“আমার জীবন ও কিছু কথা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
মেঘে ঢাকা নক্ষত্ররা
By ঈশা দাশগুপ্ত
₹200
মহাত্মা গান্ধীর অনেক আগেই আর একজনকে ‘মহাত্মা” নামে ডেকেছিল মানুষ। দল, রাজনীতির বাইরে ভারী স্বতঃস্ফূর্ত ছিল সে ডাক। তার লেখা বই থেকেই প্রথম জন্ম নেয় 'দলিত' মহাশব্দটি। তিনি জ্যোতিবা ফুলে, মহারাষ্ট্রের ইতিহাস যাঁকে চেনে মহাত্মা ফুলে নামে। বাংলা যখন জাতিভেদ বিরোধী আগুনের তাতটুকুও নেই, তখন মহারাষ্ট্রে জ্যোতিবা ফুলে সাবিত্ৰীবাঈ ফুলে তৈরী করেছিলেন এই আন্দোলন – যেমন ছিল তার আগুন, তেমনই ছিল তাপ। সেই তাপটুকু এক মুঠোতে ধরার চেষ্টা করে এই বই। বাংলা থেকে ঠিক মুখ ফিরিয়ে নয়, বাংলাকে মনে রেখেই দেশের দিকে তাকাবার চেষ্টা করে এই বই। যেমন, বেথুন স্কুল প্রতিষ্ঠার অনেক আগেই তৈরী হয় সাবিত্রীবাঈ-এর মেয়েদের ইস্কুল – সে ইতিহাস কাহনও গায় এই বই "মেঘে ঢাকা নক্ষত্ররা"। সেই পথেই আসেন ছত্রপতি সাহু, তারাবাঈ, বাবাসাহেব আম্বেদকরও - তাদের এক আকাশ মাথা তুলে দাঁড়াবার কথন নিয়ে।
মেঘে ঢাকা নক্ষত্ররা
By ঈশা দাশগুপ্ত
₹200
মহাত্মা গান্ধীর অনেক আগেই আর একজনকে ‘মহাত্মা” নামে ডেকেছিল মানুষ। দল, রাজনীতির বাইরে ভারী স্বতঃস্ফূর্ত ছিল সে ডাক। তার লেখা বই থেকেই প্রথম জন্ম নেয় 'দলিত' মহাশব্দটি। তিনি জ্যোতিবা ফুলে, মহারাষ্ট্রের ইতিহাস যাঁকে চেনে মহাত্মা ফুলে নামে। বাংলা যখন জাতিভেদ বিরোধী আগুনের তাতটুকুও নেই, তখন মহারাষ্ট্রে জ্যোতিবা ফুলে সাবিত্ৰীবাঈ ফুলে তৈরী করেছিলেন এই আন্দোলন – যেমন ছিল তার আগুন, তেমনই ছিল তাপ। সেই তাপটুকু এক মুঠোতে ধরার চেষ্টা করে এই বই। বাংলা থেকে ঠিক মুখ ফিরিয়ে নয়, বাংলাকে মনে রেখেই দেশের দিকে তাকাবার চেষ্টা করে এই বই। যেমন, বেথুন স্কুল প্রতিষ্ঠার অনেক আগেই তৈরী হয় সাবিত্রীবাঈ-এর মেয়েদের ইস্কুল – সে ইতিহাস কাহনও গায় এই বই "মেঘে ঢাকা নক্ষত্ররা"। সেই পথেই আসেন ছত্রপতি সাহু, তারাবাঈ, বাবাসাহেব আম্বেদকরও - তাদের এক আকাশ মাথা তুলে দাঁড়াবার কথন নিয়ে।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
ডেভিড ম্যাককাচন চর্চা
₹250
ডেভিড ম্যাককাচন - এক ব্যাতিক্রমী ভারতবন্ধু। বাংলার মন্দির এবং বাংলার পটচিত্র নিয়ে চর্চা করতে গেলে ডেভিডকে স্মরণ করতে হবে। না বাইবেলের ডেভিড নয় - বঙ্গপ্রেমিক ডেভিড ; পুরো নাম- ডেভিড জন ম্যাককাচন (১৯৩০-১৯৭২)।
একুশ শতকে ডেভিড চর্চার নতুন অধ্যায় শুরু করা হোক। তাঁকে শুধু মন্দিরপ্রেমী হিসাবে দেগে দেওয়া ঠিক নয়। মন্দির - মসজিদ - গির্জা - বৌদ্ধবিহার নিয়ে তাঁর আগ্রহ অপরিসীম। আসলে তিনি সমন্বয়বাদী। তিনি প্রাচ্যের স্থাপত্যশিল্প মজে ছিলেন। প্রাচ্য - পাশ্চাত্যের সম্প্রীতি সূত্র সন্ধান করেছিলেন।
