“আইনস্টাইনের গোয়েন্দা ফাইল এবং অন্যান্য প্রবন্ধ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
যা দেখেছি যা বুঝেছি
By দীনেশ ডাকুয়া
Publisher: একুশ শতক
₹200
কোনাে ডায়েরি বা গ্রন্থাগারের সাহায্য নিয়ে, কিংবা নানাজনের সঙ্গে আলােচনার ভিত্তিতে লিখিত হয়নি ‘ যা দেখেছি যা বুঝেছি ‘ গ্রন্থটি। একটু একটু করে স্মৃতিনির্ভর এই রাজনৈতিক-সামাজিক জীবনযাপনের খন্ড খন্ড চিত্র লিপিবদ্ধ করেছি। বলা যেতে পারে স্মৃতিনির্ভর ভাবনা গ্রন্থবদ্ধ হয়েছে একটু একটু করে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-jdjb01
কোনাে ডায়েরি বা গ্রন্থাগারের সাহায্য নিয়ে, কিংবা নানাজনের সঙ্গে আলােচনার ভিত্তিতে লিখিত হয়নি ‘ যা দেখেছি যা বুঝেছি ‘ গ্রন্থটি। একটু একটু করে স্মৃতিনির্ভর এই রাজনৈতিক-সামাজিক জীবনযাপনের খন্ড খন্ড চিত্র লিপিবদ্ধ করেছি। বলা যেতে পারে স্মৃতিনির্ভর ভাবনা গ্রন্থবদ্ধ হয়েছে একটু একটু করে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
আমলাকথা
₹250
সাম্প্রতিক সাহিত্য-মহলে নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যয় এক পরিচিত নাম । তিনি কবি, কথক ও প্রাবন্ধিক। ১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস (একজিকিউটিভ)- এ পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে প্রমােশন পান আই.এ.এস-এ। পশ্চিমবাংলার বহু জেলায় চাকরির অভিজ্ঞতা তার। দেখেছেন অনেক জনপদ। অনেক মানুষ। প্রায় সাইত্রিশ বছরের চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন-আমলাকথা (প্রথম খণ্ড)। পাঠকের মনে হবে তিনি মজার এক উপন্যাসই পড়ছেন। আমলাকথা’র (দ্বিতীয় খণ্ড)-ও প্রকাশ পাবে যথাসময়ে।
আমলাকথা
₹250
সাম্প্রতিক সাহিত্য-মহলে নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যয় এক পরিচিত নাম । তিনি কবি, কথক ও প্রাবন্ধিক। ১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস (একজিকিউটিভ)- এ পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে প্রমােশন পান আই.এ.এস-এ। পশ্চিমবাংলার বহু জেলায় চাকরির অভিজ্ঞতা তার। দেখেছেন অনেক জনপদ। অনেক মানুষ। প্রায় সাইত্রিশ বছরের চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন-আমলাকথা (প্রথম খণ্ড)। পাঠকের মনে হবে তিনি মজার এক উপন্যাসই পড়ছেন। আমলাকথা’র (দ্বিতীয় খণ্ড)-ও প্রকাশ পাবে যথাসময়ে।
ভারতের অনুপম লোকনৃত্য কলা
₹600
