“পঁচিশটি গল্প” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দেড়শো গজে জীবন
Publisher: একুশ শতক
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-dgj01
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
চায়ের সবুজ পাতায় নোনতা ছিটে
₹300
সকালে দিন শুরুতে প্রত্যাশা থাকে এক কাপ ধুমায়িত চায়ের। উঁচু নিচু সমাজের সর্বত্র চায়ের কদর। গরম চায়ের আমেজের তুলনা নেই। ঘরোয়া থেকে আন্তর্জাতিক স্তরের সব বৈঠক এবং আলোচনায় চা অপরিহার্য। বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্বচায়ের বাজারে ভারতের স্থান অনেক উঁচুতে। চা থেকে দেশে আসে দুর্লভ বিদেশি মুদ্রা। দেশে চা শিল্পপতিদের ঘরে গড়ে ওঠে মুনাফার পাহাড়। অত্যন্ত শ্রম নিবিড় চা শিল্পের মূল চালিকা শক্তি চা শ্রমিকেরা। শিল্পের সূচনা পর্বে দেশের নানা প্রান্ত থেকে অনেকটা ক্রীতদাসের মতো বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের আনা হয়েছিল। চা শ্রমিকের কাজে। তাঁরাই বংশানুক্রমে এখন চা শ্রমিক। চা শিল্পের আর্থিক বৈভবে এদের ছিটেফোঁটাও অংশীদারিত্ব নেই। তাঁদের দিনযাপন চরম দুর্দশা বঞ্চনা এবং অবহেলায়। ঘন অরণ্য দুর্গম পাহাড় ঘেরা অংশগুলিতে চা বাগানগুলির অবস্থান। চা শ্রমিকদের কান্নার আওয়াজ বাইরের সমাজ জীবনের কাছে পৌঁছায় না।
সমাজের নিচুতলার মানুষদের প্রতি, বিশেষত নারীসমাজের প্রতি অবিচার এখনও অব্যাহত। এছাড়া আদিবাসী সমাজে কুসংস্কার এবং অন্ধ রীতিনীতির অবিচারের শিকার এখনও দাপটে চলমান। আর্থিক প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতার অন্যায় দত্তের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ সীমিত ক্ষমতায় প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধে এখনও সামিল হয়। আবার ক্ষমতার আস্ফালনের সামনে মানুষ নতমস্তকে থাকলেও গৃহপালিত পশু কিন্তু অনেক সময় প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। এমনকি জীবনও দেয়।
কান্না হাসির দোলায় দোল খেয়ে কত ঘটনায় নিচুতলার মানুষও আকাশের মেঘের মতো সুখের ভেলায় ভেসে যায়। অত্যন্ত সহমর্মিতার দৃষ্টিতে সমাজের এসব বিভিন্ন দিককে নিয়ে ফুটিয়ে তোলা গল্পের কোলাজ " চায়ের সবুজ পাতায় নোনতা ছিটে " গ্রন্থ।
চায়ের সবুজ পাতায় নোনতা ছিটে
₹300
সকালে দিন শুরুতে প্রত্যাশা থাকে এক কাপ ধুমায়িত চায়ের। উঁচু নিচু সমাজের সর্বত্র চায়ের কদর। গরম চায়ের আমেজের তুলনা নেই। ঘরোয়া থেকে আন্তর্জাতিক স্তরের সব বৈঠক এবং আলোচনায় চা অপরিহার্য। বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্বচায়ের বাজারে ভারতের স্থান অনেক উঁচুতে। চা থেকে দেশে আসে দুর্লভ বিদেশি মুদ্রা। দেশে চা শিল্পপতিদের ঘরে গড়ে ওঠে মুনাফার পাহাড়। অত্যন্ত শ্রম নিবিড় চা শিল্পের মূল চালিকা শক্তি চা শ্রমিকেরা। শিল্পের সূচনা পর্বে দেশের নানা প্রান্ত থেকে অনেকটা ক্রীতদাসের মতো বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের আনা হয়েছিল। চা শ্রমিকের কাজে। তাঁরাই বংশানুক্রমে এখন চা শ্রমিক। চা শিল্পের আর্থিক বৈভবে এদের ছিটেফোঁটাও অংশীদারিত্ব নেই। তাঁদের দিনযাপন চরম দুর্দশা বঞ্চনা এবং অবহেলায়। ঘন অরণ্য দুর্গম পাহাড় ঘেরা অংশগুলিতে চা বাগানগুলির অবস্থান। চা শ্রমিকদের কান্নার আওয়াজ বাইরের সমাজ জীবনের কাছে পৌঁছায় না।
