“বঙ্গ রঙ্গমঞ্চে গিরিশ কারনাড” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
শব্দবিন্দু
Publisher: একুশ শতক
₹200
অনুগল্পে ইতােমধ্যে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন তিনি। গদ্যরচনায় তার এক বিশেষ মুন্সিয়ানা আছে, যা অনুকরণ করা যায় না। তার লেখা মূলত দর্শনমুখী। শুধু জীবন নয়, জীবনকে অতিক্রম করার অভিলাষ তাঁর সৃষ্টিতে বার বার উঠে এসেছে। বর্তমান ‘ শব্দবিন্দু ‘ সংকলনটি পাঠকের মন ছুঁতে পারবে—এই প্রত্যাশা রইলাে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-s01
অনুগল্পে ইতােমধ্যে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন তিনি। গদ্যরচনায় তার এক বিশেষ মুন্সিয়ানা আছে, যা অনুকরণ করা যায় না। তার লেখা মূলত দর্শনমুখী। শুধু জীবন নয়, জীবনকে অতিক্রম করার অভিলাষ তাঁর সৃষ্টিতে বার বার উঠে এসেছে। বর্তমান ‘ শব্দবিন্দু ‘ সংকলনটি পাঠকের মন ছুঁতে পারবে—এই প্রত্যাশা রইলাে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল
₹200
লেখক তাঁর কর্মজীবনের সতের বৎসর (১৯৯০-১৯৭৭) প্ল্যানিং কমিশনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন ভারতের এই সময়টি সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রভৃতি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একদিকে চীনের ও পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম, জরুরি অবস্থা ঘোষণা, অন্যদিকে সবুজ বিপ্লবসহ অনেক উন্নতি মূলক পরিকল্পনা। লেখক সুনিপুণ ভাবে এই সমস্ত ঘটনা এবং দিল্লির তখনকার জীবনধারা, সরকারী সংস্থার আভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ রাষ্ট্রসংঘের উপদেষ্টারূপে লেখক আফগানিস্তানের কাবুল শহরে ছিলেন। রাষ্ট্রবিপ্লব ও সংঘাতের প্রত্যক্ষদর্শীরূপে লেখক নানা সমস্যা জর্জরিত ও বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বাস্তব আলেখ্য ও একটি নির্ভরযোগ্য ইতিহাস উপহার দিয়েছেন। " গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল " বাংলা ভাষায় এক অনন্য গ্রন্থ।
গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল
₹200
লেখক তাঁর কর্মজীবনের সতের বৎসর (১৯৯০-১৯৭৭) প্ল্যানিং কমিশনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন ভারতের এই সময়টি সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রভৃতি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একদিকে চীনের ও পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম, জরুরি অবস্থা ঘোষণা, অন্যদিকে সবুজ বিপ্লবসহ অনেক উন্নতি মূলক পরিকল্পনা। লেখক সুনিপুণ ভাবে এই সমস্ত ঘটনা এবং দিল্লির তখনকার জীবনধারা, সরকারী সংস্থার আভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ রাষ্ট্রসংঘের উপদেষ্টারূপে লেখক আফগানিস্তানের কাবুল শহরে ছিলেন। রাষ্ট্রবিপ্লব ও সংঘাতের প্রত্যক্ষদর্শীরূপে লেখক নানা সমস্যা জর্জরিত ও বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বাস্তব আলেখ্য ও একটি নির্ভরযোগ্য ইতিহাস উপহার দিয়েছেন। " গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল " বাংলা ভাষায় এক অনন্য গ্রন্থ।
কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ
₹250
What is self? How can the self be grasped? কীভাবে আমার সত্তা পারিপার্শ্বিক পরিসরে এবং সময়ােচিত কারণে ভাবনার নানা নির্যাসকে গড়ে তােলে—এই দুটো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পাঠ-বিন্যাসের প্রচেষ্টা। উপন্যাস ও গল্পের সুবিন্যস্ত প্রেক্ষাপটে নিজের চিন্তাগুলােকে একটু গুছিয়ে নেওয়া। বিশ থেকে একুশ শতকের নানা সময়ে প্রকাশিত গল্প-উপন্যাসগুলিতে সেই প্রয়াসকেই একজন নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে গুছিয়ে তুলতে চেয়েছি সময়ের অন্তত এবং বহিত পরিসরে, যেহেতু ' কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ ' গ্রন্থটি স্ব-নির্বাচিত গল্প-উপনাসের পাঠ প্রতিক্রিয়ার।
