“হারানো বইয়ের খোঁজে” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
যা দেখেছি যা বুঝেছি
By দীনেশ ডাকুয়া
Publisher: একুশ শতক
₹200
কোনাে ডায়েরি বা গ্রন্থাগারের সাহায্য নিয়ে, কিংবা নানাজনের সঙ্গে আলােচনার ভিত্তিতে লিখিত হয়নি ‘ যা দেখেছি যা বুঝেছি ‘ গ্রন্থটি। একটু একটু করে স্মৃতিনির্ভর এই রাজনৈতিক-সামাজিক জীবনযাপনের খন্ড খন্ড চিত্র লিপিবদ্ধ করেছি। বলা যেতে পারে স্মৃতিনির্ভর ভাবনা গ্রন্থবদ্ধ হয়েছে একটু একটু করে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-jdjb01
কোনাে ডায়েরি বা গ্রন্থাগারের সাহায্য নিয়ে, কিংবা নানাজনের সঙ্গে আলােচনার ভিত্তিতে লিখিত হয়নি ‘ যা দেখেছি যা বুঝেছি ‘ গ্রন্থটি। একটু একটু করে স্মৃতিনির্ভর এই রাজনৈতিক-সামাজিক জীবনযাপনের খন্ড খন্ড চিত্র লিপিবদ্ধ করেছি। বলা যেতে পারে স্মৃতিনির্ভর ভাবনা গ্রন্থবদ্ধ হয়েছে একটু একটু করে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
মধ্যযুগের বাংলা কাব্য – মন্দ মধুর হাওয়া
₹250
বঙ্গপ্রদেশে তুর্কি-আক্রমণ বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতির ঐতিহ্যময় শিকড়ে যে গভীর ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল—তাকে অস্বীকার করে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি নির্ণীত হতে পারেনি। তুর্কি-শাসন পরবর্তী প্রায় সাড়ে পাঁচশাে বছরের বাঙালি তার প্রাচীন-ঐতিহ্যের সঙ্গে সংঘাত ও আপােসের মধ্য দিয়ে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে নিরন্তর সচেষ্ট থেকেছে। বঙ্গপ্রদেশের অধিবাসী বাঙালি হলেও সেই বাঙালি কখনাে অভিন্ন জাতিসত্তায় বিকশিত হতে পারেনি-তার নানাবিধ উচ্চারণ ওই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে শােনা যায়। মধ্যযুগীয় সেই বঙ্গপ্রদেশ আজ পুবে-পশ্চিমে ধর্মীয় বাতাবরণে বিভাজিত।
হিন্দু-বাঙালির মন মধ্যযুগীয় মন্দ-মধুর হাওয়ায় সৃজন করতে চেয়েছে আপন সত্তা—আর সে-সত্তার গঠন ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য তৈরির মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চারিত হয়েছে। যদিও ইসলামি-সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে সেদিনের সাহিত্য স্ফুর্তিলাভ করতে পারেনি। এই উত্তরাধুনিক সময়েও সেই অতীতের পুনরাবৃত্তি কিংবা তাকে স্মরণ করলে মধ্যযুগের সাহিত্যের পাঠ অসম্পূর্ণ থেকে যায় - সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না । অ-বিরুনির কথায়—“শিক্ষা হল পুনরাবৃত্তির সুফল। এ-গ্রন্থ প্রকল্পে বাঙালির সমাজ-ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সে-কথাই উচ্চারিত হতে দেখা যাবে।
মধ্যযুগের বাংলা কাব্য – মন্দ মধুর হাওয়া
₹250
