Discount applied: Discount 20%
“দেশভাগ ও ছিন্নমূল মানব” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
ইন্টারনেটে নীল আকাশ
By ঈশিতা ভাদুড়ী
Publisher: একুশ শতক
₹80
আটের দশকে কবিতা দিয়ে সাহিত্য-জীবনের সূত্রপাত। ‘সেঁজুতি ভাদুড়ী’ ছদ্মনামেও একসময় তিনি লেখালিখি করেছেন। আটের দশকে ‘ঠুংরী’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় ‘ছড়া-টড়া’ ছড়ার সংকলন পর পর তিন বছর প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতা গদ্য সম্পাদনা মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থ-সংখ্যা ৩০টি। ই-বুক ‘গালিব অস্ফুটে’ এবং ইন্টারনেটে নীল আকাশ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-ina01
আটের দশকে কবিতা দিয়ে সাহিত্য-জীবনের সূত্রপাত। ‘সেঁজুতি ভাদুড়ী’ ছদ্মনামেও একসময় তিনি লেখালিখি করেছেন। আটের দশকে ‘ঠুংরী’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় ‘ছড়া-টড়া’ ছড়ার সংকলন পর পর তিন বছর প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতা গদ্য সম্পাদনা মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থ-সংখ্যা ৩০টি। ই-বুক ‘গালিব অস্ফুটে’ এবং ইন্টারনেটে নীল আকাশ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
শ্রেষ্ঠ কবিতা
₹150
শংকর চক্রবর্তী - সত্তর দশকের কবিতাভুবনের এক অন্যতম অনিবার্য ও অগ্রগণ্য নাম। বাংলা কবিতায় এনেছেন এক ভিন্নতর স্বাদ ও অনন্য আবেদন - যা একেবারেই তাঁর নিজস্ব ঘরানা। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মাননা। ২০১৫ পর্যন্ত প্রকাশিত তাঁর কবিতার বইগুলি থেকে বাছাই কবিতাগুলি নিয়ে এই গ্রন্থ।
শ্রেষ্ঠ কবিতা
₹150
শংকর চক্রবর্তী - সত্তর দশকের কবিতাভুবনের এক অন্যতম অনিবার্য ও অগ্রগণ্য নাম। বাংলা কবিতায় এনেছেন এক ভিন্নতর স্বাদ ও অনন্য আবেদন - যা একেবারেই তাঁর নিজস্ব ঘরানা। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মাননা। ২০১৫ পর্যন্ত প্রকাশিত তাঁর কবিতার বইগুলি থেকে বাছাই কবিতাগুলি নিয়ে এই গ্রন্থ।
নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা
₹150
শ্যামলকান্তি দাশ - সত্তর দশকের কবিতাভুবনের এক অন্যতম অনিবার্য ও অগ্রগণ্য নাম। গ্রামবাংলার মাটির সঙ্গে শহরের ইস্পাতকে মিশিয়ে দিয়ে বাংলা কবিতায় এনেছেন এক ভিন্নতর স্বাদ ও অনন্য আবেদন - যা একেবারেই তাঁর নিজস্ব ঘরানা। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মাননা। ১৯৭৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রকাশিত তাঁর বাইশটি কবিতার বই থেকে বাছাই কবিতাগুলি নিয়ে " নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা " গ্রন্থ।
নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা
₹150
শ্যামলকান্তি দাশ - সত্তর দশকের কবিতাভুবনের এক অন্যতম অনিবার্য ও অগ্রগণ্য নাম। গ্রামবাংলার মাটির সঙ্গে শহরের ইস্পাতকে মিশিয়ে দিয়ে বাংলা কবিতায় এনেছেন এক ভিন্নতর স্বাদ ও অনন্য আবেদন - যা একেবারেই তাঁর নিজস্ব ঘরানা। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মাননা। ১৯৭৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রকাশিত তাঁর বাইশটি কবিতার বই থেকে বাছাই কবিতাগুলি নিয়ে " নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা " গ্রন্থ।
চিন দেশে দশ দিন
₹200
সাম্প্রতিক চিনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতি কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে বইটি অপরিহার্য। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির আহ্বানে সিপিআই(এম)- এর এক প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন লেখক। তাঁদের সফর ছিল মূলত রাজনৈতিক আলোচনার জন্য নির্ধারিত।
