“আমার অকমিউনিস্ট জীবন” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
ড্যানসিং ফ্রক ও অন্যান্য
Publisher: একুশ শতক
₹150
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
একই ধরণের গ্রন্থ
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
গোর্কির জীবন গোর্কির আখ্যান
₹200
গাের্কির মা উপন্যাস বিশ্ব সাহিত্যের এক শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। বিশ শতকের প্রথম দশকে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সারা পৃথিবীর ১২৭টি ভাষায় দ্রুত অনূদিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, তােলপাড় হয় পাঠক মহলে। উপন্যাসের সারা শরীরে মার্কস-এঙ্গেলসের কমিউনিস্ট ইস্তাহারের বর্ণময়চ্ছটা। একটা উদ্দেশ্যমূলক, সমাজ বিপ্লবের প্রতি অনুরক্ত, কিছুটা প্রচারমূলকও বটে, এমন একটি কথা কাহিনি যে শিল্পগুণেও উতরে যায়, পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নয় যা এক শতাব্দী পরেও সমান সত্য, বােধকরি অদ্বিতীয় এক দৃষ্টান্ত। উপন্যাসে লেখকের অনুপুঙ্খ বীক্ষণে মহাকাব্যিক দৃষ্টির প্রসার এক আশ্চর্য মহিমময় কাণ্ড ঘটিয়েছে। রাশিয়ার শ্রমিক বস্তির এক পােড়খাওয়া মা-এর চোখ দিয়ে গােটা আখ্যানটি নির্মিত ও বিবৃত। শূন্য এক অন্ধকার থেকে আলােয় উদ্ভাসিত এক জীবন, যা উত্তরণের, সমাজতান্ত্রিক মানবতা ও বাস্তবতার এক অনন্য নজির। বিশ্বময়ী নারী শক্তির জয়ধ্বনি গাের্কির এই উপন্যাস।
শতবর্ষে উপনীত এই উপন্যাসের মর্মবস্তু, শিল্পনির্মিতি আমরা ' গোর্কির জীবন গোর্কির আখ্যান ' গ্রন্থে উপলব্ধি ও বিশ্লেষণের প্রয়াস করেছি। আর গাের্কির বর্ণময়, তিক্ত জীবনটাকে না জানলে মা-উপন্যাসের অন্দরমহলে প্রবেশ করা যায় না। তাই ব্যক্তি জীবন ও সাহিত্য জীবনের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা অঙ্কনের চেষ্টা করা হয়েছে।
গোর্কির জীবন গোর্কির আখ্যান
₹200
গাের্কির মা উপন্যাস বিশ্ব সাহিত্যের এক শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। বিশ শতকের প্রথম দশকে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সারা পৃথিবীর ১২৭টি ভাষায় দ্রুত অনূদিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, তােলপাড় হয় পাঠক মহলে। উপন্যাসের সারা শরীরে মার্কস-এঙ্গেলসের কমিউনিস্ট ইস্তাহারের বর্ণময়চ্ছটা। একটা উদ্দেশ্যমূলক, সমাজ বিপ্লবের প্রতি অনুরক্ত, কিছুটা প্রচারমূলকও বটে, এমন একটি কথা কাহিনি যে শিল্পগুণেও উতরে যায়, পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নয় যা এক শতাব্দী পরেও সমান সত্য, বােধকরি অদ্বিতীয় এক দৃষ্টান্ত। উপন্যাসে লেখকের অনুপুঙ্খ বীক্ষণে মহাকাব্যিক দৃষ্টির প্রসার এক আশ্চর্য মহিমময় কাণ্ড ঘটিয়েছে। রাশিয়ার শ্রমিক বস্তির এক পােড়খাওয়া মা-এর চোখ দিয়ে গােটা আখ্যানটি নির্মিত ও বিবৃত। শূন্য এক অন্ধকার থেকে আলােয় উদ্ভাসিত এক জীবন, যা উত্তরণের, সমাজতান্ত্রিক মানবতা ও বাস্তবতার এক অনন্য নজির। বিশ্বময়ী নারী শক্তির জয়ধ্বনি গাের্কির এই উপন্যাস।
