“ফেয়ারওয়েল” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
বিষ অমৃত কুম্ভে
₹125
কুম্ভকে সামনে রেখে ত্যাগের মােড়কে কিছু মানুষের চূড়ান্ত বেগ আর অধিকাংশ মানুষের চরম কৃচ্ছসাধন, সাথে এক নিচ্ছিদ্র অন্ধ বিশ্বাস -তারই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় জারিত ' বিষ অমৃত কুম্ভে ' ভ্রমণােপন্যাস। অন্য স্বাদের ছােটগল্পগুলােও গতানুগতিক চেনা জগতের বাইরে অজানা পৃথিবীর পটভূমিকায় লেখা। পড়তে পড়তে চরিত্রগুলাের মাঝে একাত্ম হয়ে হারিয়ে যাওয়া যাবে কখনাে হিমালয়ের গহনে, কখনাে নিঃসঙ্গ অরণ্যে, আবার কখনাে মাটি -ছোয়া-মানুষের একাত্ত পৃথিবীতে।
বিষ অমৃত কুম্ভে
₹125
কুম্ভকে সামনে রেখে ত্যাগের মােড়কে কিছু মানুষের চূড়ান্ত বেগ আর অধিকাংশ মানুষের চরম কৃচ্ছসাধন, সাথে এক নিচ্ছিদ্র অন্ধ বিশ্বাস -তারই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় জারিত ' বিষ অমৃত কুম্ভে ' ভ্রমণােপন্যাস। অন্য স্বাদের ছােটগল্পগুলােও গতানুগতিক চেনা জগতের বাইরে অজানা পৃথিবীর পটভূমিকায় লেখা। পড়তে পড়তে চরিত্রগুলাের মাঝে একাত্ম হয়ে হারিয়ে যাওয়া যাবে কখনাে হিমালয়ের গহনে, কখনাে নিঃসঙ্গ অরণ্যে, আবার কখনাে মাটি -ছোয়া-মানুষের একাত্ত পৃথিবীতে।
মহুলবনীর সেংগেল
₹200
সাহিত্যিক তপন বন্দোপাধ্যায় এর এক বিখ্যাত উপন্যাস ' মহুলবনীর সেংগেল ' । এটি একটি আদিবাসী গায়ের কাহিনি যে-গ্রাম একদা ছিল শান্ত, নিরীহ মানুষদের নাচেগানে বর্ণময়। তাদের জীবনের বঞ্চনার কথা বলে কিছু মানুষ চাইলো ক্ষমতার অধিকারী হতে। তাদের লক্ষ্যচ্যুত করতে তৎপর হয়ে উঠল প্রশাসন, দুই বিপরীতমুখী ক্ষমতার চাপে আদিবাসী জীবন হয়ে উঠল বিষময়।
শান্ত, নিরীহ আদিবাসীদের জীবন ঘুলিয়ে উঠেছে একদিকে অতিবিপ্লবীদের হানায়, অন্যদিকে তাদের এলাকায় প্রশাসন ও পুলিশের ঘন ঘন টহল দেওয়ায়। দুপাশের সাঁড়াশি চাপে গোটা জঙ্গলমহল টালমাটাল। যারা পরবের স্বপ্নে বিভোর ছিল, তারা এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই ব্যস্ত। মাও - অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের সেই সংকট এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট।
মহুলবনীর সেংগেল
₹200
সাহিত্যিক তপন বন্দোপাধ্যায় এর এক বিখ্যাত উপন্যাস ' মহুলবনীর সেংগেল ' । এটি একটি আদিবাসী গায়ের কাহিনি যে-গ্রাম একদা ছিল শান্ত, নিরীহ মানুষদের নাচেগানে বর্ণময়। তাদের জীবনের বঞ্চনার কথা বলে কিছু মানুষ চাইলো ক্ষমতার অধিকারী হতে। তাদের লক্ষ্যচ্যুত করতে তৎপর হয়ে উঠল প্রশাসন, দুই বিপরীতমুখী ক্ষমতার চাপে আদিবাসী জীবন হয়ে উঠল বিষময়।
শান্ত, নিরীহ আদিবাসীদের জীবন ঘুলিয়ে উঠেছে একদিকে অতিবিপ্লবীদের হানায়, অন্যদিকে তাদের এলাকায় প্রশাসন ও পুলিশের ঘন ঘন টহল দেওয়ায়। দুপাশের সাঁড়াশি চাপে গোটা জঙ্গলমহল টালমাটাল। যারা পরবের স্বপ্নে বিভোর ছিল, তারা এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই ব্যস্ত। মাও - অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের সেই সংকট এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট।
স্মৃতিকথায় দেবেন্দ্রনাথ
₹150
' স্মৃতিকথায় দেবেন্দ্রনাথ ' গ্রন্থের রচনাগুলিতেই পাঠক বক্তব্য-বিষয়ের পরিচয় পাবেন। আলাদা ভাবে তার মূল্যায়ন বা বিশ্লেষণ করার আর প্রয়ােজন নেই। রচনাগুলি নিজ মূলেই ভাস্বর, পাঠক বিবেচনা করবেন। গ্রন্থের রচনাগুলিকে প্রথমে ঠাকুরবাড়ির সদস্য-সদস্যা ও পরে ঠাকুরবাড়ির বাইরের লােক এই দুটি ভাগে মােটামুটি সাজান হল।
স্মৃতিকথায় দেবেন্দ্রনাথ
₹150