ভারতের লোকনৃত্য অগণন। রূপে রসে স্নিগ্ধ। স্থান মাহাত্ম্যে ভাস্বর। নৃত্য আঙ্গিক, চঞ্চল চরণছন্দে মুদ্রা কেবল রেখাগতি নয়। আরও, আরও কিছু। দৃষ্টি সুখের সৃজনমুদ্রা। লেখক স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন নানারঙের নিতি নৃত্য, লোকনৃত্য। ভারত সরকারের সংস্কৃতি কেন্দ্রের উপ - অধিকর্তা হওয়ার দরুন , কর্মসূত্রে রাজ্য রাজ্য ঘুরে সংগ্রহ করেছেন নৃত্যকলা। সরল বিশ্লেষণ, তৌলবিচার, শিল্পীদের শরীরী নৃত্যছন্দ, রূপবিভৰ, বস্ত্ৰ আবরণ, আভরণ স্থানিক রূপ বৈশিষ্ট্য, মেলা উৎসব, পুজো-পার্বণ লোকবিশ্বাস, সংস্কার আনন্দের বর্ণ সমাহার লক্ষ করা যাবে আমাদের দেশের সাড়ে চারশোর অধিক লোকনৃত্যে। ফলকথা, দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফসল - " ভারতের অনুপম লোকনৃত্য কলা" । পুলকিত হবেন, নবীন শিল্পী ও নৃত্যকলা রসের সন্ধানী। খুঁজে নিতে পারেন অনেক, অনেক কিছু। এবং সমৃদ্ধ করতে পারেন, নিজেকে আপন চর্যার শ্রমজলে, ঐরূপে ও ঐশ্বর্যে।
ভারতের অনুপম লোকনৃত্য কলা
₹600
ভারতের লোকনৃত্য অগণন। রূপে রসে স্নিগ্ধ। স্থান মাহাত্ম্যে ভাস্বর। নৃত্য আঙ্গিক, চঞ্চল চরণছন্দে মুদ্রা কেবল রেখাগতি নয়। আরও, আরও কিছু। দৃষ্টি সুখের সৃজনমুদ্রা। লেখক স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন নানারঙের নিতি নৃত্য, লোকনৃত্য। ভারত সরকারের সংস্কৃতি কেন্দ্রের উপ - অধিকর্তা হওয়ার দরুন , কর্মসূত্রে রাজ্য রাজ্য ঘুরে সংগ্রহ করেছেন নৃত্যকলা। সরল বিশ্লেষণ, তৌলবিচার, শিল্পীদের শরীরী নৃত্যছন্দ, রূপবিভৰ, বস্ত্ৰ আবরণ, আভরণ স্থানিক রূপ বৈশিষ্ট্য, মেলা উৎসব, পুজো-পার্বণ লোকবিশ্বাস, সংস্কার আনন্দের বর্ণ সমাহার লক্ষ করা যাবে আমাদের দেশের সাড়ে চারশোর অধিক লোকনৃত্যে। ফলকথা, দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফসল - " ভারতের অনুপম লোকনৃত্য কলা" । পুলকিত হবেন, নবীন শিল্পী ও নৃত্যকলা রসের সন্ধানী। খুঁজে নিতে পারেন অনেক, অনেক কিছু। এবং সমৃদ্ধ করতে পারেন, নিজেকে আপন চর্যার শ্রমজলে, ঐরূপে ও ঐশ্বর্যে।
বাংলার শতাব্দী প্রাচীন মন্দির পরিক্রমা
₹400
বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐশ্বর্য বাংলার মন্দির। এই মন্দিরগুলি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস চর্চার জন্য জরুরি। শুধু বিষ্ণুপুর বা কালনায় নয়, সারা বাংলা জুড়েই অসংখ্য অসাধারণ মন্দির নির্মিত হয়েছে। চালা, রত্ন, দালান, মঞ্চ, মঠ, দেউল ইত্যাদি শিল্পরীতি এবং টেরাকোটা অলংকরণের নানা বৈচিত্র্যে ও প্রাচুর্যে সেগুলি সমৃদ্ধ। একদিকে পৌরাণিক দেবদেবী ও আখ্যান, অন্যদিকে অভিজাত ও সাধারণ মানুষের সমাজজীবনের প্রতিফলন দেখা যায়। মন্দিরগুলির অলংকরণ এর প্রধান উপাদান উঠে এসেছে বিভিন্ন সাহিত্যিক বা সামাজিক উৎস থেকে। মন্দির এবং মন্দিরের অলংকরণ এর উৎসসন্ধান এই গ্রন্থের প্রধান লক্ষ্য। সঙ্গে রয়েছে প্রাসঙ্গিক দুশোটি ছবি, যা বিষয়বস্তুকে বুঝতে সহায়তা করবে। " বাংলার শতাব্দী প্রাচীন মন্দির পরিক্রমা " গ্রন্থটি বাংলা সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
বাংলার শতাব্দী প্রাচীন মন্দির পরিক্রমা