সমাজের নিচুতলার মানুষদের প্রতি, বিশেষত নারীসমাজের প্রতি অবিচার এখনও অব্যাহত। এছাড়া আদিবাসী সমাজে কুসংস্কার এবং অন্ধ রীতিনীতির অবিচারের শিকার এখনও দাপটে চলমান। আর্থিক প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতার অন্যায় দত্তের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ সীমিত ক্ষমতায় প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধে এখনও সামিল হয়। আবার ক্ষমতার আস্ফালনের সামনে মানুষ নতমস্তকে থাকলেও গৃহপালিত পশু কিন্তু অনেক সময় প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। এমনকি জীবনও দেয়।
কান্না হাসির দোলায় দোল খেয়ে কত ঘটনায় নিচুতলার মানুষও আকাশের মেঘের মতো সুখের ভেলায় ভেসে যায়। অত্যন্ত সহমর্মিতার দৃষ্টিতে সমাজের এসব বিভিন্ন দিককে নিয়ে ফুটিয়ে তোলা গল্পের কোলাজ " চায়ের সবুজ পাতায় নোনতা ছিটে " গ্রন্থ।
স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল
₹400
আশুতোষের স্বল্পায়ু জীবনের বিশাল কর্মকাণ্ড অর্থাৎ বহির্জীবন, তার বিরাট ব্যক্তিত্ব, ভাবজগত, জীবনদর্শন—অন্তর্জীবন –এ এমন নিবিড়, জটিল, ঘনসন্নিবন্ধ, তথ্যাকীর্ণ বিষয়সস্তার যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গীর অনিবার্যতা জানা থাকলেও সফলতার দাবী ধৃষ্টতাই হবে। তার আত্মজীবনীমূলক লেখা ও জীবনীমূলক লেখাগুলির ক্ষেত্রে প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বারও পারিবারিক সদস্যদের লেখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে তারা নিকটজন ও প্রত্যক্ষদর্শী। তাদের মৌলিক লেখা থেকে সঞ্চিত তথ্যগুলি অন্যান্যরা জীবনী লিখতে গিয়ে ব্যবহার করেছেন, সে স্বীকৃতি থাকুক আর না থাকুক। আশুতোষের রচনা ও ভাষণগুলি ইচ্ছে থাকলেও বেশি বাড়ানো গেল না—শুধু কিছু নিদর্শনমূলক রচনা সংগৃহিত হয়েছে। ‘পত্রাবলী' অংশটি নতুন সংযোজন। একাধিক লেখা, যার লেখকেরা আশুতোষের সমকালীন, ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত, তার সম্পর্কে বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, তাদের রচনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন প্রবাসী ও Modern Review পত্রিকায় আশুতোষের সর্বাপেক্ষা কঠোর সমালোচক। তিনি আশুতোষের প্রয়াণের পর যে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন, সেটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও তৎকালীন নবীন মনীষা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর লেখা দুটিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ' স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল ' গ্রন্থে।
স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল
₹400
আশুতোষের স্বল্পায়ু জীবনের বিশাল কর্মকাণ্ড অর্থাৎ বহির্জীবন, তার বিরাট ব্যক্তিত্ব, ভাবজগত, জীবনদর্শন—অন্তর্জীবন –এ এমন নিবিড়, জটিল, ঘনসন্নিবন্ধ, তথ্যাকীর্ণ বিষয়সস্তার যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গীর অনিবার্যতা জানা থাকলেও সফলতার দাবী ধৃষ্টতাই হবে। তার আত্মজীবনীমূলক লেখা ও জীবনীমূলক লেখাগুলির ক্ষেত্রে প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বারও পারিবারিক সদস্যদের লেখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে তারা নিকটজন ও প্রত্যক্ষদর্শী। তাদের মৌলিক লেখা থেকে সঞ্চিত তথ্যগুলি অন্যান্যরা জীবনী লিখতে গিয়ে ব্যবহার করেছেন, সে স্বীকৃতি থাকুক আর না