Discount applied: Discount 20%
“কিংবদন্তি বনফুল” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
ধর্ম ও অনুতাপ
Publisher: একুশ শতক
₹200
ধর্ম ও অনুতাপ আজকের ভারতের সবচেয়ে আলোচনার বিষয়। দুই যুবক, যুবতীর ভালোবাসার মধ্যে ঢুকে পড়ে এই সমাজের মানুষেরা। ভিন্ন ধর্মী এই তরুণ-তরুণী সেই চক্রান্ত এর শিকার। দুটি প্রান নষ্ট হয়। কিন্তু সমাজ ধর্ম খোঁজ এ। এই উপন্যাসটি তাই ব্যক্ত করে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-do01
ধর্ম ও অনুতাপ আজকের ভারতের সবচেয়ে আলোচনার বিষয়। দুই যুবক, যুবতীর ভালোবাসার মধ্যে ঢুকে পড়ে এই সমাজের মানুষেরা। ভিন্ন ধর্মী এই তরুণ-তরুণী সেই চক্রান্ত এর শিকার। দুটি প্রান নষ্ট হয়। কিন্তু সমাজ ধর্ম খোঁজ এ। এই উপন্যাসটি তাই ব্যক্ত করে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
স্তব্ধতার গান শোনো
By শঙ্কর বসু
₹200
পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক শঙ্কর বসুর অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “স্তব্ধতার গান শোনো”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
স্তব্ধতার গান শোনো
By শঙ্কর বসু
₹200
পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক শঙ্কর বসুর অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “স্তব্ধতার গান শোনো”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
উত্তরমেরু প্রান্তের দেশ ফিনল্যাণ্ড ভ্রমণ
By সমীর রক্ষিত
₹100
সমীর রক্ষিত স্থপতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক। স্থাপত্যে সংরক্ষণ ও পুননির্মাণের তিনি বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে ইতালির রােমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আশির দশকে। তখন থেকেই এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ইউরােপের বিভিন্ন দেশে। ১৯৯১ সালে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্পে ফিনল্যান্ডে যান। সেখানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভারতীয় স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বক্তৃতা দেন এবং দেশের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিষয়ে বিশেষভাবে পরিচিত হন। এইসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী একদা সােভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়াও ভ্রমণ করেন। পরে যান সুইডেনে। এই তিনটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুচারু ভঙ্গীতে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থিত করেছেন ' ' গ্রন্থটিতে।
তার কলমের শক্তির উৎস মানুষ-সমাজ-সমকাল। এই শক্তিতে তিনি উজ্জ্বল শিল্পদৃষ্টির গভীর প্রতীষ্ঠা দিয়েছেন। একটু নজর করলেই বােঝা যায় সাহিত্য শিল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন অন্যতর এক মাত্রাও - তা বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের জীবনের সম্পর্ক। বস্তুত লেখক একজন প্রযুক্তিবিদ। ফলে এই ভ্রমণকাহিনী শুধুই তথ্য হয়ে থাকেনি, তা বহু চরিত্রের মাধ্যমে সপ্রাণ ও সজীব হয়ে উঠেছে।
উত্তরমেরু প্রান্তের দেশ ফিনল্যাণ্ড ভ্রমণ
By সমীর রক্ষিত
₹100
সমীর রক্ষিত স্থপতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক। স্থাপত্যে সংরক্ষণ ও পুননির্মাণের তিনি বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে ইতালির রােমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আশির দশকে। তখন থেকেই এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ইউরােপের বিভিন্ন দেশে। ১৯৯১ সালে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্পে ফিনল্যান্ডে যান। সেখানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভারতীয় স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বক্তৃতা দেন এবং দেশের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিষয়ে বিশেষভাবে পরিচিত হন। এইসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী একদা সােভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়াও ভ্রমণ করেন। পরে যান সুইডেনে। এই তিনটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুচারু ভঙ্গীতে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থিত করেছেন ' ' গ্রন্থটিতে।
