“রবীন্দ্রনাথ ও বুদ্ধদেব বসু” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
পঁচিশটি গল্প
Publisher: একুশ শতক
₹500
” পঁচিশটি গল্প – তিলোত্তমা মজুমদার ” এই গ্রন্থের গল্পগুলি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেলেও এই প্রথম গ্রন্থবদ্ধ হলো। বিভিন্ন আকার ও প্রকারের গল্পগুলি লেখকের অন্য কোনও সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পঁচিশটি গল্পের স্বাদ পরস্পরের থেকে পৃথক। লেখক নানা সময়ে, বিচিত্র প্রেক্ষিতে এগুলি রচনা করেছেন।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-pgtm01
” পঁচিশটি গল্প – তিলোত্তমা মজুমদার ” এই গ্রন্থের গল্পগুলি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেলেও এই প্রথম গ্রন্থবদ্ধ হলো। বিভিন্ন আকার ও প্রকারের গল্পগুলি লেখকের অন্য কোনও সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পঁচিশটি গল্পের স্বাদ পরস্পরের থেকে পৃথক। লেখক নানা সময়ে, বিচিত্র প্রেক্ষিতে এগুলি রচনা করেছেন।
Additional information
Weight | 0.6 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
পঁচিশটি গল্প
By তন্বী হালদার
₹350
এই পঁচিশটি গল্প মূলত গল্পহীন গল্প। এই ধরনের গল্প ইংরেজিতে লেখা হলেও বাংলায় খুব বেশি লেখা হয় নি। এই গল্পগুলো পড়তে বসলে নেশা না করেও অদ্ভুত এক নেশায় বুঁদ হয়ে যাওয়া যায়।
পঁচিশটি গল্প
By তন্বী হালদার
₹350
এই পঁচিশটি গল্প মূলত গল্পহীন গল্প। এই ধরনের গল্প ইংরেজিতে লেখা হলেও বাংলায় খুব বেশি লেখা হয় নি। এই গল্পগুলো পড়তে বসলে নেশা না করেও অদ্ভুত এক নেশায় বুঁদ হয়ে যাওয়া যায়।
কালীঘাটের পট
By অসীম রেজ
₹300
‘কালীঘাটের পট’ বাংলার চিত্রকলার এক গৌরবজনক অধ্যায় প্রায় শতবর্ষ আগে অস্তমিত হয়েছে। একদিন এই চিত্রশৈলী উনিশ শতকের তিরিশ দশক থেকে বিশ শতকের তিরিশ দশক পর্য্যন্ত সমাজ সচেতন ‘জনগণের শিল্প’ হয়ে বাঙালীর সাংস্কৃতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করেছিল। বাংলার সনাতন পটের ধারা থেকে নিজেকে মুক্ত করে কালীঘাটের পট সমাজ বাস্তবধর্মী আধুনিকতার এক নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছিল। কালীঘাটের শিল্পীরা ক্রেতাদের রুচি অনুযায়ী সস্তায় কালীঘাট মন্দিরের তীর্থযাত্রীদের হাতে দেব-দেবীদের ছবিগুলি যেমন পৌঁছে দিয়েছিলেন তেমন শহর কলকাতার দৈনন্দিন ঘটনা বা বাবু কালচারের রঙ্গ-ব্যঙ্গধর্মী চিত্তাকর্ষক ছবিগুলির ভিতর মনোরঞ্জনের খোরাক জুগিয়েছিলেন। সেদিন কে জানত, একদিন এগুলি হয়ে উঠবে বাঙালীর আত্মপরিচয়ের সাক্ষ্য।
এই গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে কালীঘাট পটচিত্রের বৈশিষ্ট, অন্যান্য লোকশিল্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক, পট শিল্পী পরিবারের অবদান, পটচিত্রে বিষয় বৈচিত্র্য ইত্যাদি। সঙ্গে রয়েছে সেসময়ের বেশকিছু রঙ্গিন ছবি যা বিষয়বস্তুকে বুঝতে সহায়তা করবে।
কালীঘাটের পট
By অসীম রেজ
₹300
‘কালীঘাটের পট’ বাংলার চিত্রকলার এক গৌরবজনক অধ্যায় প্রায় শতবর্ষ আগে অস্তমিত হয়েছে। একদিন এই চিত্রশৈলী উনিশ শতকের তিরিশ দশক থেকে বিশ শতকের তিরিশ দশক পর্য্যন্ত সমাজ সচেতন ‘জনগণের শিল্প’ হয়ে বাঙালীর সাংস্কৃতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করেছিল। বাংলার সনাতন পটের ধারা থেকে নিজেকে মুক্ত করে কালীঘাটের পট সমাজ বাস্তবধর্মী আধুনিকতার এক নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছিল। কালীঘাটের শিল্পীরা ক্রেতাদের রুচি অনুযায়ী সস্তায় কালীঘাট মন্দিরের তীর্থযাত্রীদের হাতে দেব-দেবীদের ছবিগুলি যেমন পৌঁছে দিয়েছিলেন তেমন শহর কলকাতার দৈনন্দিন ঘটনা বা বাবু কালচারের রঙ্গ-ব্যঙ্গধর্মী চিত্তাকর্ষক ছবিগুলির ভিতর মনোরঞ্জনের খোরাক জুগিয়েছিলেন। সেদিন কে জানত, একদিন এগুলি হয়ে উঠবে বাঙালীর আত্মপরিচয়ের সাক্ষ্য।
এই গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে কালীঘাট পটচিত্রের বৈশিষ্ট, অন্যান্য লোকশিল্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক, পট শিল্পী পরিবারের অবদান, পটচিত্রে বিষয় বৈচিত্র্য ইত্যাদি। সঙ্গে রয়েছে সেসময়ের বেশকিছু রঙ্গিন ছবি যা বিষয়বস্তুকে বুঝতে সহায়তা করবে।
গন আন্দোলনের ধারা প্রবন্ধ সংকলন
₹300
