“উইনি ম্যান্ডেলার “পার্ট অব মাই সোল”” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
জলাঞ্জলি
Publisher: একুশ শতক
₹150
ছদ্মনামের আড়ালে নবীন লেখক কৃষ্ণেন্দু দেব নিয়মিত বাঁকাচোরা চোখে দেখা তাঁর সময় এবং যাপিত জীবন নিয়ে রসিকতা করেন। নিজে গম্ভীর থেকে অন্যকে হাসান। নিম্ন রুচির কৌতুক নকশা তাঁর কলমে আসেনা।তাঁর বিষয় গুরুগম্ভীর। পাতার পর পাতা প্রবন্ধ লেখা যায় এমন সব বিষয় আশ্চর্য দক্ষতায় নিজস্ব স্টাইলে রসাত্মক শব্দে তীক্ষ্ণ করে তোলেন।
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-jj01
Tags:
jolanjoli, krishnendu deb, কৃষ্ণেন্দু দেব, জলাঞ্জলি
ছদ্মনামের আড়ালে নবীন লেখক কৃষ্ণেন্দু দেব নিয়মিত বাঁকাচোরা চোখে দেখা তাঁর সময় এবং যাপিত জীবন নিয়ে রসিকতা করেন। নিজে গম্ভীর থেকে অন্যকে হাসান। নিম্ন রুচির কৌতুক নকশা তাঁর কলমে আসেনা।তাঁর বিষয় গুরুগম্ভীর। পাতার পর পাতা প্রবন্ধ লেখা যায় এমন সব বিষয় আশ্চর্য দক্ষতায় নিজস্ব স্টাইলে রসাত্মক শব্দে তীক্ষ্ণ করে তোলেন।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
সৌরজগতের সৃষ্টি ও নানা প্রসঙ্গ
₹120
' সৌরজগতের সৃষ্টি ও নানা প্রসঙ্গ ' গ্রন্থটিতে সৌরজগতের অতীত, ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানের কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে এবং তার মধ্যে প্রাণের বিকাশ ও প্রাণের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ইত্যাদি ছাড়াও আলােচনার স্থান পেয়েছে রাতের আকাশ অন্ধকার কেন' রচনাটি। আপাত দৃষ্টিতে রাতের আকাশের অন্ধকারের বিষয়টি নিতান্তই সহজ সরল। কেননা রাতের আকাশে সূর্য থাকে না। তাই রাতের আকাশ অন্ধকার। সূর্য না থাকলেও রাতে নক্ষত্র তো থাকে এবং তাদের সংখ্যাও অনেক। তাই অনেক দুরের হলেও নক্ষত্রদের সম্মিলিত আলােয় রাতের আকাশ উজ্জ্বল হওয়ার কথা। অথচ রাতের আকাশ থাকে অন্ধকার।
সৌরজগতের সৃষ্টি ও নানা প্রসঙ্গ
₹120
' সৌরজগতের সৃষ্টি ও নানা প্রসঙ্গ ' গ্রন্থটিতে সৌরজগতের অতীত, ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানের কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে এবং তার মধ্যে প্রাণের বিকাশ ও প্রাণের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ইত্যাদি ছাড়াও আলােচনার স্থান পেয়েছে রাতের আকাশ অন্ধকার কেন' রচনাটি। আপাত দৃষ্টিতে রাতের আকাশের অন্ধকারের বিষয়টি নিতান্তই সহজ সরল। কেননা রাতের আকাশে সূর্য থাকে না। তাই রাতের আকাশ অন্ধকার। সূর্য না থাকলেও রাতে নক্ষত্র তো থাকে এবং তাদের সংখ্যাও অনেক। তাই অনেক দুরের হলেও নক্ষত্রদের সম্মিলিত আলােয় রাতের আকাশ উজ্জ্বল হওয়ার কথা। অথচ রাতের আকাশ থাকে অন্ধকার।
ফিল্ম নিয়ে
₹300
পনেরােটি লেখা নিয়ে ' ফিল্ম নিয়ে ' গ্রন্থটি। লেখাগুলির প্রথম অংশে রইল কিছু তান্ত্বিক আলােচনা আর পরের অংশে বিশেষ বিশেষ ছবি নিয়ে ঘনিষ্ঠ পাঠ। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় অনুভব করেছি কোনাে ছবি নিয়ে ভালােমন্দ যাই বলা হােক, মূল সৃষ্টিটির অবয়ব, গড়ন দৃশ্যপুঞ্জ বা সিকোয়েন্স ধরে ধরে কেন্দ্রস্থ বক্তব্যের তাৎপর্য উন্মােচন ফিল্ম সমালােচনার এক অব্যর্থ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতেই ফিল্মটির উজ্জ্বল ব্যাখ্যা দাঁড় করানাে সম্ভব। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সাতটি ছবির ঘনিষ্ঠ পাঠ রাখা হল। এই উন্মােচনের মধ্যে মিশে গেছে ছবিগুলিতে ধরা সময়, সমকালীন ইতিহাসের ইঙ্গিত ; পরিচালকদের ব্যক্তিসত্ত্ব-পারসােনা-সে তাে আছেই।
