“পঁচিশটি গল্প” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
মহাবিদ্রোহের আরও গল্প
Publisher: একুশ শতক
₹200
১৮৫৭ সালের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন লগ্নে বইটি প্রকাশিত হয়। সিপাহীদের কায়েম হওয়া হুকুম, রক্তাক্ত দিল্লি ,ইংরেজ ফৌজের দিল্লি পুনর্দখলের চেষ্টা – সমস্তই নিপুন ভাবে বর্ণিত হয়েছে ‘ মহাবিদ্রোহের আরও গল্প ‘ গ্রন্থে। ইংরেজ সৈনিকদের পাশবিক অত্যাচারের প্রত্যক্ষ বাস্তবতা গল্পে উপস্থিত।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-mag01
১৮৫৭ সালের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন লগ্নে বইটি প্রকাশিত হয়। সিপাহীদের কায়েম হওয়া হুকুম, রক্তাক্ত দিল্লি ,ইংরেজ ফৌজের দিল্লি পুনর্দখলের চেষ্টা – সমস্তই নিপুন ভাবে বর্ণিত হয়েছে। ইংরেজ সৈনিকদের পাশবিক অত্যাচারের প্রত্যক্ষ বাস্তবতা গল্পে উপস্থিত।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
আমিয়েল ও রবীন্দ্রনাথ
₹175
আমিয়েল ও রবীন্দ্রনাথ - এই দুই কবি - দার্শনিকের জীবনভাবনার তৌলনিক আলােচনা এ গ্রন্থের মূল উপজীব্য। এতে একদিকে যেমন আছে উভয়ের কবিপ্রাণতা ও দার্শনিকতার সুগভীর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ তেমনি প্রসঙ্গক্রমে পর্যালােচিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন কবি ও দার্শনিকের মহার্ঘ ধ্যান-ধারণাও। বাংলা বা অন্য যে কোনাে ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ও আমিয়েল বিষয়ে সম্ভবত এটিই প্রথম গ্রন্থ।
আমিয়েল ও রবীন্দ্রনাথ
₹175
আমিয়েল ও রবীন্দ্রনাথ - এই দুই কবি - দার্শনিকের জীবনভাবনার তৌলনিক আলােচনা এ গ্রন্থের মূল উপজীব্য। এতে একদিকে যেমন আছে উভয়ের কবিপ্রাণতা ও দার্শনিকতার সুগভীর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ তেমনি প্রসঙ্গক্রমে পর্যালােচিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন কবি ও দার্শনিকের মহার্ঘ ধ্যান-ধারণাও। বাংলা বা অন্য যে কোনাে ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ও আমিয়েল বিষয়ে সম্ভবত এটিই প্রথম গ্রন্থ।
মানব সত্তার অভিপ্রায়
₹200
লােকে বলে দর্শন বা ভাবনা জ্ঞাপন করতে হয় জনমানসে ছড়িয়ে দেবার জন্য। কিন্তু সেই জ্ঞাপনের কি কোনাে দর্শন থাকে? হ্যা, নেপথ্যেও এক স্বকীয়তার দর্শন থাকে। ' আমি-সত্তার অভিপ্রায় ' -ই সেই দর্শনের উৎস। আবার নানা অভিপ্রায়ের দ্বন্দ্ব, বিরােধই আসলে যাবতীয় সামাজিকতার উৎস। তাই অভিপ্রায়ের দ্বন্দ্বের মধ্যেই রয়েছে যাবতীয় দমনপীড়ন, শােষণ এবং বিদ্রোহের কারণগুলি। কখনাে সাধারণ 'আমি'-র সঙ্গে প্রবল প্রতিষ্ঠানের, স্বৈরাচারী আমি-র সঙ্গে শােষিতের, আবার সবার ‘আমি’-র সঙ্গে ভােগের নেপথ্যে থাকা অদৃশ্য শক্তির। এই-ই হল জ্ঞাপনদর্শনের অন্দরমহল। সংগ্রহ করার মতো একটি বই ' মানব সত্তার অভিপ্রায় '
মানব সত্তার অভিপ্রায়
₹200
