Discount applied: Discount 20%
“ব্ল্যাকশিপ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
আমিয়েল ও রবীন্দ্রনাথ
₹175
আমিয়েল ও রবীন্দ্রনাথ - এই দুই কবি - দার্শনিকের জীবনভাবনার তৌলনিক আলােচনা এ গ্রন্থের মূল উপজীব্য। এতে একদিকে যেমন আছে উভয়ের কবিপ্রাণতা ও দার্শনিকতার সুগভীর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ তেমনি প্রসঙ্গক্রমে পর্যালােচিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন কবি ও দার্শনিকের মহার্ঘ ধ্যান-ধারণাও। বাংলা বা অন্য যে কোনাে ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ও আমিয়েল বিষয়ে সম্ভবত এটিই প্রথম গ্রন্থ।
আমিয়েল ও রবীন্দ্রনাথ
₹175
আমিয়েল ও রবীন্দ্রনাথ - এই দুই কবি - দার্শনিকের জীবনভাবনার তৌলনিক আলােচনা এ গ্রন্থের মূল উপজীব্য। এতে একদিকে যেমন আছে উভয়ের কবিপ্রাণতা ও দার্শনিকতার সুগভীর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ তেমনি প্রসঙ্গক্রমে পর্যালােচিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন কবি ও দার্শনিকের মহার্ঘ ধ্যান-ধারণাও। বাংলা বা অন্য যে কোনাে ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ও আমিয়েল বিষয়ে সম্ভবত এটিই প্রথম গ্রন্থ।
নকশিকথা
₹150
' নকশিকথা ' গল্প সংকলনটি লেখিকার দ্বিতীয় প্রয়াস। কুড়িটি ছোটো বড়ো গল্পের সমাহার। কখন হালকা চালে কখন গভীর কথনে লেখা হয়েছে মানুষের কথা। অতি কঠিন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অসহায় মানুষের আনন্দ বেদনা ও সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্রটি যেমন স্পষ্ট তেমনই এই ক্ষয়িয়ু মূল্যবোধের কাঠামোতে মানুষের চিরদরদি ও মরমি মনটিকেই খুঁজেছেন যেন লেখিকা৷ ‘নকশিকথা’ অক্ষরের মালায় জীবনের জলছবিটির নকশা তোলার একটি সার্থক প্রয়াস। বিচিত্র স্বাদের গল্পগুলির ঘটনাবলি ও চরিত্রগুলি কাল্পনিক।
নকশিকথা
₹150
' নকশিকথা ' গল্প সংকলনটি লেখিকার দ্বিতীয় প্রয়াস। কুড়িটি ছোটো বড়ো গল্পের সমাহার। কখন হালকা চালে কখন গভীর কথনে লেখা হয়েছে মানুষের কথা। অতি কঠিন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অসহায় মানুষের আনন্দ বেদনা ও সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্রটি যেমন স্পষ্ট তেমনই এই ক্ষয়িয়ু মূল্যবোধের কাঠামোতে মানুষের চিরদরদি ও মরমি মনটিকেই খুঁজেছেন যেন লেখিকা৷ ‘নকশিকথা’ অক্ষরের মালায় জীবনের জলছবিটির নকশা তোলার একটি সার্থক প্রয়াস। বিচিত্র স্বাদের গল্পগুলির ঘটনাবলি ও চরিত্রগুলি কাল্পনিক।
নব্য তোতাকাহিনী ও অন্যান্য
₹300
