“ধর্ম ও অনুতাপ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দেড়শো গজে জীবন
Publisher: একুশ শতক
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-dgj01
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী
₹600
" ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী " গ্রন্থে সনাতন চক্রবর্তীর ভাগবত অনুবাদকে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের পাশাপাশি ভারতীয় ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের একটি ধারাপথের বিবরণ ও স্বরূপ তুলে ধরেছেন লেখক। পূর্ব ভারতের ভক্তিবাদের স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য এবং শ্রীমদ্ভাগবত সম্পর্কিত নানান তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবতের মাহাত্ম্য তথা ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কতখানি সে সম্পর্কে মননশীল ভাবনা লেখক রেখে গেছেন। বাংলায় ভাগবত অনুবাদের আদিপর্ব বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি মালাধর বসুর 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়ে'র প্রসঙ্গ এনেছেন। এনেছেন রঘুনাথ ভাগবতাচার্যের 'শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী' গ্রন্থটিকে। পাশাপাশি মাধব রচিত 'শ্রীকৃষ্ণমঙ্গলে'র স্বরূপও বিশ্লেষণ করেছেন। দুঃখী শ্যামদাসের 'গোবিন্দমঙ্গল' এবং অভিরাম দাস বিরচিত 'গোবিন্দবিজয়' গ্রন্থটিও এই ধারাবাহিক বিশ্লেষণে স্থান পেয়েছে। সবশেষে সনাতন চক্রবর্তীর 'ভাষাবন্ধ ভাগবতে'র পাঠ-পর্যালোচনা ও তত্ত্বনির্ভর বিশ্লেষণ আছে গ্রন্থের বৃহৎ অংশ জুড়ে। এই আলোচনায় স্বাভাবিকভাবে এসেছে কবি সনাতনের ব্যক্তিপরিচিতি ও তাঁর পুথি-পরিচয়ের প্রসঙ্গটি। ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লেখক বেদের বিবিধ অংশের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করেছেন। বেদের যুগে ঋষিগণ প্রকৃতির বিভিন্নরূপে দেবত্ব আরোপ করেছেন। গ্রন্থকার এই অংশে অগ্নি, বরুণ, ঊষা সকলের দেবত্বে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বিবরণ দিয়েছেন এবং বর্ষণকারী দেবতা ইন্দ্রের প্রসঙ্গ এনেছেন। দেবতাদের প্রীত রাখবার জন্য পরিকল্পিতভাবে যাগযজ্ঞ আর প্রীতিকারক স্তব-স্তুতির যে উদ্ভব ঘটেছে সে বিষয়ে মনোজ্ঞ বিশ্লেষণ করে গেছেন। দিয়েছেন বৈদিক দেবতার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে শাস্ত্রজ্ঞান নির্ভর ভাবনা। উপনিষদের ঋষিরা বোধি বা ইনটিউটিভ্ পার্সেপশনের সাহায্যে ব্রহ্মই যে স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মূল এই উপলব্ধিতে উপনীত হওয়ার পর তাঁদের অন্তরে যখন এই সত্যটির উদ্ভাস ঘটে আর তখনই তাঁদের মধ্যে ব্রাহ্মীস্থিতি লাভ হয়। তখন উদাত্ত কণ্ঠে ঋষিগণ ঘোষণা করতে পারলেন যে আমরা ব্রহ্মকে জেনেছি আর তাকে জানলেই অমৃত লাভ করা যায়- এই ধারণাকে প্রমাণ করবার জন্য লেখক শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের সংস্কৃত তথ্য তুলে ধরে যুক্তিবাদ এবং অধ্যাত্মবাদের সম্মিলন ঘটিয়েছেন। বেদ ও উপনিষদের যুগে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা চিন্তন স্বাধীনতার পরিসর ছিল যথেষ্ট, সেকথা গ্রন্থকার উপনিষদের সূক্ত উদ্ধার করে বোঝাবার চেষ্টা করেছেন। ভাগবতের বাংলা অনুবাদ নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজগুলির মধ্যে এই গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে মৌলিকতার দাবি রাখে।
ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী
₹600
" ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী " গ্রন্থে সনাতন চক্রবর্তীর ভাগবত অনুবাদকে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের পাশাপাশি ভারতীয় ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের একটি ধারাপথের বিবরণ ও স্বরূপ তুলে ধরেছেন লেখক। পূর্ব ভারতের ভক্তিবাদের স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য এবং শ্রীমদ্ভাগবত সম্পর্কিত নানান তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবতের মাহাত্ম্য তথা ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কতখানি সে সম্পর্কে মননশীল ভাবনা লেখক রেখে গেছেন। বাংলায় ভাগবত অনুবাদের আদিপর্ব বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি মালাধর বসুর 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়ে'র প্রসঙ্গ এনেছেন। এনেছেন রঘুনাথ ভাগবতাচার্যের 'শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী' গ্রন্থটিকে। পাশাপাশি মাধব রচিত 'শ্রীকৃষ্ণমঙ্গলে'র স্বরূপও বিশ্লেষণ করেছেন। দুঃখী শ্যামদাসের 'গোবিন্দমঙ্গল' এবং অভিরাম দাস বিরচিত 'গোবিন্দবিজয়' গ্রন্থটিও এই ধারাবাহিক বিশ্লেষণে স্থান পেয়েছে। সবশেষে সনাতন চক্রবর্তীর 'ভাষাবন্ধ ভাগবতে'র পাঠ-পর্যালোচনা ও তত্ত্বনির্ভর বিশ্লেষণ আছে গ্রন্থের বৃহৎ অংশ জুড়ে। এই আলোচনায় স্বাভাবিকভাবে এসেছে কবি সনাতনের ব্যক্তিপরিচিতি ও তাঁর পুথি-পরিচয়ের প্রসঙ্গটি। ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লেখক বেদের বিবিধ অংশের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করেছেন। বেদের যুগে ঋষিগণ প্রকৃতির বিভিন্নরূপে দেবত্ব আরোপ করেছেন। গ্রন্থকার এই অংশে অগ্নি, বরুণ, ঊষা সকলের দেবত্বে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বিবরণ দিয়েছেন এবং বর্ষণকারী দেবতা ইন্দ্রের প্রসঙ্গ এনেছেন। দেবতাদের প্রীত রাখবার জন্য পরিকল্পিতভাবে যাগযজ্ঞ আর প্রীতিকারক স্তব-স্তুতির যে উদ্ভব ঘটেছে সে বিষয়ে মনোজ্ঞ বিশ্লেষণ করে গেছেন। দিয়েছেন বৈদিক দেবতার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে শাস্ত্রজ্ঞান নির্ভর ভাবনা। উপনিষদের ঋষিরা বোধি বা ইনটিউটিভ্ পার্সেপশনের সাহায্যে ব্রহ্মই যে স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মূল এই উপলব্ধিতে উপনীত হওয়ার পর তাঁদের অন্তরে যখন এই সত্যটির উদ্ভাস ঘটে আর তখনই তাঁদের মধ্যে ব্রাহ্মীস্থিতি লাভ হয়। তখন উদাত্ত কণ্ঠে ঋষিগণ ঘোষণা করতে পারলেন যে আমরা ব্রহ্মকে জেনেছি আর তাকে জানলেই অমৃত লাভ করা যায়- এই ধারণাকে প্রমাণ করবার জন্য লেখক শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের সংস্কৃত তথ্য তুলে ধরে যুক্তিবাদ এবং অধ্যাত্মবাদের সম্মিলন ঘটিয়েছেন। বেদ ও উপনিষদের যুগে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা চিন্তন স্বাধীনতার পরিসর ছিল যথেষ্ট, সেকথা গ্রন্থকার উপনিষদের সূক্ত উদ্ধার করে বোঝাবার চেষ্টা করেছেন। ভাগবতের বাংলা অনুবাদ নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজগুলির মধ্যে এই গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে মৌলিকতার দাবি রাখে।
