“শ্রীচরণেষু” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
বাড়ি ঘর
By তৃষ্ণা বসাক
Publisher: একুশ শতক
₹60
‘ বাড়ি ঘর ‘ উপন্যাসের ভরকেন্দ্র নিরাশ্রয়তা। গৃহের চার দেওয়ালের মধ্যে ঘটলেই হিংসা, সন্ত্রাসের ভয়াবহতা কমে না, বিস্তার কিছু ছোট হয় এইমাত্র। আরো অনেক ছোট-বড়, কেন্দ্রাতিগ ও কেন্দ্রাভিগ বল এর বিভিন্ন তলে ক্রিয়াশীল, যারা কথাবস্তুর একমুখিনতাকে ভেঙে দিতে চেয়েছে নিজেদের মতো করে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-bg02
Tags:
bari ghar, novel, trishna basak, uponnas, উপন্যাস, তৃষ্ণা বসাক, বাড়ি ঘর
‘ বাড়ি ঘর ‘ উপন্যাসের ভরকেন্দ্র নিরাশ্রয়তা। গৃহের চার দেওয়ালের মধ্যে ঘটলেই হিংসা, সন্ত্রাসের ভয়াবহতা কমে না, বিস্তার কিছু ছোট হয় এইমাত্র। আরো অনেক ছোট-বড়, কেন্দ্রাতিগ ও কেন্দ্রাভিগ বল এর বিভিন্ন তলে ক্রিয়াশীল, যারা কথাবস্তুর একমুখিনতাকে ভেঙে দিতে চেয়েছে নিজেদের মতো করে।
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা
₹32
‘আশু, আশুতোষ দাস দশঘড়া হাইস্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে। স্কুলে ভালো ছেলে হিসেবে সবাই এক ডাকে চেনে। থার্ড হয়ে সে নাইনে উঠেছে। ফার্স্ট-সেকেন্ড বা ফোর্থ-ফিফথ যারা হয়েছে, কেউ-ই তার মতো গরিবঘরের তাঁতিপুত্র নয়। রাজপুত্র বললেই ভালো হয়।' তাঁত বোনে আশুর বাবা। তাঁত বোনে দাদা। খটাং খট খটাং খট। মাকু চলে । তৈরি হয় শাড়ি। রংচঙে উজ্জ্বল শাড়ি। সেই শাড়ির রং আশুদের জীবনে লাগে না। বিবর্ণ ধূসরই রয়ে যায়। তাঁতিজীবনের দুঃখের বারমাস্যা, এক কিশোরের আশা নিরাশা ছোটোদের মতো করে শুনিয়েছেন লেখক। বানানো গল্পকথা নয়, ওদের কথা লিখবেন বলে ক'দিন ছিলেনও মহিষগড়িয়া গ্রামে। মানুষজন তাদের দুঃখ-সংগ্রাম, পথঘাট, গাছপালা সবই বাস্তব থেকে উঠে এসেছে ' তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা ' বইয়ের পাতায়। এ বই পড়তে পড়তে ছোটোরা গ্রামকে চিনবে। আশুর প্রতি সহানুভূতি সমবেদনা জাগবে। জীবনের উত্তাপ তাদেরও স্পর্শ করবে।
তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা
₹32
‘আশু, আশুতোষ দাস দশঘড়া হাইস্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে। স্কুলে ভালো ছেলে হিসেবে সবাই এক ডাকে চেনে। থার্ড হয়ে সে নাইনে উঠেছে। ফার্স্ট-সেকেন্ড বা ফোর্থ-ফিফথ যারা হয়েছে, কেউ-ই তার মতো গরিবঘরের তাঁতিপুত্র নয়। রাজপুত্র বললেই ভালো হয়।' তাঁত বোনে আশুর বাবা। তাঁত বোনে দাদা। খটাং খট খটাং খট। মাকু চলে । তৈরি হয় শাড়ি। রংচঙে উজ্জ্বল শাড়ি। সেই শাড়ির রং আশুদের জীবনে লাগে না। বিবর্ণ ধূসরই রয়ে যায়। তাঁতিজীবনের দুঃখের বারমাস্যা, এক কিশোরের আশা নিরাশা ছোটোদের মতো করে শুনিয়েছেন লেখক। বানানো গল্পকথা নয়, ওদের কথা লিখবেন বলে ক'দিন ছিলেনও মহিষগড়িয়া গ্রামে। মানুষজন তাদের দুঃখ-সংগ্রাম, পথঘাট, গাছপালা সবই বাস্তব থেকে উঠে এসেছে ' তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা ' বইয়ের পাতায়। এ বই পড়তে পড়তে ছোটোরা গ্রামকে চিনবে। আশুর প্রতি সহানুভূতি সমবেদনা জাগবে। জীবনের উত্তাপ তাদেরও স্পর্শ করবে।
নির্বাচিত কালি – কলম
₹200