বঙ্গপ্রদেশে তুর্কি-আক্রমণ বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতির ঐতিহ্যময় শিকড়ে যে গভীর ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল—তাকে অস্বীকার করে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি নির্ণীত হতে পারেনি। তুর্কি-শাসন পরবর্তী প্রায় সাড়ে পাঁচশাে বছরের বাঙালি তার প্রাচীন-ঐতিহ্যের সঙ্গে সংঘাত ও আপােসের মধ্য দিয়ে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে নিরন্তর সচেষ্ট থেকেছে। বঙ্গপ্রদেশের অধিবাসী বাঙালি হলেও সেই বাঙালি কখনাে অভিন্ন জাতিসত্তায় বিকশিত হতে পারেনি-তার নানাবিধ উচ্চারণ ওই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে শােনা যায়। মধ্যযুগীয় সেই বঙ্গপ্রদেশ আজ পুবে-পশ্চিমে ধর্মীয় বাতাবরণে বিভাজিত।
হিন্দু-বাঙালির মন মধ্যযুগীয় মন্দ-মধুর হাওয়ায় সৃজন করতে চেয়েছে আপন সত্তা—আর সে-সত্তার গঠন ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য তৈরির মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চারিত হয়েছে। যদিও ইসলামি-সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে সেদিনের সাহিত্য স্ফুর্তিলাভ করতে পারেনি। এই উত্তরাধুনিক সময়েও সেই অতীতের পুনরাবৃত্তি কিংবা তাকে স্মরণ করলে মধ্যযুগের সাহিত্যের পাঠ অসম্পূর্ণ থেকে যায় - সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না । অ-বিরুনির কথায়—“শিক্ষা হল পুনরাবৃত্তির সুফল। এ-গ্রন্থ প্রকল্পে বাঙালির সমাজ-ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সে-কথাই উচ্চারিত হতে দেখা যাবে।
ইছামতি সাজঘর
By অজিত মন্ডল
₹200
ষাট ও সত্তরের দশক। অবিভক্ত চব্বিশ পরগনার অন্তর্গত সুন্দরবনাঞ্চলে বিস্তীর্ণ সমাজজীবনের একটা খণ্ডচিত্র ' ইছামতি সাজঘর ' উপন্যাসের পটভূমি।
দেশবিভাগের ঠিক পরেই পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে ছিন্নমূল বহু পরিবার প্রত্যন্ত দ্বীপময় গ্রামগুলিতে এসে সস্তায় জমি কিনে বসতি স্থাপন করে। তারও আগে সুন্দরবনবাসী বলতে ছিল কিছু ‘হাতকাটালি’ জমিদারী-প্রজা, রাচি ছােটনাগপুর থেকে প্রেরিত জঙ্গল হাসিলের কাজে দক্ষ দরিদ্র আদিবাসী জনগােষ্ঠী আর পাশের জেলা মেদিনীপুর থেকে আগত স্বল্প সংখ্যক বানভাসি অসহায় পরিবার।
একদা বহির্জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনপদ ধীরে ধীরে বিভিন্ন পেশা ও প্রকৃতির মানুষে সমৃদ্ধ হয়ে উঠল। আপাত নিস্তরঙ্গ জীবনের আড়ালে স্বপ্নময় আবেগ-স্পন্দন ধরা পড়ল। কেটে গেল আরও কয়েকটা অস্থির দশক, অধিকার অর্জন ও রক্ষার সংগ্রাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে সমাজ রাজনীতি ও ভৌগােলিক মানচিত্র। পুরনাে দিনের সঙ্গে বর্তমানের মিল খোঁজা বৃথা। কেবল ওই সময়ের জীবিত আঞ্চলিক ব্যক্তিরাই গ্রন্থের কাহিনীসূত্র ও প্রেক্ষাপট খুঁজে পাবেন বলে বিশ্বাস।
কাহিনীতে মাটি ও মানুষের সঙ্গে নাড়ির যােগ আছে বলে কল্পনার স্থান সীমিত, যেটুকু না থাকলে শিল্প হয় না সেটুকুই। শেষকথা কাহিনী ও পটভূমি যে সময়েরই হােক রসােত্তীর্ণ হওয়াটা জরুরি। মাননীয় বিচারক স্বয়ং পাঠক, লেখকের তেমনি উপলব্ধি।
ইছামতি সাজঘর
By অজিত মন্ডল
₹200
