“অবনীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
স্বপ্ন দেখে যাই
Publisher: একুশ শতক
₹200
রবার্ট ব্রাউনিং,জন কিটস প্রভৃতি কবির কবিতা অনুবাদক রবীন্দ্রনাথ সরকার এর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “স্বপ্ন দেখে যাই”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES - swapna dekhe jai 001
রবার্ট ব্রাউনিং,জন কিটস প্রভৃতি কবির কবিতা অনুবাদক রবীন্দ্রনাথ সরকার এর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “স্বপ্ন দেখে যাই”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
শীতাদ্র্রি অন্বেষন
₹250
কেদারনাথ থেকে বদ্রীনাথের প্রবাদ পথের সন্ধান, কেদারনাথ মন্দির থেকে গঙ্গোত্রী মন্দির যাওয়ার জন্য গঙ্গোত্রী কল আবিষ্কার, পিন - পার্বতী গিরিবর্ত অতিক্রম ইত্যাদি এরকম অনেক অভিযান সম্পূর্ণ করেছেন লেখক প্রভাতকুমার গাঙ্গুলী। "শীতাদ্র্রী অন্বেষন" গ্রন্থটিতে তাঁর অভিযান এর কিছু গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
শীতাদ্র্রি অন্বেষন
₹250
কেদারনাথ থেকে বদ্রীনাথের প্রবাদ পথের সন্ধান, কেদারনাথ মন্দির থেকে গঙ্গোত্রী মন্দির যাওয়ার জন্য গঙ্গোত্রী কল আবিষ্কার, পিন - পার্বতী গিরিবর্ত অতিক্রম ইত্যাদি এরকম অনেক অভিযান সম্পূর্ণ করেছেন লেখক প্রভাতকুমার গাঙ্গুলী। "শীতাদ্র্রী অন্বেষন" গ্রন্থটিতে তাঁর অভিযান এর কিছু গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
দীপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র
₹250
দীপেন্দ্রনাথের রচনা মননশীল পাঠকদের কাছে অত্যন্ত সমাদরপ্রাপ্ত ও অগ্রগণ্য। তার ছোটগল্প ও সাংবাদিকতা ছাড়াও উপন্যাসগুলি উন্নতমানের সাহিত্য হিসেবে বিবেচিত হয় বাঙালি পাঠকমহলে। তার প্রথম উপন্যাস 'আগামী (মাঝি)' প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রীষ্টাব্দে (১৩৫৮ বঙ্গাব্দের ১৫ কার্তিক)। অন্যান্য উপন্যাসগুলির মধ্যে 'তৃতীয় ভুবন (অক্টোবর ১৯৫৭)', 'গগন ঠাকুরের সিঁড়ি (চৈত্র ১৩৬৮)' এবং 'বিবাহবার্ষিকী (অক্টোবর ১৯৭৭)' পাঠকমহলে সাড়া ফেলে। সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' দীপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দীপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র
₹250
দীপেন্দ্রনাথের রচনা মননশীল পাঠকদের কাছে অত্যন্ত সমাদরপ্রাপ্ত ও অগ্রগণ্য। তার ছোটগল্প ও সাংবাদিকতা ছাড়াও উপন্যাসগুলি উন্নতমানের সাহিত্য হিসেবে বিবেচিত হয় বাঙালি পাঠকমহলে। তার প্রথম উপন্যাস 'আগামী (মাঝি)' প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রীষ্টাব্দে (১৩৫৮ বঙ্গাব্দের ১৫ কার্তিক)। অন্যান্য উপন্যাসগুলির মধ্যে 'তৃতীয় ভুবন (অক্টোবর ১৯৫৭)', 'গগন ঠাকুরের সিঁড়ি (চৈত্র ১৩৬৮)' এবং 'বিবাহবার্ষিকী (অক্টোবর ১৯৭৭)' পাঠকমহলে সাড়া ফেলে। সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' দীপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
অতিদূর সমুদ্রের পর
₹80