আমাদের সময় ও সমাজ ইদানীং বহুধা আক্রান্ত। অভ্যন্তরীন উপনিবেশবাদ ক্রমশ আততায়ীর চরিত্র অর্জন করে ইতিহাস ভাবাদর্শ-প্রগতি মূল্যবোধকে নস্যাত করতে উদ্যত। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান নীতির ফ্যাসিবাদী পতাকাবাহীরা গত সাত বছরে উত্তরোত্তর বিষক্রিয়া ছড়িয়ে দিয়ে সমাজমন ও রাষ্ট্রসংস্থাকে পঙ্গু করে ফেলেছে। তথাকথিত জাতীয় শিক্ষানীতি একতরফাভাবে চাপিয়ে দিয়ে শাসকেরা আগামী প্রজন্মগুলির মগজধোলাই করে নিজেদের পাইকবরকন্দাজে পরিণত করতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথের তোতা কাহিনির বিকটতম সংস্করণ তৈরি করেছে ধর্মান্ধ অত্যাচারী শক্তি। সামূহিক সর্বনাশের এই কালবেলায় নব্যতোতাকাহিনির ভয়ংকর স্বরূপ উদঘাটন করেছেন মননশীল প্রাবন্ধিক তপোধীর ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে রুগ্ন ও নিরালোক সমাজের বিপন্নতার বিভিন্ন দিকের ওপর বিশ্লেষণী আলোকপাত করেছেন আরো কিছু সময়ের স্বর খচিত প্রবন্ধে।
নব্য তোতাকাহিনী ও অন্যান্য
₹300
আমাদের সময় ও সমাজ ইদানীং বহুধা আক্রান্ত। অভ্যন্তরীন উপনিবেশবাদ ক্রমশ আততায়ীর চরিত্র অর্জন করে ইতিহাস ভাবাদর্শ-প্রগতি মূল্যবোধকে নস্যাত করতে উদ্যত। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান নীতির ফ্যাসিবাদী পতাকাবাহীরা গত সাত বছরে উত্তরোত্তর বিষক্রিয়া ছড়িয়ে দিয়ে সমাজমন ও রাষ্ট্রসংস্থাকে পঙ্গু করে ফেলেছে। তথাকথিত জাতীয় শিক্ষানীতি একতরফাভাবে চাপিয়ে দিয়ে শাসকেরা আগামী প্রজন্মগুলির মগজধোলাই করে নিজেদের পাইকবরকন্দাজে পরিণত করতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথের তোতা কাহিনির বিকটতম সংস্করণ তৈরি করেছে ধর্মান্ধ অত্যাচারী শক্তি। সামূহিক সর্বনাশের এই কালবেলায় নব্যতোতাকাহিনির ভয়ংকর স্বরূপ উদঘাটন করেছেন মননশীল প্রাবন্ধিক তপোধীর ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে রুগ্ন ও নিরালোক সমাজের বিপন্নতার বিভিন্ন দিকের ওপর বিশ্লেষণী আলোকপাত করেছেন আরো কিছু সময়ের স্বর খচিত প্রবন্ধে।
রবীন্দ্রসাহিত্যে পল্লীউন্নয়ন ও গ্রামীণ অর্থনীতি
₹500
কবি সাহিত্যিক হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর পরিচিতি যতটুকু, কর্মী হিসাবে পরিচিতি কোনো অংশে কম নয়। ইংরেজের অবহেলা উপেক্ষাকে প্রাধান্য না দিয়ে কোনো প্রকার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ছাড়াই দেশের বৃহত্তর অংশের বিপন্ন পল্লীর উন্নয়নের যাবতীয় পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তার বাস্তবায়ন এর ব্যবস্থা করেছিলেন। গ্রাম সংগঠক রবীন্দ্রনাথের চিন্তার অভিপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর সৃষ্ট সাহিত্যের বিচিত্র শাখায়। বর্তমান পুজিঁবাদী জটিল আর্থ -সামাজিক প্রেক্ষাপটে যখন গণতন্ত্র বিপন্ন তখন রবীন্দ্রনাথের উন্নয়ন ভাবনার মানবিক মুখ কিভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে লেখক তারই বিশ্লেষণ করেছেন।
রবীন্দ্রসাহিত্যে পল্লীউন্নয়ন ও গ্রামীণ অর্থনীতি
₹500