শতবর্ষে উপনীত এই উপন্যাসের মর্মবস্তু, শিল্পনির্মিতি আমরা ' গোর্কির জীবন গোর্কির আখ্যান ' গ্রন্থে উপলব্ধি ও বিশ্লেষণের প্রয়াস করেছি। আর গাের্কির বর্ণময়, তিক্ত জীবনটাকে না জানলে মা-উপন্যাসের অন্দরমহলে প্রবেশ করা যায় না। তাই ব্যক্তি জীবন ও সাহিত্য জীবনের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা অঙ্কনের চেষ্টা করা হয়েছে।
উইনি ম্যান্ডেলার “পার্ট অব মাই সোল”
By অশোক রাহা
₹200
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর অনবদ্য গ্রন্থের নাম দিয়েছিলেন 'সংগ্রামই আমার জীবন। তার দীর্ঘ জীবন সংগ্রাম আর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অবিচল থাকার এক অনন্য দলিল। আর এই অনন্য সংগ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলার ছিল অসামান্য অবদান। নেলসন যখন রোবেন দ্বীপপুঞ্জে বন্দি, হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত, তখন শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবিতে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই-এ নেতৃত্ব করেছেন উইনি। বস্তুত উইনির অবিরাম প্রচেষ্টাতেই নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আবেগ সৃষ্টি করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বর্ণবৈষম্যবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের বিরুদ্ধে মুখরিত করেছিল। উইনির সেই মহান প্রচেষ্টার অনেক ছবি, বিধৃত আছে " পার্ট অব মাই সোল " গ্রন্থে।
উইনি ম্যান্ডেলা, অ্যানি বেনজামিনকে তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারের টেপ-রেকর্ডিং করতে সুযোগ দিয়েছিলেন, এবং তা বেশ দীর্ঘকাল যাবৎ। উপরন্তু, তাঁকে আস্থাভাজন বিবেচনায় তিনি কারান্তরাল থেকে লেখা তাঁর স্বামীর চিঠিপত্র এবং অপরাপর দলিলগুলি দিয়েছিলেন বাছাই করে সম্পাদনা ও প্রকাশনার জন্যে। বর্তমান গ্রন্থখানি তারই ফসল।
'পার্ট অব মাই সোল' তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, কিন্তু নিজের জীবনের কথা থাকা সত্ত্বেও মামুলি আত্মকথা নয়। উইনির জীবনবোধ ভিন্নতর—' এই বিশাল মুক্তির যন্ত্রে আমি অতি নগণ্য। এই আদর্শের সংগ্রামে আমাদের কালো মানুষেরা মরছে প্রতিদিন। ...আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী ঘটছে বা না ঘটছে তা সম্পূর্ণ অবান্তর '—এই কথা কটির মধ্যেই রয়েছে তাঁর আত্মকথার মূল সুরের দ্যোতনা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই উইনিও নেই, নেই সেই নেলসন - উইনির অবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম, তবু কেন এ গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ। ইতিহাসের উপাদান কখনো গুরুত্ব হারায় না। নেলসন - উইনির বিচ্ছেদ যেমন সত্য, তেমন সত্য তাঁদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম। উইনির জীবনকথা কোনো স্বামীসঙ্গহীন নারীর জীবনকথা নয়, এটা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্নবিদ্দেষবাদবিরোধী সংগ্রামের এক অনন্য দলিলও।
জাত - পাত - ধর্ম - বর্ণের ভেদাভেদে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত ভারতবর্ষের মানুষও লড়াই-সংগ্রামের মধ্যবর্তীতায় উন্নততর মানবজীবন অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রগতি ও প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্ব আমাদের কখনো এক কদম এগিয়ে দিচ্ছে, আবার কখনো দু-কদম পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ ইতিহাসের নিয়মে মানবসমাজকে সামনের দিকে এগোতেই হবে। এই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই যাঁরা করছেন, তাঁদের কাছে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কখনোও কমবে না।