ষাট ও সত্তরের দশক। অবিভক্ত চব্বিশ পরগনার অন্তর্গত সুন্দরবনাঞ্চলে বিস্তীর্ণ সমাজজীবনের একটা খণ্ডচিত্র ' ইছামতি সাজঘর ' উপন্যাসের পটভূমি।
দেশবিভাগের ঠিক পরেই পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে ছিন্নমূল বহু পরিবার প্রত্যন্ত দ্বীপময় গ্রামগুলিতে এসে সস্তায় জমি কিনে বসতি স্থাপন করে। তারও আগে সুন্দরবনবাসী বলতে ছিল কিছু ‘হাতকাটালি’ জমিদারী-প্রজা, রাচি ছােটনাগপুর থেকে প্রেরিত জঙ্গল হাসিলের কাজে দক্ষ দরিদ্র আদিবাসী জনগােষ্ঠী আর পাশের জেলা মেদিনীপুর থেকে আগত স্বল্প সংখ্যক বানভাসি অসহায় পরিবার।
একদা বহির্জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনপদ ধীরে ধীরে বিভিন্ন পেশা ও প্রকৃতির মানুষে সমৃদ্ধ হয়ে উঠল। আপাত নিস্তরঙ্গ জীবনের আড়ালে স্বপ্নময় আবেগ-স্পন্দন ধরা পড়ল। কেটে গেল আরও কয়েকটা অস্থির দশক, অধিকার অর্জন ও রক্ষার সংগ্রাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে সমাজ রাজনীতি ও ভৌগােলিক মানচিত্র। পুরনাে দিনের সঙ্গে বর্তমানের মিল খোঁজা বৃথা। কেবল ওই সময়ের জীবিত আঞ্চলিক ব্যক্তিরাই গ্রন্থের কাহিনীসূত্র ও প্রেক্ষাপট খুঁজে পাবেন বলে বিশ্বাস।
কাহিনীতে মাটি ও মানুষের সঙ্গে নাড়ির যােগ আছে বলে কল্পনার স্থান সীমিত, যেটুকু না থাকলে শিল্প হয় না সেটুকুই। শেষকথা কাহিনী ও পটভূমি যে সময়েরই হােক রসােত্তীর্ণ হওয়াটা জরুরি। মাননীয় বিচারক স্বয়ং পাঠক, লেখকের তেমনি উপলব্ধি।
গল্প সঞ্চয়
₹150
যােগীন্দ্রনাথ মূলত ছােটোদের নিয়েই ভেবেছেন, লিখেছেন। মােহনলাল নামে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন। লিখেছেন বহু গল্পও। ছােটোদের কাছে পুরাণ-কাহিনি। ভারি আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে পরিবেশন করেছেন। ছড়া-কবিতা রচনার ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষভাবে স্মরণীয়। খুকুমণির ছড়া’ নামে লােকায়ত ছড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকলনও সম্পাদনা করেছিলেন। ' গল্প সঞ্চয় ' হাসিখুশি যােগীন্দ্রনাথ সরকারের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। আজও তা আমাদের শৈশব-সঙ্গী। ছন্দের আনন্দে হাসিখুশি পড়তে পড়তেই বঙ্গভাষী শিশুর বর্ণ পরিচয় হয়।
গল্প সঞ্চয়
₹150
যােগীন্দ্রনাথ মূলত ছােটোদের নিয়েই ভেবেছেন, লিখেছেন। মােহনলাল নামে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন। লিখেছেন বহু গল্পও। ছােটোদের কাছে পুরাণ-কাহিনি। ভারি আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে পরিবেশন করেছেন। ছড়া-কবিতা রচনার ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষভাবে স্মরণীয়। খুকুমণির ছড়া’ নামে লােকায়ত ছড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকলনও সম্পাদনা করেছিলেন। ' গল্প সঞ্চয় ' হাসিখুশি যােগীন্দ্রনাথ সরকারের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। আজও তা আমাদের শৈশব-সঙ্গী। ছন্দের আনন্দে হাসিখুশি পড়তে পড়তেই বঙ্গভাষী শিশুর বর্ণ পরিচয় হয়।