প্রসঙ্গ শক্তি চট্টোপাধ্যায়
₹300
বাংলা কবিতায় নতুন একটি ধারা সূচিত হয়েছিল পঞ্চাশের দশকে। এইধারা আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়েছিল পঞ্চাশের কবিতায় সমকালীনতা, জীবনের আখ্যানের চলাচল, অন্তর্নিহিত স্পন্দন, ব্যাপক বোহেমিয়ানিজম, এবং যথার্থ নাগরিকতা ইত্যাদির মিশেল নিয়ে বাংলা কবিতায় প্রাণময় এবং সৌন্দর্যপৄষ্ঠ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় শক্তি কবিতাকে নিয়ে অনুভূতিময় এবং ইন্দ্রিয়বেদ্য আবহ এনেছিলেন বাংলা কবিতায়।
প্রেসিডেন্সী কলেজ এবং পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করলেও, ছিল অসমাপ্ত। বুদ্ধদেব বসুর কবিতা পত্রিকায় ১৯৫৬তে ‘যম' কবিতাটি প্রথম ছাপা হয়। আদর করে কবিতাকে পদ্য বলতেই পছন্দ করতেন। একটা সময় সত্তরের দশকে 'সাপ্তাহিক বাংলা কবিতা' নামের সাহিত্যপত্র সম্পাদনা করেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতা ছাড়াও কিছুদিন হিন্দমোটরস কারখানার কাজ করেছেন। সাংবাদিকতার জীবিকা থেকে অবসরের পরে শক্তি চট্টোপাধ্যায় সৃষ্টিশীল সাহিত্য নিয়ে আমন্ত্রিত অধ্যাপক হিসেবে বিশ্বভারতীতে ছিলেন। " প্রসঙ্গ শক্তি চট্টোপাধ্যায় " সংকলনে একত্রিত হওয়া অনেক লেখাই প্রমাণ করবে শক্তি থাকবেন চিরকাল থাকবেন মানুষের, পশুপাখির এবং প্রকৃতির ভালোবাসায়। একজন প্রকৃত কবির অধিষ্ঠান এই লেখাগুলির মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। মানুষের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা, সামাজিক সম্পর্ক যেন এক অবারিত আকাঙ্ক্ষার আবিষ্কারের মতো।
সংকলনে প্রকাশিত লেখাগুলি শক্তির প্রয়াণের পর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সে সব লেখা থেকে নির্বাচন করেই এই সংকলন প্রকাশিত হল। 'বিভাব', কারুভাষ শ্লোক’, পি.ই.এন প্রকাশিত পুস্তিকা, সাংস্কৃতিক খবর, মাসিক কবি পত্র, সংবাদ প্রবাহ প্রভৃতি পত্রিকার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। কবির জীবন চলাচল, তাঁর বর্ণময় জীবনআখ্যান এবং স্বভা সমগ্রতা ছুঁয়ে দেখারই চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ শক্তি চট্টোপাধ্যায়
₹300
বাংলা কবিতায় নতুন একটি ধারা সূচিত হয়েছিল পঞ্চাশের দশকে। এইধারা আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়েছিল পঞ্চাশের কবিতায় সমকালীনতা, জীবনের আখ্যানের চলাচল, অন্তর্নিহিত স্পন্দন, ব্যাপক বোহেমিয়ানিজম, এবং যথার্থ নাগরিকতা ইত্যাদির মিশেল নিয়ে বাংলা কবিতায় প্রাণময় এবং সৌন্দর্যপৄষ্ঠ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় শক্তি কবিতাকে নিয়ে অনুভূতিময় এবং ইন্দ্রিয়বেদ্য আবহ এনেছিলেন বাংলা কবিতায়।
