“রোদ নিভে এল” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
The Piper And The Bard
Publisher: একুশ শতক
₹450
“The Piper And The Bard” – William Blake and Rabindranath Tagore : A study of their poems for children.
An unexplored, ever-written book in the domain of comparative literature. Deals sharply with with William Blake and Rabindranath Tagore with reference to their poems for children.
An attraction for general readers and research scholars.
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-tptb01
Categories:
প্রবন্ধ, রবীন্দ্র বিষয়ক, সমস্ত বই
“The Piper And The Bard” – William Blake and Rabindranath Tagore : A study of their poems for children.
An unexplored, ever-written book in the domain of comparative literature. Deals sharply with with William Blake and Rabindranath Tagore with reference to their poems for children.
An attraction for general readers and research scholars.
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
নির্বাচিত অনুক্ত
₹250
ত্রৈমাসিক অনুক্তর প্রথম পর্ব ষাট বছর আগে চার বছরের জীবন শেষ করেছিল । এক দশক পরে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল আরো বারো বছর । দুই দফায় মোট ষোলো বছর। " নির্বাচিত অনুক্ত " প্রথম চার বছরের প্রত্যেকটি সংখ্যা থেকে নির্বাচিত লেখার সংকলন। পঞ্চাশের দশকের কিছু কিছু পত্রিকা নিয়ে পাঠক মহলে মাতামাতির শেষ নেই। অথচ কবি সুনীলকুমার নন্দী সম্পাদিত অসামান্য এই পত্রিকার আলোচনা তুলনায় অনেক কম। মেধাবী পাঠক অবশ্য খোঁজ রাখেন। এক অসামান্য রত্নসম্ভার। একই সংখ্যায় বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, সুধীন দত্ত, নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রমূখর উজ্জল উপস্থিতি। ছাপা, বাধাই, লেখা ও লেখক নির্বাচন যেদিকেই চোখ যায় মনন ও মেধার মহামিলন চমকে দিতে পারে। প্রচারবিমুখ সুনীল কুমার পুত্র-স্নেহে নির্মাণ করছেন প্রত্যেকটি সংখ্যা, যা আজও বিস্ময় জাগায়। এই সংকলনের সম্পাদক সৌমিত্র লাহিড়ী কবি সুনীল নন্দীর প্রত্যক্ষ সাহায্য-সহযোগিতা ও সাহচর্য পেয়ে বাছাই করেছেন প্রত্যেকটি লেখা। আবিষ্কারের আনন্দ খননের উদ্দীপনা আর মননের প্রতিবিম্ব হয়ে ওঠা এই সংকলন মেধাসম্পন্ন পাঠকের অনন্য সংগ্রহ রূপে চিহ্নিত হওয়ার যোগ্য।
নির্বাচিত অনুক্ত
₹250
ত্রৈমাসিক অনুক্তর প্রথম পর্ব ষাট বছর আগে চার বছরের জীবন শেষ করেছিল । এক দশক পরে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল আরো বারো বছর । দুই দফায় মোট ষোলো বছর। " নির্বাচিত অনুক্ত " প্রথম চার বছরের প্রত্যেকটি সংখ্যা থেকে নির্বাচিত লেখার সংকলন। পঞ্চাশের দশকের কিছু কিছু পত্রিকা নিয়ে পাঠক মহলে মাতামাতির শেষ নেই। অথচ কবি সুনীলকুমার নন্দী সম্পাদিত অসামান্য এই পত্রিকার আলোচনা তুলনায় অনেক কম। মেধাবী পাঠক অবশ্য খোঁজ রাখেন। এক অসামান্য রত্নসম্ভার। একই সংখ্যায় বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, সুধীন দত্ত, নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রমূখর উজ্জল উপস্থিতি। ছাপা, বাধাই, লেখা ও লেখক নির্বাচন যেদিকেই চোখ যায় মনন ও মেধার মহামিলন চমকে দিতে পারে। প্রচারবিমুখ সুনীল কুমার পুত্র-স্নেহে নির্মাণ করছেন প্রত্যেকটি সংখ্যা, যা আজও বিস্ময় জাগায়। এই সংকলনের সম্পাদক সৌমিত্র লাহিড়ী কবি সুনীল নন্দীর প্রত্যক্ষ সাহায্য-সহযোগিতা ও সাহচর্য পেয়ে বাছাই করেছেন প্রত্যেকটি লেখা। আবিষ্কারের আনন্দ খননের উদ্দীপনা আর মননের প্রতিবিম্ব হয়ে ওঠা এই সংকলন মেধাসম্পন্ন পাঠকের অনন্য সংগ্রহ রূপে চিহ্নিত হওয়ার যোগ্য।
রবীন্দ্রসংগীতের পাঁচ জ্যোতিষ্ক
₹100
পাঁচজন যশস্বী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, সুবিনয় রায়, দ্বিজেন মুখােপাধ্যায় ও দেবব্রত বিশ্বাস দের নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় (সময় অসময়, বাংলা স্টেটসম্যান, সন্ধিৎসা, একুশ শতক) একাধিক লেখা প্রকাশ পায়, কোনােটি প্রবন্ধাকারে, কোনােটি সাক্ষাৎকার ভিত্তিক। সেই লেখাগুলােকে কিছুটা পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও সংকলিত করে, ' রবীন্দ্রসংগীতএর পাঁচ জ্যোতিস্ক ' গ্রন্থটি প্রকাশ পায়।
রবীন্দ্রসংগীতের পাঁচ জ্যোতিষ্ক
₹100
পাঁচজন যশস্বী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, সুবিনয় রায়, দ্বিজেন মুখােপাধ্যায় ও দেবব্রত বিশ্বাস দের নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় (সময় অসময়, বাংলা স্টেটসম্যান, সন্ধিৎসা, একুশ শতক) একাধিক লেখা প্রকাশ পায়, কোনােটি প্রবন্ধাকারে, কোনােটি সাক্ষাৎকার ভিত্তিক। সেই লেখাগুলােকে কিছুটা পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও সংকলিত করে, ' রবীন্দ্রসংগীতএর পাঁচ জ্যোতিস্ক ' গ্রন্থটি প্রকাশ পায়।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।