অক্লান্ত পদাতিক : কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়
₹400
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব - যা মৃত্যুর পরেও তার পিছু ছাড়েনি। বিদ্যুদালোকের মতো চমকপ্রদ অসংখ্য পংক্তি, অক্লান্ত জ্ঞানের খিদে, ঈর্ষণীয় মেধা, ভীরুতাহীন, আপোসহীন অকপট সৎ ও নির্ভিক উচ্চারণ হয়তো একত্রে এই বিরল গুণাবলীর কারণেই তিনি এতো বিতর্কিত।
হ্যা, শিবির পাল্টে ছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় একদা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ও সর্বক্ষণের কর্মী এই কবির পরবর্তীকালের অনেক ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলা যায়। কিন্তু মানুষের প্রতি, প্রকৃতির প্রতি গভীর প্রেম, সততা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি আনুগত্যের আদর্শে যে শেষদিন পর্যন্ত চিড় ধরেনি এতটুকুও তা উপলব্ধি করা যায় তার সমগ্র রচনা ধারাবাহিক ও নিমগ্ন পাঠ করলে।
আসলে কালের নিয়মেই সময় ও সমাজ ক্রমশ বদলাচ্ছিল। পুঁজির অনিবার্য আগ্রাসনে বদলাচ্ছিল মানুষের মূল্যবোধ। কায়েমি স্বার্থ, ভোগবাদের হাহানি, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ক্ষমতার লোেভ মানুষের সৎ বিবেককে ক্রমশ উপড়ে নিচ্ছিল। বিশ্বাস আর নৈতিকতার শিকড়েও পড়েছিল অদ্ভুত টান। এসবেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছিল জীবনে, ক্রিয়াকর্মে, সাহিত্য শিল্প-সংস্কৃতির ধর্মেও। সুভাষ কিন্তু সভ্যতার এই নীতিনৈতিকতাহীন অধোগামী স্রোতধারার সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারছিলেন না। আর সেখানেই সংঘাত। সংঘাত ব্যক্তির সঙ্গে সংঘাত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সুভাষ কিন্তু উপর্যুপরি সংঘাত-আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েও নিজের বোধ ও বিশ্বাসের জায়গা থেকে একবিন্দুও টলেননি।
বহু লেখকই একসময় ফুরিয়ে যান। শুকিয়ে যায় কলমের ধারা। সুভাষের কিন্তু জীবনের অস্তিমমুহূর্ত পর্যন্ত কমেনি লেখনীর ধার, দৃপ্ত প্রত্যয়ী ঋজু ও স্পষ্ট প্রকাশভঙ্গী, দৃষ্টির স্বচ্ছতা, অনুভূতির সূক্ষ্মতা। জীবনের শেষ প্রহর পর্যন্ত প্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ত স্ফূরণে অফুরান ছিলেন কবি সুভাষ।
কবিতা বাদ দিয়েও কবি সুভাষের যে বিপুল গদ্যের সম্ভার, রিপোর্টাজ উপন্যাস-গল্প-কথিকা-অনুবাদ-রূপান্তর-ভাষান্তর-আত্মজৈবনিক গদ্যমালা—এগুলি নিয়ে কোনো কোনো লেখক পত্রপত্রিকায় কিছু খুচরো লেখালেখি করলেও কবি-ব্যক্তিত্ব, কবি ও গদ্যকার সুভাষকে সম্পূর্ণভাবে অধ্যয়ন ও মূল্যায়ন করা হয়েছে ' অক্লান্ত পদাতিক : কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ' গবেষণাধর্মী গ্রন্থটিতে।
অক্লান্ত পদাতিক : কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়
₹400