উপন্যাস সম্বন্ধে নিজের ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে মিলান কুন্দেরা সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেছিলেন তার "The Art of Novel" গ্রন্থে। এই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন, বােঝাতে গিয়ে বলেছিলেন তা যেন ঠিক খােলসে আবৃত শামুকের মতাে। শামুক তার নিজেকে ঢাকবার (সে নিরাপত্তার আধারও হতে পারে) খােলসটিকে সঙ্গে নিয়েই চলে। প্রয়োজনে সে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে। তখন মুখ আর মুখােশের আড়ালটা বােঝা যায় না। অন্যদিকে আবার বলা যায় এতটাই সংশ্লিষ্ট এই নির্ভরতা। শামুক যেমন খােলসে আধারিত হয়েই আছে ঠিক তেমনি মানুষও পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে লীন হয়েই আছে। তাই আধারের পরিবর্তনের সাথে সাথে আয়ের পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর সেই আধার-বন্দি মানুষের যাপনের নানা মাত্রিকতাকে উপন্যাস ধারণ করে তার ভাষায়। উপন্যাসে যদি তা ঘটে থাকে বিস্তারিত ধারায় তবে ছােটোগল্পে এর সংহত রূপকেই পাঠ করেন পাঠক।
তাই বলা যায়, কথাসাহিত্যের দুটি ধারাতেই পাঠক বিস্মিত আবিষ্কারক এবং অভিযাত্রীর ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ-অভিজ্ঞতার মাত্রাও পরিবর্তিত হয়।
কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ
₹250
What is self? How can the self be grasped? কীভাবে আমার সত্তা পারিপার্শ্বিক পরিসরে এবং সময়ােচিত কারণে ভাবনার নানা নির্যাসকে গড়ে তােলে—এই দুটো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পাঠ-বিন্যাসের প্রচেষ্টা। উপন্যাস ও গল্পের সুবিন্যস্ত প্রেক্ষাপটে নিজের চিন্তাগুলােকে একটু গুছিয়ে নেওয়া। বিশ থেকে একুশ শতকের নানা সময়ে প্রকাশিত গল্প-উপন্যাসগুলিতে সেই প্রয়াসকেই একজন নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে গুছিয়ে তুলতে চেয়েছি সময়ের অন্তত এবং বহিত পরিসরে, যেহেতু ' কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ ' গ্রন্থটি স্ব-নির্বাচিত গল্প-উপনাসের পাঠ প্রতিক্রিয়ার।
উপন্যাস সম্বন্ধে নিজের ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে মিলান কুন্দেরা সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেছিলেন তার "The Art of Novel" গ্রন্থে। এই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন, বােঝাতে গিয়ে বলেছিলেন তা যেন ঠিক খােলসে আবৃত শামুকের মতাে। শামুক তার নিজেকে ঢাকবার (সে নিরাপত্তার আধারও হতে পারে) খােলসটিকে সঙ্গে নিয়েই চলে। প্রয়োজনে সে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে। তখন মুখ আর মুখােশের আড়ালটা বােঝা যায় না। অন্যদিকে আবার বলা যায় এতটাই সংশ্লিষ্ট এই নির্ভরতা। শামুক যেমন খােলসে আধারিত হয়েই আছে ঠিক তেমনি মানুষও পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে লীন হয়েই আছে। তাই আধারের পরিবর্তনের সাথে সাথে আয়ের পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর সেই আধার-বন্দি মানুষের যাপনের নানা মাত্রিকতাকে উপন্যাস ধারণ করে তার ভাষায়। উপন্যাসে যদি তা ঘটে থাকে বিস্তারিত ধারায় তবে ছােটোগল্পে এর সংহত রূপকেই পাঠ করেন পাঠক।
তাই বলা যায়, কথাসাহিত্যের দুটি ধারাতেই পাঠক বিস্মিত আবিষ্কারক এবং অভিযাত্রীর ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ-অভিজ্ঞতার মাত্রাও পরিবর্তিত হয়।
উত্তরমেরু প্রান্তের দেশ ফিনল্যাণ্ড ভ্রমণ
By সমীর রক্ষিত
₹100