প্রকৃতি ও ইতিহাসের তেমন গভীর কোনাে খোঁজখবর না নিয়েই হেমন্তের এক সকালে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রওনা দিয়েছিলাম আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে। আমার পায়ের তলার ত্বক, হয়তাে বা পাথর ছড়ানাে পথে পথে মাইল মাইল হাঁটার ক্ষতচিহ্নময়, তবে গড়পড়তা শহরে বাঙালির মতাে সরষে সেখানে নেই। তবু যা দেখেছি এ দেশের নানা প্রান্তে, সবকিছুকে কোথায় যেন অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছিল আন্দামান, তার প্রকৃতি, মানুষ ও ইতিহাসের নিরিখে। ইতালির রাজনৈতিক দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, 'মানুষ আসলে ইতিহাসের পরিণাম, কোনােভাবেই প্রকৃতির নয়। তাঁর সেই লিখনের মানে বােঝার মতাে বাস্তব, আমার মতাে তুচ্ছ মানুষের জীবন চার দশক পেরনাের পর আন্দামানের মাটিতে পা দিতেই আমাকে ধাক্কা দেবে সারাক্ষণ, একথা কল্পনাও করতে পারি নি কখনাে। না, ঐতিহাসিক বস্তুবাদের নির্বোধ ছাত্র হয়েও নয়, কমিউনিস্ট পরিবারে জন্মে অ-কমিউনিস্ট হয়েও নয়। তবু, ধাক্কা যখন দিল, তখন, যতটা যাওয়া যায়, দ্বীপপুঞ্জের জলে, স্থলে, অভ্যন্তরে, মানবমনের গহনে, যেতে যেন আমাকে হবেই। সেই যাত্রাই বুঝি আমার মতাে মানুষের নিয়তি। পাঁচ বছর আগের আন্দামান সফর তাই, আজও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তথ্য আর বিশ্লেষণ আর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের মনের খোঁজ পেতে। সংগ্রহ করি বই, সাময়িক ও দৈনিকপত্রে প্রকাশিত সমস্ত খবর। যদি, সে সবের মাধ্যমে ছুঁয়ে থাকতে পারি ওই ইতিহাসের লােকজনদের। ' অতিদূর সমুদ্রের পর ' গ্রন্থটিতে সেই সব তথ্য উঠে এসেছে।
অতিদূর সমুদ্রের পর
₹80
প্রকৃতি ও ইতিহাসের তেমন গভীর কোনাে খোঁজখবর না নিয়েই হেমন্তের এক সকালে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রওনা দিয়েছিলাম আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে। আমার পায়ের তলার ত্বক, হয়তাে বা পাথর ছড়ানাে পথে পথে মাইল মাইল হাঁটার ক্ষতচিহ্নময়, তবে গড়পড়তা শহরে বাঙালির মতাে সরষে সেখানে নেই। তবু যা দেখেছি এ দেশের নানা প্রান্তে, সবকিছুকে কোথায় যেন অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছিল আন্দামান, তার প্রকৃতি, মানুষ ও ইতিহাসের নিরিখে। ইতালির রাজনৈতিক দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, 'মানুষ আসলে ইতিহাসের পরিণাম, কোনােভাবেই প্রকৃতির নয়। তাঁর সেই লিখনের মানে বােঝার মতাে বাস্তব, আমার মতাে তুচ্ছ মানুষের জীবন চার দশক পেরনাের পর আন্দামানের মাটিতে পা দিতেই আমাকে ধাক্কা দেবে সারাক্ষণ, একথা কল্পনাও করতে পারি নি কখনাে। না, ঐতিহাসিক বস্তুবাদের নির্বোধ ছাত্র হয়েও নয়, কমিউনিস্ট পরিবারে জন্মে অ-কমিউনিস্ট হয়েও নয়। তবু, ধাক্কা যখন দিল, তখন, যতটা যাওয়া যায়, দ্বীপপুঞ্জের জলে, স্থলে, অভ্যন্তরে, মানবমনের গহনে, যেতে যেন আমাকে হবেই। সেই যাত্রাই বুঝি আমার মতাে মানুষের নিয়তি। পাঁচ বছর আগের আন্দামান সফর তাই, আজও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তথ্য আর বিশ্লেষণ আর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের মনের খোঁজ পেতে। সংগ্রহ করি বই, সাময়িক ও দৈনিকপত্রে প্রকাশিত সমস্ত খবর। যদি, সে সবের মাধ্যমে ছুঁয়ে থাকতে পারি ওই ইতিহাসের লােকজনদের। ' অতিদূর সমুদ্রের পর ' গ্রন্থটিতে সেই সব তথ্য উঠে এসেছে।
মানবজাতি কি বিনাশের পথে
₹350
সভ্যতার অন্যতম অভিশাপ দূষন। বায়ু দূষন, জল দূষন, মাটি দূষন। এছাড়া জনসংখ্যা অত্যধিক হারে বৃদ্ধি, নির্বিচারে সবুজ নিধন, অস্বাভাবিক শক্তি চাহিদা, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত কল-কারখানা, অ্যাকুইফার নিঃষেশ করে জল উত্তোলন, সবে মিলে বিপদ চারিদিক থেকে গ্রাস করছে। বিপদের শিকড় কতটা গভীরে, আদৌ প্রতিকারের উপায় আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় আলােচিত হয়েছে ' মানবজাতি কি বিনাশের পথে ' গ্রন্থে। বিশ্বে সমগ্র মানবজাতি আজ এক গভীর সংকটের মুখে। গণজাগরণ, বিপদ সম্পর্কে সচেতন হওয়া, প্রয়ােজনে প্রতিরােধ গড়ে তােলা ছাড়া অন্য পথ নাই। এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য বিপদ সম্পর্কে সাধারন মানুষকে অবহিত করা।