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব - যা মৃত্যুর পরেও তার পিছু ছাড়েনি। বিদ্যুদালোকের মতো চমকপ্রদ অসংখ্য পংক্তি, অক্লান্ত জ্ঞানের খিদে, ঈর্ষণীয় মেধা, ভীরুতাহীন, আপোসহীন অকপট সৎ ও নির্ভিক উচ্চারণ হয়তো একত্রে এই বিরল গুণাবলীর কারণেই তিনি এতো বিতর্কিত।
হ্যা, শিবির পাল্টে ছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় একদা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ও সর্বক্ষণের কর্মী এই কবির পরবর্তীকালের অনেক ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলা যায়। কিন্তু মানুষের প্রতি, প্রকৃতির প্রতি গভীর প্রেম, সততা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি আনুগত্যের আদর্শে যে শেষদিন পর্যন্ত চিড় ধরেনি এতটুকুও তা উপলব্ধি করা যায় তার সমগ্র রচনা ধারাবাহিক ও নিমগ্ন পাঠ করলে।
আসলে কালের নিয়মেই সময় ও সমাজ ক্রমশ বদলাচ্ছিল। পুঁজির অনিবার্য আগ্রাসনে বদলাচ্ছিল মানুষের মূল্যবোধ। কায়েমি স্বার্থ, ভোগবাদের হাহানি, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ক্ষমতার লোেভ মানুষের সৎ বিবেককে ক্রমশ উপড়ে নিচ্ছিল। বিশ্বাস আর নৈতিকতার শিকড়েও পড়েছিল অদ্ভুত টান। এসবেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছিল জীবনে, ক্রিয়াকর্মে, সাহিত্য শিল্প-সংস্কৃতির ধর্মেও। সুভাষ কিন্তু সভ্যতার এই নীতিনৈতিকতাহীন অধোগামী স্রোতধারার সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারছিলেন না। আর সেখানেই সংঘাত। সংঘাত ব্যক্তির সঙ্গে সংঘাত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সুভাষ কিন্তু উপর্যুপরি সংঘাত-আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েও নিজের বোধ ও বিশ্বাসের জায়গা থেকে একবিন্দুও টলেননি।
বহু লেখকই একসময় ফুরিয়ে যান। শুকিয়ে যায় কলমের ধারা। সুভাষের কিন্তু জীবনের অস্তিমমুহূর্ত পর্যন্ত কমেনি লেখনীর ধার, দৃপ্ত প্রত্যয়ী ঋজু ও স্পষ্ট প্রকাশভঙ্গী, দৃষ্টির স্বচ্ছতা, অনুভূতির সূক্ষ্মতা। জীবনের শেষ প্রহর পর্যন্ত প্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ত স্ফূরণে অফুরান ছিলেন কবি সুভাষ।
কবিতা বাদ দিয়েও কবি সুভাষের যে বিপুল গদ্যের সম্ভার, রিপোর্টাজ উপন্যাস-গল্প-কথিকা-অনুবাদ-রূপান্তর-ভাষান্তর-আত্মজৈবনিক গদ্যমালা—এগুলি নিয়ে কোনো কোনো লেখক পত্রপত্রিকায় কিছু খুচরো লেখালেখি করলেও কবি-ব্যক্তিত্ব, কবি ও গদ্যকার সুভাষকে সম্পূর্ণভাবে অধ্যয়ন ও মূল্যায়ন করা হয়েছে ' অক্লান্ত পদাতিক : কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ' গবেষণাধর্মী গ্রন্থটিতে।
অতিদূর সমুদ্রের পর
₹80
