“একজন যুক্তিবাদীর মৃত্যু ও অন্যান্য লেখা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
অ্যান্টিডোট
By ড. শাওন সেন
Publisher: একুশ শতক
₹200
আমাদের চতুর্দিকে যে অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসা, ভণ্ডামির বিষ ছড়িয়ে পড়েছে তার বিরুদ্ধে এক সোচ্চার উচ্চারণ অ্যান্টিডোট – এর কবিতাগুলি। এটি লেখকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-antidote
Tags:
antidote, dr. shaon sen, অ্যান্টিডোট, ড. শাওন সেন
আমাদের চতুর্দিকে যে অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসা, ভণ্ডামির বিষ ছড়িয়ে পড়েছে তার বিরুদ্ধে এক সোচ্চার উচ্চারণ অ্যান্টিডোট – এর কবিতাগুলি। এটি লেখকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্বমন
₹200
রবীন্দ্রনাথের জীবন ও তার সৃষ্টি সম্পর্কে বাইশটি প্রবন্ধ 'রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্বমন' সংকলনে রইল। প্রথম প্রবন্ধটি রবীন্দ্রনাথের বিশ্বমন এই ধারণা বা concept নিয়ে লেখা। অন্যান্য প্রবন্ধগুলি মূলত বিদেশি প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথের জীবন এবং তাঁর সৃষ্টি ও দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে বাক্তিমন ছাড়িয়ে, যে বিশ্বমনটি লুকিয়ে আছে-সে সবেরই বিচার-বিশ্লেষণ। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে মূলত বিদেশি শিল্পী-সাহিত্যিক-ভাবুকদের ধ্যান-ধারণার কথাও অনেকগুলি প্রবন্ধে ছড়িয়ে আছে। কারণ বিনিময় ও প্রতিক্রিয়াই তাে বিশ্বমন-এর ধর্ম।
তথ্য সংগ্রহ ও বিচার-বিশ্লেষণ করতে করতে তার সৃষ্টির মধ্যে রবীন্দ্রনাথ যে কতখানি বিশ্বগ্রাহী হয়ে উঠেছিলেন সেটা যেমন বুঝতে পারা যায়, তেমনি তিনি যে তর্কে-বিতর্কে গ্রহণে-বর্জনে একাধারে কতখানি প্রাচ্যধর্মী ও বিশ্বধর্মী তার প্রমাণ পাওয়া যায়। তার জন্মের সার্ধশতবর্ষে তার প্রতিভার ব্যাপক চর্চা দেশকাল নির্বিশেষে তার প্রাসঙ্গিকতাকে প্রমাণিত করেছে এবং ধীরে ধীরে তার বিশ্ব মানসিকতাকেই স্পষ্ট করে তুলেছে।
আলােচনাগুলির মধ্যে রবীন্দ্রনাথের বিশাল ব্যাপ্ত প্রতিভার খানিকটা আভাসও যদি পাঠক পান তাহলেও তৃপ্তি পাব।
রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্বমন
₹200
রবীন্দ্রনাথের জীবন ও তার সৃষ্টি সম্পর্কে বাইশটি প্রবন্ধ 'রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্বমন' সংকলনে রইল। প্রথম প্রবন্ধটি রবীন্দ্রনাথের বিশ্বমন এই ধারণা বা concept নিয়ে লেখা। অন্যান্য প্রবন্ধগুলি মূলত বিদেশি প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথের জীবন এবং তাঁর সৃষ্টি ও দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে বাক্তিমন ছাড়িয়ে, যে বিশ্বমনটি লুকিয়ে আছে-সে সবেরই বিচার-বিশ্লেষণ। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে মূলত বিদেশি শিল্পী-সাহিত্যিক-ভাবুকদের ধ্যান-ধারণার কথাও অনেকগুলি প্রবন্ধে ছড়িয়ে আছে। কারণ বিনিময় ও প্রতিক্রিয়াই তাে বিশ্বমন-এর ধর্ম।
তথ্য সংগ্রহ ও বিচার-বিশ্লেষণ করতে করতে তার সৃষ্টির মধ্যে রবীন্দ্রনাথ যে কতখানি বিশ্বগ্রাহী হয়ে উঠেছিলেন সেটা যেমন বুঝতে পারা যায়, তেমনি তিনি যে তর্কে-বিতর্কে গ্রহণে-বর্জনে একাধারে কতখানি প্রাচ্যধর্মী ও বিশ্বধর্মী তার প্রমাণ পাওয়া যায়। তার জন্মের সার্ধশতবর্ষে তার প্রতিভার ব্যাপক চর্চা দেশকাল নির্বিশেষে তার প্রাসঙ্গিকতাকে প্রমাণিত করেছে এবং ধীরে ধীরে তার বিশ্ব মানসিকতাকেই স্পষ্ট করে তুলেছে।
আলােচনাগুলির মধ্যে রবীন্দ্রনাথের বিশাল ব্যাপ্ত প্রতিভার খানিকটা আভাসও যদি পাঠক পান তাহলেও তৃপ্তি পাব।
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
পঁচিশটি গল্প
₹350
মানুষ গল্প ভালবাসে। শুধু ভালবাসে বললে কম বলা হয়, মানুষ আসলে গল্প ছাড়া বাঁচেনা। বাস্তবের রূঢ়তায় হা-ক্লান্ত মন ক্ষণিক সুশ্রূষার আশায় প্রতিদিন খোঁজে গল্পের কোল। অথচ গল্প মিশে থাকে নিত্যদিনের পথের ধুলোয়; জড়িয়ে থাকে মানুষের আশেপাশে, তাদের আচরণে কথায় এমনকি নীরব দৃষ্টিতেও। জীবনের খাঁজে খাঁজে মিশে থাকা সেইসব গল্পদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন গল্প-বলিয়েরা। গল্পকারেরা দেন দুই মলাটে বন্দি সুশ্রূষার ভেট। সেই ভেট উন্মোচনের পথ ধরে কল্পনার উড়ানে উড্ডীন মন হয়তবা ক্ষণে ক্ষণে খুঁজেও পায় নিজেদের। অবিনাশ, ঝর্ণা, রঞ্জনা, সুগতদের গল্প তখন আর গল্প থাকেনা, হয়ে যায় নিজেদের কথা।
পঁচিশটি গল্প
₹350
মানুষ গল্প ভালবাসে। শুধু ভালবাসে বললে কম বলা হয়, মানুষ আসলে গল্প ছাড়া বাঁচেনা। বাস্তবের রূঢ়তায় হা-ক্লান্ত মন ক্ষণিক সুশ্রূষার আশায় প্রতিদিন খোঁজে গল্পের কোল। অথচ গল্প মিশে থাকে নিত্যদিনের পথের ধুলোয়; জড়িয়ে থাকে মানুষের আশেপাশে, তাদের আচরণে কথায় এমনকি নীরব দৃষ্টিতেও। জীবনের খাঁজে খাঁজে মিশে থাকা সেইসব গল্পদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন গল্প-বলিয়েরা। গল্পকারেরা দেন দুই মলাটে বন্দি সুশ্রূষার ভেট। সেই ভেট উন্মোচনের পথ ধরে কল্পনার উড়ানে উড্ডীন মন হয়তবা ক্ষণে ক্ষণে খুঁজেও পায় নিজেদের। অবিনাশ, ঝর্ণা, রঞ্জনা, সুগতদের গল্প তখন আর গল্প থাকেনা, হয়ে যায় নিজেদের কথা।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।