মানবজাতি কি বিনাশের পথে
₹350
সভ্যতার অন্যতম অভিশাপ দূষন। বায়ু দূষন, জল দূষন, মাটি দূষন। এছাড়া জনসংখ্যা অত্যধিক হারে বৃদ্ধি, নির্বিচারে সবুজ নিধন, অস্বাভাবিক শক্তি চাহিদা, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত কল-কারখানা, অ্যাকুইফার নিঃষেশ করে জল উত্তোলন, সবে মিলে বিপদ চারিদিক থেকে গ্রাস করছে। বিপদের শিকড় কতটা গভীরে, আদৌ প্রতিকারের উপায় আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় আলােচিত হয়েছে ' মানবজাতি কি বিনাশের পথে ' গ্রন্থে। বিশ্বে সমগ্র মানবজাতি আজ এক গভীর সংকটের মুখে। গণজাগরণ, বিপদ সম্পর্কে সচেতন হওয়া, প্রয়ােজনে প্রতিরােধ গড়ে তােলা ছাড়া অন্য পথ নাই। এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য বিপদ সম্পর্কে সাধারন মানুষকে অবহিত করা।
আমার অকমিউনিস্ট জীবন
₹500
ঘরের দেওয়ালে বাবার আঁকা লেনিনের ছবি আর বাড়ির পাশের পোলো গ্রাউন্ডে লাল পতাকার সুবিপুল সমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ এক কিশোরকে অনুপ্রাণিত করেছিল। কমিউনিস্ট তাকে হতেই হবে। না হলে এত মানুষের সঙ্গে জীবন বিনিময়ের সুযোগ পৃথিবীর আর কোনো সংগঠন তাকে দিতে পারবে না। সেই অভীষ্ট পূরণ করতে সে কী না করেছে। কিন্তু এদেশের কমিউনিস্ট পার্টিগুলি এত ব্যক্তিস্বার্থ আর সাংগঠনিক জটিলতায় ভরা যে, সে কখনোই পার্টির সদস্য হতে পারলো না। একের পর এক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের পর বাবার মৃত্যু। এক অপরিণত বয়সে। দাহক্ষেত্রে বাবার প্রাণহীন শরীরে সে যখন একটা লাল পতাকা জামার মধ্যে রেখে দিয়েও দিতে পারলো না, তখন থেকেই সে নিজেকে অকমিউনিস্ট ঘোষণা করলো। পরিণত বয়সের আগেই লেখা এই রুদ্ধশ্বাস আত্মজীবনী সেই কাহিনী পাঠকের কাছে তুলে ধরবে। আশ্চর্য এই যে, সেদিনের সেই কিশোর আজও ব্রিগেডে লাল পতাকার সমাবেশে যায়। কৈশোরের স্মৃতি আর মানুষের সঙ্গ পেতে।
আমার অকমিউনিস্ট জীবন
₹500
ঘরের দেওয়ালে বাবার আঁকা লেনিনের ছবি আর বাড়ির পাশের পোলো গ্রাউন্ডে লাল পতাকার সুবিপুল সমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ এক কিশোরকে অনুপ্রাণিত করেছিল। কমিউনিস্ট তাকে হতেই হবে। না হলে এত মানুষের সঙ্গে জীবন বিনিময়ের সুযোগ পৃথিবীর আর কোনো সংগঠন তাকে দিতে পারবে না। সেই অভীষ্ট পূরণ করতে সে কী না করেছে। কিন্তু এদেশের কমিউনিস্ট পার্টিগুলি এত ব্যক্তিস্বার্থ আর সাংগঠনিক জটিলতায় ভরা যে, সে কখনোই পার্টির সদস্য হতে পারলো না। একের পর এক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের পর বাবার মৃত্যু। এক অপরিণত বয়সে। দাহক্ষেত্রে বাবার প্রাণহীন শরীরে সে যখন একটা লাল পতাকা জামার মধ্যে রেখে দিয়েও দিতে পারলো না, তখন থেকেই সে নিজেকে অকমিউনিস্ট ঘোষণা করলো। পরিণত বয়সের আগেই লেখা এই রুদ্ধশ্বাস আত্মজীবনী সেই কাহিনী পাঠকের কাছে তুলে ধরবে। আশ্চর্য এই যে, সেদিনের সেই কিশোর আজও ব্রিগেডে লাল পতাকার সমাবেশে যায়। কৈশোরের স্মৃতি আর মানুষের সঙ্গ পেতে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।