“মরু গন্ধে ভরা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দেড়শো গজে জীবন
Publisher: একুশ শতক
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-dgj01
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আধুনিকতা আধুনিকোত্তরবাদ উত্তর আধুনিকতা তত্ত্ব ও প্রয়োগ
₹400
আধুনিকতাবাদ গড়ে তুলেছিল যে মহাসন্দর্ভ, যুক্তিবাদ ও মুলানাে বাইজোমেটিক আধুনিকোত্তরবাদে সেসব প্রত্যাখ্যাত। সাংস্কৃতিক রাজনীতির কুটচালে এখন একই জায়গায় পা তােলা পা ফেলার নাম প্রগতি। তবু নারীচেতনাবাদ, মার্ক্সর্বাদ ও উপনিবেশােত্তরচেতনাবাদ, যে শেষোক্ত চিন্তা প্রস্থান থেকে সূত্র গ্রহণ করে তাদের সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠতে পারে তা বরুণজ্যোতি চৌধুরীর ' আধুনিকতা আধুনিকোত্তরবাদ উত্তর আধুনিকতা তত্ত্ব ও প্রয়োগ ' গ্রন্থে কৃত বিশ্লেষণে ধরা পড়েছে।
নন্দনের সমাজতত্ত্ব ও বৌদ্ধিক চিন্তার বৈশ্বিক মাত্রা ও স্তরকে মনে রেখে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, এ-দেশের ঔপনিবেশিক বাস্তবে বঙ্গীয় রেনেসাঁর হাত ধরে বিকশিত আধুনিকতা ছিল একাধারে ‘ঐতিহ্যবিমুখ, অতীতচারী, পলায়নবাদী ও সমঝোতাপ্রবণ। নয়া ঔপনিবেশক প্রেক্ষিতেও অবক্ষয়ী আধুনিকতা, আধুনিকোত্তরবাদের নেতিবাচক ছায়া, আভা গার্দ আন্দোলন, পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-যুব আন্দোলন, খাদ্য আন্দোলন, কৃষক উত্থান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ উত্তরায়ণবাদী চেতনার প্রবণতাগুলাে কীভাবে স্বাধীনােত্তর কালের বাংলা সাহিত্যের আকরণ, প্রকরণ ও নির্যাসকে দশকে দশকে বদলে নিয়েছিল তা-ও তার এই গবেষনা গ্রন্থে বিশেষত।
আধুনিকতা আধুনিকোত্তরবাদ উত্তর আধুনিকতা তত্ত্ব ও প্রয়োগ
₹400
আধুনিকতাবাদ গড়ে তুলেছিল যে মহাসন্দর্ভ, যুক্তিবাদ ও মুলানাে বাইজোমেটিক আধুনিকোত্তরবাদে সেসব প্রত্যাখ্যাত। সাংস্কৃতিক রাজনীতির কুটচালে এখন একই জায়গায় পা তােলা পা ফেলার নাম প্রগতি। তবু নারীচেতনাবাদ, মার্ক্সর্বাদ ও উপনিবেশােত্তরচেতনাবাদ, যে শেষোক্ত চিন্তা প্রস্থান থেকে সূত্র গ্রহণ করে তাদের সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠতে পারে তা বরুণজ্যোতি চৌধুরীর ' আধুনিকতা আধুনিকোত্তরবাদ উত্তর আধুনিকতা তত্ত্ব ও প্রয়োগ ' গ্রন্থে কৃত বিশ্লেষণে ধরা পড়েছে।
নন্দনের সমাজতত্ত্ব ও বৌদ্ধিক চিন্তার বৈশ্বিক মাত্রা ও স্তরকে মনে রেখে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, এ-দেশের ঔপনিবেশিক বাস্তবে বঙ্গীয় রেনেসাঁর হাত ধরে বিকশিত আধুনিকতা ছিল একাধারে ‘ঐতিহ্যবিমুখ, অতীতচারী, পলায়নবাদী ও সমঝোতাপ্রবণ। নয়া ঔপনিবেশক প্রেক্ষিতেও অবক্ষয়ী আধুনিকতা, আধুনিকোত্তরবাদের নেতিবাচক ছায়া, আভা গার্দ আন্দোলন, পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-যুব আন্দোলন, খাদ্য আন্দোলন, কৃষক উত্থান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ উত্তরায়ণবাদী চেতনার প্রবণতাগুলাে কীভাবে স্বাধীনােত্তর কালের বাংলা সাহিত্যের আকরণ, প্রকরণ ও নির্যাসকে দশকে দশকে বদলে নিয়েছিল তা-ও তার এই গবেষনা গ্রন্থে বিশেষত।
