Discount applied: Discount 20%
“হে পারিজাত” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
ইন্টারনেটে নীল আকাশ
By ঈশিতা ভাদুড়ী
Publisher: একুশ শতক
₹80
আটের দশকে কবিতা দিয়ে সাহিত্য-জীবনের সূত্রপাত। ‘সেঁজুতি ভাদুড়ী’ ছদ্মনামেও একসময় তিনি লেখালিখি করেছেন। আটের দশকে ‘ঠুংরী’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় ‘ছড়া-টড়া’ ছড়ার সংকলন পর পর তিন বছর প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতা গদ্য সম্পাদনা মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থ-সংখ্যা ৩০টি। ই-বুক ‘গালিব অস্ফুটে’ এবং ইন্টারনেটে নীল আকাশ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-ina01
আটের দশকে কবিতা দিয়ে সাহিত্য-জীবনের সূত্রপাত। ‘সেঁজুতি ভাদুড়ী’ ছদ্মনামেও একসময় তিনি লেখালিখি করেছেন। আটের দশকে ‘ঠুংরী’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় ‘ছড়া-টড়া’ ছড়ার সংকলন পর পর তিন বছর প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতা গদ্য সম্পাদনা মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থ-সংখ্যা ৩০টি। ই-বুক ‘গালিব অস্ফুটে’ এবং ইন্টারনেটে নীল আকাশ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
ব্যারনদ্বীপে আতঙ্ক
₹50
ক্লোজ-ফ্রেন্ড তারা। কেউ কলেজে পড়ান, কেউ ইউনিভার্সিটিতে। বােটানিষ্ট, জিওলজিষ্ট, কেউ বা বায়ােলজির প্রফেসার। তাদের বৈকালিক-আলােচনায় হঠাৎ করে আসে আন্দামানের কথা। উঠল ব্যারনদ্বীপের প্রসঙ্গ। ওই দ্বীপে আছে আগ্নেয়গিরি। ভারতবর্ষের একমাত্র জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি। না, সে-দ্বীপে যাওয়া যায় না, যাওয়ার অনুমতি মেলে না। প্ল্যান করে ফেললেন তারা। যাবেন ওই ব্যারনদ্বীপে। প্লেনে পাের্টব্লেয়ার, লঞ্চ ভাড়া করে বেরুলেন ব্যারনের দিকে। শেষে পৌছােলেনও। সে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। উত্তেজনায় টানটান ' ব্যারনদ্বীপে আতঙ্ক ' গ্রন্থের দ্বিতীয় লেখাটিও। এক অধ্যাপক দুই ছাত্রকে নিয়ে বেরিয়েছেন সুন্দরবনে। সন্ধান পেয়েছেন বিস্ময়কর ম্যানগ্রোভের। রহস্য-রােমাঞ্চের পরতে পরতে বিজ্ঞানের মিশেল। শেষ লেখাটিও প্রবলভাবে বিজ্ঞানবােধের, সংস্কারবিরােধিতার।
ব্যারনদ্বীপে আতঙ্ক
₹50
ক্লোজ-ফ্রেন্ড তারা। কেউ কলেজে পড়ান, কেউ ইউনিভার্সিটিতে। বােটানিষ্ট, জিওলজিষ্ট, কেউ বা বায়ােলজির প্রফেসার। তাদের বৈকালিক-আলােচনায় হঠাৎ করে আসে আন্দামানের কথা। উঠল ব্যারনদ্বীপের প্রসঙ্গ। ওই দ্বীপে আছে আগ্নেয়গিরি। ভারতবর্ষের একমাত্র জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি। না, সে-দ্বীপে যাওয়া যায় না, যাওয়ার অনুমতি মেলে না। প্ল্যান করে ফেললেন তারা। যাবেন ওই ব্যারনদ্বীপে। প্লেনে পাের্টব্লেয়ার, লঞ্চ ভাড়া করে বেরুলেন ব্যারনের দিকে। শেষে পৌছােলেনও। সে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। উত্তেজনায় টানটান ' ব্যারনদ্বীপে আতঙ্ক ' গ্রন্থের দ্বিতীয় লেখাটিও। এক অধ্যাপক দুই ছাত্রকে নিয়ে বেরিয়েছেন সুন্দরবনে। সন্ধান পেয়েছেন বিস্ময়কর ম্যানগ্রোভের। রহস্য-রােমাঞ্চের পরতে পরতে বিজ্ঞানের মিশেল। শেষ লেখাটিও প্রবলভাবে বিজ্ঞানবােধের, সংস্কারবিরােধিতার।
