“আলহামব্রার লোককাহিনি” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
পঁচিশটি গল্প
Publisher: একুশ শতক
₹350
২০১৫ থেকে ২০২১ এর মধ্যে লেখা ২৫ টি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ। ঘর বললেই যে দেখায় ক্যালাইডোস্কোপ ঢুকে পড়ে, ভাতের রং চেনা যায় না, উনুন ঠান্ডায় কুঁকড়ে থাকে, খিদে নেই বললেই সোনার দাম বেড়ে যায়, মানুষ পাথর খেয়ে বেঁচে থাকে, ভালোবাসার টেলিগ্রামে যেখানে সেখানে থুতু জমে, গল্পগুলি এমন দেখার মধ্যেই হেঁটে চলেছে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-pgsb01
২০১৫ থেকে ২০২১ এর মধ্যে লেখা ২৫ টি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ। ঘর বললেই যে দেখায় ক্যালাইডোস্কোপ ঢুকে পড়ে, ভাতের রং চেনা যায় না, উনুন ঠান্ডায় কুঁকড়ে থাকে, খিদে নেই বললেই সোনার দাম বেড়ে যায়, মানুষ পাথর খেয়ে বেঁচে থাকে, ভালোবাসার টেলিগ্রামে যেখানে সেখানে থুতু জমে, গল্পগুলি এমন দেখার মধ্যেই হেঁটে চলেছে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ
₹125
' সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ ' বইটির প্রথম প্রবন্ধটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আক্ৰম হােসেন সম্পাদিত উলুখাগড়া পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। অন্যান্য প্রবন্ধগুলি বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত। একেবারে শেষে যে প্রবন্ধটি রাখা হয়েছে সেটি মহাদিগন্ত পত্রিকার একটি বিশেষ সংখ্যার জন্য লেখার সব প্রবন্ধগুলি একত্রিত করার পর দেখা গেল প্রবন্ধগুলিকে ঠিকঠাক সাজালে এক যােগসূত্র পাওয়া যেতে পারে। সেজন্যই গ্রন্থরূপে প্রকাশ করা হলো।
সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ
₹125
' সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ ' বইটির প্রথম প্রবন্ধটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আক্ৰম হােসেন সম্পাদিত উলুখাগড়া পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। অন্যান্য প্রবন্ধগুলি বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত। একেবারে শেষে যে প্রবন্ধটি রাখা হয়েছে সেটি মহাদিগন্ত পত্রিকার একটি বিশেষ সংখ্যার জন্য লেখার সব প্রবন্ধগুলি একত্রিত করার পর দেখা গেল প্রবন্ধগুলিকে ঠিকঠাক সাজালে এক যােগসূত্র পাওয়া যেতে পারে। সেজন্যই গ্রন্থরূপে প্রকাশ করা হলো।
পুরুলিয়ার মন্দির
₹300
পুরুলিয়া জেলার মন্দির স্থাপত্যের হাজার বছরের ব্যাখ্যা ও মননশীল বিশ্লেষণ এই গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে। জেলার প্রস্তর নির্মিত শিখর মন্দির, পীড়া মন্দির, চারচালা, আটচালা, পঞ্চরত্ন মন্দির, জোড়বাংলা মন্দিরগুলির চিত্রসহ ও বিস্তারিত বিবরণ এখানে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রায় ৭০ টি মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা গ্রন্থের মর্যাদা বাড়িয়েছে।
পুরুলিয়ার মন্দির
₹300
পুরুলিয়া জেলার মন্দির স্থাপত্যের হাজার বছরের ব্যাখ্যা ও মননশীল বিশ্লেষণ এই গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে। জেলার প্রস্তর নির্মিত শিখর মন্দির, পীড়া মন্দির, চারচালা, আটচালা, পঞ্চরত্ন মন্দির, জোড়বাংলা মন্দিরগুলির চিত্রসহ ও বিস্তারিত বিবরণ এখানে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রায় ৭০ টি মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা গ্রন্থের মর্যাদা বাড়িয়েছে।
