Discount applied: Discount 20%
“স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দেড়শো গজে জীবন
Publisher: একুশ শতক
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-dgj01
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
ছায়াযাপন
By তৃষ্ণা বসাক
₹80
মূল মৈথিলী থেকে অনুবাদ গল্প " ছায়াযাপন " । প্রাণপুরাণের ইতিবৃত্ত লেখার সাধ কোথাও একটা থেকে থাকবে। সেই পুরাণের প্রথম শব্দটি হয়তো জীবন আর জীবনেরও আগে এসে যায় যাপন। কিভাবে বেঁচে থাকা যায়, তার পাশাপাশি সমান জরুরী কিভাবে না বেঁচে থাকা যায়, সেই কৌশলটি শেখা। গেছোদাদাকে ধরতে গেলে কিভাবে বেঁচে থাকতে হতে পারে, তাও জেনে রাখা ভাল। যাপনের এই প্রযুক্তিগুলো গল্পের আকারে উঠে এসেছে।
ছায়াযাপন
By তৃষ্ণা বসাক
₹80
মূল মৈথিলী থেকে অনুবাদ গল্প " ছায়াযাপন " । প্রাণপুরাণের ইতিবৃত্ত লেখার সাধ কোথাও একটা থেকে থাকবে। সেই পুরাণের প্রথম শব্দটি হয়তো জীবন আর জীবনেরও আগে এসে যায় যাপন। কিভাবে বেঁচে থাকা যায়, তার পাশাপাশি সমান জরুরী কিভাবে না বেঁচে থাকা যায়, সেই কৌশলটি শেখা। গেছোদাদাকে ধরতে গেলে কিভাবে বেঁচে থাকতে হতে পারে, তাও জেনে রাখা ভাল। যাপনের এই প্রযুক্তিগুলো গল্পের আকারে উঠে এসেছে।
চলচ্চিত্র চিন্তন
By পার্থ রাহা
₹100
ছবির তালিকা দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি জানাতে চাই সাম্রাজ্যবাদের হুমকির সামনেও তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা আজ দেশে দেশে আন্দোলন সংগ্রামের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তথাকথিত মহাশক্তির জি-৮ দেশের ভিতরেও জাপান, ইটালিতে, খােদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল আন্দোলনের সাক্ষী তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা গ্লোবাল রসা আর ফার্নান্ডাে সােলানাসরা যাকে বলেছেন থার্ড সিনেমা। আসুন আমরা স্মরণ করি, চ্যাপলিনের সেই কালজয়ী বক্তৃতার কথাগুলি। আসুন অসম্ভবের জন্য সংগ্রাম করি। ইতিহাসের মহান ঘটনা হল যা অসম্ভব মনে হয়েছিল তাকে সম্ভব করা।
' চলচ্চিত্র চিন্তন ' সংকলনের সবচেয়ে পুরােনাে লেখা ইঙ্গম্যার বের্গম্যানকে নিয়ে। প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। আর সাম্প্রতিকতম রচনা সেন্সর শিপ প্রকাশিত হয়েছে ২০০৬-এ। এই তেত্রিশ বছর ধরে নানান পত্রপত্রিকা বা বইতে ছড়ানাে ছিটানাে রচনার সংখ্যাতাে কম নয়। সেই অগুনতি রচনা থেকে কিছু রচনা বেছে নিয়ে মলাটের ভিতরে বেঁধে রাখা হয়েছে।
আমার রচনাগুলির শেষ বিচারক আপনারা, যারা সারাদিনের ঘাম ঝরানাে হাঁটাহাঁটির পরেও বােকাবাক্সের হাতছানি এড়িয়ে এখনও বই পড়েন তারা। আমার এই রচনাগুলি আপনাদের কোনাে উপকারে লাগলেই আমার পরম প্রাপ্তি।
চলচ্চিত্র চিন্তন
By পার্থ রাহা
₹100
ছবির তালিকা দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি জানাতে চাই সাম্রাজ্যবাদের হুমকির সামনেও তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা আজ দেশে দেশে আন্দোলন সংগ্রামের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তথাকথিত মহাশক্তির জি-৮ দেশের ভিতরেও জাপান, ইটালিতে, খােদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল আন্দোলনের সাক্ষী তৃতীয় দুনিয়ার সিনেমা গ্লোবাল রসা আর ফার্নান্ডাে সােলানাসরা যাকে বলেছেন থার্ড সিনেমা। আসুন আমরা স্মরণ করি, চ্যাপলিনের সেই কালজয়ী বক্তৃতার কথাগুলি। আসুন অসম্ভবের জন্য সংগ্রাম করি। ইতিহাসের মহান ঘটনা হল যা অসম্ভব মনে হয়েছিল তাকে সম্ভব করা।
