“বাংলার দলিত আন্দোলনের ইতিবৃত্ত” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
তিথির মেয়ে
₹100
সোহম ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে চেয়েছিলেন। পারেন নি। ফলে সোহম প্রচণ্ড রাগে ছেলেকে মেরে ফেলেন। পরে একটি ছেলেকে দত্তক নেবার কথা ভাবেন। অনুরাধা মানতে চায় না। তিমির একজন নৈরাশ্যে ডুবে যাওয়া যুবক, তিথি তার প্রাক্তন স্ত্রী। ডিভোর্স হবার কারণ তিনি একটি মেয়ে (ঝিনাই) দত্তক হিসাবে গ্রহণ করে। নিখিলেশ আধ পাগলাটে চরিত্র। একসময় আদর্শবাদী রাজনীতি করতেন। দীক্ষাগুরু সুবল রায় হত্যায় তিনি অভিযুক্ত। যদিও তা চক্রান্ত। নিখিলেশ মৌসুমীকে ভালবাসত, মৌসুমী অনাথ। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মৌসুমীকে ত্যাগ করে নিখিলেশ। তিনি ঝিনাইকে ঘিরে স্বপ্ন দ্যাখে। সিঙ্গল মাদার হিসাবে সে প্রতি মুহূর্তে লড়ে যায় ৷ মৈনাককে সে ভালবাসে। সে ভালবাসাও একসময় অর্থহীন হয়ে যায়৷
একদিকে, সন্তানকে কমোডিটি ভাবা, দত্তক সন্তানকে অবজ্ঞা, ঘৃণা করা। অন্যদিকে দত্তক সন্তানকে ভালবাসার জীবন রাঙিয়ে দেওয়া—এই পরস্পর বিরোধী ভাবনা দ্বন্দ্ব নিয়ে উপন্যাসটি বয়ে চলেছে। ভালবাসা কি শুধু বংশধারায় সঞ্চারিত? নাকি ভালবাসা একটি মহৎ অভ্যাস যা পরশপাথর খুঁজে ফেরে। এটাই ' তিথির মেয়ে ' উপন্যাসের উপজীব্য বিষয়।
তিথির মেয়ে
₹100
সোহম ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে চেয়েছিলেন। পারেন নি। ফলে সোহম প্রচণ্ড রাগে ছেলেকে মেরে ফেলেন। পরে একটি ছেলেকে দত্তক নেবার কথা ভাবেন। অনুরাধা মানতে চায় না। তিমির একজন নৈরাশ্যে ডুবে যাওয়া যুবক, তিথি তার প্রাক্তন স্ত্রী। ডিভোর্স হবার কারণ তিনি একটি মেয়ে (ঝিনাই) দত্তক হিসাবে গ্রহণ করে। নিখিলেশ আধ পাগলাটে চরিত্র। একসময় আদর্শবাদী রাজনীতি করতেন। দীক্ষাগুরু সুবল রায় হত্যায় তিনি অভিযুক্ত। যদিও তা চক্রান্ত। নিখিলেশ মৌসুমীকে ভালবাসত, মৌসুমী অনাথ। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মৌসুমীকে ত্যাগ করে নিখিলেশ। তিনি ঝিনাইকে ঘিরে স্বপ্ন দ্যাখে। সিঙ্গল মাদার হিসাবে সে প্রতি মুহূর্তে লড়ে যায় ৷ মৈনাককে সে ভালবাসে। সে ভালবাসাও একসময় অর্থহীন হয়ে যায়৷
একদিকে, সন্তানকে কমোডিটি ভাবা, দত্তক সন্তানকে অবজ্ঞা, ঘৃণা করা। অন্যদিকে দত্তক সন্তানকে ভালবাসার জীবন রাঙিয়ে দেওয়া—এই পরস্পর বিরোধী ভাবনা দ্বন্দ্ব নিয়ে উপন্যাসটি বয়ে চলেছে। ভালবাসা কি শুধু বংশধারায় সঞ্চারিত? নাকি ভালবাসা একটি মহৎ অভ্যাস যা পরশপাথর খুঁজে ফেরে। এটাই ' তিথির মেয়ে ' উপন্যাসের উপজীব্য বিষয়।
আধুনিক চিত্রকলায় সমাজ বাস্তবতা
By অসীম রেজ
₹200
যুদ্ধ পরবর্তী দেশগুলিতে নতুন রাজনৈতিক মতাদর্শ দেখা যাই। একদিকে একনায়কতন্ত্রী সামরিক শাসন বা ফ্যাসিজম - এর আবির্ভাব ঘটে, অন্যদিকে ফ্যাসি-বিরোধী বামপন্থী সমাজবাদী আদর্শের জন্ম হয়। বর্তমান গ্রন্থে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কাল পর্যন্ত এমন ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পকলায় সমাজবাস্তবতা অনুসন্ধানের চিত্রটি তুলে ধরা হয়েছে।