তার কলমের শক্তির উৎস মানুষ-সমাজ-সমকাল। এই শক্তিতে তিনি উজ্জ্বল শিল্পদৃষ্টির গভীর প্রতীষ্ঠা দিয়েছেন। একটু নজর করলেই বােঝা যায় সাহিত্য শিল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন অন্যতর এক মাত্রাও - তা বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের জীবনের সম্পর্ক। বস্তুত লেখক একজন প্রযুক্তিবিদ। ফলে এই ভ্রমণকাহিনী শুধুই তথ্য হয়ে থাকেনি, তা বহু চরিত্রের মাধ্যমে সপ্রাণ ও সজীব হয়ে উঠেছে।
খবর যখন অবাক করে
By জয়ন্ত সাহা
₹200
বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠাতেই অজস্র ঘটনার বিচিত্র বিস্ফোরণ। পড়তে পড়তে মালুম হবে এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যেন আজব কারখানা।‘মশারা গান ভালোবাসে’, ‘মৌমাছিরাও ফুটবল খেলতে পারে, “ছ-বছরেও কোটিপতি হওয়া যায়’ কিংবা ‘খরগোশ যখন পুলিশ সেজে শিকার ধরে' তখন আট থেকে আশি সবার চোখতো ছানাবড়া হবেই। এইসব অজস্র ঘটনার ঘনঘটায় আস্ত একটা বই জমে ক্ষীর হয়ে আছে। লেখক আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের গীতাঞ্জলী প্রচার তরঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শনিবার সন্ধে সাড়ে সাতটার বিচিত্র সংবাদ বানাতে গিয়ে এই বিশ্বব্রম্মান্ডের যে বিচিত্র সংবাদগুলি তালুবন্দি করেছেন সেই অসংখ্য মজাদার ঘটনার মলাটবন্দি সংকলন "খবর যখন অবাক করে" গ্রন্থ।
খবর যখন অবাক করে
By জয়ন্ত সাহা
₹200
বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠাতেই অজস্র ঘটনার বিচিত্র বিস্ফোরণ। পড়তে পড়তে মালুম হবে এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যেন আজব কারখানা।‘মশারা গান ভালোবাসে’, ‘মৌমাছিরাও ফুটবল খেলতে পারে, “ছ-বছরেও কোটিপতি হওয়া যায়’ কিংবা ‘খরগোশ যখন পুলিশ সেজে শিকার ধরে' তখন আট থেকে আশি সবার চোখতো ছানাবড়া হবেই। এইসব অজস্র ঘটনার ঘনঘটায় আস্ত একটা বই জমে ক্ষীর হয়ে আছে। লেখক আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের গীতাঞ্জলী প্রচার তরঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শনিবার সন্ধে সাড়ে সাতটার বিচিত্র সংবাদ বানাতে গিয়ে এই বিশ্বব্রম্মান্ডের যে বিচিত্র সংবাদগুলি তালুবন্দি করেছেন সেই অসংখ্য মজাদার ঘটনার মলাটবন্দি সংকলন "খবর যখন অবাক করে" গ্রন্থ।
সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র
₹500
কথাসাহিত্যিক সুশীল জানার নাম বাংলা সাহিত্যের পাঠকের কাছে অপরিচিত নয়। কিন্তু তাঁর রচনা বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। জীবনের অভিজ্ঞান অজস্র বৈচিত্র্য নিয়ে কিভাবে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে সুশীল জানার লেখায়, তাঁর সাক্ষ্য দেয় তাঁর সমস্ত উপন্যাসগুলি। যাদের সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ছয়টি। মহানগরী, সূর্যগ্রাস, বেলাভূমির গান, সাগর সঙ্গমে, শতদ্রুর সংখ্যা, প্রস্থান পর্ব ইত্যাদি সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দেশ-কাল-সমাজ এবং ব্যক্তিমানুষের মধ্যে যে-দন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধ তার লেখায় বিচিত্রভাবে উপস্থিত হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটের বৈচিত্র্য যে কতটাই, তা পরোক্ষ করা যায় " মহানগর " উপন্যাসে। কলকাতার কানাগলি এবং তার বাসিন্দা নিম্ন মধ্যবিত্ত একদল মানুষের জীবনের কিছু টানাপোড়েন এবং ব্রিটিশ রাজত্বের একেবারে অন্তিম পর্যায়ের ভঙ্গুর চালচিত্রকে রূপায়িত করে তার " মহানগর " উপন্যাসটি লেখা। ধর্মঘট, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ছন্ছত্তর হয়ে যাওয়া সারা দেশের পটভূমি - আর তারই সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে রূপায়িত নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবনযুদ্ধ - এই দুটোকে মিলিয়ে নিয়ে নিপুণ নকশায় বুনেছেন সুশীল জানা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের এবং দেশ স্বাধীন হবার ঠিক আগের এবং পরের সময়কালের পটভূমিতে নাগরিক নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের চিত্রায়ণ হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস " সূর্যগ্রাস " এর মধ্যে।
" বেলাভূমির গান " এবং " সাগরসঙ্গমে "- এই দুটি উপন্যাসের পটভূমিকা এবং কুশীলবেরা আবার সম্পূর্ণ আলাদা আগের দুটির থেকে। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ নয় এরা দূর প্রত্যন্তবাসী গ্রামীণ নারী পুরুষেরা এখানে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে তাদের অন্তরের অন্তর্লীন অসংখ্য আদিম আকুতি নিয়ে। আবার সঙ্গে - সঙ্গেই দেশ - কাল - সমাজ - রাজনীতি - অর্থনীতির পরিপূর্ণ অভিঘাতের নানা ইঙ্গিত সূচিত করে দিতেও লেখকের কলম সমানভাবেই সক্রিয় থেকেছে।