ভারতে বহুত্ববাদ
By প্রবীর সরকার
₹200
ভারতে ধর্মান্ধতা, বিভিন্ন ধর্মের নামে এক সম্প্রদায় আর এক সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ, সংঘর্ষ যা অবশ্যই হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠছে তা খুবই চিন্তার কারণ। বর্তমানে রাষ্ট্রের দ্বারা ধর্মকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। ফলে শ্রেণিসংগ্রামে যথাযথ বিকাশ ঘটছে না। অস্পৃশ্যতা, ধর্মান্ধতা, জাত-পাত ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িকতা অবসানের জন্য স্বাধীনতার পরে দেশের আধা সামস্ততান্ত্রিক ভূমি ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফল যা হবার তাই হয়েছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে রুদ্ধ করে দিয়ে অবৈজ্ঞানিক এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তাভাবনা ভারতের সমাজ ও রাজনৈতিক জীবনে ক্রমবর্ধমান প্রভাব ফেলছে। সময় থাকতেই একে রুখে দেওয়া দরকার। এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখেই " ভারতে বহুত্ববাদ " গ্রন্থটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে ভারতে রামমোহন বিদ্যাসাগর বঙ্কিমচন্দ্র বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ-মহাত্মা গান্ধী, আম্বেদকর প্রভৃতি মনীষিরা সারাজীবন আন্দোলন করে গিয়েছেন, অনেকাংশে সফলও হয়েছেন। বর্তমানে সেই অন্ধকার দিনগুলিকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করার জন্যই এই গ্রন্থ। গণ আন্দোলনের পুরোধা নেতৃত্ব ডঃ সুজন চক্রবর্তী মুখবন্ধ বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
ভারতে বহুত্ববাদ
By প্রবীর সরকার
₹200
ভারতে ধর্মান্ধতা, বিভিন্ন ধর্মের নামে এক সম্প্রদায় আর এক সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ, সংঘর্ষ যা অবশ্যই হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠছে তা খুবই চিন্তার কারণ। বর্তমানে রাষ্ট্রের দ্বারা ধর্মকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। ফলে শ্রেণিসংগ্রামে যথাযথ বিকাশ ঘটছে না। অস্পৃশ্যতা, ধর্মান্ধতা, জাত-পাত ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িকতা অবসানের জন্য স্বাধীনতার পরে দেশের আধা সামস্ততান্ত্রিক ভূমি ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফল যা হবার তাই হয়েছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে রুদ্ধ করে দিয়ে অবৈজ্ঞানিক এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তাভাবনা ভারতের সমাজ ও রাজনৈতিক জীবনে ক্রমবর্ধমান প্রভাব ফেলছে। সময় থাকতেই