কবি সাহিত্যিক হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর পরিচিতি যতটুকু, কর্মী হিসাবে পরিচিতি কোনো অংশে কম নয়। ইংরেজের অবহেলা উপেক্ষাকে প্রাধান্য না দিয়ে কোনো প্রকার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ছাড়াই দেশের বৃহত্তর অংশের বিপন্ন পল্লীর উন্নয়নের যাবতীয় পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তার বাস্তবায়ন এর ব্যবস্থা করেছিলেন। গ্রাম সংগঠক রবীন্দ্রনাথের চিন্তার অভিপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর সৃষ্ট সাহিত্যের বিচিত্র শাখায়। বর্তমান পুজিঁবাদী জটিল আর্থ -সামাজিক প্রেক্ষাপটে যখন গণতন্ত্র বিপন্ন তখন রবীন্দ্রনাথের উন্নয়ন ভাবনার মানবিক মুখ কিভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে লেখক তারই বিশ্লেষণ করেছেন।
উধাও পথের ডাকে
₹200
' উধাও পথের ডাকে ' বইটিতে আছে দিল্লি, দক্ষিণ ভারত, আসাম ও মেঘালয়ের একটি করে, উত্তরপ্রদেশের দুটি, মহারাষ্ট্রের তিনটি, সিকিমের পাঁচটি (যার মধ্যে একটি ট্রেবুট) ও উড়িষ্যার মােট সাতটি পর্যটন স্থানের বিবরণ। লিখতে বসে দেখলাম, গত দু'দশক ধরে আমি ঘুরে বেড়িয়েছি ঠিক হিসেব করে নয়, বেশ কিছুটা এলােমেলাে ভাবে। মন যেখানে টেনেছে, ছুটে গেছি সেখানেই, তা সে শহর, সমুদ্র, মন্দির, পাহাড়, জঙ্গল-যাই হােক না কেন।
হিমালয় ভ্রমণ যদিও আমার নেশা, তবে ঐতিহাসিক স্থান আর ভারতের প্রাচীন মন্দিরগুলােও আমায় ভীষণ টানে। বড় ভালাে লাগে মন্দিরগুলাের পৌরাণিক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট জানতে, লােকগাথা শুনতে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় তাদের আজকের হাল হকিকৎ জানতে ও পাঠকদের জানাতে। তাই বেশ কিছুটা তথ্য ভারাক্রান্ত হলেও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি পুরীর জগন্নাথ মন্দির, কামাখ্যা ও মথুরা বৃন্দাবনের মন্দিরগুলিকে।
উধাও পথের ডাকে
₹200
' উধাও পথের ডাকে ' বইটিতে আছে দিল্লি, দক্ষিণ ভারত, আসাম ও মেঘালয়ের একটি করে, উত্তরপ্রদেশের দুটি, মহারাষ্ট্রের তিনটি, সিকিমের পাঁচটি (যার মধ্যে একটি ট্রেবুট) ও উড়িষ্যার মােট সাতটি পর্যটন স্থানের বিবরণ। লিখতে বসে দেখলাম, গত দু'দশক ধরে আমি ঘুরে বেড়িয়েছি ঠিক হিসেব করে নয়, বেশ কিছুটা এলােমেলাে ভাবে। মন যেখানে টেনেছে, ছুটে গেছি সেখানেই, তা সে শহর, সমুদ্র, মন্দির, পাহাড়, জঙ্গল-যাই হােক না কেন।
হিমালয় ভ্রমণ যদিও আমার নেশা, তবে ঐতিহাসিক স্থান আর ভারতের প্রাচীন মন্দিরগুলােও আমায় ভীষণ টানে। বড় ভালাে লাগে মন্দিরগুলাের পৌরাণিক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট জানতে, লােকগাথা শুনতে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় তাদের আজকের হাল হকিকৎ জানতে ও পাঠকদের জানাতে। তাই বেশ কিছুটা তথ্য ভারাক্রান্ত হলেও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি পুরীর জগন্নাথ মন্দির, কামাখ্যা ও মথুরা বৃন্দাবনের মন্দিরগুলিকে।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।