চিন দেশে দশ দিন
₹200
সাম্প্রতিক চিনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতি কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে বইটি অপরিহার্য। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির আহ্বানে সিপিআই(এম)- এর এক প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন লেখক। তাঁদের সফর ছিল মূলত রাজনৈতিক আলোচনার জন্য নির্ধারিত।
সমীর রক্ষিত লেখা ও লেখক
₹400
সমীর রক্ষিত, পূর্ববঙ্গ থেকে চলে আসা এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী যুবক ইঞ্জিনিয়ার হবার জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে এলেন কলকাতায়। ইঞ্জিনিয়ার হলেন ঠিকই, কিন্তু মনের মধ্যে লালন করেছিলেন লেখক হবার সংকল্প। প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৮-তে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সাহিত্যচর্চা। গল্প, উপন্যাস প্রধানতঃ, সঙ্গে প্রবন্ধ, আত্মপর্যালােচনা, কবিতা, ভ্রমণ-সাহিত্য, ছােটোদের জন্য লেখা। কর্মজীবনে ছিলেন স্থাপত্যবিদ্যার অধ্যাপক। দীর্ঘ লেখক-জীবনে মতাদর্শগত প্রশ্নের সামনে নিজের নৈতিকতা বিসর্জন দেননি কখনও। সমাজ, ইতিহাস, মনস্তত্ত্ব, আধুনিক বিশ্ববীক্ষা এবং নিজস্ব শিল্পশৈলী-তাঁর সৃষ্টিতে এই সবেরই উজ্জ্বল উদ্ভাস। বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে এই সময় পর্যন্ত বাংলা কথাসাহিত্যের একটি স্বাক্ষর অন্যতম প্রতিনিধি সমীর রক্ষিতকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ' সমীর রক্ষিত লেখা ও লেখক ' সংকলনে পাবেন অনেক ভাবনার উপাদান।
সমীর রক্ষিত লেখা ও লেখক
₹400
সমীর রক্ষিত, পূর্ববঙ্গ থেকে চলে আসা এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী যুবক ইঞ্জিনিয়ার হবার জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে এলেন কলকাতায়। ইঞ্জিনিয়ার হলেন ঠিকই, কিন্তু মনের মধ্যে লালন করেছিলেন লেখক হবার সংকল্প। প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৮-তে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সাহিত্যচর্চা। গল্প, উপন্যাস প্রধানতঃ, সঙ্গে প্রবন্ধ, আত্মপর্যালােচনা, কবিতা, ভ্রমণ-সাহিত্য, ছােটোদের জন্য লেখা। কর্মজীবনে ছিলেন স্থাপত্যবিদ্যার অধ্যাপক। দীর্ঘ লেখক-জীবনে মতাদর্শগত প্রশ্নের সামনে নিজের নৈতিকতা বিসর্জন দেননি কখনও। সমাজ, ইতিহাস, মনস্তত্ত্ব, আধুনিক বিশ্ববীক্ষা এবং নিজস্ব শিল্পশৈলী-তাঁর সৃষ্টিতে এই সবেরই উজ্জ্বল উদ্ভাস। বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে এই সময় পর্যন্ত বাংলা কথাসাহিত্যের একটি স্বাক্ষর অন্যতম প্রতিনিধি সমীর রক্ষিতকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ' সমীর রক্ষিত লেখা ও লেখক ' সংকলনে পাবেন অনেক ভাবনার উপাদান।
জীবনানন্দের ছােটগল্পে জীবনানন্দ
₹150
জীবনানন্দের ছােটগল্পে সমাজবাস্তবতা ও ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতার সম্পর্ক দেখানাে ছাড়াও আছে ছােটগল্পের সাথে নান্দনিকতা, চিত্রকল্প ও ভাষাপ্রতিমা, রাজনীতি ও অপশব্দের সম্পর্ক। এই বইয়ে তথাকথিত আলােচনার পরিপ্রেক্ষিত রচনা করেননি, বরং বলা যায় মননশীলতার পরিবেশ গড়ে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই পাঠ্য-পুস্তকের আলােচ্য সীমায় আবদ্ধ রাখেননি, যদিও ছাত্রছাত্রী, গবেষক, শিক্ষক, জীবনানন্দ-প্রিয় পাঠক-পাঠিকা-এদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই বইয়ের প্রতিপাদন বিষয়। এই বইয়ে তিন/চারটি প্রবন্ধ বিশেষ বিশেষ লিটল ম্যাগাজিনে ও জীবনানন্দ বিষয়ে প্রবন্ধের বইয়ে ইতিপূর্বে স্থান পেয়েছে। ইতিপূর্বে প্রাবন্ধিক সুখেন্দ্র ভট্টাচার্যের ছােটগল্পের উপর দুটি প্রবন্ধের বই প্রকাশিত হয়েছে, ১) ছােটগল্পের সামাজিক সূত্র; ২) ছােটগল্পের পর্ব-পর্বান্তর। এছাড়া তিনি একজন দায়িত্বশীল সম্পাদক আন্তর্জাতিক ছোটগল্প নামে ছত্রিশ বছর অতিক্রান্ত চতুর্মাসিক লিটল ম্যাগাজিনের, এখনও স্ব-মহিমায় পুরস্কার প্রাপ্ত (পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি ও কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র) এই লিটল ম্যাগাজিনটি চলছে এবং তিনি নিজেও ছােটগল্পকার হিসেবে রামমােহন স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত ও সংবর্ধিত হয়েছেন। একুশ শতক এর আগে সুখেন্দ্র ভট্টাচার্যের ৫১টি ছােটগল্প প্রকাশ করেছে। মূলত গাব্রিয়াল গার্সিয়া মার্কেজ, ফ্রানৎস কাফকা ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছােটগল্প ছাড়াও সুখেন্দ্র ভট্টাচার্যের প্রিয় বিষয় জীবনানন্দ দাশের ছােটগল্প পাঠ। তিনি নিজেও একজন প্রথাবিরােধী ছােটগল্পকার, সেই কারণেই হয়তাে তাকে মুগ্ধ করেছে জীবনানন্দের ছােটগল্প, এই মুগ্ধতারই ফসল জীবনানন্দের ছােটগল্পে জীবনানন্দ। তিনি জীবনানন্দের ছােটগল্পে জীবনানন্দকে খুঁজতে চেয়েছেন।
জীবনানন্দের ছােটগল্পে জীবনানন্দ
₹150
জীবনানন্দের ছােটগল্পে সমাজবাস্তবতা ও ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতার সম্পর্ক দেখানাে ছাড়াও আছে ছােটগল্পের সাথে নান্দনিকতা, চিত্রকল্প ও ভাষাপ্রতিমা, রাজনীতি ও অপশব্দের সম্পর্ক। এই বইয়ে তথাকথিত আলােচনার পরিপ্রেক্ষিত রচনা করেননি, বরং বলা যায় মননশীলতার পরিবেশ গড়ে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই পাঠ্য-পুস্তকের আলােচ্য সীমায় আবদ্ধ রাখেননি, যদিও ছাত্রছাত্রী, গবেষক, শিক্ষক, জীবনানন্দ-প্রিয় পাঠক-পাঠিকা-এদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই বইয়ের প্রতিপাদন বিষয়। এই বইয়ে তিন/চারটি প্রবন্ধ বিশেষ বিশেষ লিটল ম্যাগাজিনে ও জীবনানন্দ বিষয়ে প্রবন্ধের বইয়ে ইতিপূর্বে স্থান পেয়েছে। ইতিপূর্বে প্রাবন্ধিক সুখেন্দ্র ভট্টাচার্যের ছােটগল্পের উপর দুটি প্রবন্ধের বই প্রকাশিত হয়েছে, ১) ছােটগল্পের সামাজিক সূত্র; ২) ছােটগল্পের পর্ব-পর্বান্তর। এছাড়া তিনি একজন দায়িত্বশীল সম্পাদক আন্তর্জাতিক ছোটগল্প নামে ছত্রিশ বছর অতিক্রান্ত চতুর্মাসিক লিটল ম্যাগাজিনের, এখনও স্ব-মহিমায় পুরস্কার প্রাপ্ত (পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি ও কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র) এই লিটল ম্যাগাজিনটি চলছে এবং তিনি নিজেও ছােটগল্পকার হিসেবে রামমােহন স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত ও সংবর্ধিত হয়েছেন। একুশ শতক এর আগে সুখেন্দ্র ভট্টাচার্যের ৫১টি ছােটগল্প প্রকাশ করেছে। মূলত গাব্রিয়াল গার্সিয়া মার্কেজ, ফ্রানৎস কাফকা ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছােটগল্প ছাড়াও সুখেন্দ্র ভট্টাচার্যের প্রিয় বিষয় জীবনানন্দ দাশের ছােটগল্প পাঠ। তিনি নিজেও একজন প্রথাবিরােধী ছােটগল্পকার, সেই কারণেই হয়তাে তাকে মুগ্ধ করেছে জীবনানন্দের ছােটগল্প, এই মুগ্ধতারই ফসল জীবনানন্দের ছােটগল্পে জীবনানন্দ। তিনি জীবনানন্দের ছােটগল্পে জীবনানন্দকে খুঁজতে চেয়েছেন।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।