উইনি ম্যান্ডেলার “পার্ট অব মাই সোল”
By অশোক রাহা
₹200
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর অনবদ্য গ্রন্থের নাম দিয়েছিলেন 'সংগ্রামই আমার জীবন। তার দীর্ঘ জীবন সংগ্রাম আর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অবিচল থাকার এক অনন্য দলিল। আর এই অনন্য সংগ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলার ছিল অসামান্য অবদান। নেলসন যখন রোবেন দ্বীপপুঞ্জে বন্দি, হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত, তখন শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবিতে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই-এ নেতৃত্ব করেছেন উইনি। বস্তুত উইনির অবিরাম প্রচেষ্টাতেই নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আবেগ সৃষ্টি করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বর্ণবৈষম্যবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের বিরুদ্ধে মুখরিত করেছিল। উইনির সেই মহান প্রচেষ্টার অনেক ছবি, বিধৃত আছে " পার্ট অব মাই সোল " গ্রন্থে।
উইনি ম্যান্ডেলা, অ্যানি বেনজামিনকে তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারের টেপ-রেকর্ডিং করতে সুযোগ দিয়েছিলেন, এবং তা বেশ দীর্ঘকাল যাবৎ। উপরন্তু, তাঁকে আস্থাভাজন বিবেচনায় তিনি কারান্তরাল থেকে লেখা তাঁর স্বামীর চিঠিপত্র এবং অপরাপর দলিলগুলি দিয়েছিলেন বাছাই করে সম্পাদনা ও প্রকাশনার জন্যে। বর্তমান গ্রন্থখানি তারই ফসল।
'পার্ট অব মাই সোল' তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, কিন্তু নিজের জীবনের কথা থাকা সত্ত্বেও মামুলি আত্মকথা নয়। উইনির জীবনবোধ ভিন্নতর—' এই বিশাল মুক্তির যন্ত্রে আমি অতি নগণ্য। এই আদর্শের সংগ্রামে আমাদের কালো মানুষেরা মরছে প্রতিদিন। ...আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী ঘটছে বা না ঘটছে তা সম্পূর্ণ অবান্তর '—এই কথা কটির মধ্যেই রয়েছে তাঁর আত্মকথার মূল সুরের দ্যোতনা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই উইনিও নেই, নেই সেই নেলসন - উইনির অবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম, তবু কেন এ গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ। ইতিহাসের উপাদান কখনো গুরুত্ব হারায় না। নেলসন - উইনির বিচ্ছেদ যেমন সত্য, তেমন সত্য তাঁদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম। উইনির জীবনকথা কোনো স্বামীসঙ্গহীন নারীর জীবনকথা নয়, এটা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্নবিদ্দেষবাদবিরোধী সংগ্রামের এক অনন্য দলিলও।