লােকে বলে দর্শন বা ভাবনা জ্ঞাপন করতে হয় জনমানসে ছড়িয়ে দেবার জন্য। কিন্তু সেই জ্ঞাপনের কি কোনাে দর্শন থাকে? হ্যা, নেপথ্যেও এক স্বকীয়তার দর্শন থাকে। ' আমি-সত্তার অভিপ্রায় ' -ই সেই দর্শনের উৎস। আবার নানা অভিপ্রায়ের দ্বন্দ্ব, বিরােধই আসলে যাবতীয় সামাজিকতার উৎস। তাই অভিপ্রায়ের দ্বন্দ্বের মধ্যেই রয়েছে যাবতীয় দমনপীড়ন, শােষণ এবং বিদ্রোহের কারণগুলি। কখনাে সাধারণ 'আমি'-র সঙ্গে প্রবল প্রতিষ্ঠানের, স্বৈরাচারী আমি-র সঙ্গে শােষিতের, আবার সবার ‘আমি’-র সঙ্গে ভােগের নেপথ্যে থাকা অদৃশ্য শক্তির। এই-ই হল জ্ঞাপনদর্শনের অন্দরমহল। সংগ্রহ করার মতো একটি বই ' মানব সত্তার অভিপ্রায় '
আসমান জমিন কথা
₹200
আমাদিগের আত্মপরিচয় আপনি দিবার রীতি নাই, অন্য প্রসঙ্গে লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। একথাটা বলতে পারে প্রতিটি সার্থক ছােটগল্প কিংবা আখ্যান। তার হয়ে ওঠার মধ্যেই প্রকৃত পরিচয় লুকিয়ে থাকে। এই 'আসমান জমিন কথা' নামক গল্পসংকলনেও আছে। আছে রণবীরের অন্যসব বয়ানেও। এখানে আছে ব্রাত্যজনের ভূমিসংলগ্ন জমিনকথা এবং কল্পনার আরেক আকাশ, আসমানকথা। দূরবীক্ষণের মধ্য দিয়ে জমি বা আকাশ দেখা নয়, অণুবীক্ষণের অন্তরঙ্গ আলােকপাত। দেখার এই বিশেষ ধরনই সবকিছু যাকে মহানগরের কৃত্রিম বাস্তব পরাস্ত করতে পারে নি। শৈশব-কৈশাের-যৌবনের বরাকভূমি যেন হয়ে ওঠে মায়াবী নদীর পারের দেশ, এই পৃথিবী একবার পায় যাকে - পায় নাকো আর। বাস্তবই স্বপ্ন হয়ে ওঠে স্মৃতির আতসকাচে। পরিচিত মানুষজনের আদল মাত্র থাকে, ওরা হয়ে ওঠে আরেক অস্তিত্ব। মনের ভেতরই যার বসত, তাকে নতুন পাওয়া আলােয় উদ্ভাসিত করে গল্পকথার সাজ। সমস্ত ভাঙনের মধ্যে জেগে থাকে ভালবাসা, টাপুর-টুপুর বৃষ্টি ঝরে সম্পর্কের চোরা-ফাটলের উপর। এরই নাম জীবন যার জন্যে আকাঙ্ক্ষা ফুরােয় না কখনও।
গল্পকার রণবীর পুরকায়স্থের এই তাে আসমান, এই তাে জমিন, যাদের দ্বিরালাপ লক্ষ করে আবিষ্ট তিনি। বহুম্বরিক ও অন্তর্মুখী লিখনশৈলীতে উন্মােচিত হয়েছে চিরবিস্ময়ের বােধ মানুষ ও তার জগৎ সম্পর্কে যার আরম্ভ আছে কিন্তু শেষ নেই।
আসমান জমিন কথা
₹200
আমাদিগের আত্মপরিচয় আপনি দিবার রীতি নাই, অন্য প্রসঙ্গে লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। একথাটা বলতে পারে প্রতিটি সার্থক ছােটগল্প কিংবা আখ্যান। তার হয়ে ওঠার মধ্যেই প্রকৃত পরিচয় লুকিয়ে থাকে। এই 'আসমান জমিন কথা' নামক গল্পসংকলনেও আছে। আছে রণবীরের অন্যসব বয়ানেও। এখানে আছে ব্রাত্যজনের ভূমিসংলগ্ন জমিনকথা এবং কল্পনার আরেক আকাশ, আসমানকথা। দূরবীক্ষণের মধ্য দিয়ে জমি বা আকাশ দেখা নয়, অণুবীক্ষণের অন্তরঙ্গ আলােকপাত। দেখার এই বিশেষ ধরনই সবকিছু যাকে মহানগরের কৃত্রিম বাস্তব পরাস্ত করতে পারে নি। শৈশব-কৈশাের-যৌবনের বরাকভূমি যেন হয়ে ওঠে মায়াবী নদীর পারের দেশ, এই পৃথিবী একবার পায় যাকে - পায় নাকো আর। বাস্তবই স্বপ্ন হয়ে ওঠে স্মৃতির আতসকাচে। পরিচিত মানুষজনের আদল মাত্র থাকে, ওরা হয়ে ওঠে আরেক অস্তিত্ব। মনের ভেতরই যার বসত, তাকে নতুন পাওয়া আলােয় উদ্ভাসিত করে গল্পকথার সাজ। সমস্ত ভাঙনের মধ্যে জেগে থাকে ভালবাসা, টাপুর-টুপুর বৃষ্টি ঝরে সম্পর্কের চোরা-ফাটলের উপর। এরই নাম জীবন যার জন্যে আকাঙ্ক্ষা ফুরােয় না কখনও।
গল্পকার রণবীর পুরকায়স্থের এই তাে আসমান, এই তাে জমিন, যাদের দ্বিরালাপ লক্ষ করে আবিষ্ট তিনি। বহুম্বরিক ও অন্তর্মুখী লিখনশৈলীতে উন্মােচিত হয়েছে চিরবিস্ময়ের বােধ মানুষ ও তার জগৎ সম্পর্কে যার আরম্ভ আছে কিন্তু শেষ নেই।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।