ফিল্ম নিয়ে
₹300
পনেরােটি লেখা নিয়ে ' ফিল্ম নিয়ে ' গ্রন্থটি। লেখাগুলির প্রথম অংশে রইল কিছু তান্ত্বিক আলােচনা আর পরের অংশে বিশেষ বিশেষ ছবি নিয়ে ঘনিষ্ঠ পাঠ। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় অনুভব করেছি কোনাে ছবি নিয়ে ভালােমন্দ যাই বলা হােক, মূল সৃষ্টিটির অবয়ব, গড়ন দৃশ্যপুঞ্জ বা সিকোয়েন্স ধরে ধরে কেন্দ্রস্থ বক্তব্যের তাৎপর্য উন্মােচন ফিল্ম সমালােচনার এক অব্যর্থ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতেই ফিল্মটির উজ্জ্বল ব্যাখ্যা দাঁড় করানাে সম্ভব। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সাতটি ছবির ঘনিষ্ঠ পাঠ রাখা হল। এই উন্মােচনের মধ্যে মিশে গেছে ছবিগুলিতে ধরা সময়, সমকালীন ইতিহাসের ইঙ্গিত ; পরিচালকদের ব্যক্তিসত্ত্ব-পারসােনা-সে তাে আছেই।
জগদীশ গুপ্তের ছোটগল্প
₹400
পথ যাঁদের তৈরি করে চলতে হয় তাদেরকে সবাই যে খুব সুনজরে দেখেন এমন নয়। ফলত প্রতি পদেই তাঁদের সতর্ক থাকতে হয় বেশি করে। সাহিত্যজগতের ক্ষেত্রে একথা আরও বেশিমাত্রায় প্রযোজ্য ৷ নতুন চিন্তা, নতুন শৈলী, নতুন আঙ্গিক সমালোচকদের তোপের মুখে পড়বেই। সেইসব বাধা অতিক্রম করে যাঁরা কালের ডালায় রেখে যেতে পারেন সৃষ্টি-রত্ন কখনও না কখনও তা আবিষ্কৃত হবেই। জগদীশ গুপ্তের ক্ষেত্রেও এমনটাই দেখা যায়। সমকাল তাঁকে দেগে দিয়েছিল নেতিবাচকতার, অন্ধকারের মানুষ বলে। সাহিত্যের আলোচনায় তাঁকে রেখে দিয়েছিল অপাংক্তেয়, অচ্ছুৎ হিসেবে। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন অমূল্য সম্পদ, পরবর্তীকালের সাহিত্যিকরা খুঁজে পেয়েছেন সাহিত্যসৃজনের রসদ। সেজন্যই আমরা গল্পকার জগদীশ গুপ্তকে একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে দাঁড়িয়ে নিবিড়ভাবে পাঠ করতে চেয়েছি। সেই পাঠের তাগিদ ও অভিজ্ঞতা থেকেই ' জগদীশ গুপ্তের ছোটগল্প ' গ্রন্থের পরিকল্পনা।
জগদীশ গুপ্তের ছোটগল্প
₹400
পথ যাঁদের তৈরি করে চলতে হয় তাদেরকে সবাই যে খুব সুনজরে দেখেন এমন নয়। ফলত প্রতি পদেই তাঁদের সতর্ক থাকতে হয় বেশি করে। সাহিত্যজগতের ক্ষেত্রে একথা আরও বেশিমাত্রায় প্রযোজ্য ৷ নতুন চিন্তা, নতুন শৈলী, নতুন আঙ্গিক সমালোচকদের তোপের মুখে পড়বেই। সেইসব বাধা অতিক্রম করে যাঁরা কালের ডালায় রেখে যেতে পারেন সৃষ্টি-রত্ন কখনও না কখনও তা আবিষ্কৃত হবেই। জগদীশ গুপ্তের ক্ষেত্রেও এমনটাই দেখা যায়। সমকাল তাঁকে দেগে দিয়েছিল নেতিবাচকতার, অন্ধকারের মানুষ বলে। সাহিত্যের আলোচনায় তাঁকে রেখে দিয়েছিল অপাংক্তেয়, অচ্ছুৎ হিসেবে। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন অমূল্য সম্পদ, পরবর্তীকালের সাহিত্যিকরা খুঁজে পেয়েছেন সাহিত্যসৃজনের রসদ। সেজন্যই আমরা গল্পকার জগদীশ গুপ্তকে একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে দাঁড়িয়ে নিবিড়ভাবে পাঠ করতে চেয়েছি। সেই পাঠের তাগিদ ও অভিজ্ঞতা থেকেই ' জগদীশ গুপ্তের ছোটগল্প ' গ্রন্থের পরিকল্পনা।
পূর্বোত্তরে অন্য রবীন্দ্রনাথ