জাত - পাত - ধর্ম - বর্ণের ভেদাভেদে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত ভারতবর্ষের মানুষও লড়াই-সংগ্রামের মধ্যবর্তীতায় উন্নততর মানবজীবন অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রগতি ও প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্ব আমাদের কখনো এক কদম এগিয়ে দিচ্ছে, আবার কখনো দু-কদম পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ ইতিহাসের নিয়মে মানবসমাজকে সামনের দিকে এগোতেই হবে। এই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই যাঁরা করছেন, তাঁদের কাছে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কখনোও কমবে না।
আইনস্টাইনের গোয়েন্দা ফাইল এবং অন্যান্য প্রবন্ধ
₹300
এশিয়াটিক সোসাইটির প্রথম ভারতীয় সভাপতি রাজেন্দ্রলাল মিত্রের দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষ্যে তাঁর জীবন ও কাজের উপর একটি নিবন্ধ দিয়ে সংকলনের শুরু। ডা. মহেন্দ্রলাল সরকারের সুযোগ্য সন্তান ডা. অমৃতলাল সরকার সম্পাদিত একটি বিজ্ঞান পত্রিকার বিষয়বস্তু ও বিজ্ঞাপন নিয়ে অনালোচিত অধ্যায়ের সূত্রপাত হয়েছে দ্বিতীয় নিবন্ধে। একটি নিবন্ধে রয়েছে বিজ্ঞানী প্রফুল্লচন্দ্রের শ্রেণি ও স্বদেশ চেতনা। মহানগর কলকাতার স্বাধীনতাপূর্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি নিবন্ধ রয়েছে। অন্ধবিশ্বাস ও অপবিজ্ঞানের যে স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে দেশ জুড়ে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী প্রবন্ধ ‘জ্যোতিষশাস্ত্র, বিজ্ঞান ও রাষ্ট্র'। বিজ্ঞান ঐতিহাসিক আচার্য প্রফুল্লচন্দ্ৰ রায়, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল ও দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি নিবন্ধ সংযোজিত হয়েছে। রয়েছে বিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান ও আইজাক আসিমভের গোয়েন্দা ফাইল নিয়ে একটি নিবন্ধ। বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের গোয়েন্দা ফাইলের উপর আকর্ষণীয় নিবন্ধ রয়েছে। দুবার নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লাইনাস পাউলিং উগ্র জাতীয়তাবাদীদের হাতে কেমন করে নিগৃহীত হয়েছেন তার কাহিনী রয়েছে একটি রচনায়। সবশেষে পরিবেশ সংকট ও পরিবেশ ইতিহাস বিষয়ে দুটি নিবন্ধ। নিঃসন্দেহে এই সংকলন গভীরমনস্ক বিজ্ঞানপিপাসুদের কাছে একটি প্রয়োজনীয় সংকলন হিসেবে বিবেচিত হবে।
আইনস্টাইনের গোয়েন্দা ফাইল এবং অন্যান্য প্রবন্ধ
₹300
এশিয়াটিক সোসাইটির প্রথম ভারতীয় সভাপতি রাজেন্দ্রলাল মিত্রের দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষ্যে তাঁর জীবন ও কাজের উপর একটি নিবন্ধ দিয়ে সংকলনের শুরু। ডা. মহেন্দ্রলাল সরকারের সুযোগ্য সন্তান ডা. অমৃতলাল সরকার সম্পাদিত একটি বিজ্ঞান পত্রিকার বিষয়বস্তু ও বিজ্ঞাপন নিয়ে অনালোচিত অধ্যায়ের সূত্রপাত হয়েছে দ্বিতীয় নিবন্ধে। একটি নিবন্ধে রয়েছে বিজ্ঞানী প্রফুল্লচন্দ্রের শ্রেণি ও স্বদেশ চেতনা। মহানগর কলকাতার স্বাধীনতাপূর্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি নিবন্ধ রয়েছে। অন্ধবিশ্বাস ও অপবিজ্ঞানের যে স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে দেশ জুড়ে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী প্রবন্ধ ‘জ্যোতিষশাস্ত্র, বিজ্ঞান ও রাষ্ট্র'। বিজ্ঞান ঐতিহাসিক আচার্য প্রফুল্লচন্দ্ৰ রায়, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল ও দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি নিবন্ধ সংযোজিত