Discount applied: Discount 20%
“দেশভাগের কবিতা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
Tendulkar
Publisher: একুশ শতক
₹200
Tendulkar – A Collection of original Bengali Poems and Prose (With English & Bengali Version) On Sachin Tendulkar by Sailendra Halder
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-t01
Tendulkar – A Collection of original Bengali Poems and Prose (With English & Bengali Version) On Sachin Tendulkar by Sailendra Halder
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
জীবন শিল্পী চিত্তপ্রসাদ
By সন্দীপ দে
₹100
ফ্যাসিবাদের দানবীয় উন্মত্ততা,ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী স্বাধীনতার আন্দোলন,দুর্ভিক্ষ, মন্বন্তর,ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা,তেভাগার লড়াই আর স্বপ্নতাড়িত ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ উত্তাল চল্লিশের বাংলায় শিল্প-সংস্কৃতির আঙিনায় মানবিকতা আর প্রতিবাদী চেতনায় যাঁরা প্রগতি আন্দোলনের শরিক হয়েছিলেন,সেই উজ্জ্বল স্রষ্টাদের অন্যতম কালজয়ী চিত্রশিল্পী চিত্তপ্রসাদ ভট্টাচার্য।
তিনি ছিলেন এমনই একজন শিল্পী, যিনি শিল্পসৃজনকে মনে করতেন এক ধরনের যুদ্ধ। মার্কসীয় আদর্শের বীক্ষণে তাঁর সেই যুদ্ধ ছিল দারিদ্র্য, শোষণ,বঞ্চনা, অন্যায়,অত্যাচার আর পরাধীনতার বিরুদ্ধে। তাঁর আয়ুধ ছিল চিত্রকলা। মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তিই ছিল তাঁর জীবন ও শিল্পসাধনার লক্ষ্য। এই জীবনবোধ ও আন্তরিক অনুভবের সঙ্গে বাংলার সমাজ,প্রকৃতি, ভারতের অপরূপ সৌন্দর্য , প্রেম,ভালোবাসা আর প্রতিবাদ-বিক্ষোভ বাঙ্ময় হয়ে উঠে এসেছে তাঁর অনন্য চিত্রভাষায়। এই শিল্পী - সংগ্রামীর সৃষ্টি ও সংগ্রামের আলোকোজ্জ্বল ইতিবৃত্তই মূর্ত হয়েছে ' জীবন শিল্পী চিত্তপ্রসাদ' গ্রন্থে।
জীবন শিল্পী চিত্তপ্রসাদ
By সন্দীপ দে
₹100
ফ্যাসিবাদের দানবীয় উন্মত্ততা,ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী স্বাধীনতার আন্দোলন,দুর্ভিক্ষ, মন্বন্তর,ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা,তেভাগার লড়াই আর স্বপ্নতাড়িত ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ উত্তাল চল্লিশের বাংলায় শিল্প-সংস্কৃতির আঙিনায় মানবিকতা আর প্রতিবাদী চেতনায় যাঁরা প্রগতি আন্দোলনের শরিক হয়েছিলেন,সেই উজ্জ্বল স্রষ্টাদের অন্যতম কালজয়ী চিত্রশিল্পী চিত্তপ্রসাদ ভট্টাচার্য।
তিনি ছিলেন এমনই একজন শিল্পী, যিনি শিল্পসৃজনকে মনে করতেন এক ধরনের যুদ্ধ। মার্কসীয় আদর্শের বীক্ষণে তাঁর সেই যুদ্ধ ছিল দারিদ্র্য, শোষণ,বঞ্চনা, অন্যায়,অত্যাচার আর পরাধীনতার বিরুদ্ধে। তাঁর আয়ুধ ছিল চিত্রকলা। মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তিই ছিল তাঁর জীবন ও শিল্পসাধনার লক্ষ্য। এই জীবনবোধ ও আন্তরিক অনুভবের সঙ্গে বাংলার সমাজ,প্রকৃতি, ভারতের অপরূপ সৌন্দর্য , প্রেম,ভালোবাসা আর প্রতিবাদ-বিক্ষোভ বাঙ্ময় হয়ে উঠে এসেছে তাঁর অনন্য চিত্রভাষায়। এই শিল্পী - সংগ্রামীর সৃষ্টি ও সংগ্রামের আলোকোজ্জ্বল ইতিবৃত্তই মূর্ত হয়েছে ' জীবন শিল্পী চিত্তপ্রসাদ' গ্রন্থে।
সাক্ষাৎকার সংগ্রহ
By জয়ন্ত সরকার
₹600
বাংলা ভাষায় সাক্ষাৎকার ভিত্তিক কয়েকটি বই ইতিপূর্বে প্রকাশিত হলেও তার সংখ্যা খুবই কম। " সাক্ষাৎকার সংগ্রহ " এক্ষেত্রে হতে পারে বেশ কিছুটা ব্যতিক্রমী। সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট মানুষজনের ব্যক্তিগত জীবন কিংবা সৃষ্টিকর্মের প্রেক্ষাপট আজও অজ্ঞাত রয়ে গেছে বহু পাঠকের কাছে। তাই শুধু সাহিত্য সম্পর্কে তাত্ত্বিক আলোচনা নয়, লেখার বাইরে একজন কবি বা লেখকের নিজস্ব জগতকে তুলে আনার প্রচেষ্টা করা হয়েছে প্রত্যেকটি সাক্ষাৎকারে। তাদের জীবন বা দিনযাপন, বাল্য-কৈশোর, যৌবনের রঙিন দিনগুলি, বন্ধুবান্ধব, পদস্খলন, সম্মান-অসম্মান, ধর্ম-অধর্ম, নৈতিকতা নীতিহীনতা প্রভৃতি নানা বিষয় স্থান পেয়েছে এইসব কথোপকথনে। পাশাপাশি রয়েছে তাদের সংগ্রাম ও বেড়ে ওঠার কাহিনি, যশ ও প্রতিষ্ঠা লাভ, রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে একাত্মতা ও বিচ্ছিন্নতাবোধ কিংবা নিতান্ত সাদামাঠা নানা কৌতুকস্নিগ্ধ ঘটনার খোলাখুলি বর্ণনা।
যাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই গ্রন্থ, তাঁরা হলেন মনীন্দ্র গুপ্ত, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহিত চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব গুহ, পবিত্র সরকার, নবনীতা দেবসেন, দিব্যেন্দু পালিত, বাণী বসু, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সমরেশ মজুমদার, দেবারতি মিত্র, শংকর চক্রবর্তী, নবারুণ ভট্টাচার্য, শ্যামলকান্তি দাশ, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। টুকরো - টুকরো কথন, অভিজ্ঞতা, ঘটনাপঞ্জী ও তথ্যে সমৃদ্ধ এই সংকলনটি বাংলাভাষার অন্যতম একটি আকরগ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখে।
সাক্ষাৎকার সংগ্রহ
By জয়ন্ত সরকার
₹600
বাংলা ভাষায় সাক্ষাৎকার ভিত্তিক কয়েকটি বই ইতিপূর্বে প্রকাশিত হলেও তার সংখ্যা খুবই কম। " সাক্ষাৎকার সংগ্রহ " এক্ষেত্রে হতে পারে বেশ কিছুটা ব্যতিক্রমী। সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট মানুষজনের ব্যক্তিগত জীবন কিংবা সৃষ্টিকর্মের প্রেক্ষাপট আজও অজ্ঞাত রয়ে গেছে বহু পাঠকের কাছে। তাই শুধু সাহিত্য সম্পর্কে তাত্ত্বিক আলোচনা নয়, লেখার বাইরে একজন কবি বা লেখকের নিজস্ব জগতকে তুলে আনার প্রচেষ্টা করা হয়েছে প্রত্যেকটি সাক্ষাৎকারে। তাদের জীবন বা দিনযাপন, বাল্য-কৈশোর, যৌবনের রঙিন দিনগুলি, বন্ধুবান্ধব, পদস্খলন, সম্মান-অসম্মান, ধর্ম-অধর্ম, নৈতিকতা নীতিহীনতা প্রভৃতি নানা বিষয় স্থান পেয়েছে এইসব কথোপকথনে। পাশাপাশি রয়েছে তাদের সংগ্রাম ও বেড়ে ওঠার কাহিনি, যশ ও প্রতিষ্ঠা লাভ, রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে একাত্মতা ও বিচ্ছিন্নতাবোধ কিংবা নিতান্ত সাদামাঠা নানা কৌতুকস্নিগ্ধ ঘটনার খোলাখুলি বর্ণনা।
যাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই গ্রন্থ, তাঁরা হলেন মনীন্দ্র গুপ্ত, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহিত চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব গুহ, পবিত্র সরকার, নবনীতা দেবসেন, দিব্যেন্দু পালিত, বাণী বসু, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সমরেশ মজুমদার, দেবারতি মিত্র, শংকর চক্রবর্তী, নবারুণ ভট্টাচার্য, শ্যামলকান্তি দাশ, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। টুকরো - টুকরো কথন, অভিজ্ঞতা, ঘটনাপঞ্জী ও তথ্যে সমৃদ্ধ এই সংকলনটি বাংলাভাষার অন্যতম একটি আকরগ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখে।
ঠাকুরবাড়ির হেমেন্দ্রনাথ
₹300
হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথের সেজদা। বাড়ির ছোটদের এমনকি মেয়ে, বউদের লেখা পড়া শেখাতেন তিনি। রবীন্দ্রনাথকেও পড়িয়েছেন। ছিলেন শিক্ষানুরাগী, প্রবল ভাবে বিজ্ঞানমনস্ক, বিজ্ঞান - প্রবন্ধ গ্রন্থের লেখক। অথচ বাঙালি রা হেমেন্দ্রনাথকে মনে রাখেনি। দেরিতে হলেও হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর আলোকিত হলেন , পার্থেজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর কলমে।
ঠাকুরবাড়ির হেমেন্দ্রনাথ
₹300
হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথের সেজদা। বাড়ির ছোটদের এমনকি মেয়ে, বউদের লেখা পড়া শেখাতেন তিনি। রবীন্দ্রনাথকেও পড়িয়েছেন। ছিলেন শিক্ষানুরাগী, প্রবল ভাবে বিজ্ঞানমনস্ক, বিজ্ঞান - প্রবন্ধ গ্রন্থের লেখক। অথচ বাঙালি রা হেমেন্দ্রনাথকে মনে রাখেনি। দেরিতে হলেও হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর আলোকিত হলেন , পার্থেজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর কলমে।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...