প্রেসিডেন্সী কলেজ এবং পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করলেও, ছিল অসমাপ্ত। বুদ্ধদেব বসুর কবিতা পত্রিকায় ১৯৫৬তে ‘যম' কবিতাটি প্রথম ছাপা হয়। আদর করে কবিতাকে পদ্য বলতেই পছন্দ করতেন। একটা সময় সত্তরের দশকে 'সাপ্তাহিক বাংলা কবিতা' নামের সাহিত্যপত্র সম্পাদনা করেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতা ছাড়াও কিছুদিন হিন্দমোটরস কারখানার কাজ করেছেন। সাংবাদিকতার জীবিকা থেকে অবসরের পরে শক্তি চট্টোপাধ্যায় সৃষ্টিশীল সাহিত্য নিয়ে আমন্ত্রিত অধ্যাপক হিসেবে বিশ্বভারতীতে ছিলেন। " প্রসঙ্গ শক্তি চট্টোপাধ্যায় " সংকলনে একত্রিত হওয়া অনেক লেখাই প্রমাণ করবে শক্তি থাকবেন চিরকাল থাকবেন মানুষের, পশুপাখির এবং প্রকৃতির ভালোবাসায়। একজন প্রকৃত কবির অধিষ্ঠান এই লেখাগুলির মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। মানুষের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা, সামাজিক সম্পর্ক যেন এক অবারিত আকাঙ্ক্ষার আবিষ্কারের মতো।
সংকলনে প্রকাশিত লেখাগুলি শক্তির প্রয়াণের পর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সে সব লেখা থেকে নির্বাচন করেই এই সংকলন প্রকাশিত হল। 'বিভাব', কারুভাষ শ্লোক’, পি.ই.এন প্রকাশিত পুস্তিকা, সাংস্কৃতিক খবর, মাসিক কবি পত্র, সংবাদ প্রবাহ প্রভৃতি পত্রিকার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। কবির জীবন চলাচল, তাঁর বর্ণময় জীবনআখ্যান এবং স্বভা সমগ্রতা ছুঁয়ে দেখারই চেষ্টা করা হয়েছে।
স্বাধীনতার দাবী
₹300
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক স্বাধীনতা সংগ্রামী সতেন্দ্রনাথ মজুমদারের 'স্বাধীনতার দাবী' এক অসামান্য দুর্লভ গ্রন্থ। গত শতাব্দীর তিরিশের দশকে জাতীয় কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ চাই প্রস্তাব গ্রহণ করার পর এই পূর্ণ স্বরাজ দাবির সপক্ষে যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে ক্ষুরধার কলমে ‘স্বাধীনতার দাবী' গ্রন্থ লিখেছিলেন দুঃসাহসী সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার। গ্রন্থটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সমস্ত কপি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তাই গ্রন্থটি ছিল সকলের দৃষ্টির আড়ালে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে গ্রন্থটির গুরুত্ব অসামান্য অথচ কেউই কখনো চোখে দেখার সুযোগ পাননি। ইতিহাসবিদ এবং গবেষকরা জাতীয় গ্রন্থাগার সহ সমস্ত গ্রন্থাগার তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সংগ্রহ করতে পারেন নি। শোনা যায় একটি কপি নাকি লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়মে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছিল কিন্তু কোনো ইতিহাসবিদ নিজের চোখে দেখে সে প্রসঙ্গে কিছু লেখেন নি। আশ্চর্য দুর্লভ সেই গ্রন্থ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ৯২ বছর পর প্রকাশ করা হল। ইতিহাস গবেষক ছাড়াও সাধারণ পাঠক মুগ্ধ হবেন এই গ্রন্থের ভষা, যুক্তি বিন্যাস, ইতিহাস বিশ্লেষণ ও দুঃসাহসী উপস্থাপনের গুনে।
স্বাধীনতার দাবী
₹300