লিটল ইন্ডিয়া
₹200
দেবদাস ভট্টাচার্যের জন্ম কলকাতায় ১৯৪৭-এ। লেখার জগতে প্রবেশ সেই কৈশাের থেকে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের টানাপােড়েন সঙ্গে করে বড়াে হওয়া। স্কটিশ চার্চ কলেজ পেরিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। জীবনকে দেখার দৃষ্টি খুলছে ক্রমশ। রক্তাক্ত করছে সমাজের ক্ষতগুলাে। কর্মসূত্রে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুবাদে গ্রামে-গঞ্জে প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করার সুযােগ পাওয়া। লেখার ভেতর এসবের প্রতিফলন পাওয়া যায় ' লিটল ইন্ডিয়া ' গ্রন্থে।
লিটল ইন্ডিয়া
₹200
দেবদাস ভট্টাচার্যের জন্ম কলকাতায় ১৯৪৭-এ। লেখার জগতে প্রবেশ সেই কৈশাের থেকে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের টানাপােড়েন সঙ্গে করে বড়াে হওয়া। স্কটিশ চার্চ কলেজ পেরিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। জীবনকে দেখার দৃষ্টি খুলছে ক্রমশ। রক্তাক্ত করছে সমাজের ক্ষতগুলাে। কর্মসূত্রে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুবাদে গ্রামে-গঞ্জে প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করার সুযােগ পাওয়া। লেখার ভেতর এসবের প্রতিফলন পাওয়া যায় ' লিটল ইন্ডিয়া ' গ্রন্থে।
কাটা ঘুড়ির রঙ
By নলিনী বেরা
₹250
বাঙলা কথাসাহিত্যের অগ্রণী কথাকার নলিনী বেরা এক স্বতন্ত্র বিষয় ও লিখনশৈলীর অধিকারী। তার কলমে রূপ পায় লোকায়ত মানুষ, লোকজীবন, সর্বোপরি গ্রামীণ মানুষের ভাষা। কাটা ঘুড়ির রং’ তার ব্যতিক্রম নয়৷ ‘কাটা ঘুড়ির রঙ’, ‘ইরিনা এবং সুধন্যরা’ ও ‘নাকফুল’ – তিন-তিনটি উপন্যাসের অনবদ্য সংকলন ‘কাটা ঘুড়ির রঙ’। গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার মতো উপন্যাসে মাঝে মাঝে এসে পড়ে কলকাতাও। তখন কলকাতা আদতে আর কলকাতা থাকে না, হয়ে যায় লোকায়ত কলকাতা। কী শহর কী গ্রামের লোকায়ত বাস্তব জীবনে অন্তঃসলিলা ফল্গুধারার মতোই অবাস্তবিক চিন্তা ও ঘটনার মুহুর্মুহু যে প্রতিফলন ঘটে চলে, যা কী না শিল্পীর ছবিতে ফোটে বিমূর্ত হয়ে, কবির কলমে হয়ে ওঠে ‘সুররিয়ালিজম’-এর দ্যোতক, ঔপন্যাসিকের কলমে তাই যেন ‘ইলিউসন অ্যাণ্ড রিয়ালিটি'-র রূপক। ‘কাটা ঘুড়ির রঙ'-এ সেই রাঙা-ভাঙা-বিমূর্ততারই রঙ খেলা।
কাটা ঘুড়ির রঙ
By নলিনী বেরা
₹250
বাঙলা কথাসাহিত্যের অগ্রণী কথাকার নলিনী বেরা এক স্বতন্ত্র বিষয় ও লিখনশৈলীর অধিকারী। তার কলমে রূপ পায় লোকায়ত মানুষ, লোকজীবন, সর্বোপরি গ্রামীণ মানুষের ভাষা। কাটা ঘুড়ির রং’ তার ব্যতিক্রম নয়৷ ‘কাটা ঘুড়ির রঙ’, ‘ইরিনা এবং সুধন্যরা’ ও ‘নাকফুল’ – তিন-তিনটি উপন্যাসের অনবদ্য সংকলন ‘কাটা ঘুড়ির রঙ’। গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার মতো উপন্যাসে মাঝে মাঝে এসে পড়ে কলকাতাও। তখন কলকাতা আদতে আর কলকাতা থাকে না, হয়ে যায় লোকায়ত কলকাতা। কী শহর কী গ্রামের লোকায়ত বাস্তব জীবনে অন্তঃসলিলা ফল্গুধারার মতোই অবাস্তবিক চিন্তা ও ঘটনার মুহুর্মুহু যে প্রতিফলন ঘটে চলে, যা কী না শিল্পীর ছবিতে ফোটে বিমূর্ত হয়ে, কবির কলমে হয়ে ওঠে ‘সুররিয়ালিজম’-এর দ্যোতক, ঔপন্যাসিকের কলমে তাই যেন ‘ইলিউসন অ্যাণ্ড রিয়ালিটি'-র রূপক। ‘কাটা ঘুড়ির রঙ'-এ সেই রাঙা-ভাঙা-বিমূর্ততারই রঙ খেলা।
একুশে ফেব্রুয়ারি
₹400
