“দেশভাগের কবিতা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
কোন ভাঙ্গনের পথে
Publisher: একুশ শতক
₹150
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
একই ধরণের গ্রন্থ
অর্পিত জীবন
By চন্দন আনোয়ার
₹200
রাষ্ট্র নিজেই যদি তার নাগরিককে শত্র্রু এবং নাগরিকের জীবন, বাস্তুভিটা, সম্পদ-সম্পত্তিকে ‘শত্র্রুর সম্পত্তি’ বলে আইন করে এবং দেশত্যাগের পথ তৈরি করে দেয়, সেই দেশের সেই আইনের ফাঁদে পড়া নাগরিকের জীবন-যন্ত্রণার প্রকৃতচিত্র কী কোন ভাষায় ব্যাখা করা সম্ভব? ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের পরে অদ্যবধি এই আইনের ফাঁদে পড়া বাস্তুভিটা হারা, দেশহারা, শেকড়চ্যুত মানুষের জীবন-বাস্তবতার এক করুণ আখ্যান চন্দন আনোয়ারের ' অর্পিত জীবন ’। শত্র্রু সম্পত্তি আইনের (স্বাধীনতার পরে যার নাম অর্পিত সম্পতি আইন) অভিঘাতে দেশত্যাগে বাধ্য কোটির উর্ধ্বে হিন্দুগোষ্ঠীর জীবনবাস্তবতা নিয়ে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক বা সামাজিক গবেষণা-ব্যাখ্যা যথেষ্ট থাকলেও এই আইনের ফাঁদের পড়া মানুষের ব্যক্তিজীবনের সংকট বা অন্তর্বেদনার গভীরতর তদন্ত শুধুমাত্র উপন্যাসেই উঠে আসা সম্ভব এবং ঔপন্যাসিক সেই চেষ্টাই করেছেন।
অর্পিত জীবন
By চন্দন আনোয়ার
₹200
রাষ্ট্র নিজেই যদি তার নাগরিককে শত্র্রু এবং নাগরিকের জীবন, বাস্তুভিটা, সম্পদ-সম্পত্তিকে ‘শত্র্রুর সম্পত্তি’ বলে আইন করে এবং দেশত্যাগের পথ তৈরি করে দেয়, সেই দেশের সেই আইনের ফাঁদে পড়া নাগরিকের জীবন-যন্ত্রণার প্রকৃতচিত্র কী কোন ভাষায় ব্যাখা করা সম্ভব? ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের পরে অদ্যবধি এই আইনের ফাঁদে পড়া বাস্তুভিটা হারা, দেশহারা, শেকড়চ্যুত মানুষের জীবন-বাস্তবতার এক করুণ আখ্যান চন্দন আনোয়ারের ' অর্পিত জীবন ’। শত্র্রু সম্পত্তি আইনের (স্বাধীনতার পরে যার নাম অর্পিত সম্পতি আইন) অভিঘাতে দেশত্যাগে বাধ্য কোটির উর্ধ্বে হিন্দুগোষ্ঠীর জীবনবাস্তবতা নিয়ে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক বা সামাজিক গবেষণা-ব্যাখ্যা যথেষ্ট থাকলেও এই আইনের ফাঁদের পড়া মানুষের ব্যক্তিজীবনের সংকট বা অন্তর্বেদনার গভীরতর তদন্ত শুধুমাত্র উপন্যাসেই উঠে আসা সম্ভব এবং ঔপন্যাসিক সেই চেষ্টাই করেছেন।
পশ্চিমের জানালা
₹300
জীবনের শেষ নেই, পড়ার শেষ নেই। তাই তত্ত্বের শেষ নেই, যুদ্ধেরও শেষ নেই। অবিভাজ্য মানববিশ্বের অধিবাসী আমরা প্রত্যেকে। তাই মানুষের জগতের কোনাে অর্জন, কোনাে উদভাসন আমাদের পক্ষে দূরবর্তী নয়। পশ্চিমে আজি খুলিয়াছে দ্বার । লিখেছিলেন বাংলা ভাষার মহত্তম কবি। বাঙালির মনন পর্বে-পর্বে উৎসুক ভাবে সাড়া দিয়েছে যখনই পশ্চিমে অভিনব কোনাে জীবনদর্শন কিংবা তত্ত্বভাবনা অথবা অসম্পূর্ণ কোনাে সাহিত্যকৃতি সূর্যের উজ্জ্বল অনুভব ছড়িয়ে দিয়েছে। গত তিন দশকে জীবন যত জটিলতর হয়েছে, তত্ত্ববিশ্বের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিচ্ছুরণ থেকে বাঙালিও মননের নতুন আয়ুধ সংগ্রহ করেছে। নীৎশে-কিয়ের্কেগার্দ, সার্-বােভােয়া, ফুকো-দেরিদা, লার্ক-একো কিংবা হ্যামলেট-ফাউস্ট, বাডেন ওয়েটিং ফর গােড়াে বাঙালির মনােভুবনেও আলাে-ছায়ার দ্বিরালাপ তৈরি করে চলেছে। ' পশ্চিমের জানালা ' বইতে ধরা রইল সেই আগ্রহেরই নিদর্শন।