' চলচ্চিত্র চিন্তন ' সংকলনের সবচেয়ে পুরােনাে লেখা ইঙ্গম্যার বের্গম্যানকে নিয়ে। প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। আর সাম্প্রতিকতম রচনা সেন্সর শিপ প্রকাশিত হয়েছে ২০০৬-এ। এই তেত্রিশ বছর ধরে নানান পত্রপত্রিকা বা বইতে ছড়ানাে ছিটানাে রচনার সংখ্যাতাে কম নয়। সেই অগুনতি রচনা থেকে কিছু রচনা বেছে নিয়ে মলাটের ভিতরে বেঁধে রাখা হয়েছে।
আমার রচনাগুলির শেষ বিচারক আপনারা, যারা সারাদিনের ঘাম ঝরানাে হাঁটাহাঁটির পরেও বােকাবাক্সের হাতছানি এড়িয়ে এখনও বই পড়েন তারা। আমার এই রচনাগুলি আপনাদের কোনাে উপকারে লাগলেই আমার পরম প্রাপ্তি।
রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান
₹50
বাংলার কীর্তন গানের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্তর পটভূমিতে রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গানের কথা, রূপ, রস ও মর্মসত্য সন্ধান ও লিখনের প্রয়াস পেয়েছি। চেষ্টা করেছি গায়নরীতি বুঝিয়ে বলার। রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান এর একটি তালিকাও যুক্ত করেছি এই সঙ্গে, পাঠকের কাজে লাগতে পারে ভেবে। কোনাে কোনাে গানের কীর্তনাঙ্গ পরিচিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিতর্ক তুলতে পারেন। হােক না বিতর্ক, ভালােই তাে, চর্চা বাড়বে।
রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান
₹50
বাংলার কীর্তন গানের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্তর পটভূমিতে রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গানের কথা, রূপ, রস ও মর্মসত্য সন্ধান ও লিখনের প্রয়াস পেয়েছি। চেষ্টা করেছি গায়নরীতি বুঝিয়ে বলার। রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান এর একটি তালিকাও যুক্ত করেছি এই সঙ্গে, পাঠকের কাজে লাগতে পারে ভেবে। কোনাে কোনাে গানের কীর্তনাঙ্গ পরিচিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিতর্ক তুলতে পারেন। হােক না বিতর্ক, ভালােই তাে, চর্চা বাড়বে।
বাঙালির সৃষ্টি ও মনন : কালে কালান্তরে
₹300
বহমান সময়ের বিচিত্র স্বর ও অন্তঃস্বর খচিত বাংলা সাহিত্য পর্বে - পর্বান্তরে কীভাবে রূপান্তরিত হয়েছে, এ সময়ের অগ্রণী তত্ত্ববিদ ও ভাষ্যকার তপোধীর ভট্টাচার্য ' বাঙালির সৃষ্টি ও মনন : কালে কালান্তরে ' গ্রন্থের বিভিন্ন প্রতিবেদনে তার মনােজ ভাষ্য উপস্থাপিত করেছেন।
চর্যাপদে বাঙালি চৈতন্যে যে বহুমাত্রিক মন্থনের সূত্রপাত হয়েছিল, তার অভিঘাত নানা পরিসরে বিস্তৃত হলাে ক্রমশ। মধ্যযুগে বাঙালির বিশ্ববীক্ষা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক বৃত্তে সীমিত ছিল না; লােকায়ত জীবনচর্যার সঙ্গে সংশ্লেষণ অব্যাহত ছিল আগাগােড়া। রুদ্ধতা ও মুক্তি-এষণার দ্বিবাচনিকতায় পথ থেকে পথান্তরে এগিয়ে গেছে বাঙালির মনন ও সৃষ্টি। প্রাক-আধুনিক যুগ থেকে আধুনিক কালে বহমান চৈতন্যে কীভাবে বিধৃত হয়েছে ছেদ ও ধারাবাহিকতার দ্বিরালাপ, সেই সমাজ-সত্যের উন্মােচন লেখকের অন্বিষ্ট। শ্রদ্ধাশীল অনুসন্ধিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত যৌক্তিক জিজ্ঞাসা প্রতিটি বয়ানের মূল সঞ্চালক।
