“শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ার আগে” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
সময়ের সঙ্গী
Publisher: একুশ শতক
₹150
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অন্ধকার শেষ কথা নয়, আলোর কথাই বলেছেন তিনি সময়ের সঙ্গী বইটিতে। আর একবার প্রমাণিত করার চেষ্টা করেছেন সবার উপরে মানুষ সত্য। ধ্বংসের ভয় নয়। সৃষ্টির জয় শেষ কথা। তাই মনুষত্বের জয়ের ভেরি নিনাদিত হয় তার গল্পে। এই গল্প গ্রন্থটি পাঠকের কাছে সমাদৃত হলে লেখিকার প্রচেষ্টা সার্থক হবে।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অন্ধকার শেষ কথা নয়, আলোর কথাই বলেছেন তিনি সময়ের সঙ্গী বইটিতে। আর একবার প্রমাণিত করার চেষ্টা করেছেন সবার উপরে মানুষ সত্য। ধ্বংসের ভয় নয়। সৃষ্টির জয় শেষ কথা। তাই মনুষত্বের জয়ের ভেরি নিনাদিত হয় তার গল্পে।
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
মহাপ্রাণের পরশমনি শরৎচন্দ্র
₹300
' মহাপ্রাণের পরশমনি শরৎচন্দ্র ' গ্রন্থের বিশেষত্ব এই যে, এখানে শরৎচন্দ্র সম্পর্কে সাহিত্য সমালোচকদের কোন রচনা গৃহীত হয়নি; হয়েছে শুধু সাহিত্য স্রষ্টাগণের। সমালোচকদের লেখায় বা দৃষ্টিতে নয়, সাহিত্য সাধকদের ভাবনায় ও সৃষ্টিতে ব্যক্তি শরৎচন্দ্র বা শরৎসাহিত্য কীভাবে প্রতিভাত তা সর্বসাধারনের কাছে তুলে ধরাই এই গ্রন্থ রচনার উদ্দেশ্য। বর্তমান গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ,কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়, বিভূতিভুষণ বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কথাসাহিত্যিক সন্তোষকুমার ঘোষ পর্যন্ত কবি - সাহিত্যিকদের শরৎচন্দ্র সম্পর্কে মূল্যায়ন ও স্মৃতিচারণা স্থান পেয়েছে।
এই বই শুধু বাংলা সাহিত্যের ছাত্র-ছাত্রী বা গবেষক - গবেষিকার কথা ভেবে লেখা হয়নি বরং হয়েছে সর্বশ্রেণীর সাধারণ পাঠকের কথা মনে রেখে, বিশেষত শরৎ-অনুরাগীদের কথা। গ্রন্থটি অনেকাংশে শরৎচন্দ্র সম্পর্কে বিরূপ সমালোচনার একটি গৃহীত জবাব।
মহাপ্রাণের পরশমনি শরৎচন্দ্র
₹300
' মহাপ্রাণের পরশমনি শরৎচন্দ্র ' গ্রন্থের বিশেষত্ব এই যে, এখানে শরৎচন্দ্র সম্পর্কে সাহিত্য সমালোচকদের কোন রচনা গৃহীত হয়নি; হয়েছে শুধু সাহিত্য স্রষ্টাগণের। সমালোচকদের লেখায় বা দৃষ্টিতে নয়, সাহিত্য সাধকদের ভাবনায় ও সৃষ্টিতে ব্যক্তি শরৎচন্দ্র বা শরৎসাহিত্য কীভাবে প্রতিভাত তা সর্বসাধারনের কাছে তুলে ধরাই এই গ্রন্থ রচনার উদ্দেশ্য। বর্তমান গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ,কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়, বিভূতিভুষণ বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কথাসাহিত্যিক সন্তোষকুমার ঘোষ পর্যন্ত কবি - সাহিত্যিকদের শরৎচন্দ্র সম্পর্কে মূল্যায়ন ও স্মৃতিচারণা স্থান পেয়েছে।
এই বই শুধু বাংলা সাহিত্যের ছাত্র-ছাত্রী বা গবেষক - গবেষিকার কথা ভেবে লেখা হয়নি বরং হয়েছে সর্বশ্রেণীর সাধারণ পাঠকের কথা মনে রেখে, বিশেষত শরৎ-অনুরাগীদের কথা। গ্রন্থটি অনেকাংশে শরৎচন্দ্র সম্পর্কে বিরূপ সমালোচনার একটি গৃহীত জবাব।
ব্ল্যাকশিপ 0
₹50
ব্ল্যাকশিপ 0 ব্যাপারটা বেশ ইউনিক। একই গল্পের দুইরকম ভাবে পরিবেশন। সংক্ষিপ্তকারে সত্যি অভিনব এক প্রচেষ্টা। তবে ব্ল্যাকশিপ ১ এবং ব্ল্যাকশিপ ২ কমিক্স দুটি পড়লে ব্ল্যাকশিপ 0 এক উপরি পাওনা বলে মনে হবে, হয়তো মনের ভিতর জেগে ওঠা কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবে।
ব্ল্যাকশিপ 0
₹50
