Discount applied: Discount 20%
“বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
সেলফি
By ঈশিতা ভাদুড়ী
₹100
"পচিমবঙ্গ বাংলা অকাদেমি" পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখিকা ঈশিতা ভাদুড়ীর অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “সেলফি”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
সেলফি
By ঈশিতা ভাদুড়ী
₹100
"পচিমবঙ্গ বাংলা অকাদেমি" পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখিকা ঈশিতা ভাদুড়ীর অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “সেলফি”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
লোকসাহিত্য শিষ্টসাহিত্য : পারস্পরিক প্রভাব
₹300
আদিম শিকার-ভিত্তিক জীবন থেকে কৃষি সভ্যতা—শিল্প বিপ্লব ও নগর সভ্যতার ক্রমবিকাশ ও ক্রম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে সবকিছু। সাহিত্য, সংস্কৃতির নানাবিধ শাখা এবং মানুষের চিন্তন-ক্ষেত্রে এই ক্রমপরিবর্তন-পরিবর্ধন পরিমার্জনও এর ব্যাত্যয় হয় না। সবকিছুর মূলে বা আদিতে কিছু না কিছু থাকে। বিশিষ্টজনেরা সেসবকে আধুনিক, উত্তর আধুনিক—যেভাবেই চিহ্নিত করুন না কেন, সেই আদিকে বাদ দিয়ে কিছু হবার নয়। গ্রন্থকার ড. কার্ত্তিকচন্দ্র প্রামাণিক তাঁর এই ‘লোকসাহিত্য শিষ্টসাহিত্য : পারস্পরিক প্রভাব' শিরোনামের গ্রন্থে সেই আদি ও আপাত অন্তে বিচরণ করেছেন নিগুঢ়ভাবে। সমসাময়িক শিষ্ট সাহিত্য কীভাবে লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আত্তীকরণ করে পুষ্ট ও ঋদ্ধ হয়েছে তার অনুসন্ধানই এই পুস্তকের মূল প্রতিপাদ্য।
লোকসাহিত্য শিষ্টসাহিত্য : পারস্পরিক প্রভাব
₹300
আদিম শিকার-ভিত্তিক জীবন থেকে কৃষি সভ্যতা—শিল্প বিপ্লব ও নগর সভ্যতার ক্রমবিকাশ ও ক্রম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে সবকিছু। সাহিত্য, সংস্কৃতির নানাবিধ শাখা এবং মানুষের চিন্তন-ক্ষেত্রে এই ক্রমপরিবর্তন-পরিবর্ধন পরিমার্জনও এর ব্যাত্যয় হয় না। সবকিছুর মূলে বা আদিতে কিছু না কিছু থাকে। বিশিষ্টজনেরা সেসবকে আধুনিক, উত্তর আধুনিক—যেভাবেই চিহ্নিত করুন না কেন, সেই আদিকে বাদ দিয়ে কিছু হবার নয়। গ্রন্থকার ড. কার্ত্তিকচন্দ্র প্রামাণিক তাঁর এই ‘লোকসাহিত্য শিষ্টসাহিত্য : পারস্পরিক প্রভাব' শিরোনামের গ্রন্থে সেই আদি ও আপাত অন্তে বিচরণ করেছেন নিগুঢ়ভাবে। সমসাময়িক শিষ্ট সাহিত্য কীভাবে লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আত্তীকরণ করে পুষ্ট ও ঋদ্ধ হয়েছে তার অনুসন্ধানই এই পুস্তকের মূল প্রতিপাদ্য।
মঙ্গলকাব্যের বিবর্তনের ধারায় বাঙালির সামাজিক ইতিহাস
By বিকাশ পাল
₹300
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রধান তিনটি ধারা-অনুবাদ সাহিত্য, বৈষ্ণবসাহিত্য এবং মঙ্গলকাব্যের মধ্যে মঙ্গলকাব্য অবশ্যই অন্যতম। অনুবাদ সাহিত্য ও বৈষ্ণব সাহিত্য অনেকটা আদর্শায়িত, সেখানে রচয়িতারা ইহলৌকিক জীবনকে উপেক্ষা করে কবি কল্পনা ও সীমাহীন ঔদাসীনাের পরিচয় দিয়েছেন। একমাত্র মঙ্গলকাব্যের কবিগণ দেবতা-নির্ভর কাব্যকাহিনি গ্রহণ করেও বাস্তব জীবনকে উপেক্ষা করেননি। সাহিত্য-ভিত্তিক ইতিহাস আলােচনায় সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাঙালির সামাজিক ইতিহাস আলােচনায় মঙ্গলকাব্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এই সূত্রেই বাঙালির সামাজিক ইতিহাস সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে পড়ি।