কল্লোলকে ঘিরে যে নতুনতর সাহিত্য-সৃষ্টির প্রয়াস, কালি-কলমের আত্মপ্রকাশে তা আরও প্রাণরসে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিল। কারণ, কল্লোল ও কালি-কলমের মধ্যে আদর্শগত কোনও প্রভেদ ছিল না। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ভাষায় বলা যায়, একই মুক্ত বিহঙ্গের দুই দীপ্ত পাখা। কালি-কলম দীর্ঘায়ু হয়নি। ক্রমাগত এসেছে নানা প্রতিকূলতা। সম্পাদনার দায়িত্ব থেকে প্রথমে প্রেমেন্দ্র মিত্র, পরে শৈলজানন্দ মুখােপাধ্যায় সরে দাঁড়িয়েছেন। একা সামলেছেন মুরলীধর বসু।
কালি-কলমের স্বল্পায়ু জীবন ঘটনাবহুল। প্রকাশিত হয়েছে অজস্র স্মরণীয় রচনা। কোনও কোনও লেখা নিয়ে বিতর্কের ঝড়ও উঠেছে। এমনকি গ্রেফতারি পরােয়ানা নিয়ে পুলিশ হাজির হয়েছে পত্রিকা-দপ্তরে। পুলিশ-বিভাগের বিচারে অশ্লীল-সাহিত্য প্রচার করেছে কালি-কলম। ধুলাে-মলিন কালি-কলমের পাতা থেকে রকমারি রচনা নিয়ে এই সংকলন ' নির্বাচিত কালি – কলম '। গল্প-উপন্যাস-কবিতার পাশাপাশি গ্রন্থিত হয়েছে মূল্যবান প্রবন্ধ। কালি-কলম প্রাচীন ঐতিহ্যবহ গ্রন্থাগারেও সহজলভ্য নয়। দুষ্প্রাপ্য পত্রিকাটির নির্বাচিত রচনার মহার্থ সংকলন প্রকাশিত হল পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুযােগ্য সম্পাদনায়।
নির্বাচিত কালি – কলম
₹200
কল্লোলকে ঘিরে যে নতুনতর সাহিত্য-সৃষ্টির প্রয়াস, কালি-কলমের আত্মপ্রকাশে তা আরও প্রাণরসে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিল। কারণ, কল্লোল ও কালি-কলমের মধ্যে আদর্শগত কোনও প্রভেদ ছিল না। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ভাষায় বলা যায়, একই মুক্ত বিহঙ্গের দুই দীপ্ত পাখা। কালি-কলম দীর্ঘায়ু হয়নি। ক্রমাগত এসেছে নানা প্রতিকূলতা। সম্পাদনার দায়িত্ব থেকে প্রথমে প্রেমেন্দ্র মিত্র, পরে শৈলজানন্দ মুখােপাধ্যায় সরে দাঁড়িয়েছেন। একা সামলেছেন মুরলীধর বসু।
কালি-কলমের স্বল্পায়ু জীবন ঘটনাবহুল। প্রকাশিত হয়েছে অজস্র স্মরণীয় রচনা। কোনও কোনও লেখা নিয়ে বিতর্কের ঝড়ও উঠেছে। এমনকি গ্রেফতারি পরােয়ানা নিয়ে পুলিশ হাজির হয়েছে পত্রিকা-দপ্তরে। পুলিশ-বিভাগের বিচারে অশ্লীল-সাহিত্য প্রচার করেছে কালি-কলম। ধুলাে-মলিন কালি-কলমের পাতা থেকে রকমারি রচনা নিয়ে এই সংকলন ' নির্বাচিত কালি – কলম '। গল্প-উপন্যাস-কবিতার পাশাপাশি গ্রন্থিত হয়েছে মূল্যবান প্রবন্ধ। কালি-কলম প্রাচীন ঐতিহ্যবহ গ্রন্থাগারেও সহজলভ্য নয়। দুষ্প্রাপ্য পত্রিকাটির নির্বাচিত রচনার মহার্থ সংকলন প্রকাশিত হল পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুযােগ্য সম্পাদনায়।
কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ
By প্রণব চৌধুরী
₹200
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রূয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল কিছু তরুণ, উত্তাল হয়েছিল ছাত্র - বুদ্ধিজীবী - জনসমাজ। পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলা স্বীকৃতি পেলেও, প্রতিপদক্ষেপে তাদের মুখােমুখি হতে হয়েছে ইসলামিক সংস্কৃতির নামে বাঙালি-সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট সরকার উৎখাত। ১৯৫৮-এ পাকসেনাপ্রধান আইয়ুব খানের সাময়িক শাসন ও ক্ষমতাগ্রহণ, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হয়ে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে দশটি বছর সমস্ত মৌলিক স্বাধীনতাহরণ। বাংলা বর্ণমালার আরবি-রােমান হরফে রূপান্তরের উদ্যোগ, বেতার-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, ' জাতীয় কবি ' নজরুলের কবিতা-গানে ‘হিন্দুয়ানি’ ভাষা বদল করে আরবি-ফরাসি শব্দ প্রয়োগ, ক্রমাগত আর্থিক পীড়নে সােনার বাংলাকে শশানে পরিণত করা, পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন অবদমনের জন্যে ' আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ', উনসত্তরে পুলিশের গুলিতে কিশাের মতিউর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আসাদ, রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুজ্জোহা; একাত্তরের যুদ্ধে তিরিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই দুঃসাহসী মর্মান্তিক ঘটনাবলি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মীলনে সেখানে রচিত হয়েছে একাত্তর-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বাংলাভাষার নতুনতর কাব্য ও সংগীত। ' কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ ' গ্রন্থের বিভিন্ন প্রবন্ধে এর যথাযথ রূপায়ণ। এপার বাংলায় অনুরূপ প্রয়াস দুর্লভ।
কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ
By প্রণব চৌধুরী
₹200
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রূয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল কিছু তরুণ, উত্তাল হয়েছিল ছাত্র - বুদ্ধিজীবী - জনসমাজ। পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলা স্বীকৃতি পেলেও, প্রতিপদক্ষেপে তাদের মুখােমুখি হতে হয়েছে ইসলামিক সংস্কৃতির নামে বাঙালি-সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট সরকার উৎখাত। ১৯৫৮-এ পাকসেনাপ্রধান আইয়ুব খানের সাময়িক শাসন ও ক্ষমতাগ্রহণ, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হয়ে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে দশটি বছর সমস্ত মৌলিক স্বাধীনতাহরণ। বাংলা বর্ণমালার আরবি-রােমান হরফে রূপান্তরের উদ্যোগ, বেতার-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, ' জাতীয় কবি ' নজরুলের কবিতা-গানে ‘হিন্দুয়ানি’ ভাষা বদল করে আরবি-ফরাসি শব্দ প্রয়োগ, ক্রমাগত আর্থিক পীড়নে সােনার বাংলাকে শশানে পরিণত করা, পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন অবদমনের জন্যে ' আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ', উনসত্তরে পুলিশের গুলিতে কিশাের মতিউর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আসাদ, রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুজ্জোহা; একাত্তরের যুদ্ধে তিরিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই দুঃসাহসী মর্মান্তিক ঘটনাবলি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মীলনে সেখানে রচিত হয়েছে একাত্তর-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বাংলাভাষার নতুনতর কাব্য ও সংগীত। ' কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ ' গ্রন্থের বিভিন্ন প্রবন্ধে এর যথাযথ রূপায়ণ। এপার বাংলায় অনুরূপ প্রয়াস দুর্লভ।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।