পশ্চিমের জানালা
₹300
জীবনের শেষ নেই, পড়ার শেষ নেই। তাই তত্ত্বের শেষ নেই, যুদ্ধেরও শেষ নেই। অবিভাজ্য মানববিশ্বের অধিবাসী আমরা প্রত্যেকে। তাই মানুষের জগতের কোনাে অর্জন, কোনাে উদভাসন আমাদের পক্ষে দূরবর্তী নয়। পশ্চিমে আজি খুলিয়াছে দ্বার । লিখেছিলেন বাংলা ভাষার মহত্তম কবি। বাঙালির মনন পর্বে-পর্বে উৎসুক ভাবে সাড়া দিয়েছে যখনই পশ্চিমে অভিনব কোনাে জীবনদর্শন কিংবা তত্ত্বভাবনা অথবা অসম্পূর্ণ কোনাে সাহিত্যকৃতি সূর্যের উজ্জ্বল অনুভব ছড়িয়ে দিয়েছে। গত তিন দশকে জীবন যত জটিলতর হয়েছে, তত্ত্ববিশ্বের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিচ্ছুরণ থেকে বাঙালিও মননের নতুন আয়ুধ সংগ্রহ করেছে। নীৎশে-কিয়ের্কেগার্দ, সার্-বােভােয়া, ফুকো-দেরিদা, লার্ক-একো কিংবা হ্যামলেট-ফাউস্ট, বাডেন ওয়েটিং ফর গােড়াে বাঙালির মনােভুবনেও আলাে-ছায়ার দ্বিরালাপ তৈরি করে চলেছে। ' পশ্চিমের জানালা ' বইতে ধরা রইল সেই আগ্রহেরই নিদর্শন।
মঙ্গলকাব্যের বিবর্তনের ধারায় বাঙালির সামাজিক ইতিহাস
By বিকাশ পাল
₹300
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রধান তিনটি ধারা-অনুবাদ সাহিত্য, বৈষ্ণবসাহিত্য এবং মঙ্গলকাব্যের মধ্যে মঙ্গলকাব্য অবশ্যই অন্যতম। অনুবাদ সাহিত্য ও বৈষ্ণব সাহিত্য অনেকটা আদর্শায়িত, সেখানে রচয়িতারা ইহলৌকিক জীবনকে উপেক্ষা করে কবি কল্পনা ও সীমাহীন ঔদাসীনাের পরিচয় দিয়েছেন। একমাত্র মঙ্গলকাব্যের কবিগণ দেবতা-নির্ভর কাব্যকাহিনি গ্রহণ করেও বাস্তব জীবনকে উপেক্ষা করেননি। সাহিত্য-ভিত্তিক ইতিহাস আলােচনায় সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাঙালির সামাজিক ইতিহাস আলােচনায় মঙ্গলকাব্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এই সূত্রেই বাঙালির সামাজিক ইতিহাস সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে পড়ি।
আমার আগ্রহ আরাে বাড়িয়ে তুলেছিলেন আমার গবেষণা তত্ত্বাবধায়িকা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মঞ্জুলা বেরা মহাশয়া। মঙ্গলকাব্য বাঙালির সামাজিক ইতিহাসের বিবর্তন শিরােনামে একটি অভিসন্দর্ভ রচনা করি। 'মঙ্গলকাব্যের বিবর্তনের ধারায় বাঙালির সামাজিক ইতিহাস' -এই শিরােনামটি গ্রহণ করি। নামটি পাঠক সমাজের অনুমােদন পেলে সার্থকতা বােধ করবাে। গ্রন্থটিতে মােট সাতটি অধ্যায় আছে।
প্রথম অধ্যায় : মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের পশ্চাট। এই অধ্যায়ে মঙ্গলকাব্য এবং মধ্যযুগের অন্যান্য সাহিত্য শাখার উদ্ভবের পশ্চাদ্পট বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় অধ্যায় : মনসামঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
তৃতীয় অধ্যায় : চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
চতুর্থ অধ্যায় : ধর্মমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
পঞ্চম অধ্যায় : শিবায়ন বা শিবমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
ষষ্ঠ অধ্যায় : অন্নদামঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