ব্ল্যাকশিপ 0 ব্যাপারটা বেশ ইউনিক। একই গল্পের দুইরকম ভাবে পরিবেশন। সংক্ষিপ্তকারে সত্যি অভিনব এক প্রচেষ্টা। তবে ব্ল্যাকশিপ ১ এবং ব্ল্যাকশিপ ২ কমিক্স দুটি পড়লে ব্ল্যাকশিপ 0 এক উপরি পাওনা বলে মনে হবে, হয়তো মনের ভিতর জেগে ওঠা কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবে।
ফিল্ম নিয়ে
₹300
পনেরােটি লেখা নিয়ে ' ফিল্ম নিয়ে ' গ্রন্থটি। লেখাগুলির প্রথম অংশে রইল কিছু তান্ত্বিক আলােচনা আর পরের অংশে বিশেষ বিশেষ ছবি নিয়ে ঘনিষ্ঠ পাঠ। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় অনুভব করেছি কোনাে ছবি নিয়ে ভালােমন্দ যাই বলা হােক, মূল সৃষ্টিটির অবয়ব, গড়ন দৃশ্যপুঞ্জ বা সিকোয়েন্স ধরে ধরে কেন্দ্রস্থ বক্তব্যের তাৎপর্য উন্মােচন ফিল্ম সমালােচনার এক অব্যর্থ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতেই ফিল্মটির উজ্জ্বল ব্যাখ্যা দাঁড় করানাে সম্ভব। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সাতটি ছবির ঘনিষ্ঠ পাঠ রাখা হল। এই উন্মােচনের মধ্যে মিশে গেছে ছবিগুলিতে ধরা সময়, সমকালীন ইতিহাসের ইঙ্গিত ; পরিচালকদের ব্যক্তিসত্ত্ব-পারসােনা-সে তাে আছেই।
ফিল্ম নিয়ে
₹300
পনেরােটি লেখা নিয়ে ' ফিল্ম নিয়ে ' গ্রন্থটি। লেখাগুলির প্রথম অংশে রইল কিছু তান্ত্বিক আলােচনা আর পরের অংশে বিশেষ বিশেষ ছবি নিয়ে ঘনিষ্ঠ পাঠ। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় অনুভব করেছি কোনাে ছবি নিয়ে ভালােমন্দ যাই বলা হােক, মূল সৃষ্টিটির অবয়ব, গড়ন দৃশ্যপুঞ্জ বা সিকোয়েন্স ধরে ধরে কেন্দ্রস্থ বক্তব্যের তাৎপর্য উন্মােচন ফিল্ম সমালােচনার এক অব্যর্থ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতেই ফিল্মটির উজ্জ্বল ব্যাখ্যা দাঁড় করানাে সম্ভব। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সাতটি ছবির ঘনিষ্ঠ পাঠ রাখা হল। এই উন্মােচনের মধ্যে মিশে গেছে ছবিগুলিতে ধরা সময়, সমকালীন ইতিহাসের ইঙ্গিত ; পরিচালকদের ব্যক্তিসত্ত্ব-পারসােনা-সে তাে আছেই।
মরু গন্ধে ভরা
₹80
ভ্রমণ শুধু একটা জায়গার ইতিহাস ভূগােলেই নয়, তার মধ্যে একটা সাহিত্যও থাকে। এখানে আছে রাজা-রাজড়ার দেশে সদলে যাওয়ার কাহিনী। যােধপুর থেকে জয়শলমীর, উদয়পুর থেকে আজমীর, জয়পুর। ঠিক যখন উষ্ণ দেশে উষ্ণতা কাম্য। সেই উষ্ণতা যার পরশে অচেনা মানুষও খুব কাছের হয়ে পড়ে। জীবনের ক্যানভাসে কত রঙ, কত বৈচিত্র্য। তার ভাজে ভাজে থাকা এইসব রঙ প্রকাশিত হয় তার ঝিকিমিকি ঢেউ নিয়ে। যারা ভ্রমণে বেরিয়েছেন, যাদের আমরা সুখী মনে করি, তাদের জীবন আসলে রক্তাক্ত! প্রাত্যহিকতা থেকে বিশ্রামের জন্য ভ্রমণ হলেও, প্রাত্যহিকতা তাে পিছু ছাড়ে না। তারই মধ্যে জীবনের উত্তরণ ঘটে। যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তা গাঁথা হয়ে যায় চিরদিনের মত। ' মরু গন্ধে ভরা ' গ্রন্থটি তারই একটি নিদর্শন।
মরু গন্ধে ভরা
₹80
ভ্রমণ শুধু একটা জায়গার ইতিহাস ভূগােলেই নয়, তার মধ্যে একটা সাহিত্যও থাকে। এখানে আছে রাজা-রাজড়ার দেশে সদলে যাওয়ার কাহিনী। যােধপুর থেকে জয়শলমীর, উদয়পুর থেকে আজমীর, জয়পুর। ঠিক যখন উষ্ণ দেশে উষ্ণতা কাম্য। সেই উষ্ণতা যার পরশে অচেনা মানুষও খুব কাছের হয়ে পড়ে। জীবনের ক্যানভাসে কত রঙ, কত বৈচিত্র্য। তার ভাজে ভাজে থাকা এইসব রঙ প্রকাশিত হয় তার ঝিকিমিকি ঢেউ নিয়ে। যারা ভ্রমণে বেরিয়েছেন, যাদের আমরা সুখী মনে করি, তাদের জীবন আসলে রক্তাক্ত! প্রাত্যহিকতা থেকে বিশ্রামের জন্য ভ্রমণ হলেও, প্রাত্যহিকতা তাে পিছু ছাড়ে না। তারই মধ্যে জীবনের উত্তরণ ঘটে। যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তা গাঁথা হয়ে যায় চিরদিনের মত। ' মরু গন্ধে ভরা ' গ্রন্থটি তারই একটি নিদর্শন।
সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র
₹500
কথাসাহিত্যিক সুশীল জানার নাম বাংলা সাহিত্যের পাঠকের কাছে অপরিচিত নয়। কিন্তু তাঁর রচনা বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। জীবনের অভিজ্ঞান অজস্র বৈচিত্র্য নিয়ে কিভাবে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে সুশীল জানার লেখায়, তাঁর সাক্ষ্য দেয় তাঁর সমস্ত উপন্যাসগুলি। যাদের সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ছয়টি। মহানগরী, সূর্যগ্রাস, বেলাভূমির গান, সাগর সঙ্গমে, শতদ্রুর সংখ্যা, প্রস্থান পর্ব ইত্যাদি সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দেশ-কাল-সমাজ এবং ব্যক্তিমানুষের মধ্যে যে-দন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধ তার লেখায় বিচিত্রভাবে উপস্থিত হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটের বৈচিত্র্য যে কতটাই, তা পরোক্ষ করা যায় " মহানগর " উপন্যাসে। কলকাতার কানাগলি এবং তার বাসিন্দা নিম্ন মধ্যবিত্ত একদল মানুষের জীবনের কিছু টানাপোড়েন এবং ব্রিটিশ রাজত্বের একেবারে অন্তিম পর্যায়ের ভঙ্গুর চালচিত্রকে রূপায়িত করে তার " মহানগর " উপন্যাসটি লেখা। ধর্মঘট, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ছন্ছত্তর হয়ে যাওয়া সারা দেশের পটভূমি - আর তারই সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে রূপায়িত নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবনযুদ্ধ - এই দুটোকে মিলিয়ে নিয়ে নিপুণ নকশায় বুনেছেন সুশীল জানা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের এবং দেশ স্বাধীন হবার ঠিক আগের এবং পরের সময়কালের পটভূমিতে নাগরিক নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের চিত্রায়ণ হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস " সূর্যগ্রাস " এর মধ্যে।
" বেলাভূমির গান " এবং " সাগরসঙ্গমে "- এই দুটি উপন্যাসের পটভূমিকা এবং কুশীলবেরা আবার সম্পূর্ণ আলাদা আগের দুটির থেকে। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ নয় এরা দূর প্রত্যন্তবাসী গ্রামীণ নারী পুরুষেরা এখানে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে তাদের অন্তরের অন্তর্লীন অসংখ্য আদিম আকুতি নিয়ে। আবার সঙ্গে - সঙ্গেই দেশ - কাল - সমাজ - রাজনীতি - অর্থনীতির পরিপূর্ণ অভিঘাতের নানা ইঙ্গিত সূচিত করে দিতেও লেখকের কলম সমানভাবেই সক্রিয় থেকেছে।
" শতদ্রুর সংখ্যা " বেরোনোর তিন বছর পরে বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। এটিকে একই সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করলেই যথাযোগ্য মূল্যায়ন করা যায় বোধহয়। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হল এটিই যে, এখানে রাষ্ট্রনৈতিক ওঠা-পড়া, ঝড়-ঝঞ্ঝা এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ এমনই ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে, কোনওটাই অন্যটাকে বাদ দিয়ে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। দেশপ্রেমিক এবং দেশদ্রোহী, উৎপীড়ক ও উৎপীড়িত, ভালোরা ও মন্দরা এখানে এমনই কিছু দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধে জড়িয়ে আছে, যা এর বহিরঙ্গের রাজনীতির উত্তালতা এবং অন্তর্মুখের মানসিক অধীষণ - দুটোকেই সমান গুরুত্বে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শেষ উপন্যাস 'প্রস্থান পর্ব'। পলাশির যুদ্ধের পরে করমন্ডল উপকূল থেকে আসা একদল পেশাদার সিপাহির বিপন্ন অসহায়তার কাহিনি এটি।
সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র
₹500
কথাসাহিত্যিক সুশীল জানার নাম বাংলা সাহিত্যের পাঠকের কাছে অপরিচিত নয়। কিন্তু তাঁর রচনা বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। জীবনের অভিজ্ঞান অজস্র বৈচিত্র্য নিয়ে কিভাবে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে সুশীল জানার লেখায়, তাঁর সাক্ষ্য দেয় তাঁর সমস্ত উপন্যাসগুলি। যাদের সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ছয়টি। মহানগরী, সূর্যগ্রাস, বেলাভূমির গান, সাগর সঙ্গমে, শতদ্রুর সংখ্যা, প্রস্থান পর্ব ইত্যাদি সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দেশ-কাল-সমাজ এবং ব্যক্তিমানুষের মধ্যে যে-দন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধ তার লেখায় বিচিত্রভাবে উপস্থিত হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটের বৈচিত্র্য যে কতটাই, তা পরোক্ষ করা যায় " মহানগর " উপন্যাসে। কলকাতার কানাগলি এবং তার বাসিন্দা নিম্ন মধ্যবিত্ত একদল মানুষের জীবনের কিছু টানাপোড়েন এবং ব্রিটিশ রাজত্বের একেবারে অন্তিম পর্যায়ের ভঙ্গুর চালচিত্রকে রূপায়িত করে তার " মহানগর " উপন্যাসটি লেখা। ধর্মঘট, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ছন্ছত্তর হয়ে যাওয়া সারা দেশের পটভূমি - আর তারই সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে রূপায়িত নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবনযুদ্ধ - এই দুটোকে মিলিয়ে নিয়ে নিপুণ নকশায় বুনেছেন সুশীল জানা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের এবং দেশ স্বাধীন হবার ঠিক আগের এবং পরের সময়কালের পটভূমিতে নাগরিক নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের চিত্রায়ণ হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস " সূর্যগ্রাস " এর মধ্যে।
" বেলাভূমির গান " এবং " সাগরসঙ্গমে "- এই দুটি উপন্যাসের পটভূমিকা এবং কুশীলবেরা আবার সম্পূর্ণ আলাদা আগের দুটির থেকে। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ নয় এরা দূর প্রত্যন্তবাসী গ্রামীণ নারী পুরুষেরা এখানে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে তাদের অন্তরের অন্তর্লীন অসংখ্য আদিম আকুতি নিয়ে। আবার সঙ্গে - সঙ্গেই দেশ - কাল - সমাজ - রাজনীতি - অর্থনীতির পরিপূর্ণ অভিঘাতের নানা ইঙ্গিত সূচিত করে দিতেও লেখকের কলম সমানভাবেই সক্রিয় থেকেছে।
" শতদ্রুর সংখ্যা " বেরোনোর তিন বছর পরে বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। এটিকে একই সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করলেই যথাযোগ্য মূল্যায়ন করা যায় বোধহয়। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হল এটিই যে, এখানে রাষ্ট্রনৈতিক ওঠা-পড়া, ঝড়-ঝঞ্ঝা এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ এমনই ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে, কোনওটাই অন্যটাকে বাদ দিয়ে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। দেশপ্রেমিক এবং দেশদ্রোহী, উৎপীড়ক ও উৎপীড়িত, ভালোরা ও মন্দরা এখানে এমনই কিছু দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধে জড়িয়ে আছে, যা এর বহিরঙ্গের রাজনীতির উত্তালতা এবং অন্তর্মুখের মানসিক অধীষণ - দুটোকেই সমান গুরুত্বে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শেষ উপন্যাস 'প্রস্থান পর্ব'। পলাশির যুদ্ধের পরে করমন্ডল উপকূল থেকে আসা একদল পেশাদার সিপাহির বিপন্ন অসহায়তার কাহিনি এটি।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।