বাঙালির সৃষ্টি ও মনন : কালে কালান্তরে
₹300
বহমান সময়ের বিচিত্র স্বর ও অন্তঃস্বর খচিত বাংলা সাহিত্য পর্বে - পর্বান্তরে কীভাবে রূপান্তরিত হয়েছে, এ সময়ের অগ্রণী তত্ত্ববিদ ও ভাষ্যকার তপোধীর ভট্টাচার্য ' বাঙালির সৃষ্টি ও মনন : কালে কালান্তরে ' গ্রন্থের বিভিন্ন প্রতিবেদনে তার মনােজ ভাষ্য উপস্থাপিত করেছেন।
চর্যাপদে বাঙালি চৈতন্যে যে বহুমাত্রিক মন্থনের সূত্রপাত হয়েছিল, তার অভিঘাত নানা পরিসরে বিস্তৃত হলাে ক্রমশ। মধ্যযুগে বাঙালির বিশ্ববীক্ষা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক বৃত্তে সীমিত ছিল না; লােকায়ত জীবনচর্যার সঙ্গে সংশ্লেষণ অব্যাহত ছিল আগাগােড়া। রুদ্ধতা ও মুক্তি-এষণার দ্বিবাচনিকতায় পথ থেকে পথান্তরে এগিয়ে গেছে বাঙালির মনন ও সৃষ্টি। প্রাক-আধুনিক যুগ থেকে আধুনিক কালে বহমান চৈতন্যে কীভাবে বিধৃত হয়েছে ছেদ ও ধারাবাহিকতার দ্বিরালাপ, সেই সমাজ-সত্যের উন্মােচন লেখকের অন্বিষ্ট। শ্রদ্ধাশীল অনুসন্ধিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত যৌক্তিক জিজ্ঞাসা প্রতিটি বয়ানের মূল সঞ্চালক।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
মানভূমের লোকসংস্কৃতি – লোকসাহিত্য
₹150
" মানভূমের লোকসংস্কৃতি - লোকসাহিত্য " গ্রন্থটিতে ৩৪টি প্রবন্ধ আছে। প্রবন্ধগুলিতে সামাজিক সম্পর্ক মানভূমের লোকউৎসব, লোকাচার, ছড়া, ধাঁধা, লোকগান ও লোকভাষাও সাধারণভাবে আলোচনা করা হয়েছে। মানভূমের ছড়া, প্রবাদ, মন্ত্র, জনপদ, লোকখেলা, মেয়েলি ব্রতকথা, মেয়েদের ক্রীড়া, মানভূমের কৃষিতে খনার বচনের ভূমিকা, লোকাচার, লোকবিশ্বাস, রাতকহনী, পরব, পৌষপার্বণ, আখানযাত্রা, লোকগানে ইতিহাসের উপাদান সন্ধান, বিবাহের আচার-জল সাঁইতে যাওয়া, পালা-পার্বণে লোকগান, মোরগ লড়াই, পুরুলিয়ার বিহাগীত, পুরুলিয়ার শ্রমসংগীত, কাঠিনাচ, লৌকিক দেবদেবী, খেলাইচণ্ডী, লোকচিকিৎসা, মেয়েলি রঙ্গরসিকতা, মানভূমের নিমন্ত্রণপ্রথা, মানভূমের জীবনে সতীন, ভাগ্নে, বন্ধু, জামাই, রমণী প্রভৃতি বহুত্তর বিষয় বিন্যাসে গ্রন্থটির মর্যাদা বহুগুণ বৰ্দ্ধিত হয়েছে।
মানভূমের লোকসংস্কৃতি – লোকসাহিত্য
₹150
" মানভূমের লোকসংস্কৃতি - লোকসাহিত্য " গ্রন্থটিতে ৩৪টি প্রবন্ধ আছে। প্রবন্ধগুলিতে সামাজিক সম্পর্ক মানভূমের লোকউৎসব, লোকাচার, ছড়া, ধাঁধা, লোকগান ও লোকভাষাও সাধারণভাবে আলোচনা করা হয়েছে। মানভূমের ছড়া, প্রবাদ, মন্ত্র, জনপদ, লোকখেলা, মেয়েলি ব্রতকথা, মেয়েদের ক্রীড়া, মানভূমের কৃষিতে খনার বচনের ভূমিকা, লোকাচার, লোকবিশ্বাস, রাতকহনী, পরব, পৌষপার্বণ, আখানযাত্রা, লোকগানে ইতিহাসের উপাদান সন্ধান, বিবাহের আচার-জল সাঁইতে যাওয়া, পালা-পার্বণে লোকগান, মোরগ লড়াই, পুরুলিয়ার বিহাগীত, পুরুলিয়ার শ্রমসংগীত, কাঠিনাচ, লৌকিক দেবদেবী, খেলাইচণ্ডী, লোকচিকিৎসা, মেয়েলি রঙ্গরসিকতা, মানভূমের নিমন্ত্রণপ্রথা, মানভূমের জীবনে সতীন, ভাগ্নে, বন্ধু, জামাই, রমণী প্রভৃতি বহুত্তর বিষয় বিন্যাসে গ্রন্থটির মর্যাদা বহুগুণ বৰ্দ্ধিত হয়েছে।