“প্রতিবেশী রাজ্যের গল্প ওড়িশা ও আসাম” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দেড়শো গজে জীবন
Publisher: একুশ শতক
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-dgj01
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি
By রাম বসু
₹300
গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে বাংলা কবিতার আঙিনায় কবি রাম বসুর আবির্ভাব। উত্তাল চল্লিশের রাজনৈতিক আবর্তনে সে-সময় তার কলম ঝলসে উঠেছিল। জন্ম নিয়েছিল ‘পরান মাঝি হাঁক দিয়েছে’-র মতাে আশ্চর্য উদ্দীপক কবিতা। তারপর ক্রমাগত লিখে চলেছেন কবি, টানা প্রায় ছয় দশক। | চল্লিশের দশকে সমাজতান্ত্রিক সােভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সাত দুনিয়া দেখেছিল হিংস্র হিটলারের ফ্যাসিবাদী শক্তির পরাজয়। উপনিবেশিক শাসনের বেড়াজাল ভেঙে একটার পর একটা দেশ স্বাধীন হয়েছে আর সমাজতন্ত্রের বিজয় পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন নিপীড়িত মানুষ। নব্বই দশকের গোড়ায় ভেঙে পড়ল সমাজতন্ত্রের শিবির। সারা দুনিয়া চমকে গিয়েছিল। কবির বিশ্বাসের জগৎও বিরাট ধাক্কা খেয়েছিল।
দীর্ঘ পথ চলতে চলতে নানা প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও উত্তরহীনতার মুখােমুখি হয়েছেন কবি। মানুষের জয়যাত্রার স্বপ্ন বারবার যেমন চিত্রিত করেছেন তিনি, তেমনি তার প্রশ্ন-দীর্ণ মন দার্শনিক ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়েছে। কবিতায় এই খণ্ড-বিখণ্ড মনের ছবি অনন্য দক্ষতায় লিপিবদ্ধ করেছেন কবি। সমাজমুখীনতা, বাস্তববাদীতা এবং নিপীড়িত মানুষের জন্য গভীর আবেগ ও প্রেম যে কবিতার জন্ম দিয়েছে তাই নিয়ে এই অসামান্য সংকলন ‘ কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি ‘
কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি
By রাম বসু
₹300
গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে বাংলা কবিতার আঙিনায় কবি রাম বসুর আবির্ভাব। উত্তাল চল্লিশের রাজনৈতিক আবর্তনে সে-সময় তার কলম ঝলসে উঠেছিল। জন্ম নিয়েছিল ‘পরান মাঝি হাঁক দিয়েছে’-র মতাে আশ্চর্য উদ্দীপক কবিতা। তারপর ক্রমাগত লিখে চলেছেন কবি, টানা প্রায় ছয় দশক। | চল্লিশের দশকে সমাজতান্ত্রিক সােভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সাত দুনিয়া দেখেছিল হিংস্র হিটলারের ফ্যাসিবাদী শক্তির পরাজয়। উপনিবেশিক শাসনের বেড়াজাল ভেঙে একটার পর একটা দেশ স্বাধীন হয়েছে আর সমাজতন্ত্রের বিজয় পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন নিপীড়িত মানুষ। নব্বই দশকের গোড়ায় ভেঙে পড়ল সমাজতন্ত্রের শিবির। সারা দুনিয়া চমকে গিয়েছিল। কবির বিশ্বাসের জগৎও বিরাট ধাক্কা খেয়েছিল।
দীর্ঘ পথ চলতে চলতে নানা প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও উত্তরহীনতার মুখােমুখি হয়েছেন কবি। মানুষের জয়যাত্রার স্বপ্ন বারবার যেমন চিত্রিত করেছেন তিনি, তেমনি তার প্রশ্ন-দীর্ণ মন দার্শনিক ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়েছে। কবিতায় এই খণ্ড-বিখণ্ড মনের ছবি অনন্য দক্ষতায় লিপিবদ্ধ করেছেন কবি। সমাজমুখীনতা, বাস্তববাদীতা এবং নিপীড়িত মানুষের জন্য গভীর আবেগ ও প্রেম যে কবিতার জন্ম দিয়েছে তাই নিয়ে এই অসামান্য সংকলন ‘ কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি ‘
রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য
By উৎপল ঝা
₹200
তার অবলম্বন, তার ঈশ্বর-রবীন্দ্রনাথ। পূর্ণতার কাছাকাছি কতদূর পৌঁছতে পারেন একজন মানুষ তার অমােঘ-উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রবীন্দ্রনাথ। একদিকে রবীন্দ্রনাথ অন্যদিকে বাকি ভুবন বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির জগত। পেশার সূত্রেই মিলেছিল সৃজনশীল শিল্পী-সাহিত্যিকদের ঘনিষ্ঠভাবে জানবার। গড়ে উঠেছিল বই ও পত্র-পত্রিকার জগতের সঙ্গে এক নিবিড় সম্পর্ক। ' রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য ' বইয়ের দু-মলাটের মাঝে সেই সব প্রসঙ্গ, যা চার দশক ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বয়ান নয়, নেহাত সংবেদনশীল অনুভব। ভেসে যাওয়ারই কথা, তবু ধরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা হয়তাে।
রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য
By উৎপল ঝা
₹200
তার অবলম্বন, তার ঈশ্বর-রবীন্দ্রনাথ। পূর্ণতার কাছাকাছি কতদূর পৌঁছতে পারেন একজন মানুষ তার অমােঘ-উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রবীন্দ্রনাথ। একদিকে রবীন্দ্রনাথ অন্যদিকে বাকি ভুবন বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির জগত। পেশার সূত্রেই মিলেছিল সৃজনশীল শিল্পী-সাহিত্যিকদের ঘনিষ্ঠভাবে জানবার। গড়ে উঠেছিল বই ও পত্র-পত্রিকার জগতের সঙ্গে এক নিবিড় সম্পর্ক। ' রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য ' বইয়ের দু-মলাটের মাঝে সেই সব প্রসঙ্গ, যা চার দশক ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বয়ান নয়, নেহাত সংবেদনশীল অনুভব। ভেসে যাওয়ারই কথা, তবু ধরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা হয়তাে।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
উত্তরমেরু প্রান্তের দেশ ফিনল্যাণ্ড ভ্রমণ
By সমীর রক্ষিত
₹100
সমীর রক্ষিত স্থপতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক। স্থাপত্যে সংরক্ষণ ও পুননির্মাণের তিনি বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে ইতালির রােমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আশির দশকে। তখন থেকেই এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ইউরােপের বিভিন্ন দেশে। ১৯৯১ সালে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্পে ফিনল্যান্ডে যান। সেখানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভারতীয় স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বক্তৃতা দেন এবং দেশের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিষয়ে বিশেষভাবে পরিচিত হন। এইসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী একদা সােভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়াও ভ্রমণ করেন। পরে যান সুইডেনে। এই তিনটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুচারু ভঙ্গীতে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থিত করেছেন ' ' গ্রন্থটিতে।
তার কলমের শক্তির উৎস মানুষ-সমাজ-সমকাল। এই শক্তিতে তিনি উজ্জ্বল শিল্পদৃষ্টির গভীর প্রতীষ্ঠা দিয়েছেন। একটু নজর করলেই বােঝা যায় সাহিত্য শিল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন অন্যতর এক মাত্রাও - তা বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের জীবনের সম্পর্ক। বস্তুত লেখক একজন প্রযুক্তিবিদ। ফলে এই ভ্রমণকাহিনী শুধুই তথ্য হয়ে থাকেনি, তা বহু চরিত্রের মাধ্যমে সপ্রাণ ও সজীব হয়ে উঠেছে।
উত্তরমেরু প্রান্তের দেশ ফিনল্যাণ্ড ভ্রমণ
By সমীর রক্ষিত
₹100
সমীর রক্ষিত স্থপতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক। স্থাপত্যে সংরক্ষণ ও পুননির্মাণের তিনি বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে ইতালির রােমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আশির দশকে। তখন থেকেই এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ইউরােপের বিভিন্ন দেশে। ১৯৯১ সালে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্পে ফিনল্যান্ডে যান। সেখানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভারতীয় স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বক্তৃতা দেন এবং দেশের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিষয়ে বিশেষভাবে পরিচিত হন। এইসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী একদা সােভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়াও ভ্রমণ করেন। পরে যান সুইডেনে। এই তিনটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুচারু ভঙ্গীতে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থিত করেছেন ' ' গ্রন্থটিতে।