₹100
শান্তিনিকেতনে মণিপুরী মহিলা শিল্পী চেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের নানা সম্পদ সম্ভাবনা যেন কবিকে নাড়া দিয়েছিল। এমন কি এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কেও কবি ওয়াকিবহাল ছিলেন। ত্রিপুরায় যে খুব উৎকৃষ্ট জাতের মুলিবাঁশ জন্মে তাও জানা ছিল কবির। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণা কাজের জন্য কবি এই মুলিবাঁশের চারা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন ত্রিপুরার কাছে। ত্রিপুরার প্রত্ন সম্পদ সংরক্ষনেও রাজাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। শিলং-এর নৈসর্গিক পরিবেশ কবিকে আকৃষ্ট করেছিল। 'শেষের কবিতা’র পটভূমি তাই উজ্জ্বল হয়ে আছে রবীন্দ্র সাহিত্যে। শিলং অবস্থান কালেও কিছু উল্লেখযােগ্য সৃষ্টি রয়েছে কবির। ত্রিপুরা সফরের আগেই রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টি করেছিলেন রাজর্ষি ত্রিপুরার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মানবিক মূল্যবােধের উপন্যাস। লিখেছিলেন বিসর্জন, মুকুট।
যাই হােক, পূর্বোত্তরের সঙ্গে কবির যােগাযােগের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে রচিত হয়েছে 'পূর্বোত্তরে অন্য রবীন্দ্রনাথ'। কবির চিঠিপত্র, বক্তৃতার অংশ বিশেষ, সফর বিবরণী, সম্বর্ধনা ইত্যাদি বিষয়ে কিছু কিছু তথ্য সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে এতে। সামগ্রিক ভাবে সেদিন যে পূর্বোত্তর এক অন্য রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎ পেয়েছিল তাই তুলে ধরা হয়েছে গ্রন্থটিতে।
পূর্বোত্তরে অন্য রবীন্দ্রনাথ
₹100
শান্তিনিকেতনে মণিপুরী মহিলা শিল্পী চেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের নানা সম্পদ সম্ভাবনা যেন কবিকে নাড়া দিয়েছিল। এমন কি এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কেও কবি ওয়াকিবহাল ছিলেন। ত্রিপুরায় যে খুব উৎকৃষ্ট জাতের মুলিবাঁশ জন্মে তাও জানা ছিল কবির। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণা কাজের জন্য কবি এই মুলিবাঁশের চারা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন ত্রিপুরার কাছে। ত্রিপুরার প্রত্ন সম্পদ সংরক্ষনেও রাজাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। শিলং-এর নৈসর্গিক পরিবেশ কবিকে আকৃষ্ট করেছিল। 'শেষের কবিতা’র পটভূমি তাই উজ্জ্বল হয়ে আছে রবীন্দ্র সাহিত্যে। শিলং অবস্থান কালেও কিছু উল্লেখযােগ্য সৃষ্টি রয়েছে কবির। ত্রিপুরা সফরের আগেই রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টি করেছিলেন রাজর্ষি ত্রিপুরার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মানবিক মূল্যবােধের উপন্যাস। লিখেছিলেন বিসর্জন, মুকুট।
যাই হােক, পূর্বোত্তরের সঙ্গে কবির যােগাযােগের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে রচিত হয়েছে 'পূর্বোত্তরে অন্য রবীন্দ্রনাথ'। কবির চিঠিপত্র, বক্তৃতার অংশ বিশেষ, সফর বিবরণী, সম্বর্ধনা ইত্যাদি বিষয়ে কিছু কিছু তথ্য সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে এতে। সামগ্রিক ভাবে সেদিন যে পূর্বোত্তর এক অন্য রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎ পেয়েছিল তাই তুলে ধরা হয়েছে গ্রন্থটিতে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