আলোচনা প্রসঙ্গে এসেছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, জার্মানীর নভেম্বর বিপ্লব ও নাৎসী অভ্যুত্থান, রুশ বিপ্লব, ইতালির ফ্যাসিস্ত অভ্যুত্থান, মেক্সিকোর বিপ্লব, স্পেনের গৃহযুদ্ধ, আমেরিকার গ্রেট ডিপ্রেশন ও আর্থিক সংকট দূরীকরণে নানান কর্মসূচি এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পীদের সামাজিক অবস্থান ও কর্মকান্ডের ইতিহাস। একই সঙ্গে আলোচিত হয়েছে ইউরোপীয় আভা - গ্রাদ বৈশিষ্টগুলি শিল্পীরা কিভাবে কাজে লাগিয়েছেন এবং সামাজিক ভূমিকা পালনে তাঁদের স্বতন্ত্র শিল্পীস্বত্তাটি বজায় রাখতে সক্ষম হলেন।
আধুনিক চিত্রকলায় সমাজ বাস্তবতা
By অসীম রেজ
₹200
যুদ্ধ পরবর্তী দেশগুলিতে নতুন রাজনৈতিক মতাদর্শ দেখা যাই। একদিকে একনায়কতন্ত্রী সামরিক শাসন বা ফ্যাসিজম - এর আবির্ভাব ঘটে, অন্যদিকে ফ্যাসি-বিরোধী বামপন্থী সমাজবাদী আদর্শের জন্ম হয়। বর্তমান গ্রন্থে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কাল পর্যন্ত এমন ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পকলায় সমাজবাস্তবতা অনুসন্ধানের চিত্রটি তুলে ধরা হয়েছে।
আলোচনা প্রসঙ্গে এসেছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, জার্মানীর নভেম্বর বিপ্লব ও নাৎসী অভ্যুত্থান, রুশ বিপ্লব, ইতালির ফ্যাসিস্ত অভ্যুত্থান, মেক্সিকোর বিপ্লব, স্পেনের গৃহযুদ্ধ, আমেরিকার গ্রেট ডিপ্রেশন ও আর্থিক সংকট দূরীকরণে নানান কর্মসূচি এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পীদের সামাজিক অবস্থান ও কর্মকান্ডের ইতিহাস। একই সঙ্গে আলোচিত হয়েছে ইউরোপীয় আভা - গ্রাদ বৈশিষ্টগুলি শিল্পীরা কিভাবে কাজে লাগিয়েছেন এবং সামাজিক ভূমিকা পালনে তাঁদের স্বতন্ত্র শিল্পীস্বত্তাটি বজায় রাখতে সক্ষম হলেন।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
মহাবিশ্বের রহস্য সন্ধানে
By অর্পণ পাল
₹250
মহাবিশ্বের রহস্যের কি তল মেলে কখনও? সেই প্রাচীন কালের মুনি-ঋষিদের খালি চোখে আকাশ পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে আজকের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলির অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ বা অতি ক্ষুদ্র কণাদের কর্মকাণ্ড দেখবার মতো প্রকাণ্ড সব যন্ত্রাদি; মহাবিশ্বের অসংখ্য অজানা রহস্যের সন্ধান জারি রয়েছে আবহমান কাল ধরেই। ক্ষুদ্র কণার জগত থেকে অতি দূর নক্ষত্রমণ্ডলী, মহাবিশ্বের হরেক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামিয়েই চলেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই বইয়ে পর্বে পর্বে রয়েছে তাঁদেরই কথা; যা একই সঙ্গে আমাদের ভাবায়, আবার বিস্মিত করেও। নিউটন থেকে আইনস্টাইন হয়ে একালের স্টিফেন হকিং, দুই মলাটের মধ্যে ধরা রইল এরকম বহু বিজ্ঞানীর কাজের কথা চিন্তাভাবনার কথাও। মহাবিশ্বের রহস্য সন্ধানে এই যাত্রা সকলের কাছেই সুখকর হবে, এইটুকুই আশা আমাদের।
মহাবিশ্বের রহস্য সন্ধানে
By অর্পণ পাল
₹250
