত রবিশঙ্কর। এই সফরে তাঁর অন্যতম সঙ্গী ছিলেন অন্তরঙ্গ শিষ্য শ্যামাদাস চক্রবর্তী। ' পণ্ডিত রবিশঙ্করের সান্নিধ্যে ' গ্রন্থের প্রথমাংশে রয়েছে সেই চীনভ্রমণের বিস্তারিত বিবরণ। এছাড়া রয়েছে মানুষ ও শিল্পী হিসাবে রবিশঙ্করজীর সম্বন্ধে নানা খুঁটিনাটি তথ্য। গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগে পরিশিষ্টাংশে যুক্ত হয়েছে। কবিরাজ অখিলচন্দ্র ভট্টাচার্য, ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ, অন্নপূর্ণা দেবী ও পণ্ডিত রবিশঙ্কর সম্বন্ধে লেখক ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ। এছাড়া আছে খাঁ সাহেব ও অন্নপূর্ণাজীর সংগীত ও সংগীতশিক্ষা নিয়ে নানা উক্তি ও নির্দেশ। সর্বোপরি রয়েছে। পণ্ডিতজীর সাংগীতিক সত্তার বহুতর বিভাবের সশ্রদ্ধ উন্মােচন।
পণ্ডিত রবিশঙ্করের সান্নিধ্যে
₹100
চীন সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৮৩ সালে সেদেশে যান পণ্ডিত রবিশঙ্কর। এই সফরে তাঁর অন্যতম সঙ্গী ছিলেন অন্তরঙ্গ শিষ্য শ্যামাদাস চক্রবর্তী। ' পণ্ডিত রবিশঙ্করের সান্নিধ্যে ' গ্রন্থের প্রথমাংশে রয়েছে সেই চীনভ্রমণের বিস্তারিত বিবরণ। এছাড়া রয়েছে মানুষ ও শিল্পী হিসাবে রবিশঙ্করজীর সম্বন্ধে নানা খুঁটিনাটি তথ্য। গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগে পরিশিষ্টাংশে যুক্ত হয়েছে। কবিরাজ অখিলচন্দ্র ভট্টাচার্য, ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ, অন্নপূর্ণা দেবী ও পণ্ডিত রবিশঙ্কর সম্বন্ধে লেখক ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ। এছাড়া আছে খাঁ সাহেব ও অন্নপূর্ণাজীর সংগীত ও সংগীতশিক্ষা নিয়ে নানা উক্তি ও নির্দেশ। সর্বোপরি রয়েছে। পণ্ডিতজীর সাংগীতিক সত্তার বহুতর বিভাবের সশ্রদ্ধ উন্মােচন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা
₹150
ধর্ম নয়, সংস্কৃতি ও ভাষার বন্ধন বিশ্বের তেত্রিশ কোটি বাঙালির জাতীয়তাবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দিয়েছে। ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশের বাঙালি জাতিসত্তা বুঝিয়ে দিয়েছে অভিন্ন সম্প্রীতির সংস্কৃতির শেকড় বাংলার মাটিতে প্রােথিত হলে ধর্মের অপব্যবহার তাকে কোনােদিনও উন্মুল করতে পারে না। এই বিবেচনায় -ই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালের কলকাতার সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা হৃৎকমলের টানে প্রায় এক কোটি উদ্বাস্তু বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছেন। পশ্চিমবাংলার বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে পাক-সেনাদের বর্বরােচিত আক্রমণকে পরাভূত করার জন্য সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেছেন। শিল্প মাধ্যমের সব দিগন্তই তখন আগুন ঝরার বর্ণমালা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার প্রতিনিধিস্থানীয় কবি ও অ-প্রধান কবিদের কলম থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতাজ্ঞাপন, মাতৃভূমির স্মৃতি, পাক-বাহিনীর প্রতি তীব্র ধিক্কার, ঘৃণা এবং প্রতিবাদ, প্রতিরােধের যে স্ফুলিঙ্গ একদিন কাব্যিক ব্যাঞ্জনায় এবং কঠিনে-কোমলে, শ্লেষে আটপৌড়ে শব্দের ধনুর্বাণ হয়ে কবিতার শরীর নির্মাণ করেছিল, সাংস্কৃতিক হাতিয়ার হিসেবে এই কবিতা দুইবাংলার বাঙালিকে জাগ্রত করেছিল, উজ্জীবিত করেছিল, তারই একটি সুনির্বাচিত ঐতিহাসিক দলিল এই রাজনৈতিক কাব্য-সংকলন ' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা '। এই কবিতাগুলাে একটি বিশেষ সময় ও ক্রান্তিকালকে অন্বীত করেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা
₹150
ধর্ম নয়, সংস্কৃতি ও ভাষার বন্ধন বিশ্বের তেত্রিশ কোটি বাঙালির জাতীয়তাবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দিয়েছে। ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশের বাঙালি জাতিসত্তা বুঝিয়ে দিয়েছে অভিন্ন সম্প্রীতির সংস্কৃতির শেকড় বাংলার মাটিতে প্রােথিত হলে ধর্মের অপব্যবহার তাকে কোনােদিনও উন্মুল করতে পারে না। এই বিবেচনায় -ই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালের কলকাতার সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা হৃৎকমলের টানে প্রায় এক কোটি উদ্বাস্তু বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছেন। পশ্চিমবাংলার বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে পাক-সেনাদের বর্বরােচিত আক্রমণকে পরাভূত করার জন্য সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেছেন। শিল্প মাধ্যমের সব দিগন্তই তখন আগুন ঝরার বর্ণমালা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার প্রতিনিধিস্থানীয় কবি ও অ-প্রধান কবিদের কলম থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতাজ্ঞাপন, মাতৃভূমির স্মৃতি, পাক-বাহিনীর প্রতি তীব্র ধিক্কার, ঘৃণা এবং প্রতিবাদ, প্রতিরােধের যে স্ফুলিঙ্গ একদিন কাব্যিক ব্যাঞ্জনায় এবং কঠিনে-কোমলে, শ্লেষে আটপৌড়ে শব্দের ধনুর্বাণ হয়ে কবিতার শরীর নির্মাণ করেছিল, সাংস্কৃতিক হাতিয়ার হিসেবে এই কবিতা দুইবাংলার বাঙালিকে জাগ্রত করেছিল, উজ্জীবিত করেছিল, তারই একটি সুনির্বাচিত ঐতিহাসিক দলিল এই রাজনৈতিক কাব্য-সংকলন ' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা '। এই কবিতাগুলাে একটি বিশেষ সময় ও ক্রান্তিকালকে অন্বীত করেছে।