পথের দর্শন ও বাংলা উপন্যাস
₹200
সৃষ্টির ধারা মিশে যায় গহন অরণ্যে অথবা নিষেধের বেড়াজালে। তবু সে পথ হারায় না। পথ দেয় পথের সন্ধান - তৈরী হয় পথের দর্শন। সৃষ্টি হয় সাহিত্যে। তুলে ধরা হয়েছে জয়ন্ত মিস্ত্রি র "পথের দর্শন ও বাংলা উপন্যাস" এ।
পথের দর্শন ও বাংলা উপন্যাস
₹200
সৃষ্টির ধারা মিশে যায় গহন অরণ্যে অথবা নিষেধের বেড়াজালে। তবু সে পথ হারায় না। পথ দেয় পথের সন্ধান - তৈরী হয় পথের দর্শন। সৃষ্টি হয় সাহিত্যে। তুলে ধরা হয়েছে জয়ন্ত মিস্ত্রি র "পথের দর্শন ও বাংলা উপন্যাস" এ।
ব্ল্যাকশিপ 0
₹50
ব্ল্যাকশিপ 0 ব্যাপারটা বেশ ইউনিক। একই গল্পের দুইরকম ভাবে পরিবেশন। সংক্ষিপ্তকারে সত্যি অভিনব এক প্রচেষ্টা। তবে ব্ল্যাকশিপ ১ এবং ব্ল্যাকশিপ ২ কমিক্স দুটি পড়লে ব্ল্যাকশিপ 0 এক উপরি পাওনা বলে মনে হবে, হয়তো মনের ভিতর জেগে ওঠা কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবে।
ব্ল্যাকশিপ 0
₹50
ব্ল্যাকশিপ 0 ব্যাপারটা বেশ ইউনিক। একই গল্পের দুইরকম ভাবে পরিবেশন। সংক্ষিপ্তকারে সত্যি অভিনব এক প্রচেষ্টা। তবে ব্ল্যাকশিপ ১ এবং ব্ল্যাকশিপ ২ কমিক্স দুটি পড়লে ব্ল্যাকশিপ 0 এক উপরি পাওনা বলে মনে হবে, হয়তো মনের ভিতর জেগে ওঠা কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবে।
মাইকেল ক্যারিট – এক কমিউনিস্ট আইসিএস এর আত্মকথন
₹300
বিগত শতাব্দীর তিরিশের দশক। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের নিষ্পেষণে ভারতবাসীর অবস্থা চরম দুর্দশাগ্রস্ত। এই অবস্থায় একদিকে ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচার চরমে উঠেছে, অন্যদিকে প্রতিবাদী মানুষ মাথা তুলছে। চারিদিকে বিদ্রোহের পতাকা দেখা যাচ্ছে। চিরবিদ্রোহী কমিউনিস্ট পার্টির সেই অঙ্কুরোদ্গমের কালে ভারতে আই.সি.এস হয়ে এলেন মাইকেল ক্যারিট। প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ এই পার্টির সঙ্গে যােগাযােগ গড়ে উঠল। নিজের জীবন, যৌবন, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিসর্জন দিয়ে ক্যারিট দাঁড়ালেন নিপীড়িত মানুষের পাশে। তাঁরই আত্মত্যাগ ও আদর্শের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার অনন্য নজির রয়েছে এই আত্মকথনে।
সাম্রাজ্যবাদী শাসনে ক্ষমতার কেন্দ্রীয় বলয়ে থাকা একজন মানুষ সমাজতন্ত্র ও উপনিবেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। শুধু নিষ্ক্রিয় বিশ্বাস নয়, সক্রিয় অংশগ্রহণ করার দুঃসাহসও তার আছে। ফলতঃ স্পষ্ট বৈপরীত্যের সংঘাতে এবং লুকোচুরির বিপজ্জনক খেলায় জীবন হয়ে ওঠে এক রহস্য-রােমাঞ্চের নায়কের মতাে। মাইকেল ক্যারিটের A Mole in the Crown সেই আত্মজৈবনিক বর্ণনাতেই টানটান।
মূলানুগ ও প্রাঞ্জল ভাষান্তরে এ গ্রন্থ বাংলার ইতিহাস-চর্চারও এক অন্যতম উপাদান হয়ে থাকবে।
মাইকেল ক্যারিট – এক কমিউনিস্ট আইসিএস এর আত্মকথন
₹300
বিগত শতাব্দীর তিরিশের দশক। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের নিষ্পেষণে ভারতবাসীর অবস্থা চরম দুর্দশাগ্রস্ত। এই অবস্থায় একদিকে ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচার চরমে উঠেছে, অন্যদিকে প্রতিবাদী মানুষ মাথা তুলছে। চারিদিকে বিদ্রোহের পতাকা দেখা যাচ্ছে। চিরবিদ্রোহী কমিউনিস্ট পার্টির সেই অঙ্কুরোদ্গমের কালে ভারতে আই.সি.এস হয়ে এলেন মাইকেল ক্যারিট। প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ এই পার্টির সঙ্গে যােগাযােগ গড়ে উঠল। নিজের জীবন, যৌবন, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিসর্জন দিয়ে ক্যারিট দাঁড়ালেন নিপীড়িত মানুষের পাশে। তাঁরই আত্মত্যাগ ও আদর্শের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার অনন্য নজির রয়েছে এই আত্মকথনে।
সাম্রাজ্যবাদী শাসনে ক্ষমতার কেন্দ্রীয় বলয়ে থাকা একজন মানুষ সমাজতন্ত্র ও উপনিবেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। শুধু নিষ্ক্রিয় বিশ্বাস নয়, সক্রিয় অংশগ্রহণ করার দুঃসাহসও তার আছে। ফলতঃ স্পষ্ট বৈপরীত্যের সংঘাতে এবং লুকোচুরির বিপজ্জনক খেলায় জীবন হয়ে ওঠে এক রহস্য-রােমাঞ্চের নায়কের মতাে। মাইকেল ক্যারিটের A Mole in the Crown সেই আত্মজৈবনিক বর্ণনাতেই টানটান।
মূলানুগ ও প্রাঞ্জল ভাষান্তরে এ গ্রন্থ বাংলার ইতিহাস-চর্চারও এক অন্যতম উপাদান হয়ে থাকবে।
ভাষাতত্ত্ব ও বাংলা ভাষার ইতিহাস
₹300
ভাষাতত্ত্বের প্রথম পাঠ এবং মৌলিক ধারণা গ্রহণ করার জন্য ক্ষুদ্রায়তন, সহজবােধ্য এবং সরলভাবে লিখিত ' ভাষাতত্ত্ব ও বাংলা ভাষার ইতিহাস ' গ্রন্থটি চোখের জল না ফেলেও হৃদয়ঙ্গম করা যাবে। সাহিত্যের ছাত্রছাত্রীদের যেটুকু ভাষাতত্ত্বজ্ঞানের প্রয়ােজন হয়, এই বই থেকেই তার সম্যক জ্ঞান তাঁরা আহরণ করতে পারবেন মুখের হাসি অক্ষুন্ন রেখে। ধারণা একবার তৈরি হয়ে গেলে তা প্রসারিত করবার মতাে গ্রন্থ আরাে অনেক আছে, ছাত্রছাত্রীরা তার খোঁজ রাখেন, লেখক নিজেও গ্রন্থের শেষে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দিয়ে দিয়েছেন।
ভাষাতত্ত্ব ও বাংলা ভাষার ইতিহাস
₹300
ভাষাতত্ত্বের প্রথম পাঠ এবং মৌলিক ধারণা গ্রহণ করার জন্য ক্ষুদ্রায়তন, সহজবােধ্য এবং সরলভাবে লিখিত ' ভাষাতত্ত্ব ও বাংলা ভাষার ইতিহাস ' গ্রন্থটি চোখের জল না ফেলেও হৃদয়ঙ্গম করা যাবে। সাহিত্যের ছাত্রছাত্রীদের যেটুকু ভাষাতত্ত্বজ্ঞানের প্রয়ােজন হয়, এই বই থেকেই তার সম্যক জ্ঞান তাঁরা আহরণ করতে পারবেন মুখের হাসি অক্ষুন্ন রেখে। ধারণা একবার তৈরি হয়ে গেলে তা প্রসারিত করবার মতাে গ্রন্থ আরাে অনেক আছে, ছাত্রছাত্রীরা তার খোঁজ রাখেন, লেখক নিজেও গ্রন্থের শেষে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দিয়ে দিয়েছেন।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।