প্রকৃতি ও ইতিহাসের তেমন গভীর কোনাে খোঁজখবর না নিয়েই হেমন্তের এক সকালে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রওনা দিয়েছিলাম আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে। আমার পায়ের তলার ত্বক, হয়তাে বা পাথর ছড়ানাে পথে পথে মাইল মাইল হাঁটার ক্ষতচিহ্নময়, তবে গড়পড়তা শহরে বাঙালির মতাে সরষে সেখানে নেই। তবু যা দেখেছি এ দেশের নানা প্রান্তে, সবকিছুকে কোথায় যেন অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছিল আন্দামান, তার প্রকৃতি, মানুষ ও ইতিহাসের নিরিখে। ইতালির রাজনৈতিক দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, 'মানুষ আসলে ইতিহাসের পরিণাম, কোনােভাবেই প্রকৃতির নয়। তাঁর সেই লিখনের মানে বােঝার মতাে বাস্তব, আমার মতাে তুচ্ছ মানুষের জীবন চার দশক পেরনাের পর আন্দামানের মাটিতে পা দিতেই আমাকে ধাক্কা দেবে সারাক্ষণ, একথা কল্পনাও করতে পারি নি কখনাে। না, ঐতিহাসিক বস্তুবাদের নির্বোধ ছাত্র হয়েও নয়, কমিউনিস্ট পরিবারে জন্মে অ-কমিউনিস্ট হয়েও নয়। তবু, ধাক্কা যখন দিল, তখন, যতটা যাওয়া যায়, দ্বীপপুঞ্জের জলে, স্থলে, অভ্যন্তরে, মানবমনের গহনে, যেতে যেন আমাকে হবেই। সেই যাত্রাই বুঝি আমার মতাে মানুষের নিয়তি। পাঁচ বছর আগের আন্দামান সফর তাই, আজও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তথ্য আর বিশ্লেষণ আর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের মনের খোঁজ পেতে। সংগ্রহ করি বই, সাময়িক ও দৈনিকপত্রে প্রকাশিত সমস্ত খবর। যদি, সে সবের মাধ্যমে ছুঁয়ে থাকতে পারি ওই ইতিহাসের লােকজনদের। ' অতিদূর সমুদ্রের পর ' গ্রন্থটিতে সেই সব তথ্য উঠে এসেছে।
অতিদূর সমুদ্রের পর
₹80
প্রকৃতি ও ইতিহাসের তেমন গভীর কোনাে খোঁজখবর না নিয়েই হেমন্তের এক সকালে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রওনা দিয়েছিলাম আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে। আমার পায়ের তলার ত্বক, হয়তাে বা পাথর ছড়ানাে পথে পথে মাইল মাইল হাঁটার ক্ষতচিহ্নময়, তবে গড়পড়তা শহরে বাঙালির মতাে সরষে সেখানে নেই। তবু যা দেখেছি এ দেশের নানা প্রান্তে, সবকিছুকে কোথায় যেন অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছিল আন্দামান, তার প্রকৃতি, মানুষ ও ইতিহাসের নিরিখে। ইতালির রাজনৈতিক দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, 'মানুষ আসলে ইতিহাসের পরিণাম, কোনােভাবেই প্রকৃতির নয়। তাঁর সেই লিখনের মানে বােঝার মতাে বাস্তব, আমার মতাে তুচ্ছ মানুষের জীবন চার দশক পেরনাের পর আন্দামানের মাটিতে পা দিতেই আমাকে ধাক্কা দেবে সারাক্ষণ, একথা কল্পনাও করতে পারি নি কখনাে। না, ঐতিহাসিক বস্তুবাদের নির্বোধ ছাত্র হয়েও নয়, কমিউনিস্ট পরিবারে জন্মে অ-কমিউনিস্ট হয়েও নয়। তবু, ধাক্কা যখন দিল, তখন, যতটা যাওয়া যায়, দ্বীপপুঞ্জের জলে, স্থলে, অভ্যন্তরে, মানবমনের গহনে, যেতে যেন আমাকে হবেই। সেই যাত্রাই বুঝি আমার মতাে মানুষের নিয়তি। পাঁচ বছর আগের আন্দামান সফর তাই, আজও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তথ্য আর বিশ্লেষণ আর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের মনের খোঁজ পেতে। সংগ্রহ করি বই, সাময়িক ও দৈনিকপত্রে প্রকাশিত সমস্ত খবর। যদি, সে সবের মাধ্যমে ছুঁয়ে থাকতে পারি ওই ইতিহাসের লােকজনদের। ' অতিদূর সমুদ্রের পর ' গ্রন্থটিতে সেই সব তথ্য উঠে এসেছে।