সমীর রক্ষিত স্থপতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক। স্থাপত্যে সংরক্ষণ ও পুননির্মাণের তিনি বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে ইতালির রােমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আশির দশকে। তখন থেকেই এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ইউরােপের বিভিন্ন দেশে। ১৯৯১ সালে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্পে ফিনল্যান্ডে যান। সেখানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভারতীয় স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বক্তৃতা দেন এবং দেশের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিষয়ে বিশেষভাবে পরিচিত হন। এইসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী একদা সােভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়াও ভ্রমণ করেন। পরে যান সুইডেনে। এই তিনটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুচারু ভঙ্গীতে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থিত করেছেন ' ' গ্রন্থটিতে।
তার কলমের শক্তির উৎস মানুষ-সমাজ-সমকাল। এই শক্তিতে তিনি উজ্জ্বল শিল্পদৃষ্টির গভীর প্রতীষ্ঠা দিয়েছেন। একটু নজর করলেই বােঝা যায় সাহিত্য শিল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন অন্যতর এক মাত্রাও - তা বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের জীবনের সম্পর্ক। বস্তুত লেখক একজন প্রযুক্তিবিদ। ফলে এই ভ্রমণকাহিনী শুধুই তথ্য হয়ে থাকেনি, তা বহু চরিত্রের মাধ্যমে সপ্রাণ ও সজীব হয়ে উঠেছে।
উত্তরমেরু প্রান্তের দেশ ফিনল্যাণ্ড ভ্রমণ
By সমীর রক্ষিত
₹100
সমীর রক্ষিত স্থপতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক। স্থাপত্যে সংরক্ষণ ও পুননির্মাণের তিনি বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে ইতালির রােমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আশির দশকে। তখন থেকেই এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ইউরােপের বিভিন্ন দেশে। ১৯৯১ সালে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্পে ফিনল্যান্ডে যান। সেখানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভারতীয় স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বক্তৃতা দেন এবং দেশের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিষয়ে বিশেষভাবে পরিচিত হন। এইসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী একদা সােভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়াও ভ্রমণ করেন। পরে যান সুইডেনে। এই তিনটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুচারু ভঙ্গীতে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থিত করেছেন ' ' গ্রন্থটিতে।
তার কলমের শক্তির উৎস মানুষ-সমাজ-সমকাল। এই শক্তিতে তিনি উজ্জ্বল শিল্পদৃষ্টির গভীর প্রতীষ্ঠা দিয়েছেন। একটু নজর করলেই বােঝা যায় সাহিত্য শিল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন অন্যতর এক মাত্রাও - তা বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের জীবনের সম্পর্ক। বস্তুত লেখক একজন প্রযুক্তিবিদ। ফলে এই ভ্রমণকাহিনী শুধুই তথ্য হয়ে থাকেনি, তা বহু চরিত্রের মাধ্যমে সপ্রাণ ও সজীব হয়ে উঠেছে।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
অহনার গল্প
By অহনা বিশ্বাস
₹600
"অহনার গল্প" কি অহনারই গল্প? সচেতন হওয়া থেকেই হস্টেলে থাকা, কেবলই মানুষ দেখে দেখে যাওয়া। মেয়েদের দেখেছেন অবশ্য একটু বেশিই। সেই সব মানুষজনেরাই লিখিয়ে নিয়েছেন এইসব গল্প, যেন নিজেরাই লিখে গেছেন। নতুন রীতির গল্পের অন্যতম গুরু বিমল কর এবং শিবনারায়ণ রায়ের মতো মনীষী অহনার কাহিনী কৌশলের তারিফ করেছেন। চল্লিশটি গল্পের এই সংকলন পাঠক মহলে যথেষ্ট সারা ফেলবে।
অহনার গল্প
By অহনা বিশ্বাস
₹600
"অহনার গল্প" কি অহনারই গল্প? সচেতন হওয়া থেকেই হস্টেলে থাকা, কেবলই মানুষ দেখে দেখে যাওয়া। মেয়েদের দেখেছেন অবশ্য একটু বেশিই। সেই সব মানুষজনেরাই লিখিয়ে নিয়েছেন এইসব গল্প, যেন নিজেরাই লিখে গেছেন। নতুন রীতির গল্পের অন্যতম গুরু বিমল কর এবং শিবনারায়ণ রায়ের মতো মনীষী অহনার কাহিনী কৌশলের তারিফ করেছেন। চল্লিশটি গল্পের এই সংকলন পাঠক মহলে যথেষ্ট সারা ফেলবে।