৩২ টি গুরুত্বপূর্ণ লেখায় ধরা পড়েছে সামগ্রিক ডেভিড ম্যাককাচন। শুধু জীবন - সান্নিধ্য স্মৃতি সুধা নয়, তাঁর গবেষণা কর্মের মূল্যবান মূল্যায়ণ করা হয়েছে বইটিতে। শুধুমাত্র বাঙালি তথা ভারতীয়দের পর্যালোচনা নয়, সেই সঙ্গে বিদেশি গবেষকদের এক মিলিত সম্মিলন। বিস্মৃত এক বিদেশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক দুষ্প্রাপ্য দলিল।
১. বঙ্গপ্রেমিক ম্যাককাচনের মূল্যায়ণ নিয়ে এই প্রথম সর্ববৃহৎ উদ্যোগ।
২. বাংলা ভাষায় দেশি বিদেশি সমালোচকদের পর্যালোচনা একই মলাটে আনা হলো।
৩. ম্যাককাচন সম্পর্কে বিভিন্ন পত্র - পত্রিকায় ছড়িয়ে থাকা, নির্বাচিত পুরাতন রচনার সাথে একবারে নির্দিষ্ট নতুন রচনাও সামনে আনা হলো।
৪. সত্যজিত রায়ের ' ম্যাককাচন ' বানানটি ব্যবহার করা হয়েছে।
ডেভিড ম্যাককাচন চর্চা
₹250
ডেভিড ম্যাককাচন - এক ব্যাতিক্রমী ভারতবন্ধু। বাংলার মন্দির এবং বাংলার পটচিত্র নিয়ে চর্চা করতে গেলে ডেভিডকে স্মরণ করতে হবে। না বাইবেলের ডেভিড নয় - বঙ্গপ্রেমিক ডেভিড ; পুরো নাম- ডেভিড জন ম্যাককাচন (১৯৩০-১৯৭২)।
একুশ শতকে ডেভিড চর্চার নতুন অধ্যায় শুরু করা হোক। তাঁকে শুধু মন্দিরপ্রেমী হিসাবে দেগে দেওয়া ঠিক নয়। মন্দির - মসজিদ - গির্জা - বৌদ্ধবিহার নিয়ে তাঁর আগ্রহ অপরিসীম। আসলে তিনি সমন্বয়বাদী। তিনি প্রাচ্যের স্থাপত্যশিল্প মজে ছিলেন। প্রাচ্য - পাশ্চাত্যের সম্প্রীতি সূত্র সন্ধান করেছিলেন।
৩২ টি গুরুত্বপূর্ণ লেখায় ধরা পড়েছে সামগ্রিক ডেভিড ম্যাককাচন। শুধু জীবন - সান্নিধ্য স্মৃতি সুধা নয়, তাঁর গবেষণা কর্মের মূল্যবান মূল্যায়ণ করা হয়েছে বইটিতে। শুধুমাত্র বাঙালি তথা ভারতীয়দের পর্যালোচনা নয়, সেই সঙ্গে বিদেশি গবেষকদের এক মিলিত সম্মিলন। বিস্মৃত এক বিদেশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক দুষ্প্রাপ্য দলিল।
১. বঙ্গপ্রেমিক ম্যাককাচনের মূল্যায়ণ নিয়ে এই প্রথম সর্ববৃহৎ উদ্যোগ।
২. বাংলা ভাষায় দেশি বিদেশি সমালোচকদের পর্যালোচনা একই মলাটে আনা হলো।
৩. ম্যাককাচন সম্পর্কে বিভিন্ন পত্র - পত্রিকায় ছড়িয়ে থাকা, নির্বাচিত পুরাতন রচনার সাথে একবারে নির্দিষ্ট নতুন রচনাও সামনে আনা হলো।
৪. সত্যজিত রায়ের ' ম্যাককাচন ' বানানটি ব্যবহার করা হয়েছে।
রাড় বাংলা দুঃখিনী মা আমার
By অমিত রায়
₹200
রাড় বাংলার প্রকৃতি ও লোকজীবনের সঙ্গে মিশে থাকে শহরের প্রাত্যহিক জীবন। এই প্রত্যক্ষতা ও সংকটের কথা তিনি ছন্দে নিয়ে আসেন সচেতন ভাবেই। ঐতিহ্যের এই পরম্পরা তার কবিতার স্বভূমি। কবিতার আদিগন্ত আকাশ।
রাড় বাংলা দুঃখিনী মা আমার
By অমিত রায়
₹200
রাড় বাংলার প্রকৃতি ও লোকজীবনের সঙ্গে মিশে থাকে শহরের প্রাত্যহিক জীবন। এই প্রত্যক্ষতা ও সংকটের কথা তিনি ছন্দে নিয়ে আসেন সচেতন ভাবেই। ঐতিহ্যের এই পরম্পরা তার কবিতার স্বভূমি। কবিতার আদিগন্ত আকাশ।