আমার আগ্রহ আরাে বাড়িয়ে তুলেছিলেন আমার গবেষণা তত্ত্বাবধায়িকা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মঞ্জুলা বেরা মহাশয়া। মঙ্গলকাব্য বাঙালির সামাজিক ইতিহাসের বিবর্তন শিরােনামে একটি অভিসন্দর্ভ রচনা করি। 'মঙ্গলকাব্যের বিবর্তনের ধারায় বাঙালির সামাজিক ইতিহাস' -এই শিরােনামটি গ্রহণ করি। নামটি পাঠক সমাজের অনুমােদন পেলে সার্থকতা বােধ করবাে। গ্রন্থটিতে মােট সাতটি অধ্যায় আছে।
প্রথম অধ্যায় : মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের পশ্চাট। এই অধ্যায়ে মঙ্গলকাব্য এবং মধ্যযুগের অন্যান্য সাহিত্য শাখার উদ্ভবের পশ্চাদ্পট বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় অধ্যায় : মনসামঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
তৃতীয় অধ্যায় : চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
চতুর্থ অধ্যায় : ধর্মমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
পঞ্চম অধ্যায় : শিবায়ন বা শিবমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
ষষ্ঠ অধ্যায় : অন্নদামঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
সপ্তম অধ্যায় : মনসামঙ্গল কাব্য থেকে অন্নদামঙ্গল কাব্য পর্যন্ত বাঙালির সামাজিক ইতিহাসের বিবর্তন। মঙ্গলকাব্যগুলিতে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
যেমন:
১। বস্তু-কেন্দ্রিক উপাদান : খাদ্য-পানীয়, ব্যবহার্য সামগ্রী, পােশাক-পরিচ্ছদ, খানবাহন, বাদ্যযন্ত্র, অলঙ্কার, সাজসজ্জা ইত্যাদি।
২। আচার-বিচার ও সংস্কার-বিশ্বাস-কেন্দ্রিক উপাদান: রীতিনীতি, আচার, অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
৩। ভাবকেন্দ্রিক উপাদান : শিক্ষা-সংস্কৃতি।
৪ | স্বাস্থ্য ও শরীরচর্চা-কেন্দ্রিক উপাদান : লােকক্রীড়া, শরীরচর্চা ইত্যাদি।
মঙ্গলকাব্যের বিবর্তনের ধারায় বাঙালির সামাজিক ইতিহাস
By বিকাশ পাল
₹300
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রধান তিনটি ধারা-অনুবাদ সাহিত্য, বৈষ্ণবসাহিত্য এবং মঙ্গলকাব্যের মধ্যে মঙ্গলকাব্য অবশ্যই অন্যতম। অনুবাদ সাহিত্য ও বৈষ্ণব সাহিত্য অনেকটা আদর্শায়িত, সেখানে রচয়িতারা ইহলৌকিক জীবনকে উপেক্ষা করে কবি কল্পনা ও সীমাহীন ঔদাসীনাের পরিচয় দিয়েছেন। একমাত্র মঙ্গলকাব্যের কবিগণ দেবতা-নির্ভর কাব্যকাহিনি গ্রহণ করেও বাস্তব জীবনকে উপেক্ষা করেননি। সাহিত্য-ভিত্তিক ইতিহাস আলােচনায় সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাঙালির সামাজিক ইতিহাস আলােচনায় মঙ্গলকাব্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এই সূত্রেই বাঙালির সামাজিক ইতিহাস সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে পড়ি।
আমার আগ্রহ আরাে বাড়িয়ে তুলেছিলেন আমার গবেষণা তত্ত্বাবধায়িকা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মঞ্জুলা বেরা মহাশয়া। মঙ্গলকাব্য বাঙালির সামাজিক ইতিহাসের বিবর্তন শিরােনামে একটি অভিসন্দর্ভ রচনা করি। 'মঙ্গলকাব্যের বিবর্তনের ধারায় বাঙালির সামাজিক ইতিহাস' -এই শিরােনামটি গ্রহণ করি। নামটি পাঠক সমাজের অনুমােদন পেলে সার্থকতা বােধ করবাে। গ্রন্থটিতে মােট সাতটি অধ্যায় আছে।