বাংলাভাষী হিসেবে ২১শে ফেব্রুয়ারি (একুশে ফেব্রুয়ারি) দিনটি আমাদের কাছে গর্বের, আনন্দের, আত্ম - আবিষ্কারের দিন। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখটিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' রুপে স্বীকৃতি দেন। এখন প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর ১৮৮ টি দেশের ভাষাপ্রেমী মানুষ নিজ নিজ মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করছে। বাংলা ভাষাভাষী মানুষ হিসেবে এটি আমাদের কাছে পরম গর্বের।
অমর একুশে ঘুচিয়ে দিয়েছে দুই বাংলার কাঁটাতারের বেড়া। দুই বাংলার লেখক - শিল্পী - বুদ্ধিজীবীরা একুশ স্মরণে লেখনী ধারণ করেছেন। সেইরকম কিছু প্রতিনিধিস্থানীয় প্রবন্ধ চয়ন করে ভাষা - ভালোবাসার একখানি মালা গাঁথতে প্রয়াসী আমরা। একুশের আবেগের সঙ্গে বাংলাভাষার বন্ধনের কথা শিরোধার্য করে রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ দাশ, বিবেকানন্দ সহ আরো দু - একজনের বাংলা ভাষা - সাহিত্যবিষয়ক রচনা সংকলনভুক্ত করা হয়েছে প্রাসঙ্গিকভাবেই। এছাড়াও সৈয়দ মুজতবা আলী, আব্দুল হক,আনিসুজ্জামান,বদরুদ্দীন উমর, আবুল ফজল, মহম্মদ এনামুল হক, শেখ হাসিনা, হাসান আজিজুল হক, আহমেদ শরীফ , অন্নদাশঙ্কর রায়, গোলাম মোস্তাফা, শঙ্খ ঘোষ, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সেলিনা হোসেন, কান্তি বিশ্বাস, পবিত্র সরকার, হুমায়ুন আজাদ, আলাপন বন্দোপাধ্যায়, মুর্তজা বশির, নীতিশ বিশ্বাস ইত্যাদি এবং আরও অনেকের আনকোরা - অগ্রন্থিত প্রবন্ধগুলি এখানে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলা ভাষাভাষী নিখিলবিশ্বের সুধী পাঠকদের ভাষাপ্রেম চরিতার্থতায় বর্তমান গ্রন্থখানির মূল্য অপরিসীম।
একুশে ফেব্রুয়ারি
₹400
বাংলাভাষী হিসেবে ২১শে ফেব্রুয়ারি (একুশে ফেব্রুয়ারি) দিনটি আমাদের কাছে গর্বের, আনন্দের, আত্ম - আবিষ্কারের দিন। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখটিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' রুপে স্বীকৃতি দেন। এখন প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর ১৮৮ টি দেশের ভাষাপ্রেমী মানুষ নিজ নিজ মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করছে। বাংলা ভাষাভাষী মানুষ হিসেবে এটি আমাদের কাছে পরম গর্বের।
অমর একুশে ঘুচিয়ে দিয়েছে দুই বাংলার কাঁটাতারের বেড়া। দুই বাংলার লেখক - শিল্পী - বুদ্ধিজীবীরা একুশ স্মরণে লেখনী ধারণ করেছেন। সেইরকম কিছু প্রতিনিধিস্থানীয় প্রবন্ধ চয়ন করে ভাষা - ভালোবাসার একখানি মালা গাঁথতে প্রয়াসী আমরা। একুশের আবেগের সঙ্গে বাংলাভাষার বন্ধনের কথা শিরোধার্য করে রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ দাশ, বিবেকানন্দ সহ আরো দু - একজনের বাংলা ভাষা - সাহিত্যবিষয়ক রচনা সংকলনভুক্ত করা হয়েছে প্রাসঙ্গিকভাবেই। এছাড়াও সৈয়দ মুজতবা আলী, আব্দুল হক,আনিসুজ্জামান,বদরুদ্দীন উমর, আবুল ফজল, মহম্মদ এনামুল হক, শেখ হাসিনা, হাসান আজিজুল হক, আহমেদ শরীফ , অন্নদাশঙ্কর রায়, গোলাম মোস্তাফা, শঙ্খ ঘোষ, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সেলিনা হোসেন, কান্তি বিশ্বাস, পবিত্র সরকার, হুমায়ুন আজাদ, আলাপন বন্দোপাধ্যায়, মুর্তজা বশির, নীতিশ বিশ্বাস ইত্যাদি এবং আরও অনেকের আনকোরা - অগ্রন্থিত প্রবন্ধগুলি এখানে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলা ভাষাভাষী নিখিলবিশ্বের সুধী পাঠকদের ভাষাপ্রেম চরিতার্থতায় বর্তমান গ্রন্থখানির মূল্য অপরিসীম।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...