থাকুক। আশুতোষের রচনা ও ভাষণগুলি ইচ্ছে থাকলেও বেশি বাড়ানো গেল না—শুধু কিছু নিদর্শনমূলক রচনা সংগৃহিত হয়েছে। ‘পত্রাবলী' অংশটি নতুন সংযোজন। একাধিক লেখা, যার লেখকেরা আশুতোষের সমকালীন, ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত, তার সম্পর্কে বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, তাদের রচনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন প্রবাসী ও Modern Review পত্রিকায় আশুতোষের সর্বাপেক্ষা কঠোর সমালোচক। তিনি আশুতোষের প্রয়াণের পর যে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন, সেটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও তৎকালীন নবীন মনীষা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর লেখা দুটিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ' স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল ' গ্রন্থে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা
₹150
ধর্ম নয়, সংস্কৃতি ও ভাষার বন্ধন বিশ্বের তেত্রিশ কোটি বাঙালির জাতীয়তাবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দিয়েছে। ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশের বাঙালি জাতিসত্তা বুঝিয়ে দিয়েছে অভিন্ন সম্প্রীতির সংস্কৃতির শেকড় বাংলার মাটিতে প্রােথিত হলে ধর্মের অপব্যবহার তাকে কোনােদিনও উন্মুল করতে পারে না। এই বিবেচনায় -ই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালের কলকাতার সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা হৃৎকমলের টানে প্রায় এক কোটি উদ্বাস্তু বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছেন। পশ্চিমবাংলার বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে পাক-সেনাদের বর্বরােচিত আক্রমণকে পরাভূত করার জন্য সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেছেন। শিল্প মাধ্যমের সব দিগন্তই তখন আগুন ঝরার বর্ণমালা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার প্রতিনিধিস্থানীয় কবি ও অ-প্রধান কবিদের কলম থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতাজ্ঞাপন, মাতৃভূমির স্মৃতি, পাক-বাহিনীর প্রতি তীব্র ধিক্কার, ঘৃণা এবং প্রতিবাদ, প্রতিরােধের যে স্ফুলিঙ্গ একদিন কাব্যিক ব্যাঞ্জনায় এবং কঠিনে-কোমলে, শ্লেষে আটপৌড়ে শব্দের ধনুর্বাণ হয়ে কবিতার শরীর নির্মাণ করেছিল, সাংস্কৃতিক হাতিয়ার হিসেবে এই কবিতা দুইবাংলার বাঙালিকে জাগ্রত করেছিল, উজ্জীবিত করেছিল, তারই একটি সুনির্বাচিত ঐতিহাসিক দলিল এই রাজনৈতিক কাব্য-সংকলন ' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা '। এই কবিতাগুলাে একটি বিশেষ সময় ও ক্রান্তিকালকে অন্বীত করেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা
₹150
ধর্ম নয়, সংস্কৃতি ও ভাষার বন্ধন বিশ্বের তেত্রিশ কোটি বাঙালির জাতীয়তাবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দিয়েছে। ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশের বাঙালি জাতিসত্তা বুঝিয়ে দিয়েছে অভিন্ন সম্প্রীতির সংস্কৃতির শেকড় বাংলার মাটিতে প্রােথিত হলে ধর্মের অপব্যবহার তাকে কোনােদিনও উন্মুল করতে পারে না। এই বিবেচনায় -ই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালের কলকাতার সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা হৃৎকমলের টানে প্রায় এক কোটি উদ্বাস্তু বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছেন। পশ্চিমবাংলার বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে পাক-সেনাদের বর্বরােচিত আক্রমণকে পরাভূত করার জন্য সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেছেন। শিল্প মাধ্যমের সব দিগন্তই তখন আগুন ঝরার বর্ণমালা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার প্রতিনিধিস্থানীয় কবি ও অ-প্রধান কবিদের কলম থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতাজ্ঞাপন, মাতৃভূমির স্মৃতি, পাক-বাহিনীর প্রতি তীব্র ধিক্কার, ঘৃণা এবং প্রতিবাদ, প্রতিরােধের যে স্ফুলিঙ্গ একদিন কাব্যিক ব্যাঞ্জনায় এবং কঠিনে-কোমলে, শ্লেষে আটপৌড়ে শব্দের ধনুর্বাণ হয়ে কবিতার শরীর নির্মাণ করেছিল, সাংস্কৃতিক হাতিয়ার হিসেবে এই কবিতা দুইবাংলার বাঙালিকে জাগ্রত করেছিল, উজ্জীবিত করেছিল, তারই একটি সুনির্বাচিত ঐতিহাসিক দলিল এই রাজনৈতিক কাব্য-সংকলন ' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা '। এই কবিতাগুলাে একটি বিশেষ সময় ও ক্রান্তিকালকে অন্বীত করেছে।
জবাসুন্দর পদাবলি
By তাপস রায়
₹150
পর্তুগীজ জলদস্যু মাথায়াস গঞ্জালভেসের নাতি সর্বানন্দ গঞ্জালভেস, যে ধান্যকুড়িয়ার গাইন জমিদারের পাইক, আর বল্লভ জমিদারের সাথে গাইনদের গোপন সংঘাতের অস্ত্র হয়ে ওঠে। গাইনগার্ডেনে এক জ্যোৎস্নালাগা জলসার রাতে সে বল্লভদের মোহরের ঘড়া চুরি করে এনে বাগানে পুঁতে রাখতে গেলে ধরা পড়ে যায়। আর খুন করে ফেলে বল্লভবংশের ছেলে রথীন্দ্রনাথ এবং তাঁর প্রেমিকা মধুবনীকে। মধুবনী রথীন্দ্রনাথের প্রেমে বিভোর। জ্যোৎস্না রাতে রথীন্দ্রনাথকে পদ্মপুকুরে নেমে চাঁদ ধরতে দেখে সেই দোতলার জানালার গরাদের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসে তার হাত ধরতে। পারে না। জ্যোৎস্নারা ঘিরে ফেলে। তারপর ...... এক আধিভৌতিক উপন্যাস " জবাসুন্দর পদাবলি "
জবাসুন্দর পদাবলি
By তাপস রায়
₹150
পর্তুগীজ জলদস্যু মাথায়াস গঞ্জালভেসের নাতি সর্বানন্দ গঞ্জালভেস, যে ধান্যকুড়িয়ার গাইন জমিদারের পাইক, আর বল্লভ জমিদারের সাথে গাইনদের গোপন সংঘাতের অস্ত্র হয়ে ওঠে। গাইনগার্ডেনে এক জ্যোৎস্নালাগা জলসার রাতে সে বল্লভদের মোহরের ঘড়া চুরি করে এনে বাগানে পুঁতে রাখতে গেলে ধরা পড়ে যায়। আর খুন করে ফেলে বল্লভবংশের ছেলে রথীন্দ্রনাথ এবং তাঁর প্রেমিকা মধুবনীকে। মধুবনী রথীন্দ্রনাথের প্রেমে বিভোর। জ্যোৎস্না রাতে রথীন্দ্রনাথকে পদ্মপুকুরে নেমে চাঁদ ধরতে দেখে সেই দোতলার জানালার গরাদের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসে তার হাত ধরতে। পারে না। জ্যোৎস্নারা ঘিরে ফেলে। তারপর ...... এক আধিভৌতিক উপন্যাস " জবাসুন্দর পদাবলি "
চোখ ও অন্যান্য ছোট গল্প
₹100
উৎপলেন্দু চক্রবর্তী চিত্রপরিচালক হিসেবে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। শুরু হয়েছিল তার সাড়া জাগানাে তথ্যচিত্র মুক্তি চাই দিয়ে তারপর একের পর এক ছবি (ময়নাতদন্ত, চোখ, দেবশিশু) তাকে চলচ্চিত্র জগতের প্রথম সারিতে নিয়ে আসে। তিনি একগুচ্ছ টেলিফিল্মও উপহার দিয়েছেন। যার মধ্যে উল্লেখযােগ্য ‘বিকল্প”, রঙ’, ‘অপরিচিতা। তার দুটি কাহিনি চিত্র প্রসব ও ফাসি এবং মোহনবাগান ক্লাবের উপর একটি তথ্যচিত্র গুনীজনের প্রশংসা পেলেও এখনও ক্যানবন্দি হয়ে আছে, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।