তার কলমের শক্তির উৎস মানুষ-সমাজ-সমকাল। এই শক্তিতে তিনি উজ্জ্বল শিল্পদৃষ্টির গভীর প্রতীষ্ঠা দিয়েছেন। একটু নজর করলেই বােঝা যায় সাহিত্য শিল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন অন্যতর এক মাত্রাও - তা বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের জীবনের সম্পর্ক। বস্তুত লেখক একজন প্রযুক্তিবিদ। ফলে এই ভ্রমণকাহিনী শুধুই তথ্য হয়ে থাকেনি, তা বহু চরিত্রের মাধ্যমে সপ্রাণ ও সজীব হয়ে উঠেছে।
গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল
₹200
লেখক তাঁর কর্মজীবনের সতের বৎসর (১৯৯০-১৯৭৭) প্ল্যানিং কমিশনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন ভারতের এই সময়টি সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রভৃতি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একদিকে চীনের ও পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম, জরুরি অবস্থা ঘোষণা, অন্যদিকে সবুজ বিপ্লবসহ অনেক উন্নতি মূলক পরিকল্পনা। লেখক সুনিপুণ ভাবে এই সমস্ত ঘটনা এবং দিল্লির তখনকার জীবনধারা, সরকারী সংস্থার আভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ রাষ্ট্রসংঘের উপদেষ্টারূপে লেখক আফগানিস্তানের কাবুল শহরে ছিলেন। রাষ্ট্রবিপ্লব ও সংঘাতের প্রত্যক্ষদর্শীরূপে লেখক নানা সমস্যা জর্জরিত ও বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বাস্তব আলেখ্য ও একটি নির্ভরযোগ্য ইতিহাস উপহার দিয়েছেন। " গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল " বাংলা ভাষায় এক অনন্য গ্রন্থ।
গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল
₹200
লেখক তাঁর কর্মজীবনের সতের বৎসর (১৯৯০-১৯৭৭) প্ল্যানিং কমিশনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন ভারতের এই সময়টি সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রভৃতি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একদিকে চীনের ও পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম, জরুরি অবস্থা ঘোষণা, অন্যদিকে সবুজ বিপ্লবসহ অনেক উন্নতি মূলক পরিকল্পনা। লেখক সুনিপুণ ভাবে এই সমস্ত ঘটনা এবং দিল্লির তখনকার জীবনধারা, সরকারী সংস্থার আভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ রাষ্ট্রসংঘের উপদেষ্টারূপে লেখক আফগানিস্তানের কাবুল শহরে ছিলেন। রাষ্ট্রবিপ্লব ও সংঘাতের প্রত্যক্ষদর্শীরূপে লেখক নানা সমস্যা জর্জরিত ও বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বাস্তব আলেখ্য ও একটি নির্ভরযোগ্য ইতিহাস উপহার দিয়েছেন। " গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল " বাংলা ভাষায় এক অনন্য গ্রন্থ।
এভারেস্ট ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
₹200
আমাদের দেশের উত্তরদিক জুড়ে ২,৫০০ কিলােমিটার বিস্তৃত হিমালয়ের ভ্রমণ -ট্রেকিং-মাউন্টেনিয়ারিংয়ের বাইরে তার ইতিহাস, নৃতত্ত্ব, পুরাতত্ত্ব, প্রাণীতত্ত্ব নিয়ে যে রূপ আছে তা নিয়েই ১৬টি সিরিয়াস লেখার সুন্দর সংকলন ' এভারেস্ট ও অন্যান্য প্রসঙ্গ '। পড়তে পড়তে হিমালয় সম্পূর্ণ নতুন রূপে ধরা দেবে, যা হয়তাে নতুন দেখা নতুন ভাবনার দিক উন্মােচিত করবে।
এভারেস্ট ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
₹200
আমাদের দেশের উত্তরদিক জুড়ে ২,৫০০ কিলােমিটার বিস্তৃত হিমালয়ের ভ্রমণ -ট্রেকিং-মাউন্টেনিয়ারিংয়ের বাইরে তার ইতিহাস, নৃতত্ত্ব, পুরাতত্ত্ব, প্রাণীতত্ত্ব নিয়ে যে রূপ আছে তা নিয়েই ১৬টি সিরিয়াস লেখার সুন্দর সংকলন ' এভারেস্ট ও অন্যান্য প্রসঙ্গ '। পড়তে পড়তে হিমালয় সম্পূর্ণ নতুন রূপে ধরা দেবে, যা হয়তাে নতুন দেখা নতুন ভাবনার দিক উন্মােচিত করবে।