₹400
বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐশ্বর্য বাংলার মন্দির। এই মন্দিরগুলি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস চর্চার জন্য জরুরি। শুধু বিষ্ণুপুর বা কালনায় নয়, সারা বাংলা জুড়েই অসংখ্য অসাধারণ মন্দির নির্মিত হয়েছে। চালা, রত্ন, দালান, মঞ্চ, মঠ, দেউল ইত্যাদি শিল্পরীতি এবং টেরাকোটা অলংকরণের নানা বৈচিত্র্যে ও প্রাচুর্যে সেগুলি সমৃদ্ধ। একদিকে পৌরাণিক দেবদেবী ও আখ্যান, অন্যদিকে অভিজাত ও সাধারণ মানুষের সমাজজীবনের প্রতিফলন দেখা যায়। মন্দিরগুলির অলংকরণ এর প্রধান উপাদান উঠে এসেছে বিভিন্ন সাহিত্যিক বা সামাজিক উৎস থেকে। মন্দির এবং মন্দিরের অলংকরণ এর উৎসসন্ধান এই গ্রন্থের প্রধান লক্ষ্য। সঙ্গে রয়েছে প্রাসঙ্গিক দুশোটি ছবি, যা বিষয়বস্তুকে বুঝতে সহায়তা করবে। " বাংলার শতাব্দী প্রাচীন মন্দির পরিক্রমা " গ্রন্থটি বাংলা সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
বটপাকুড়ের ফেনা
By শঙ্খ ঘোষ
₹350
একটানা প্রায় ছ ' বছর ধরে কবি শঙ্খ ঘোষ " সৃষ্টির একুশ শতক " পত্রিকায় লিখেছিলেন এই জার্নালধর্মী অনন্য স্মৃতি সঞ্চয় " বটপাকুড়ের ফেনা "। কবিতার মতোই মনোরম গদ্য। ভূমিকা বা উপসংহারের বালাই নেই। জীবনের অতলে চারিয়ে যাওয়া ঘটনাবলিতে শুধু উঁকি মারা মাত্র। যার মধ্যে ব্যক্তি ও কবি শঙ্খ ঘোষের মধ্যেকার একটা যোগসূত্র লক্ষ্য করা যায়। সেই অর্থে এই বই কোনো আত্মকথা নয়, কোনো ডায়েরি নয়। এই বই যেন দুটি মানুষের এক গ্রন্থিতে পথ চলার এক নিরন্তর জার্নাল। গ্রন্থাকারে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বটপাকুড়ের ফেনা পাঠকের নজর কেড়েছে, পেয়েছে আকুন্ঠ অভিনন্দন।
একুশ শতক থেকে প্রকাশিত লেখকের অন্যান্য গ্রন্থগুলি হলো পুরোনো চিঠির ঝাঁপি এবং পুরোনো চিঠির ঝাঁপি ( দ্বিতীয় খন্ড )
বটপাকুড়ের ফেনা
By শঙ্খ ঘোষ
₹350
একটানা প্রায় ছ ' বছর ধরে কবি শঙ্খ ঘোষ " সৃষ্টির একুশ শতক " পত্রিকায় লিখেছিলেন এই জার্নালধর্মী অনন্য স্মৃতি সঞ্চয় " বটপাকুড়ের ফেনা "। কবিতার মতোই মনোরম গদ্য। ভূমিকা বা উপসংহারের বালাই নেই। জীবনের অতলে চারিয়ে যাওয়া ঘটনাবলিতে শুধু উঁকি মারা মাত্র। যার মধ্যে ব্যক্তি ও কবি শঙ্খ ঘোষের মধ্যেকার একটা যোগসূত্র লক্ষ্য করা যায়। সেই অর্থে এই বই কোনো আত্মকথা নয়, কোনো ডায়েরি নয়। এই বই যেন দুটি মানুষের এক গ্রন্থিতে পথ চলার এক নিরন্তর জার্নাল। গ্রন্থাকারে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বটপাকুড়ের ফেনা পাঠকের নজর কেড়েছে, পেয়েছে আকুন্ঠ অভিনন্দন।
একুশ শতক থেকে প্রকাশিত লেখকের অন্যান্য গ্রন্থগুলি হলো পুরোনো চিঠির ঝাঁপি এবং পুরোনো চিঠির ঝাঁপি ( দ্বিতীয় খন্ড )
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।