কমরেড অজয় মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও সর্বভারতীয় রাজ্য সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। রাজ্য কো - অর্ডিনেশন কমিটির উন্মেষ ও বিকাশপর্বের নেতা, দীর্ঘকালের সাধারণ সম্পাদক, সারা ভারত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাম্মানিক সভাপতি, ক্রমান্বয়ে চার দফায় লোকসভার নির্বাচিত প্রতিনিধি, প্রতিটি দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। বাগ্মী ও সুলেখক, কমরেড অজয় মুখার্জী তাঁর সারা জীবনের আন্দোলন, সংগ্রাম এবং সংগঠন গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে যে অমুল্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন বিভিন্ন প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে তা ব্যক্ত করেছেন। সেই প্রবন্ধগুলি নিয়েই " গণআন্দোলনের ধারা প্রবন্ধ সংকলন " গ্রন্থটি তৈরী হয়েছে।
গ্রন্থটি সরকারি কর্মচারীদের নানামুখী আন্দোলনের একটি জীবন্ত দলিল। গ্রন্থটি সরকারি কর্মচারীদের শুধু নয়, সমস্ত বামপন্থী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীদের শিক্ষিত করবার কাজ করবে।
গন আন্দোলনের ধারা প্রবন্ধ সংকলন
₹300
কমরেড অজয় মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও সর্বভারতীয় রাজ্য সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। রাজ্য কো - অর্ডিনেশন কমিটির উন্মেষ ও বিকাশপর্বের নেতা, দীর্ঘকালের সাধারণ সম্পাদক, সারা ভারত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাম্মানিক সভাপতি, ক্রমান্বয়ে চার দফায় লোকসভার নির্বাচিত প্রতিনিধি, প্রতিটি দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। বাগ্মী ও সুলেখক, কমরেড অজয় মুখার্জী তাঁর সারা জীবনের আন্দোলন, সংগ্রাম এবং সংগঠন গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে যে অমুল্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন বিভিন্ন প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে তা ব্যক্ত করেছেন। সেই প্রবন্ধগুলি নিয়েই " গণআন্দোলনের ধারা প্রবন্ধ সংকলন " গ্রন্থটি তৈরী হয়েছে।
গ্রন্থটি সরকারি কর্মচারীদের নানামুখী আন্দোলনের একটি জীবন্ত দলিল। গ্রন্থটি সরকারি কর্মচারীদের শুধু নয়, সমস্ত বামপন্থী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীদের শিক্ষিত করবার কাজ করবে।
গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল
₹200
লেখক তাঁর কর্মজীবনের সতের বৎসর (১৯৯০-১৯৭৭) প্ল্যানিং কমিশনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন ভারতের এই সময়টি সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রভৃতি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একদিকে চীনের ও পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম, জরুরি অবস্থা ঘোষণা, অন্যদিকে সবুজ বিপ্লবসহ অনেক উন্নতি মূলক পরিকল্পনা। লেখক সুনিপুণ ভাবে এই সমস্ত ঘটনা এবং দিল্লির তখনকার জীবনধারা, সরকারী সংস্থার আভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ রাষ্ট্রসংঘের উপদেষ্টারূপে লেখক আফগানিস্তানের কাবুল শহরে ছিলেন। রাষ্ট্রবিপ্লব ও সংঘাতের প্রত্যক্ষদর্শীরূপে লেখক নানা সমস্যা জর্জরিত ও বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বাস্তব আলেখ্য ও একটি নির্ভরযোগ্য ইতিহাস উপহার দিয়েছেন। " গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল " বাংলা ভাষায় এক অনন্য গ্রন্থ।
গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল
₹200
লেখক তাঁর কর্মজীবনের সতের বৎসর (১৯৯০-১৯৭৭) প্ল্যানিং কমিশনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন ভারতের এই সময়টি সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রভৃতি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একদিকে চীনের ও পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম, জরুরি অবস্থা ঘোষণা, অন্যদিকে সবুজ বিপ্লবসহ অনেক উন্নতি মূলক পরিকল্পনা। লেখক সুনিপুণ ভাবে এই সমস্ত ঘটনা এবং দিল্লির তখনকার জীবনধারা, সরকারী সংস্থার আভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ রাষ্ট্রসংঘের উপদেষ্টারূপে লেখক আফগানিস্তানের কাবুল শহরে ছিলেন। রাষ্ট্রবিপ্লব ও সংঘাতের প্রত্যক্ষদর্শীরূপে লেখক নানা সমস্যা জর্জরিত ও বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বাস্তব আলেখ্য ও একটি নির্ভরযোগ্য ইতিহাস উপহার দিয়েছেন। " গাঁ শহর বিভুঁই : দিল্লি ও কাবুল " বাংলা ভাষায় এক অনন্য গ্রন্থ।
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
সমবায়ী পাঠ
₹600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।