মহাবিশ্বের রহস্যের কি তল মেলে কখনও? সেই প্রাচীন কালের মুনি-ঋষিদের খালি চোখে আকাশ পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে আজকের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলির অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ বা অতি ক্ষুদ্র কণাদের কর্মকাণ্ড দেখবার মতো প্রকাণ্ড সব যন্ত্রাদি; মহাবিশ্বের অসংখ্য অজানা রহস্যের সন্ধান জারি রয়েছে আবহমান কাল ধরেই। ক্ষুদ্র কণার জগত থেকে অতি দূর নক্ষত্রমণ্ডলী, মহাবিশ্বের হরেক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামিয়েই চলেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই বইয়ে পর্বে পর্বে রয়েছে তাঁদেরই কথা; যা একই সঙ্গে আমাদের ভাবায়, আবার বিস্মিত করেও। নিউটন থেকে আইনস্টাইন হয়ে একালের স্টিফেন হকিং, দুই মলাটের মধ্যে ধরা রইল এরকম বহু বিজ্ঞানীর কাজের কথা চিন্তাভাবনার কথাও। মহাবিশ্বের রহস্য সন্ধানে এই যাত্রা সকলের কাছেই সুখকর হবে, এইটুকুই আশা আমাদের।
কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ
By প্রণব চৌধুরী
₹200
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রূয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল কিছু তরুণ, উত্তাল হয়েছিল ছাত্র - বুদ্ধিজীবী - জনসমাজ। পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলা স্বীকৃতি পেলেও, প্রতিপদক্ষেপে তাদের মুখােমুখি হতে হয়েছে ইসলামিক সংস্কৃতির নামে বাঙালি-সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট সরকার উৎখাত। ১৯৫৮-এ পাকসেনাপ্রধান আইয়ুব খানের সাময়িক শাসন ও ক্ষমতাগ্রহণ, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হয়ে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে দশটি বছর সমস্ত মৌলিক স্বাধীনতাহরণ। বাংলা বর্ণমালার আরবি-রােমান হরফে রূপান্তরের উদ্যোগ, বেতার-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, ' জাতীয় কবি ' নজরুলের কবিতা-গানে ‘হিন্দুয়ানি’ ভাষা বদল করে আরবি-ফরাসি শব্দ প্রয়োগ, ক্রমাগত আর্থিক পীড়নে সােনার বাংলাকে শশানে পরিণত করা, পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন অবদমনের জন্যে ' আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ', উনসত্তরে পুলিশের গুলিতে কিশাের মতিউর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আসাদ, রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুজ্জোহা; একাত্তরের যুদ্ধে তিরিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই দুঃসাহসী মর্মান্তিক ঘটনাবলি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মীলনে সেখানে রচিত হয়েছে একাত্তর-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বাংলাভাষার নতুনতর কাব্য ও সংগীত। ' কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ ' গ্রন্থের বিভিন্ন প্রবন্ধে এর যথাযথ রূপায়ণ। এপার বাংলায় অনুরূপ প্রয়াস দুর্লভ।
কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ
By প্রণব চৌধুরী
₹200
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রূয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল কিছু তরুণ, উত্তাল হয়েছিল ছাত্র - বুদ্ধিজীবী - জনসমাজ। পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলা স্বীকৃতি পেলেও, প্রতিপদক্ষেপে তাদের মুখােমুখি হতে হয়েছে ইসলামিক সংস্কৃতির নামে বাঙালি-সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট সরকার উৎখাত। ১৯৫৮-এ পাকসেনাপ্রধান আইয়ুব খানের সাময়িক শাসন ও ক্ষমতাগ্রহণ, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হয়ে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে দশটি বছর সমস্ত মৌলিক স্বাধীনতাহরণ। বাংলা বর্ণমালার আরবি-রােমান হরফে রূপান্তরের উদ্যোগ, বেতার-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, ' জাতীয় কবি ' নজরুলের কবিতা-গানে ‘হিন্দুয়ানি’ ভাষা বদল করে আরবি-ফরাসি শব্দ প্রয়োগ, ক্রমাগত আর্থিক পীড়নে সােনার বাংলাকে শশানে পরিণত করা, পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন অবদমনের জন্যে ' আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ', উনসত্তরে পুলিশের গুলিতে কিশাের মতিউর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আসাদ, রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুজ্জোহা; একাত্তরের যুদ্ধে তিরিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই দুঃসাহসী মর্মান্তিক ঘটনাবলি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মীলনে সেখানে রচিত হয়েছে একাত্তর-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বাংলাভাষার নতুনতর কাব্য ও সংগীত। ' কাব্যে-সংগীতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ ' গ্রন্থের বিভিন্ন প্রবন্ধে এর যথাযথ রূপায়ণ। এপার বাংলায় অনুরূপ প্রয়াস দুর্লভ।
পশ্চিমের জানালা
₹300
জীবনের শেষ নেই, পড়ার শেষ নেই। তাই তত্ত্বের শেষ নেই, যুদ্ধেরও শেষ নেই। অবিভাজ্য মানববিশ্বের অধিবাসী আমরা প্রত্যেকে। তাই মানুষের জগতের কোনাে অর্জন, কোনাে উদভাসন আমাদের পক্ষে দূরবর্তী নয়। পশ্চিমে আজি খুলিয়াছে দ্বার । লিখেছিলেন বাংলা ভাষার মহত্তম কবি। বাঙালির মনন পর্বে-পর্বে উৎসুক ভাবে সাড়া দিয়েছে যখনই পশ্চিমে অভিনব কোনাে জীবনদর্শন কিংবা তত্ত্বভাবনা অথবা অসম্পূর্ণ কোনাে সাহিত্যকৃতি সূর্যের উজ্জ্বল অনুভব ছড়িয়ে দিয়েছে। গত তিন দশকে জীবন যত জটিলতর হয়েছে, তত্ত্ববিশ্বের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিচ্ছুরণ থেকে বাঙালিও মননের নতুন আয়ুধ সংগ্রহ করেছে। নীৎশে-কিয়ের্কেগার্দ, সার্-বােভােয়া, ফুকো-দেরিদা, লার্ক-একো কিংবা হ্যামলেট-ফাউস্ট, বাডেন ওয়েটিং ফর গােড়াে বাঙালির মনােভুবনেও আলাে-ছায়ার দ্বিরালাপ তৈরি করে চলেছে। ' পশ্চিমের জানালা ' বইতে ধরা রইল সেই আগ্রহেরই নিদর্শন।
পশ্চিমের জানালা
₹300
জীবনের শেষ নেই, পড়ার শেষ নেই। তাই তত্ত্বের শেষ নেই, যুদ্ধেরও শেষ নেই। অবিভাজ্য মানববিশ্বের অধিবাসী আমরা প্রত্যেকে। তাই মানুষের জগতের কোনাে অর্জন, কোনাে উদভাসন আমাদের পক্ষে দূরবর্তী নয়। পশ্চিমে আজি খুলিয়াছে দ্বার । লিখেছিলেন বাংলা ভাষার মহত্তম কবি। বাঙালির মনন পর্বে-পর্বে উৎসুক ভাবে সাড়া দিয়েছে যখনই পশ্চিমে অভিনব কোনাে জীবনদর্শন কিংবা তত্ত্বভাবনা অথবা অসম্পূর্ণ কোনাে সাহিত্যকৃতি সূর্যের উজ্জ্বল অনুভব ছড়িয়ে দিয়েছে। গত তিন দশকে জীবন যত জটিলতর হয়েছে, তত্ত্ববিশ্বের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিচ্ছুরণ থেকে বাঙালিও মননের নতুন আয়ুধ সংগ্রহ করেছে। নীৎশে-কিয়ের্কেগার্দ, সার্-বােভােয়া, ফুকো-দেরিদা, লার্ক-একো কিংবা হ্যামলেট-ফাউস্ট, বাডেন ওয়েটিং ফর গােড়াে বাঙালির মনােভুবনেও আলাে-ছায়ার দ্বিরালাপ তৈরি করে চলেছে। ' পশ্চিমের জানালা ' বইতে ধরা রইল সেই আগ্রহেরই নিদর্শন।