কিন্তু অনেকেরই জানা নেই উৎপলেন্দুর শিল্পী জীবন শুরু হয় গল্প লেখা দিয়ে। ছাত্রজীবনে নকশালপন্থী আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি বেশ কিছুদিন আদিবাসী অঞ্চলে কাটান এবং সেই অভিজ্ঞতার ছাপ পাওয়া যায় তার নানান গল্প ও উপন্যাসে। ‘ চোখ ও অন্যান্য ছোট গল্প ‘ গ্রন্থে মধ্যে ‘চোখ’ এবং আরো কিছু উল্লেখযোগ্য গল্প তুলে ধরেছেন। উৎপলেন্দুই বােধহয় একমাত্র চিত্রপরিচালক যিনি তার সব কটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি নির্মান করেছেন নিজের গল্প থেকে।
চোখ ও অন্যান্য ছোট গল্প
₹100
উৎপলেন্দু চক্রবর্তী চিত্রপরিচালক হিসেবে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। শুরু হয়েছিল তার সাড়া জাগানাে তথ্যচিত্র মুক্তি চাই দিয়ে তারপর একের পর এক ছবি (ময়নাতদন্ত, চোখ, দেবশিশু) তাকে চলচ্চিত্র জগতের প্রথম সারিতে নিয়ে আসে। তিনি একগুচ্ছ টেলিফিল্মও উপহার দিয়েছেন। যার মধ্যে উল্লেখযােগ্য ‘বিকল্প”, রঙ’, ‘অপরিচিতা। তার দুটি কাহিনি চিত্র প্রসব ও ফাসি এবং মোহনবাগান ক্লাবের উপর একটি তথ্যচিত্র গুনীজনের প্রশংসা পেলেও এখনও ক্যানবন্দি হয়ে আছে, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।
কিন্তু অনেকেরই জানা নেই উৎপলেন্দুর শিল্পী জীবন শুরু হয় গল্প লেখা দিয়ে। ছাত্রজীবনে নকশালপন্থী আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি বেশ কিছুদিন আদিবাসী অঞ্চলে কাটান এবং সেই অভিজ্ঞতার ছাপ পাওয়া যায় তার নানান গল্প ও উপন্যাসে। ‘ চোখ ও অন্যান্য ছোট গল্প ‘ গ্রন্থে মধ্যে ‘চোখ’ এবং আরো কিছু উল্লেখযোগ্য গল্প তুলে ধরেছেন। উৎপলেন্দুই বােধহয় একমাত্র চিত্রপরিচালক যিনি তার সব কটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি নির্মান করেছেন নিজের গল্প থেকে।
সাহস দেখানোর পালা
By তপোময় ঘোষ
₹250
গল্প’ শব্দটির যে কত দ্যোতনা, কত গভীরতা তা আমার পক্ষে কোনভাবেই বলা তো দূরের কথা, জানাও সম্ভব হবে না জেনেও একটা অক্ষম প্রচেষ্টা চলছিল। একান্ত আপন সে মিয়ানো প্রচেষ্টায় কেউ প্রণোদশার ঘি বা আগুন যোগায় নি। কারও দায় পড়েনি এগুলো লিখতে বলার। ফলত পাঁচিরের গায়ে নামগোত্রহীন দুলতে থাকা। এভাবেই এক, দুই, তিন দশকের পর বেহায়ারা যেমন হয় তেমনি একটি মোচড় দেওয়া উদ্যম। আর যায় কোথা, বেরিয়ে পড়ছে আমারও একটা গল্প সংকলন ' সাহস দেখানোর পালা '।
সওয়া একশ বছরের বাংলা সাহিত্যের শত শত মণিমাণিক্যের পাশে কিছু কালোকুলো ছাইপাশ গাদা করার এ অহেতু না জন্মালেই ভাল হত। কিন্তু ওই যে কথা আছে না, কুঁজোরও সাধ হয় চিৎ হয়ে শুতে। ওতেই হয়েছে মুশকিল।
সাহস দেখানোর পালা
By তপোময় ঘোষ
₹250
গল্প’ শব্দটির যে কত দ্যোতনা, কত গভীরতা তা আমার পক্ষে কোনভাবেই বলা তো দূরের কথা, জানাও সম্ভব হবে না জেনেও একটা অক্ষম প্রচেষ্টা চলছিল। একান্ত আপন সে মিয়ানো প্রচেষ্টায় কেউ প্রণোদশার ঘি বা আগুন যোগায় নি। কারও দায় পড়েনি এগুলো লিখতে বলার। ফলত পাঁচিরের গায়ে নামগোত্রহীন দুলতে থাকা। এভাবেই এক, দুই, তিন দশকের পর বেহায়ারা যেমন হয় তেমনি একটি মোচড় দেওয়া উদ্যম। আর যায় কোথা, বেরিয়ে পড়ছে আমারও একটা গল্প সংকলন ' সাহস দেখানোর পালা '।
সওয়া একশ বছরের বাংলা সাহিত্যের শত শত মণিমাণিক্যের পাশে কিছু কালোকুলো ছাইপাশ গাদা করার এ অহেতু না জন্মালেই ভাল হত। কিন্তু ওই যে কথা আছে না, কুঁজোরও সাধ হয় চিৎ হয়ে শুতে। ওতেই হয়েছে মুশকিল।