প্রথম অধ্যায় : মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের পশ্চাট। এই অধ্যায়ে মঙ্গলকাব্য এবং মধ্যযুগের অন্যান্য সাহিত্য শাখার উদ্ভবের পশ্চাদ্পট বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় অধ্যায় : মনসামঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
তৃতীয় অধ্যায় : চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
চতুর্থ অধ্যায় : ধর্মমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
পঞ্চম অধ্যায় : শিবায়ন বা শিবমঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
ষষ্ঠ অধ্যায় : অন্নদামঙ্গল কাব্যে বাঙালির সামাজিক ইতিহাস।
সপ্তম অধ্যায় : মনসামঙ্গল কাব্য থেকে অন্নদামঙ্গল কাব্য পর্যন্ত বাঙালির সামাজিক ইতিহাসের বিবর্তন। মঙ্গলকাব্যগুলিতে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
যেমন:
১। বস্তু-কেন্দ্রিক উপাদান : খাদ্য-পানীয়, ব্যবহার্য সামগ্রী, পােশাক-পরিচ্ছদ, খানবাহন, বাদ্যযন্ত্র, অলঙ্কার, সাজসজ্জা ইত্যাদি।
২। আচার-বিচার ও সংস্কার-বিশ্বাস-কেন্দ্রিক উপাদান: রীতিনীতি, আচার, অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
৩। ভাবকেন্দ্রিক উপাদান : শিক্ষা-সংস্কৃতি।
৪ | স্বাস্থ্য ও শরীরচর্চা-কেন্দ্রিক উপাদান : লােকক্রীড়া, শরীরচর্চা ইত্যাদি।
বাংলা সাহিত্যে উদ্ভিদ
₹250
বাংলা সাহিত্যে উদ্ভিদ গ্রন্থটিতে লেখক কিছু উপাদানকে একত্র করার চেষ্টা করেছে। প্রাচীন, মধ্য, এবং আধুনিক যুগের সাহিত্য থেকে উদ্ভিদের উপাদান সংগ্রহ করেছেন। সাহিত্যে কিভাবে ব্যবহূত হয়েছে সেটি উল্লেখ করেছেন। এরপর সেই উদ্ভিদের বােটানিক্যাল নাম এবং তার ফ্যামিলি কি এবং লােক ব্যবহার সম্পর্কে আলােচনা করেছেন। সেই সঙ্গে কোন কোন উদ্ভিদের লােক সংস্কার কি ত্তাও দেখাবার চেষ্টা করেছেন। উদ্ভিদের ভাষাত্তাত্ত্বিক দিক এবং বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক উপাদানের সূএ তুলেধরেছেন। গ্রন্থটি পাঠকদের ভালাে লাগবে আশা করা যায়।
বাংলা সাহিত্যে উদ্ভিদ
₹250
বাংলা সাহিত্যে উদ্ভিদ গ্রন্থটিতে লেখক কিছু উপাদানকে একত্র করার চেষ্টা করেছে। প্রাচীন, মধ্য, এবং আধুনিক যুগের সাহিত্য থেকে উদ্ভিদের উপাদান সংগ্রহ করেছেন। সাহিত্যে কিভাবে ব্যবহূত হয়েছে সেটি উল্লেখ করেছেন। এরপর সেই উদ্ভিদের বােটানিক্যাল নাম এবং তার ফ্যামিলি কি এবং লােক ব্যবহার সম্পর্কে আলােচনা করেছেন। সেই সঙ্গে কোন কোন উদ্ভিদের লােক সংস্কার কি ত্তাও দেখাবার চেষ্টা করেছেন। উদ্ভিদের ভাষাত্তাত্ত্বিক দিক এবং বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক উপাদানের সূএ তুলেধরেছেন। গ্রন্থটি পাঠকদের ভালাে লাগবে আশা করা যায়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা
₹150