গোর্কির জীবন গোর্কির আখ্যান
₹200
গাের্কির মা উপন্যাস বিশ্ব সাহিত্যের এক শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। বিশ শতকের প্রথম দশকে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সারা পৃথিবীর ১২৭টি ভাষায় দ্রুত অনূদিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, তােলপাড় হয় পাঠক মহলে। উপন্যাসের সারা শরীরে মার্কস-এঙ্গেলসের কমিউনিস্ট ইস্তাহারের বর্ণময়চ্ছটা। একটা উদ্দেশ্যমূলক, সমাজ বিপ্লবের প্রতি অনুরক্ত, কিছুটা প্রচারমূলকও বটে, এমন একটি কথা কাহিনি যে শিল্পগুণেও উতরে যায়, পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নয় যা এক শতাব্দী পরেও সমান সত্য, বােধকরি অদ্বিতীয় এক দৃষ্টান্ত। উপন্যাসে লেখকের অনুপুঙ্খ বীক্ষণে মহাকাব্যিক দৃষ্টির প্রসার এক আশ্চর্য মহিমময় কাণ্ড ঘটিয়েছে। রাশিয়ার শ্রমিক বস্তির এক পােড়খাওয়া মা-এর চোখ দিয়ে গােটা আখ্যানটি নির্মিত ও বিবৃত। শূন্য এক অন্ধকার থেকে আলােয় উদ্ভাসিত এক জীবন, যা উত্তরণের, সমাজতান্ত্রিক মানবতা ও বাস্তবতার এক অনন্য নজির। বিশ্বময়ী নারী শক্তির জয়ধ্বনি গাের্কির এই উপন্যাস।
শতবর্ষে উপনীত এই উপন্যাসের মর্মবস্তু, শিল্পনির্মিতি আমরা ' গোর্কির জীবন গোর্কির আখ্যান ' গ্রন্থে উপলব্ধি ও বিশ্লেষণের প্রয়াস করেছি। আর গাের্কির বর্ণময়, তিক্ত জীবনটাকে না জানলে মা-উপন্যাসের অন্দরমহলে প্রবেশ করা যায় না। তাই ব্যক্তি জীবন ও সাহিত্য জীবনের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা অঙ্কনের চেষ্টা করা হয়েছে।
গোর্কির জীবন গোর্কির আখ্যান
₹200
গাের্কির মা উপন্যাস বিশ্ব সাহিত্যের এক শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। বিশ শতকের প্রথম দশকে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সারা পৃথিবীর ১২৭টি ভাষায় দ্রুত অনূদিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, তােলপাড় হয় পাঠক মহলে। উপন্যাসের সারা শরীরে মার্কস-এঙ্গেলসের কমিউনিস্ট ইস্তাহারের বর্ণময়চ্ছটা। একটা উদ্দেশ্যমূলক, সমাজ বিপ্লবের প্রতি অনুরক্ত, কিছুটা প্রচারমূলকও বটে, এমন একটি কথা কাহিনি যে শিল্পগুণেও উতরে যায়, পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নয় যা এক শতাব্দী পরেও সমান সত্য, বােধকরি অদ্বিতীয় এক দৃষ্টান্ত। উপন্যাসে লেখকের অনুপুঙ্খ বীক্ষণে মহাকাব্যিক দৃষ্টির প্রসার এক আশ্চর্য মহিমময় কাণ্ড ঘটিয়েছে। রাশিয়ার শ্রমিক বস্তির এক পােড়খাওয়া মা-এর চোখ দিয়ে গােটা আখ্যানটি নির্মিত ও বিবৃত। শূন্য এক অন্ধকার থেকে আলােয় উদ্ভাসিত এক জীবন, যা উত্তরণের, সমাজতান্ত্রিক মানবতা ও বাস্তবতার এক অনন্য নজির। বিশ্বময়ী নারী শক্তির জয়ধ্বনি গাের্কির এই উপন্যাস।
শতবর্ষে উপনীত এই উপন্যাসের মর্মবস্তু, শিল্পনির্মিতি আমরা ' গোর্কির জীবন গোর্কির আখ্যান ' গ্রন্থে উপলব্ধি ও বিশ্লেষণের প্রয়াস করেছি। আর গাের্কির বর্ণময়, তিক্ত জীবনটাকে না জানলে মা-উপন্যাসের অন্দরমহলে প্রবেশ করা যায় না। তাই ব্যক্তি জীবন ও সাহিত্য জীবনের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা অঙ্কনের চেষ্টা করা হয়েছে।