হয়েছে। রয়েছে বিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান ও আইজাক আসিমভের গোয়েন্দা ফাইল নিয়ে একটি নিবন্ধ। বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের গোয়েন্দা ফাইলের উপর আকর্ষণীয় নিবন্ধ রয়েছে। দুবার নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লাইনাস পাউলিং উগ্র জাতীয়তাবাদীদের হাতে কেমন করে নিগৃহীত হয়েছেন তার কাহিনী রয়েছে একটি রচনায়। সবশেষে পরিবেশ সংকট ও পরিবেশ ইতিহাস বিষয়ে দুটি নিবন্ধ। নিঃসন্দেহে এই সংকলন গভীরমনস্ক বিজ্ঞানপিপাসুদের কাছে একটি প্রয়োজনীয় সংকলন হিসেবে বিবেচিত হবে।
পঁচিশটি গল্প
₹350
২০১৫ থেকে ২০২১ এর মধ্যে লেখা ২৫ টি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ। ঘর বললেই যে দেখায় ক্যালাইডোস্কোপ ঢুকে পড়ে, ভাতের রং চেনা যায় না, উনুন ঠান্ডায় কুঁকড়ে থাকে, খিদে নেই বললেই সোনার দাম বেড়ে যায়, মানুষ পাথর খেয়ে বেঁচে থাকে, ভালোবাসার টেলিগ্রামে যেখানে সেখানে থুতু জমে, গল্পগুলি এমন দেখার মধ্যেই হেঁটে চলেছে।
পঁচিশটি গল্প
₹350
২০১৫ থেকে ২০২১ এর মধ্যে লেখা ২৫ টি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ। ঘর বললেই যে দেখায় ক্যালাইডোস্কোপ ঢুকে পড়ে, ভাতের রং চেনা যায় না, উনুন ঠান্ডায় কুঁকড়ে থাকে, খিদে নেই বললেই সোনার দাম বেড়ে যায়, মানুষ পাথর খেয়ে বেঁচে থাকে, ভালোবাসার টেলিগ্রামে যেখানে সেখানে থুতু জমে, গল্পগুলি এমন দেখার মধ্যেই হেঁটে চলেছে।
বিপন্ন বসুধা : বিপর্যয় পরিবেশ
₹100
এই পৃথিবীতে মানুষের ইতিহাস মােটামুটি দশ লক্ষ বছরের। আর মানুষের পরিবেশ সচেতনতার ইতিহাসটি ? মােটামুটি চার দশক হল তার বয়েস। এই সুদীর্ঘকাল মানুষ প্রকৃতির কথা, পরিবেশের কথা ভাববার অবকাশ পায়নি। অর্থাৎ পরিবেশের বেহাল দশা সম্বন্ধে আমরা যতটা সচেতন হয়েছি বলে মনে করা হচ্ছে, কার্যত তা এক মিথ্যের ফানুসমাত্র। তা হলে এখন করনীয় কী ? সব কিছু নিয়তির হাতে ছেড়ে দিয়ে হাত পা গুটিয়ে থাকা ? না, এখনাে এতটা নেতিবাচক হবার বােধহয় আসেনি। কথায় আছে, একটা মিথ্যেকেও বারবার বলা হলে তা এক সময় সত্যি হয়ে দাড়ায়। এই আগুবাক্যকে ভরসা করেই আমাদের এগােতে হবে। বারবার ধাক্কা দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত যদি টনক নড়ে। ' বিপন্ন বসুধা : বিপর্যস্ত পরিবেশ ' বই সেই ধাক্কা দেবার হাতিয়ার।
বিপন্ন বসুধা : বিপর্যয় পরিবেশ
₹100
এই পৃথিবীতে মানুষের ইতিহাস মােটামুটি দশ লক্ষ বছরের। আর মানুষের পরিবেশ সচেতনতার ইতিহাসটি ? মােটামুটি চার দশক হল তার বয়েস। এই সুদীর্ঘকাল মানুষ প্রকৃতির কথা, পরিবেশের কথা ভাববার অবকাশ পায়নি। অর্থাৎ পরিবেশের বেহাল দশা সম্বন্ধে আমরা যতটা সচেতন হয়েছি বলে মনে করা হচ্ছে, কার্যত তা এক মিথ্যের ফানুসমাত্র। তা হলে এখন করনীয় কী ? সব কিছু নিয়তির হাতে ছেড়ে দিয়ে হাত পা গুটিয়ে থাকা ? না, এখনাে এতটা নেতিবাচক হবার বােধহয় আসেনি। কথায় আছে, একটা মিথ্যেকেও বারবার বলা হলে তা এক সময় সত্যি হয়ে দাড়ায়। এই আগুবাক্যকে ভরসা করেই আমাদের এগােতে হবে। বারবার ধাক্কা দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত যদি টনক নড়ে। ' বিপন্ন বসুধা : বিপর্যস্ত পরিবেশ ' বই সেই ধাক্কা দেবার হাতিয়ার।