একে রুখে দেওয়া দরকার। এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখেই " ভারতে বহুত্ববাদ " গ্রন্থটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে ভারতে রামমোহন বিদ্যাসাগর বঙ্কিমচন্দ্র বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ-মহাত্মা গান্ধী, আম্বেদকর প্রভৃতি মনীষিরা সারাজীবন আন্দোলন করে গিয়েছেন, অনেকাংশে সফলও হয়েছেন। বর্তমানে সেই অন্ধকার দিনগুলিকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করার জন্যই এই গ্রন্থ। গণ আন্দোলনের পুরোধা নেতৃত্ব ডঃ সুজন চক্রবর্তী মুখবন্ধ বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
তিনটি কিশোর উপন্যাস
₹100
ফুটবল, ক্রিকেট ও রাইডিং নিয়ে একসঙ্গে এমন জমজমাট তিনটে উপন্যাস বাংলা কিশোর সাহিত্যে সত্যিই বিরল। কিশোর বয়সে বড়ো ফুটবলার হওয়ার যে স্বপ্ন দেখে বিল্ট, বস্ত্রীর ছেলে সন্তু সেই বয়সেই অসাধারণ এক স্পিন বোলারের সম্ভাবনা নিয়ে উদয় হয়। কিংবা হীরকের নজরে পড়ে রাহুলকে। যে রাহুল অনায়াস গতিতে যে কোনো রাইডারের রেকর্ড ভাঙার জন্য তৈরি হয়।
অসামান্য লেখনীর মুন্সীয়ানায় এই ত্রয়ীর স্বপ্নকে ভিন্ন ভিন্ন তিনটি কিশোর উপন্যাস এ ধরা হয়েছে। একবার পড়তে শুরু করলে কখনও যা ছেড়ে ওঠা যায় না।
তিনটি কিশোর উপন্যাস
₹100
ফুটবল, ক্রিকেট ও রাইডিং নিয়ে একসঙ্গে এমন জমজমাট তিনটে উপন্যাস বাংলা কিশোর সাহিত্যে সত্যিই বিরল। কিশোর বয়সে বড়ো ফুটবলার হওয়ার যে স্বপ্ন দেখে বিল্ট, বস্ত্রীর ছেলে সন্তু সেই বয়সেই অসাধারণ এক স্পিন বোলারের সম্ভাবনা নিয়ে উদয় হয়। কিংবা হীরকের নজরে পড়ে রাহুলকে। যে রাহুল অনায়াস গতিতে যে কোনো রাইডারের রেকর্ড ভাঙার জন্য তৈরি হয়।
অসামান্য লেখনীর মুন্সীয়ানায় এই ত্রয়ীর স্বপ্নকে ভিন্ন ভিন্ন তিনটি কিশোর উপন্যাস এ ধরা হয়েছে। একবার পড়তে শুরু করলে কখনও যা ছেড়ে ওঠা যায় না।
এক পাগলের বটজন্ম কথা
By প্রলয় নাগ
₹100
ইতিহাসকে যতই মুছে ফেলার চেষ্টা হোক, প্রতিবাদের প্রবহমানতা কখনো স্তব্ধ হয় না। তা এক চলমান প্রক্রিয়া, চলতেই থাকবে। সময় তো অনুকূল নয়, কোনও কালেও তা ছিল না। গল্পগুলোও প্রতিকূল সময়ের বয়ান।
একদিকে ধর্মীয় বিভাজনের গন্ডী যেমন টানা হচ্ছে, মানুষের 'মানুষ' পরিচয়কে মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে - লেখক এর বিপরীত প্রান্তে দাঁড়িয়ে অন্যকথা বলছেন। পাথরের মূর্তি থেকে জীবন্ত মানুষ বেরিয়ে আসা, নিজেই নিজের মৃতদেহ দাহ করা, কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যে ? সবকিছুর আড়াল থেকে বেরিয়ে আসছে আরেক সত্য। সর্বস্ব হারানো পাগলের মধ্যেও জেগে উঠেছে প্রতিবাদীচেতনা।
এক পাগলের বটজন্ম কথা
By প্রলয় নাগ
₹100
ইতিহাসকে যতই মুছে ফেলার চেষ্টা হোক, প্রতিবাদের প্রবহমানতা কখনো স্তব্ধ হয় না। তা এক চলমান প্রক্রিয়া, চলতেই থাকবে। সময় তো অনুকূল নয়, কোনও কালেও তা ছিল না। গল্পগুলোও প্রতিকূল সময়ের বয়ান।