' স্মৃতিকথায় দেবেন্দ্রনাথ ' গ্রন্থের রচনাগুলিতেই পাঠক বক্তব্য-বিষয়ের পরিচয় পাবেন। আলাদা ভাবে তার মূল্যায়ন বা বিশ্লেষণ করার আর প্রয়ােজন নেই। রচনাগুলি নিজ মূলেই ভাস্বর, পাঠক বিবেচনা করবেন। গ্রন্থের রচনাগুলিকে প্রথমে ঠাকুরবাড়ির সদস্য-সদস্যা ও পরে ঠাকুরবাড়ির বাইরের লােক এই দুটি ভাগে মােটামুটি সাজান হল।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল
₹400
আশুতোষের স্বল্পায়ু জীবনের বিশাল কর্মকাণ্ড অর্থাৎ বহির্জীবন, তার বিরাট ব্যক্তিত্ব, ভাবজগত, জীবনদর্শন—অন্তর্জীবন –এ এমন নিবিড়, জটিল, ঘনসন্নিবন্ধ, তথ্যাকীর্ণ বিষয়সস্তার যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গীর অনিবার্যতা জানা থাকলেও সফলতার দাবী ধৃষ্টতাই হবে। তার আত্মজীবনীমূলক লেখা ও জীবনীমূলক লেখাগুলির ক্ষেত্রে প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বারও পারিবারিক সদস্যদের লেখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে তারা নিকটজন ও প্রত্যক্ষদর্শী। তাদের মৌলিক লেখা থেকে সঞ্চিত তথ্যগুলি অন্যান্যরা জীবনী লিখতে গিয়ে ব্যবহার করেছেন, সে স্বীকৃতি থাকুক আর না থাকুক। আশুতোষের রচনা ও ভাষণগুলি ইচ্ছে থাকলেও বেশি বাড়ানো গেল না—শুধু কিছু নিদর্শনমূলক রচনা সংগৃহিত হয়েছে। ‘পত্রাবলী' অংশটি নতুন সংযোজন। একাধিক লেখা, যার লেখকেরা আশুতোষের সমকালীন, ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত, তার সম্পর্কে বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, তাদের রচনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন প্রবাসী ও Modern Review পত্রিকায় আশুতোষের সর্বাপেক্ষা কঠোর সমালোচক। তিনি আশুতোষের প্রয়াণের পর যে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন, সেটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও তৎকালীন নবীন মনীষা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর লেখা দুটিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ' স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল ' গ্রন্থে।
স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল
₹400
আশুতোষের স্বল্পায়ু জীবনের বিশাল কর্মকাণ্ড অর্থাৎ বহির্জীবন, তার বিরাট ব্যক্তিত্ব, ভাবজগত, জীবনদর্শন—অন্তর্জীবন –এ এমন নিবিড়, জটিল, ঘনসন্নিবন্ধ, তথ্যাকীর্ণ বিষয়সস্তার যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গীর অনিবার্যতা জানা থাকলেও সফলতার দাবী ধৃষ্টতাই হবে। তার আত্মজীবনীমূলক লেখা ও জীবনীমূলক লেখাগুলির ক্ষেত্রে প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বারও পারিবারিক সদস্যদের লেখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে তারা নিকটজন ও প্রত্যক্ষদর্শী। তাদের মৌলিক লেখা থেকে সঞ্চিত তথ্যগুলি অন্যান্যরা জীবনী লিখতে গিয়ে ব্যবহার করেছেন, সে স্বীকৃতি থাকুক আর না থাকুক। আশুতোষের রচনা ও ভাষণগুলি ইচ্ছে থাকলেও বেশি বাড়ানো গেল না—শুধু কিছু নিদর্শনমূলক রচনা সংগৃহিত হয়েছে। ‘পত্রাবলী' অংশটি নতুন সংযোজন। একাধিক লেখা, যার লেখকেরা আশুতোষের সমকালীন, ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত, তার সম্পর্কে বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, তাদের রচনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন প্রবাসী ও Modern Review পত্রিকায় আশুতোষের সর্বাপেক্ষা কঠোর সমালোচক। তিনি আশুতোষের প্রয়াণের পর যে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন, সেটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও তৎকালীন নবীন মনীষা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর লেখা দুটিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ' স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল ' গ্রন্থে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।