" শতদ্রুর সংখ্যা " বেরোনোর তিন বছর পরে বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। এটিকে একই সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করলেই যথাযোগ্য মূল্যায়ন করা যায় বোধহয়। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হল এটিই যে, এখানে রাষ্ট্রনৈতিক ওঠা-পড়া, ঝড়-ঝঞ্ঝা এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ এমনই ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে, কোনওটাই অন্যটাকে বাদ দিয়ে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। দেশপ্রেমিক এবং দেশদ্রোহী, উৎপীড়ক ও উৎপীড়িত, ভালোরা ও মন্দরা এখানে এমনই কিছু দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধে জড়িয়ে আছে, যা এর বহিরঙ্গের রাজনীতির উত্তালতা এবং অন্তর্মুখের মানসিক অধীষণ - দুটোকেই সমান গুরুত্বে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শেষ উপন্যাস 'প্রস্থান পর্ব'। পলাশির যুদ্ধের পরে করমন্ডল উপকূল থেকে আসা একদল পেশাদার সিপাহির বিপন্ন অসহায়তার কাহিনি এটি।
সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র
₹500
কথাসাহিত্যিক সুশীল জানার নাম বাংলা সাহিত্যের পাঠকের কাছে অপরিচিত নয়। কিন্তু তাঁর রচনা বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। জীবনের অভিজ্ঞান অজস্র বৈচিত্র্য নিয়ে কিভাবে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে সুশীল জানার লেখায়, তাঁর সাক্ষ্য দেয় তাঁর সমস্ত উপন্যাসগুলি। যাদের সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ছয়টি। মহানগরী, সূর্যগ্রাস, বেলাভূমির গান, সাগর সঙ্গমে, শতদ্রুর সংখ্যা, প্রস্থান পর্ব ইত্যাদি সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দেশ-কাল-সমাজ এবং ব্যক্তিমানুষের মধ্যে যে-দন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধ তার লেখায় বিচিত্রভাবে উপস্থিত হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটের বৈচিত্র্য যে কতটাই, তা পরোক্ষ করা যায় " মহানগর " উপন্যাসে। কলকাতার কানাগলি এবং তার বাসিন্দা নিম্ন মধ্যবিত্ত একদল মানুষের জীবনের কিছু টানাপোড়েন এবং ব্রিটিশ রাজত্বের একেবারে অন্তিম পর্যায়ের ভঙ্গুর চালচিত্রকে রূপায়িত করে তার " মহানগর " উপন্যাসটি লেখা। ধর্মঘট, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ছন্ছত্তর হয়ে যাওয়া সারা দেশের পটভূমি - আর তারই সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে রূপায়িত নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবনযুদ্ধ - এই দুটোকে মিলিয়ে নিয়ে নিপুণ নকশায় বুনেছেন সুশীল জানা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের এবং দেশ স্বাধীন হবার ঠিক আগের এবং পরের সময়কালের পটভূমিতে নাগরিক নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের চিত্রায়ণ হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস " সূর্যগ্রাস " এর মধ্যে।
" বেলাভূমির গান " এবং " সাগরসঙ্গমে "- এই দুটি উপন্যাসের পটভূমিকা এবং কুশীলবেরা আবার সম্পূর্ণ আলাদা আগের দুটির থেকে। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ নয় এরা দূর প্রত্যন্তবাসী গ্রামীণ নারী পুরুষেরা এখানে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে তাদের অন্তরের অন্তর্লীন অসংখ্য আদিম আকুতি নিয়ে। আবার সঙ্গে - সঙ্গেই দেশ - কাল - সমাজ - রাজনীতি - অর্থনীতির পরিপূর্ণ অভিঘাতের নানা ইঙ্গিত সূচিত করে দিতেও লেখকের কলম সমানভাবেই সক্রিয় থেকেছে।
" শতদ্রুর সংখ্যা " বেরোনোর তিন বছর পরে বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। এটিকে একই সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করলেই যথাযোগ্য মূল্যায়ন করা যায় বোধহয়। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হল এটিই যে, এখানে রাষ্ট্রনৈতিক ওঠা-পড়া, ঝড়-ঝঞ্ঝা এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ এমনই ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে, কোনওটাই অন্যটাকে বাদ দিয়ে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। দেশপ্রেমিক এবং দেশদ্রোহী, উৎপীড়ক ও উৎপীড়িত, ভালোরা ও মন্দরা এখানে এমনই কিছু দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধে জড়িয়ে আছে, যা এর বহিরঙ্গের রাজনীতির উত্তালতা এবং অন্তর্মুখের মানসিক অধীষণ - দুটোকেই সমান গুরুত্বে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শেষ উপন্যাস 'প্রস্থান পর্ব'। পলাশির যুদ্ধের পরে করমন্ডল উপকূল থেকে আসা একদল পেশাদার সিপাহির বিপন্ন অসহায়তার কাহিনি এটি।