সপ্তম অধ্যায় : মনসামঙ্গল কাব্য থেকে অন্নদামঙ্গল কাব্য পর্যন্ত বাঙালির সামাজিক ইতিহাসের বিবর্তন। মঙ্গলকাব্যগুলিতে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
যেমন:
১। বস্তু-কেন্দ্রিক উপাদান : খাদ্য-পানীয়, ব্যবহার্য সামগ্রী, পােশাক-পরিচ্ছদ, খানবাহন, বাদ্যযন্ত্র, অলঙ্কার, সাজসজ্জা ইত্যাদি।
২। আচার-বিচার ও সংস্কার-বিশ্বাস-কেন্দ্রিক উপাদান: রীতিনীতি, আচার, অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
৩। ভাবকেন্দ্রিক উপাদান : শিক্ষা-সংস্কৃতি।
৪ | স্বাস্থ্য ও শরীরচর্চা-কেন্দ্রিক উপাদান : লােকক্রীড়া, শরীরচর্চা ইত্যাদি।
মঙ্গলকাব্যের বিবর্তনের ধারায় বাঙালির সামাজিক ইতিহাস
By বিকাশ পাল
₹300
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রধান তিনটি ধারা-অনুবাদ সাহিত্য, বৈষ্ণবসাহিত্য এবং মঙ্গলকাব্যের মধ্যে মঙ্গলকাব্য অবশ্যই অন্যতম। অনুবাদ সাহিত্য ও বৈষ্ণব সাহিত্য অনেকটা আদর্শায়িত, সেখানে রচয়িতারা ইহলৌকিক জীবনকে উপেক্ষা করে কবি কল্পনা ও সীমাহীন ঔদাসীনাের পরিচয় দিয়েছেন। একমাত্র মঙ্গলকাব্যের কবিগণ দেবতা-নির্ভর কাব্যকাহিনি গ্রহণ করেও বাস্তব জীবনকে উপেক্ষা করেননি। সাহিত্য-ভিত্তিক ইতিহাস আলােচনায় সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাঙালির সামাজিক ইতিহাস আলােচনায় মঙ্গলকাব্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এই সূত্রেই বাঙালির সামাজিক ইতিহাস সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে পড়ি।
আমার আগ্রহ আরাে বাড়িয়ে তুলেছিলেন আমার গবেষণা তত্ত্বাবধায়িকা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মঞ্জুলা বেরা মহাশয়া। মঙ্গলকাব্য বাঙালির সামাজিক ইতিহাসের বিবর্তন শিরােনামে একটি অভিসন্দর্ভ রচনা করি। 'মঙ্গলকাব্যের বিবর্তনের ধারায় বাঙালির সামাজিক ইতিহাস' -এই শিরােনামটি গ্রহণ করি। নামটি পাঠক সমাজের অনুমােদন পেলে সার্থকতা বােধ করবাে। গ্রন্থটিতে মােট সাতটি অধ্যায় আছে।
প্রথম অধ্যায় : মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের পশ্চাট। এই অধ্যায়ে মঙ্গলকাব্য এবং মধ্যযুগের অন্যান্য সাহিত্য শাখার উদ্ভবের পশ্চাদ্পট বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় অধ্যায় : মনসামঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
তৃতীয় অধ্যায় : চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
চতুর্থ অধ্যায় : ধর্মমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
পঞ্চম অধ্যায় : শিবায়ন বা শিবমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
ষষ্ঠ অধ্যায় : অন্নদামঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
সপ্তম অধ্যায় : মনসামঙ্গল কাব্য থেকে অন্নদামঙ্গল কাব্য পর্যন্ত বাঙালির সামাজিক ইতিহাসের বিবর্তন। মঙ্গলকাব্যগুলিতে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
যেমন:
১। বস্তু-কেন্দ্রিক উপাদান : খাদ্য-পানীয়, ব্যবহার্য সামগ্রী, পােশাক-পরিচ্ছদ, খানবাহন, বাদ্যযন্ত্র, অলঙ্কার, সাজসজ্জা ইত্যাদি।
২। আচার-বিচার ও সংস্কার-বিশ্বাস-কেন্দ্রিক উপাদান: রীতিনীতি, আচার, অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
৩। ভাবকেন্দ্রিক উপাদান : শিক্ষা-সংস্কৃতি।