একদিকে ধর্মীয় বিভাজনের গন্ডী যেমন টানা হচ্ছে, মানুষের 'মানুষ' পরিচয়কে মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে - লেখক এর বিপরীত প্রান্তে দাঁড়িয়ে অন্যকথা বলছেন। পাথরের মূর্তি থেকে জীবন্ত মানুষ বেরিয়ে আসা, নিজেই নিজের মৃতদেহ দাহ করা, কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যে ? সবকিছুর আড়াল থেকে বেরিয়ে আসছে আরেক সত্য। সর্বস্ব হারানো পাগলের মধ্যেও জেগে উঠেছে প্রতিবাদীচেতনা।
সাহিত্য ও ভাষাচিন্তা
By জীবেশ নায়ক
₹600
প্রধানত বাংলা সাহিত্যের নানাদিক নিয়ে ‘সাহিত্য ও ভাষাচিন্তা' গ্রন্থটি সংকলিত হলেও বাংলা ভাষা সংক্রান্ত আধুনিক সময়ের কথাও বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে। সংস্কৃত সাহিত্য, রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রসঙ্গ যেমন এই গ্রন্থ পরিকল্পনায় গুরুত্ব পেয়েছে তেমনি বাদ যায়নি লোক সাহিত্য, সাহিত্যে পল্লী ও প্রকৃতি, বাংলাছন্দ প্রভৃতি বিষয়। বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ, কবি যতীন্দ্রনাথের সাহিত্যের সাম্প্রতিক পাঠ ও প্রতিক্রিয়া গ্রন্থটির অন্যতর বিশেষত্ব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্য পাঠের ধরণ-ধারণে বৈচিত্র্য এসেছে পাঠক-সমালোচক ভেদে তা প্রায়শই ঐতিহ্যকে আত্তীকরণ করে স্বাতন্ত্রে চিহ্নিত। সাহিত্য ও ভাষাচিন্তা' গ্রন্থটি সেদিক দিয়ে আধুনিক মন-মনস্কতা নির্ভর। কেবল সাহিত্যচিন্তায় সমাজ-ইতিহাস কিংবা দর্শনের প্রসঙ্গ এই গ্রন্থে উত্থাপিত হতে দেখা যাবে না-ভাষাচিন্তার প্রসঙ্গে নানা আধুনিক চিন্তা গ্রন্থটিতে সমান গুরুত্ব পেয়েছে।
সাহিত্য ও ভাষাচিন্তা
By জীবেশ নায়ক
₹600
প্রধানত বাংলা সাহিত্যের নানাদিক নিয়ে ‘সাহিত্য ও ভাষাচিন্তা' গ্রন্থটি সংকলিত হলেও বাংলা ভাষা সংক্রান্ত আধুনিক সময়ের কথাও বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে। সংস্কৃত সাহিত্য, রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রসঙ্গ যেমন এই গ্রন্থ পরিকল্পনায় গুরুত্ব পেয়েছে তেমনি বাদ যায়নি লোক সাহিত্য, সাহিত্যে পল্লী ও প্রকৃতি, বাংলাছন্দ প্রভৃতি বিষয়। বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ, কবি যতীন্দ্রনাথের সাহিত্যের সাম্প্রতিক পাঠ ও প্রতিক্রিয়া গ্রন্থটির অন্যতর বিশেষত্ব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্য পাঠের ধরণ-ধারণে বৈচিত্র্য এসেছে পাঠক-সমালোচক ভেদে তা প্রায়শই ঐতিহ্যকে আত্তীকরণ করে স্বাতন্ত্রে চিহ্নিত। সাহিত্য ও ভাষাচিন্তা' গ্রন্থটি সেদিক দিয়ে আধুনিক মন-মনস্কতা নির্ভর। কেবল সাহিত্যচিন্তায় সমাজ-ইতিহাস কিংবা দর্শনের প্রসঙ্গ এই গ্রন্থে উত্থাপিত হতে দেখা যাবে না-ভাষাচিন্তার প্রসঙ্গে নানা আধুনিক চিন্তা গ্রন্থটিতে সমান গুরুত্ব পেয়েছে।