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক স্বাধীনতা সংগ্রামী সতেন্দ্রনাথ মজুমদারের 'স্বাধীনতার দাবী' এক অসামান্য দুর্লভ গ্রন্থ। গত শতাব্দীর তিরিশের দশকে জাতীয় কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ চাই প্রস্তাব গ্রহণ করার পর এই পূর্ণ স্বরাজ দাবির সপক্ষে যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে ক্ষুরধার কলমে ‘স্বাধীনতার দাবী' গ্রন্থ লিখেছিলেন দুঃসাহসী সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার। গ্রন্থটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সমস্ত কপি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তাই গ্রন্থটি ছিল সকলের দৃষ্টির আড়ালে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে গ্রন্থটির গুরুত্ব অসামান্য অথচ কেউই কখনো চোখে দেখার সুযোগ পাননি। ইতিহাসবিদ এবং গবেষকরা জাতীয় গ্রন্থাগার সহ সমস্ত গ্রন্থাগার তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সংগ্রহ করতে পারেন নি। শোনা যায় একটি কপি নাকি লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়মে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছিল কিন্তু কোনো ইতিহাসবিদ নিজের চোখে দেখে সে প্রসঙ্গে কিছু লেখেন নি। আশ্চর্য দুর্লভ সেই গ্রন্থ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ৯২ বছর পর প্রকাশ করা হল। ইতিহাস গবেষক ছাড়াও সাধারণ পাঠক মুগ্ধ হবেন এই গ্রন্থের ভষা, যুক্তি বিন্যাস, ইতিহাস বিশ্লেষণ ও দুঃসাহসী উপস্থাপনের গুনে।
বিশ্বায়ন ও হাতি
By কিশোর চৌধুরী
₹100
হাতিদের প্রতি লেখকের আকর্ষণ বহুদিনের এবং হাতি নিয়ে তার পড়াশুনাও অত্যন্ত গভীর। হাতিদের প্রতি তার দরদও অনস্বীকার্য। তাঁর গভীর অরণ্যপ্রীতি এবং বন্যপ্রাণীপ্রেম সত্যি প্রশংসনীয়। বনজঙ্গল এবং বন্যপ্রাণী ছাড়াও সে নানা আদিবাসীদের কথাও মুনশিয়ানার সঙ্গে লিখেছেন ' বিশ্বায়ন ও হাতি ' গ্রন্থটিতে, যা গভীর অভিজ্ঞতা ছাড়া সম্ভব ছিল না। যে সমস্ত অঞ্চল নিয়ে তিনি লিখেছেন সেগুলি হলো সারান্ডা, উড়িষ্যার কালাহান্ডি ও ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া, অবুঝমার, নারায়ণপুর, বাস্তারা ইত্যাদি।
পাঠকেরা কিশাের চৌধুরীর এই বইটি পড়ে উপভােগ তাে করবেনই এবং তাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক বিস্তৃত হবে।
বিশ্বায়ন ও হাতি
By কিশোর চৌধুরী
₹100
হাতিদের প্রতি লেখকের আকর্ষণ বহুদিনের এবং হাতি নিয়ে তার পড়াশুনাও অত্যন্ত গভীর। হাতিদের প্রতি তার দরদও অনস্বীকার্য। তাঁর গভীর অরণ্যপ্রীতি এবং বন্যপ্রাণীপ্রেম সত্যি প্রশংসনীয়। বনজঙ্গল এবং বন্যপ্রাণী ছাড়াও সে নানা আদিবাসীদের কথাও মুনশিয়ানার সঙ্গে লিখেছেন ' বিশ্বায়ন ও হাতি ' গ্রন্থটিতে, যা গভীর অভিজ্ঞতা ছাড়া সম্ভব ছিল না। যে সমস্ত অঞ্চল নিয়ে তিনি লিখেছেন সেগুলি হলো সারান্ডা, উড়িষ্যার কালাহান্ডি ও ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া, অবুঝমার, নারায়ণপুর, বাস্তারা ইত্যাদি।
পাঠকেরা কিশাের চৌধুরীর এই বইটি পড়ে উপভােগ তাে করবেনই এবং তাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক বিস্তৃত হবে।