ধর্ম নয়, সংস্কৃতি ও ভাষার বন্ধন বিশ্বের তেত্রিশ কোটি বাঙালির জাতীয়তাবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দিয়েছে। ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশের বাঙালি জাতিসত্তা বুঝিয়ে দিয়েছে অভিন্ন সম্প্রীতির সংস্কৃতির শেকড় বাংলার মাটিতে প্রােথিত হলে ধর্মের অপব্যবহার তাকে কোনােদিনও উন্মুল করতে পারে না। এই বিবেচনায় -ই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালের কলকাতার সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা হৃৎকমলের টানে প্রায় এক কোটি উদ্বাস্তু বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছেন। পশ্চিমবাংলার বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে পাক-সেনাদের বর্বরােচিত আক্রমণকে পরাভূত করার জন্য সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেছেন। শিল্প মাধ্যমের সব দিগন্তই তখন আগুন ঝরার বর্ণমালা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার প্রতিনিধিস্থানীয় কবি ও অ-প্রধান কবিদের কলম থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতাজ্ঞাপন, মাতৃভূমির স্মৃতি, পাক-বাহিনীর প্রতি তীব্র ধিক্কার, ঘৃণা এবং প্রতিবাদ, প্রতিরােধের যে স্ফুলিঙ্গ একদিন কাব্যিক ব্যাঞ্জনায় এবং কঠিনে-কোমলে, শ্লেষে আটপৌড়ে শব্দের ধনুর্বাণ হয়ে কবিতার শরীর নির্মাণ করেছিল, সাংস্কৃতিক হাতিয়ার হিসেবে এই কবিতা দুইবাংলার বাঙালিকে জাগ্রত করেছিল, উজ্জীবিত করেছিল, তারই একটি সুনির্বাচিত ঐতিহাসিক দলিল এই রাজনৈতিক কাব্য-সংকলন ' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা '। এই কবিতাগুলাে একটি বিশেষ সময় ও ক্রান্তিকালকে অন্বীত করেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা
₹150
ধর্ম নয়, সংস্কৃতি ও ভাষার বন্ধন বিশ্বের তেত্রিশ কোটি বাঙালির জাতীয়তাবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দিয়েছে। ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশের বাঙালি জাতিসত্তা বুঝিয়ে দিয়েছে অভিন্ন সম্প্রীতির সংস্কৃতির শেকড় বাংলার মাটিতে প্রােথিত হলে ধর্মের অপব্যবহার তাকে কোনােদিনও উন্মুল করতে পারে না। এই বিবেচনায় -ই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালের কলকাতার সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা হৃৎকমলের টানে প্রায় এক কোটি উদ্বাস্তু বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছেন। পশ্চিমবাংলার বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে পাক-সেনাদের বর্বরােচিত আক্রমণকে পরাভূত করার জন্য সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেছেন। শিল্প মাধ্যমের সব দিগন্তই তখন আগুন ঝরার বর্ণমালা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার প্রতিনিধিস্থানীয় কবি ও অ-প্রধান কবিদের কলম থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতাজ্ঞাপন, মাতৃভূমির স্মৃতি, পাক-বাহিনীর প্রতি তীব্র ধিক্কার, ঘৃণা এবং প্রতিবাদ, প্রতিরােধের যে স্ফুলিঙ্গ একদিন কাব্যিক ব্যাঞ্জনায় এবং কঠিনে-কোমলে, শ্লেষে আটপৌড়ে শব্দের ধনুর্বাণ হয়ে কবিতার শরীর নির্মাণ করেছিল, সাংস্কৃতিক হাতিয়ার হিসেবে এই কবিতা দুইবাংলার বাঙালিকে জাগ্রত করেছিল, উজ্জীবিত করেছিল, তারই একটি সুনির্বাচিত ঐতিহাসিক দলিল এই রাজনৈতিক কাব্য-সংকলন ' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা '। এই কবিতাগুলাে একটি বিশেষ সময় ও ক্রান্তিকালকে অন্বীত করেছে।