৪ | স্বাস্থ্য ও শরীরচর্চা-কেন্দ্রিক উপাদান : লােকক্রীড়া, শরীরচর্চা ইত্যাদি।
তরুণ রুশ
₹150
রুশবিপ্লবের পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে ওঠে। তাসখন্দে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি তৈরী হলে ব্রিটিশশাসিত ভারতীয় উপমহাদেশে তা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। তবু সঙ্গোপণে দলের কার্যক্রম পরিচালিত হলে মার্কসীয় তত্ত্ব ও তার প্রয়োগসংক্রান্ত বইয়ের অপ্রতুলতাহেতু তৎকালে ঢাকায় 'গণসাহিত্য চক্র', কলকাতায় 'ন্যাশনাল বুক এজেন্সি' এবং ‘বর্মণ পাবলিসিং হাউস’ এই ঘাটতি মেটাতে দায়বদ্ধতার ভূমিকা পালন করে। ফলে সমকালের রুশবিপ্লব, বলশেভিক দল, লেনিন, মার্কসীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক তত্ত্ববিষয়ক বেশকিছু গ্রন্থ রচিত হয়। বহু বিদেশী মার্কসীয় গ্রন্থও অনূদিত হয়। এই সময়ে ২৫ বছরের তরুণ কমিউনিস্ট রেবতী বর্মণ রচনা করেন ‘তরুণ-রুশ’।
বিপ্লোত্তর রাশিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সমাজ, বিপ্লবের পূর্বাভাস, রাশিয়ার সাহিত্যধারা, রাজনৈতিক সাহিত্যকৃতি, মার্কস ও কম্যুনিজম, শেষ বিপ্লব, বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রচার, নতুন অর্থনৈতিকব্যবস্থা এবং সমকালীন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সংক্ষিপ্তসারে বিশ্লেষিত এই গ্রন্থটি বঙ্গদেশে তরুণ রাশিয়ার স্বরূপ উদ্ঘাটন করে। রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ পরে গ্রন্থটি এখনও একটি সময়ের দলিল হিসেবে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক।
তরুণ রুশ
₹150
রুশবিপ্লবের পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে ওঠে। তাসখন্দে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি তৈরী হলে ব্রিটিশশাসিত ভারতীয় উপমহাদেশে তা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। তবু সঙ্গোপণে দলের কার্যক্রম পরিচালিত হলে মার্কসীয় তত্ত্ব ও তার প্রয়োগসংক্রান্ত বইয়ের অপ্রতুলতাহেতু তৎকালে ঢাকায় 'গণসাহিত্য চক্র', কলকাতায় 'ন্যাশনাল বুক এজেন্সি' এবং ‘বর্মণ পাবলিসিং হাউস’ এই ঘাটতি মেটাতে দায়বদ্ধতার ভূমিকা পালন করে। ফলে সমকালের রুশবিপ্লব, বলশেভিক দল, লেনিন, মার্কসীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক তত্ত্ববিষয়ক বেশকিছু গ্রন্থ রচিত হয়। বহু বিদেশী মার্কসীয় গ্রন্থও অনূদিত হয়। এই সময়ে ২৫ বছরের তরুণ কমিউনিস্ট রেবতী বর্মণ রচনা করেন ‘তরুণ-রুশ’।
বিপ্লোত্তর রাশিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সমাজ, বিপ্লবের পূর্বাভাস, রাশিয়ার সাহিত্যধারা, রাজনৈতিক সাহিত্যকৃতি, মার্কস ও কম্যুনিজম, শেষ বিপ্লব, বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রচার, নতুন অর্থনৈতিকব্যবস্থা এবং সমকালীন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সংক্ষিপ্তসারে বিশ্লেষিত এই গ্রন্থটি বঙ্গদেশে তরুণ রাশিয়ার স্বরূপ উদ্ঘাটন করে। রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ পরে গ্রন্থটি এখনও একটি সময়ের দলিল হিসেবে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক।